তারপর আপিল বিভাগ নির্লজ্বভাবে যাবজ্জ্বীবন থেকে ফাসির রায় দিয়ে হাসিনার আশা পূরণের জন্য আদালতের সাজা বাড়িয়ে সুপ্রিমকোর্ট বিচার বিভাগের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করে।
যেই সাক্ষীর ভিত্তিতে কাদের মোল্লাকে ফাসি দেওয়া হয় তার নাম হলো মোমেনা বেগম। তিনি তিন জায়গায় টি রকম সাক্ষী দিয়েছিলেন। তিনি আসলে কি বলেছিলেন দেখুন নিউ এইজ পত্রিকার সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের রিপোর্টে...
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রথমত. গত ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের এক গবেষককে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাক্ষী মোমেনা বেগম এটাও বলেছেন- যখন তার পরিবারের সদস্যদের গণহারে হত্যা করা হয়, তখন তিনি সেখানে ছিলেন না। ঘটনার দুদিন আগেই তিনি ওই এলাকা ত্যাগ করেন
দ্বিতীয়ত. গত ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তাকে দেয়া জবানবন্দিততে মোমেনা, ১৯৭১ সালে যার বয়স ছিল ১৩ বছর, বলেন- ওই দিন তাদের বাসায় যারা প্রবেশ করেছিল, তারা সবাই ছিল বিহারী এবং পাকিস্তানি সেনা সদস্য। সেখানে কোনো বাঙালির উপস্থিতির কথা বলা হয়নি। আদালতে দেয়া মোমেনার মৌখিক সাক্ষ্য আগের দেয়া সাক্ষাৎকার এবং জবানবন্দির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সূত্র : http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2013/10/blog-post_2937.html
দেখেন এখানে স্পট মোমেনা বেগম বলেছেন এখানে কাদের মোল্লা তো দুরের কথা , কোনো বাংলাদেশী ও ছিলো না।
যে মোমেনা বেগমকে নিয়ে এত বিতর্ক তিনি কি আসলেই ট্রাইবুনালে গিয়েছেন ? এটা নিয়েই এখন খোদ প্রশ্ন উঠেছে।
শারীরিক গঠনে আসল মোমেনা বেগমের সাথে ট্রাইবুনালে মুখ ঢাকা মোমেনা বেগমের প্রচুর পার্থক্য যা সন্দেহ আরো বাড়িয়ে দেয়। ছবিতে বিস্তারিত :
এই নিয়ে খোদ অভিযোগ করেছেন কাদের মোল্লার স্ত্রী।
সত্যিই কি মোমেনা বেগম ট্রাইবুনালে গিয়েছে না কাউকে সাজানো হয়েছে। এর আগে মাওলানা নিজামীর বিরুদ্বে নান্নু মিয়াকে জোর করে সাক্ষী বানানোতে এই সন্দেহ আরো তীব্র হচ্ছে মানুষের মাঝে ।
সূত্র : http://www.bdtomorrow.com/newsdetail/detail/200/58016
এবার দেখি মুক্তিযুদ্বের দলিলপত্র ও ট্রাইবুনালে মোমেনা বেগমের সাক্ষ্যের বৈপরিত্য :
ট্রাইব্যুনাল এবং মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে রক্ষিত ডকুমেন্টের বৈপরীত্য
ট্রাইব্যুনালে মোমেনা বেগমের সাক্ষ্য এবং মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে সংরক্ষিত প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মী তথ্য রয়েছে।
যেমন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী মোমেনা বেগম তার সাক্ষ্যে বলেছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যার সময় তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
খাটের নিচে লুকিয়ে থেকে পরিবারের সদস্যদের হত্যা এবং তার বোনকে ধর্ষণের ঘটনা দেখেছেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজেও ধর্ষণের শিকার হন এবং পরে অচেতন হয়ে পড়েন।
অপরদিকে, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে রক্ষিত প্রতিবেদনে দেখা যায় মোমেনা বেগম ঘটনার দুই দিন আগে তার শ্বশুর বাড়িতে চলে যান। ফলে তিনি প্রানে বেঁচে যান এ ঘটনা থেকে।
মোমেনা বেগমের সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর কর্তৃপক্ষের তৈরি করা ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মোমেনা বেগম তাদের পরিবারের হত্যার জন্য বিহারীদের দায়ী করেছেন।
সেখানে কাদের মোল্লার কোন নাম গন্ধই নেই। কিন্তু ট্রাইব্যুনালে মোমেনা বেগম তার জবানবন্দিতে বলছেন আবদুল কাদের মোল্লার উপস্থিতিতে এবং নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। কাদের মোল্লা এবং আক্তার গুণ্ডা তার বাবাকে ধাওয়া করে ঘর পর্যন্ত নিয়ে আসে। এরপর ঘরে ঢুকে তার বাবাকে শার্টের কলার ধরে বাইরে নিয়ে যায়।
সূত্র : http://www.timenewsbd.com/law---court/2013/12/09/18815#sthash.Xmj3E6GB.dpuf
এবার ও কি এটা সুস্পস্ট নয় কাদের মোল্লাকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা হচ্ছে ?
