একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে পাঁচ অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা। এছাড়া ট্রাইব্যুনালের দেয়া একটি অভিযোগের রায় তিনি বহল রেখেছেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রীম কোর্ট এর আপিল বিভাগ আবেদন শুনানি শেষে আবদুল কাদের মোল্লাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেন। ওইদিন মৃত্যুদন্ডের সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণার আড়াই মাস পর গতকাল পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ৫ ফেব্রুয়ারি আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে আপিল বিভাগ ট্রাইব্যুনাল।
প্রধান বিচারপতি মো:মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ আলোচিত এ মামলার আপিল শুনানি গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন।
প্রধান বিচারপতি ছাড়া অপর চার বিচারপতিরা হলেন,বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়া,বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরি মানিক।
আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে পূর্ণ রায় লিখেছেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞা এবং বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী।
প্রধান বিচারপতি মো:মোজাম্মেল হোসেন রায়ে লিখেছেন তিন বিচারপতির লেখা রায় তিনি পড়েছেন এবং বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সাথে তিনি একমত পোষণ করেছেন। একইরকম মত প্রকাশ করেছেন অপর বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
প্রকাশ হওয়া পূর্নাঙ্গ রায়টি মোট ৭৯০ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ২৫২ পৃষ্ঠা,বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ২২৭ পৃষ্ঠা এবং বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী ৩১০ পৃষ্ঠা লিখেছেন। প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন এবং অপর বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অপর এক পৃষ্ঠাতে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার রায়ের সাথে একমত পোষণ করেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বরের সংক্ষিপ্ত রায়ে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে (৪:১)আবদুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অর্থাৎ চার জন বিচারপতি মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে এবং একজন বিচারপতি মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে রয়েছেন। ভিন্নমত পোষণকারী বিচারপতির নাম সংক্ষিপ্ত রায়ে উল্লেখ ছিলনা। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর দেখা গেছে বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা অপর চার বিচারপতির সাথে একমত পোষণ করেননি। সাজার বিষয়ে তিনি ভিন্নমত পোষণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইব্যুনালে আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ৬টি অভিযোগ এনেছিল। ছয়টি অভিযোগের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লাকে দুইটি অভিযোগে যাবজ্জীবন,তিনটি অভিযোগে ১৫ বছর করে কারাদন্ড দেন। এছাড়া একটি অভিযোগ থেকে খালাস দেন।
আপিল বিভাগের রায়ে একটি যাবজ্জীবন সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ অভিযোগটি হল মিরপুরে কালাপানি লেনে হযরত আলী,তার ছেলে,মেয়ে,স্ত্রীকে হত্যা ও মেয়েদের ধর্ষনের ঘটনা। এটি ছিল মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ৬ নং অভিযোগ।
এছাড়া ট্রাইব্যুনালের অপর চারটি অভিযোগে প্রদত্ত সাজা বহাল রাখা হয় আপিল বিভাগের রায়ে। অপর দিকে একটি অভিযোগ থেকে ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লাকে খালাস দিলেও আপিল বিভাগ ওই অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজা দেন। অর্থাৎ ৬টি অভিযোগেই আপিল বিভাগ সাজা দেন আব্দুল কাদের মোল্লাকে এবং বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ছয়টি সাজার ক্ষেত্রেই ভিন্নমত পোষণ করে ভিন্ন রায় দিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত রায়ে ছয়টি অভিযোগেই সাজা দেয়া হয় ৪:১ ভিত্তিতে।
