প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত ৫৭ সেনা কর্মকর্তার ৩৩ জন আওয়ামী লীগ করতো বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের সময় বিরোধীদলীয় নেতা তার বাসা থেকে পালিয়ে ‘আন্ডারগ্রাউন্ডে’ চলে যান। সিএনএন-এ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে কিভাবে তার নেতারা এই বিদ্রোহে জড়িত ছিল।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রবিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘হরতালে যাতে জনগণ খামাখা কষ্ট না পায় বিরোধীদলীয় নেতাকে রেড ফোনে কল দিলাম। উনাকে হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধ করলাম, কিন্তু তিনি আমার কথা রাখলেন না। তিনি হরতাল করে ২০টি লাশ নিয়ে ২০টি পরিবারে বিপর্যয় এনেছেন, দেশের উন্নয়নে বাধা দিয়েছেন। আর কী পেয়েছেন?’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি খুনিদের বিচার বন্ধ করে তাদের পুরষ্কৃত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আলোচনার প্রস্তাব দিলে বিরোধীদলীয় নেতা তা প্রত্যাখ্যান করে হরতাল দিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে তিনি হরতাল দিয়েছেন। তিনি এই সোহরাওয়ার্দীতে দাঁড়িয়ে বলেছেন- ক্ষমতায় আসলে তাদের সবাইকে নাকিকে মুক্ত করে দেয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর সহচর চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এর আগে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সহপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। এরপর একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধী এবং পঁচাত্তরের খুনিদের ক্ষমতায় বসানো হয়।
http://www.rtnn.net//newsdetail/detail/1/1/72742#.UnY5mvnxqtg
No comments:
Post a Comment