তার আরো কিছু প্রমান শুনুন আইনজীবী তাজুল ইসলামের কাছে।
এই ধরনের বিচার বিশিস্টজনেরা ও পারছেন না নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে। যাতে আবার ট্রাইবুনালের অপমান না হয়। অন্যদিকে বিদেশীদের মুখ বন্ধ করতে সরকার খরচ করছে অনেক টাকা।
সূত্র:http://www.rtnn.net//newsdetail/detail/1/1/71010#.UkgLcIZ6ZVK
কাদের মোল্লাকে যখন যাবজ্জ্বীবন দেওয়া হলো সেই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দেশের মানুষ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলো। সেই রকম কিছু ভিডিও দেখুন
http://www.youtube.com/watch?v=dCYe31gZtrI
শুধু মাত্র গুরুত্বপূর্ন শক্তি হিসাবে জামায়াত আবির্ভুত হওয়ার কারণে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।
http://www.youtube.com/watch?v=mzYYP5g9Sj8
আরেকটি প্রশ্ন হলো কাদের মোল্লা কি সত্যিই কসাই কাদের ? এই ব্যাপারে জনাব জাফুরুল্লার মুখেই শুনি
http://www.youtube.com/watch?v=n8HKcWHRm44
এবার দেখুন আওয়ামী এমপি গোলাম মাওলা রনি কি বলেন ? কসাই কাদের ও কাদের মোল্লার ব্যাপারে
এ মামলার প্রথম বিচার্য বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছে কাদের মোল্লা বনাম কসাই কাদের নিয়ে। প্রসিকিউশনের দাবি, মিরপুরের কুখ্যাত খুনি কসাই কাদেরই আজকের কাদের মোল্লা। প্রমাণ হিসেবে অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণের সঙ্গে তৎকালীন পত্রিকায় প্রকাশিত কসাই কাদেরের একটি ছবি উপস্থাপন করা হয়েছে। চশমা চোখে দেওয়া কসাই কাদের পাকিস্তানি সেনাকমান্ডার নিয়াজীর পাশে দাঁড়ানো।
অন্যদিকে কাদের মোল্লা তার জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি যুদ্ধকালীন তার জন্মভূমি ফরিদপুর জেলার সদরপুরে ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়েছেন। সেখানকার বিখ্যাত মীর ধলামিয়া সাহেবের বাড়িতে থাকতেন এবং তার দুই মেয়েকে পড়াতেন। আমি ধলামিয়া পীর সাহেবকে চিনতাম এবং তার দুই মেয়েকেও চিনি। পীর ধলামিয়া সাহেব মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তির সমর্থক। তার বড় মেয়ের জামাই একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বুয়েট থেকে পাস করা ইঞ্জিনিয়ার। সরকারের এলজিইডি বিভাগে তিনি উঁচুপদে চাকরি করতেন এবং পিডি বা প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেন। গাফফার ইঞ্জিনিয়ার নামের এই কর্তাব্যক্তি এখনো এলজিইডির বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করে থাকেন। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘকালীন সাধারণ সম্পাদক এসএম নুরুন্নবী যিনি কিনা এখন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য তিনিও তার সহযোদ্ধা হিসেবে একসঙ্গে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন
কাদের মোল্লার জবানবন্দি মতো প্রসিকিউশন যদি এসব বরেণ্য ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসেবে হাজির করতে পারতেন তাহলে বিচারকার্য নিয়ে প্রতিপক্ষ টুঁ-শব্দটি উচ্চারণ করতে পারতেন না। অন্যদিকে আসামি উল্লেখ করেছেন, তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া গ্রুপ করতেন। এক্ষেত্রে তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের দুই কর্ণধার বর্তমান সরকারের কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকেও সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করা যেত।
কাদের মোল্লা উল্লেখ করেছেন, তিনি সদরপুরে আরও ৩০-৩৫ জনের একদল যুবককে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়েছেন! কি ভয়াবহ বক্তব্য। প্রসিকিউশনের উচিত ছিল যথাযথ যুক্তিপ্রমাণ উত্থাপন করে এ বক্তব্যটিকে মিথ্যা প্রমাণ করা।
এবার আসি অন্য একটি বক্তব্য প্রসঙ্গে। তিনি বলেছেন, যুদ্ধকালীন পুরোটা সময় তিনি পীর সাহেবের বাড়িতে ছিলেন। তার টাকা দিয়ে তিনি চৌদ্দরশি বা সাড়ে সাতরশি বাজারে ব্যবসা করতেন পীর সাহেবের দোকানঘরে বসে। (দৈনিক কালের কণ্ঠ)। চৌদ্দরশি বাজার ফরিদপুর জেলার মধ্যে অন্যতম বৃহৎ বাজার। স্বাধীনতার সময়ও এই বাজার বসত প্রতি শনি এবং মঙ্গলবার। কম করে হলেও ৫০ হাজার লোকের আগমন ঘটত হাটের দিনে। পীর সাহেবের দোকানটি ছিল সবচেয়ে বড় এবং বাজারের একমাত্র দ্বিতল টিনের ঘর। পীর সাহেবের মেজ ছেলে রহিচ ব্যবসা-বাণিজ্য দেখতেন। পরবর্তীতে তিনি ডাকাতের গুলিতে মারা যান। কাজেই মুক্তিযুদ্ধের সময় কাদের মোল্লা যদি ওই বাজারে ব্যবসা করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে অন্তত এক লাখ লোককে সাক্ষী হিসেবে পাওয়া যাবে।
সূত্র : http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2013/12/blog-post_10.html
এবার বলুন গোলাম মাওলা রনির মোট হাজারো মানুষের এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কে দিবেন ?