ট্রাইব্যুনাল আবদুল কাদের মোল্লাকে মোট ৫টি অভিযোগে দণ্ডিত করেন। এর মধ্যে ৪টি অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা তার রায়ে। এছাড়া ট্রাইব্যুনাল যে অভিযোগ থেকে আবদুল কাদের মোল্লাকে অব্যাহতি দেন সেটি বহাল রেখেছেন তিনি। ফলে তিনি মোট পাঁচটি অভিযোগ থেকে খালাস দিলেন আবদুল কাদের মোল্লাকে।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে আবদুল কাদের মোল্লাকে ১ নম্বর অভিযোগ যথা মিরপুরে পল্লব হত্যার দায়ে ১৫ বছর জেল দেয়া হয়েছে। আপিল বিভাগ এ রায় বহাল রেখেছেন। অপরদিকে বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা তার রায়ে এ অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন কাদের মোল্লাকে। তিনি বলেছেন রাষ্ট্রপক্ষ এ অভিযোগ প্রমানে ব্যর্থ হয়েছে এবং ট্রাইব্যুনাল অন্যায়ভাবে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ২ নং অভিযোগ তথা কবি মেহেরুন্নেসা হত্যার অভিযোগে ১৫ বছর দণ্ড দেয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। আপিল বিভাগের রায়ে ট্রাইব্যুনালের এ দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা এ অভিযোগেও আপিল বেঞ্চের অপর চার বিচারপতির সাথে ভিন্নমত পোষণ করে আবদুল কাদের মোল্লাকে খালাস দিয়েছেন। তিনি রায়ে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমান করতে পারেনি।
আবদুল কাদের মোল্লাকে ৩ নং অভিযোগ যথা সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব হত্যার অভিযোগে ১৫ বছর সাজা দেয়া হয়েছে। আপিল বিভাগের রায়ে এ দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা এ অভিযোগেও আপিল বিভাগের চার বিচারপতির সাথে ভিন্নমত পোষণ করে আসামীকে খালাস দিয়েছেন অভিযোগ থেকে।
৪ নং অভিযোগ যথা কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর হত্যাকান্ডের অভিযোগ থেকে আবদুল কাদের মোল্লাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। আপিল বিভাগ এ অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আবদুল কাদের মোল্লাকে। কিন্তু বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ট্রাইব্যুনালের দেয়া খালাস রায় বহাল রেখেছেন।
৫ নং অভিযোগ যথা মিরপুর আলুবদি হত্যাকান্ডের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের রায়ে কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে। আপিল বিভাগ এ রায় বহাল রেখেছেন। কিন্তু বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা এ অভিযোগ থেকেও মোল্লাকে খালাস দিয়ে লিখেছেন, আব্দুল কাদের মোল্লা সেখানে উপস্থিত ছিল এবং এ গনহত্যায় কোন সহযোগিতা করেছে এ মর্মে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমান করতে পারেনি। ট্রাইব্যুনাল ভুল করেছে এ সাজা দিয়ে।
মিরপুরে হযরত আলী পরিবারের হত্যাকাণ্ডে ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আবদুল কাদের মোল্লাকে। আপিল বিভাগের রায়ে এ সাজা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। কিন্তু বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ট্রাইব্যুনালের এ রায় বহাল রাখেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রীম কোর্ট এর আপিল বিভাগ আবেদন শুনানি শেষে আবদুল কাদের মোল্লাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেন। ওইদিন মৃত্যুদন্ডের সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণার আড়াই মাস পর গতকাল পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ৫ ফেব্রুয়ারি আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে আপিল বিভাগ ট্রাইব্যুনাল।
প্রধান বিচারপতি মো:মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ আলোচিত এ মামলার আপিল শুনানি গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন।
প্রধান বিচারপতি ছাড়া অপর চার বিচারপতিরা হলেন,বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়া,বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরি মানিক।
আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে পূর্ণ রায় লিখেছেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞা এবং বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী।
প্রধান বিচারপতি মো:মোজাম্মেল হোসেন রায়ে লিখেছেন তিন বিচারপতির লেখা রায় তিনি পড়েছেন এবং বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সাথে তিনি একমত পোষণ করেছেন। একইরকম মত প্রকাশ করেছেন অপর বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
প্রকাশ হওয়া পূর্নাঙ্গ রায়টি মোট ৭৯০ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ২৫২ পৃষ্ঠা,বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ২২৭ পৃষ্ঠা এবং বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী ৩১০ পৃষ্ঠা লিখেছেন। প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন এবং অপর বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অপর এক পৃষ্ঠাতে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার রায়ের সাথে একমত পোষণ করেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বরের সংক্ষিপ্ত রায়ে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে (৪:১)আবদুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অর্থাৎ চার জন বিচারপতি মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে এবং একজন বিচারপতি মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে রয়েছেন। ভিন্নমত পোষণকারী বিচারপতির নাম সংক্ষিপ্ত রায়ে উল্লেখ ছিলনা। