আওয়ামীলীগ নেতা গাজি গোলাম মোস্তফার ছেলে ছিল শেখ কামালের বন্ধু। এদের প্রায় ৩০ জনের একটা দল ছিল। বিভিন্ন জায়গায় এরা আড্ডা মারত। আবার সেনাবাহিনীর অফিসারদের কোন পার্টি হলে সেখানেও এই দলটি উপস্থিত হত। দলের মধ্যে একজন তৎকালীন প্রেসিডেন্টের ছেলে হওয়ায় দলটির ক্ষমতাই ছিল অন্যরকম। কাউকে তোয়াক্কা করত না তারা। একটি বিয়ের পার্টিতে মেজর ডালিমের বউকে দেখে আওয়ামীলীগ নেতা গাজী গোলাম মোস্তফার ছেলে তার উদ্দেশ্যে অশালীন মন্তব্য করে। এবং এক পর্যায়ে মেজর ডালিমের স্ত্রীর হাত ধরে টানাটানি করে।এ অবস্থায় ডালিম বাধা দিতে এগিযে গেলে তার সাথে গোলাম মোস্তফার ছেলের ঝগড়া হয়। শেখ কামাল সেখানে উপস্থিত ছিলো। সে সরাসরি তার বন্ধুর পক্ষ নেয় এবং মেজর ডালিমের বউকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকেই তুলে নিয়ে যায়। ( তিনটি অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা---লে, কর্নেল (অব) এম এ হামিদ পি এস সি)
সময়কাল ১৯৭৩ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর দিবাগত রাত। শেখ কামাল ও তার সহযোগীরা অস্ত্র হাতে ঢাকার রাস্তায় কুখ্যাত সাদা রঙ এর মাইক্রোবাস নিয়ে নেমেছে। উদ্দেশ্য ব্যাংক ডাকাতি। অন্যদিকে শহরজুড়ে সিরাজ শিকদারের আগমনধ্বনিতে কম্পমান মুজিব ও তার চ্যালা চামুন্ডারা। পুলিশ বাহিনী চরম স্নায়ুচাপে ভুগছে। ব্যাংক ডাকারি চেষ্টাকালে শেখ কামালের দলবলকে সিরাজ শিকদারের দল মনে করে গুলি চালায় সার্জেন্ট কিবরিয়া। আহত হয় শেখ কামাল। পরদিনের গণকণ্ঠ পত্রিকায় বিস্তারিত ছাপা হয় মুজিব পুত্রের ব্যাংক ডাকাতির কাহিনী। (মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব) বীরবিক্রম)
সময়কাল ১৯৭৫।
সদ্য বিবাহিত এক নবদম্পতি গাড়িতে বেরিয়েছেন। প্রকাশ্যেই স্বামী এবং গাড়ির ড্রাইভারকে হত্যা করে মেয়েটাকে তুলে নিয়ে যায় মুজিবের স্নেহধন্য, শেখ কামালেরে সহযোগী কুখ্যাত সন্ত্রাসী মোজাম্মেল। ধর্ষিত মেয়েটির রক্তাক্ত মৃতদেহ তিনদিন পর পাওয়া যায় টঙ্গী ব্রিজের নিচে। মেজর নাসের গ্রেপ্তার করেন মোজাম্মেলকে। মোজাম্মেল হাসতে হাসতে বলে, আমাকে ছেড়ে দেন। নাহলে আপনিই বিপদে পড়বেন। মেজর নাসের ছাড়লেন না মোজাম্মেলকে। পরেরদিনই শেখ মুজিবের নির্দেশে ছাড়া পায় মোজাম্মেল। শাস্তির মুখোমুখি হন মেজর নাসের। (দেয়াল-হুমায়ুন আহমেদ, Bangladesh Legacy of Blood- Anthony Mascarenhass)
সদ্য স্বাধীন দেশে লাম্পট্য, সন্ত্রাস আর পৈশাচিকতার নজির গড়ে তুলেছিলেন তিনি। রাজনৈতিক নেতার পুত্র মানেই সন্ত্রাসী, লম্পট, ধর্ষক, পিশাচ- সাধারণের মনে এই ধারণার প্রবর্তক তিনি। বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায় '৭২-'৭৫ এর এক কুৎসিত চরিত্র তিনি। হ্যা, তিনি হচ্ছেন শেখ কামাল। কুখ্যাত শেখ কামাল। আজ তার জন্মদিন। আজ বড় দুঃখের দিন সেই ধর্ষিত, নিহত মেয়েগুলোর। আজ বড় দুঃখের দিন '৭৪ এর দুর্ভিক্ষ পীড়িত সেই কঙ্কালদের। আজ বড় দুঃখের দিন বীর সন্তান মেজর নাসেরের। শেখ কামাল নামের এক কুলাঙ্গারের জন্ম এই দেশে হওয়াতেই '৭২-'৭৫ এর কালো সময় হয়েছিলো আরো কালো। আরো বিভিষীকাময়। আমরা অবশ্যই বলব, এরকম অশুভ জন্ম যাতে আর কখনো এই দেশে না হয়।
হা হা হা..! এখানে কিছু লেখা দেখলাম আসলেই পাগল বুঝানো মতো!
ReplyDeleteআর সবথেকে বড় কথা এন্থনি মাসকারেনহাসের 'Bangladesh A Legachy of Blood' বইয়ের কোনো অংশেই ঐ কথাটা লেখা নেই, যেটা আপনি তৃতীয় প্যারায় উল্লেখ করেছেন।
এবং শেখ কামাল মেজর ডালিমের বউকে তুলে মেয়ার হুমকি দিয়েছ যআরআর রেফারেন্স দিয়েছে তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা বই থেকে। কিন্তু সেখানে এধরণের কিছু লেখা ছিলনা
Deleteহুমায়ূন আহমেদের দেয়াল বইতে আমি তা পড়েছি
Deleteহুমায়ূন আহমেদের দেয়াল বইতে আমি তা পড়েছি
Deleteতুই সম্ভবত জিয়া এবং একিসাথে তারেক কোকোর জন্ম দেয়া জারজ সন্তান। তাইতো তোদের মিথ্যাচার।
ReplyDeleteআপনাকে কে জন্ম দিয়েছে?সেটা আগে ক্লিয়ার করুন!
Deleteভাই.. তাই বলে সব কথাইতো আর মিথ্যা না... হয়তোবা সামন্য বেশকম বা এদিক সেদিক হতে পারে... তাই বলেতো আপনি ব
Deleteএরোকম বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করতে পারেন না..
সত্য কখনো চাপা থাকেনা
ReplyDelete😶
ReplyDeleteবর্তমানে প্রতিবন্ধী প্রজন্মকে আওয়ামী লীগের এই দুষ্কর্মের কথাগুলো জানানো উচিত
ReplyDeleteআরে ছাগল মেজর ডালিমএর বই por ashol sotto jante parbi shala bnp jamater jaroj
Deleteহুম
ReplyDeleteকিছু ডাঁহা মিথ্যা কথা লিখে এমন কিছু রেফারেন্স দেয়া হয় যার কোন অস্থিত্বই নেই। এভাবেই ৭১ এর পরাজিত লাঞ্ছিত, কানকাটা রাজাকার আর তাদের পুতেরা শহিদ মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের বদনামী করে আসছে। এদেরকে ধরে ধরে প্রমাণ চাওয়া হউক। প্রমাণ দিতে না পারলে বাম্বু থ্যারাপি দেয়া হউক। তবেই এই সব মিথ্যাচার বন্ধ হবে।
ReplyDelete