আর সবাই জানেন কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্বের পর ঢাকা ইউনিতে পড়তেন এবং শেখ মুজিবের সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কাজ করতেন। তারপর উদয়ন স্কুল ও পরে রাইফেলস স্কুলে চাকুরী করেন ?
তাহলে একজন কসাই কিভাবে এই সব করতে পারেন ?
কাদের মোল্লার সংক্ষিপ্ত জীবনী দেখুন এখানে
এবার রায় দেখলে বুঝা যাবে কিভাবে আদালত হাসিনার নির্দেশে রায় দিয়েছে কাদের মোল্লার বিরুদ্বে।
৪ জন বিচারপতি সম্পুর্ন অন্ধভাবে ফাসির রায়ে একমত হয়েছেন। কিন্তু ভিন্নমত পোষনকারী বিচারপতি ওহাব মিয়া কি বলেছে তার রায়ে দেখুন...
ট্রাইব্যুনালের রায়ে আবদুল কাদের মোল্লাকে ১ নম্বর অভিযোগ যথা মিরপুরে পল্লব হত্যার দায়ে ১৫ বছর জেল দেয়া হয়েছে। আপিল বিভাগ এ রায় বহাল রেখেছেন। অপরদিকে বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা তার রায়ে এ অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন কাদের মোল্লাকে। তিনি বলেছেন রাষ্ট্রপক্ষ এ অভিযোগ প্রমানে ব্যর্থ হয়েছে এবং ট্রাইব্যুনাল অন্যায়ভাবে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ২ নং অভিযোগ তথা কবি মেহেরুন্নেসা হত্যার অভিযোগে ১৫ বছর দণ্ড দেয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। আপিল বিভাগের রায়ে ট্রাইব্যুনালের এ দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা এ অভিযোগেও আপিল বেঞ্চের অপর চার বিচারপতির সাথে ভিন্নমত পোষণ করে আবদুল কাদের মোল্লাকে খালাস দিয়েছেন। তিনি রায়ে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমান করতে পারেনি।
আবদুল কাদের মোল্লাকে ৩ নং অভিযোগ যথা সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব হত্যার অভিযোগে ১৫ বছর সাজা দেয়া হয়েছে। আপিল বিভাগের রায়ে এ দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা এ অভিযোগেও আপিল বিভাগের চার বিচারপতির সাথে ভিন্নমত পোষণ করে আসামীকে খালাস দিয়েছেন অভিযোগ থেকে।
৪ নং অভিযোগ যথা কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর হত্যাকান্ডের অভিযোগ থেকে আবদুল কাদের মোল্লাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। আপিল বিভাগ এ অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আবদুল কাদের মোল্লাকে। কিন্তু বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ট্রাইব্যুনালের দেয়া খালাস রায় বহাল রেখেছেন।
৫ নং অভিযোগ যথা মিরপুর আলুবদি হত্যাকান্ডের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের রায়ে কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে। আপিল বিভাগ এ রায় বহাল রেখেছেন। কিন্তু বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা এ অভিযোগ থেকেও মোল্লাকে খালাস দিয়ে লিখেছেন, আব্দুল কাদের মোল্লা সেখানে উপস্থিত ছিল এবং এ গনহত্যায় কোন সহযোগিতা করেছে এ মর্মে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমান করতে পারেনি। ট্রাইব্যুনাল ভুল করেছে এ সাজা দিয়ে।
সূত্র : http://www.bdtomorrow.com/newsdetail/detail/31/57589
এই হচ্ছে বিচারের নমুনা। এবার দেখুন এই সব বিচারকদের দম্ভোক্তি। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াতের নায়েবে আমীর একেএম ইউসুফের আইনজীবীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘আমরা ভুল আদেশ দিলেও তার কোনো আপিল করার সুযোগ নেই।’
সূত্র : http://www.newsevent24.com/?p=88855
তাহলে কি এরা ইচ্ছে করেই এই সব রায় দিচ্ছে ?? আমরা কি বলবো এই সব লোক অপরাধী ? মিথ্যা অভিযোগে এদের ফাসি দিলে কি আওয়ামীলীগ চিরজীবন ক্ষমতায় থাকবে ???
No comments:
Post a Comment