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর দেখা গেছে বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা অপর চার বিচারপতির সাথে একমত পোষণ করেননি। সাজার বিষয়ে তিনি ভিন্নমত পোষণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইব্যুনালে আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ৬টি অভিযোগ এনেছিল। ছয়টি অভিযোগের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লাকে দুইটি অভিযোগে যাবজ্জীবন,তিনটি অভিযোগে ১৫ বছর করে কারাদন্ড দেন। এছাড়া একটি অভিযোগ থেকে খালাস দেন।
আপিল বিভাগের রায়ে একটি যাবজ্জীবন সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ অভিযোগটি হল মিরপুরে কালাপানি লেনে হযরত আলী,তার ছেলে,মেয়ে,স্ত্রীকে হত্যা ও মেয়েদের ধর্ষনের ঘটনা। এটি ছিল মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ৬ নং অভিযোগ।
এছাড়া ট্রাইব্যুনালের অপর চারটি অভিযোগে প্রদত্ত সাজা বহাল রাখা হয় আপিল বিভাগের রায়ে। অপর দিকে একটি অভিযোগ থেকে ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লাকে খালাস দিলেও আপিল বিভাগ ওই অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজা দেন। অর্থাৎ ৬টি অভিযোগেই আপিল বিভাগ সাজা দেন আব্দুল কাদের মোল্লাকে এবং বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ছয়টি সাজার ক্ষেত্রেই ভিন্নমত পোষণ করে ভিন্ন রায় দিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত রায়ে ছয়টি অভিযোগেই সাজা দেয়া হয় ৪:১ ভিত্তিতে।
ট্রাইব্যুনাল আবদুল কাদের মোল্লাকে মোট ৫টি অভিযোগে দণ্ডিত করেন। এর মধ্যে ৪টি অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা তার রায়ে। এছাড়া ট্রাইব্যুনাল যে অভিযোগ থেকে আবদুল কাদের মোল্লাকে অব্যাহতি দেন সেটি বহাল রেখেছেন তিনি। ফলে তিনি মোট পাঁচটি অভিযোগ থেকে খালাস দিলেন আবদুল কাদের মোল্লাকে।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে আবদুল কাদের মোল্লাকে ১ নম্বর অভিযোগ যথা মিরপুরে পল্লব হত্যার দায়ে ১৫ বছর জেল দেয়া হয়েছে। আপিল বিভাগ এ রায় বহাল রেখেছেন। অপরদিকে বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা তার রায়ে এ অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন কাদের মোল্লাকে। তিনি বলেছেন রাষ্ট্রপক্ষ এ অভিযোগ প্রমানে ব্যর্থ হয়েছে এবং ট্রাইব্যুনাল অন্যায়ভাবে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ২ নং অভিযোগ তথা কবি মেহেরুন্নেসা হত্যার অভিযোগে ১৫ বছর দণ্ড দেয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। আপিল বিভাগের রায়ে ট্রাইব্যুনালের এ দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা এ অভিযোগেও আপিল বেঞ্চের অপর চার বিচারপতির সাথে ভিন্নমত পোষণ করে আবদুল কাদের মোল্লাকে খালাস দিয়েছেন। তিনি রায়ে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমান করতে পারেনি।
আবদুল কাদের মোল্লাকে ৩ নং অভিযোগ যথা সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব হত্যার অভিযোগে ১৫ বছর সাজা দেয়া হয়েছে। আপিল বিভাগের রায়ে এ দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা এ অভিযোগেও আপিল বিভাগের চার বিচারপতির সাথে ভিন্নমত পোষণ করে আসামীকে খালাস দিয়েছেন অভিযোগ থেকে।
৪ নং অভিযোগ যথা কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর হত্যাকান্ডের অভিযোগ থেকে আবদুল কাদের মোল্লাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। আপিল বিভাগ এ অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আবদুল কাদের মোল্লাকে। কিন্তু বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ট্রাইব্যুনালের দেয়া খালাস রায় বহাল রেখেছেন।
৫ নং অভিযোগ যথা মিরপুর আলুবদি হত্যাকান্ডের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের রায়ে কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে। আপিল বিভাগ এ রায় বহাল রেখেছেন। কিন্তু বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা এ অভিযোগ থেকেও মোল্লাকে খালাস দিয়ে লিখেছেন, আব্দুল কাদের মোল্লা সেখানে উপস্থিত ছিল এবং এ গনহত্যায় কোন সহযোগিতা করেছে এ মর্মে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমান করতে পারেনি। ট্রাইব্যুনাল ভুল করেছে এ সাজা দিয়ে।
মিরপুরে হযরত আলী পরিবারের হত্যাকাণ্ডে ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আবদুল কাদের মোল্লাকে। আপিল বিভাগের রায়ে এ সাজা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। কিন্তু বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ট্রাইব্যুনালের এ রায় বহাল রাখেন।
No comments:
Post a Comment