জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী আর পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরের দ্বন্দ্ব, একগুঁয়েমি, ঘুষ-দুর্নীতি আর লুটপাটের কারণে জ্বালানি খাতে সরকারের ব্যাপক সাফল্য থাকলেও ম্লান হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এক কথায় জ্বালানি খাতের বারোটা বাজিয়েই উপদেষ্টার পদ থেকে সরে গেছেন তৌফিক-ই-ইলাহী। আর এখনও ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে সরকারের বাকি সাফল্য ধ্বংস করতে পেট্রোবাংলাতে বসে আছেন অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে সরকারের দৃশ্যমান ব্যাপক সাফল্য থাকলেও এই দুই ক্ষমতাধর ব্যক্তির কালো থাবায় অধিকাংশ অর্জনই ধ্বংস হয়ে গেছে। অদক্ষ, অযোগ্য ও অত্যন্ত জটিল আর ধূর্ত প্রকৃতির এই মানুষগুলোর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ হস্তক্ষেপে রাষ্ট্রীয় সম্পদ গ্যাস নিয়ে ঘটেছে তুঘলকি কাণ্ড কারখানা। জানা গেছে, জ্বালানি উপদেষ্টা তার একক সিদ্ধান্তে নিজের এলাকা সিলেট বাদ দিয়ে বছরের পর বছর দেশব্যাপী গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে রেখেছিলেন। এটাও ছিল তার দুরভিসন্ধি ও দুর্নীতি-লুটপাটের আরেকটি কৌশল। গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার ফলে বেসরকারি খাতে ব্যাপক হারে অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়। জ্বালানি উপদেষ্টা এখানেও সিন্ডিকেট গড়ে তোলে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার হাতবদল করেন। ওই সময় পেট্রোবাংলা থেকে বারবার আবাসিক ও শিল্পে গ্যাস সংযোগ উন্মুক্ত করে দেয়ার অনুরোধ করলেও লুটপাটের জন্য উপদেষ্টা ও তার সিন্ডিকেট তা করেনি। উল্টো শিল্প-কারখানায় গ্যাস সংযোগ দেয়ার নামে অবৈধভাবে মনগড়া একটি বিশেষ কমিটি বানিয়ে পুরো ক্ষমতা নিজেই কুক্ষিগত করে রাখেন। ওই বিশেষ কমিটিতে সরকারের বিভিন্ন সেক্টরের একাধিক বিশেষজ্ঞ থাকলেও মূলত উপদেষ্টা আর হোসেন মনসুরই ছিলেন সব কর্মকাণ্ডের গডফাদার। তাদের অর্ডার ছাড়া একটি সংযোগও হতো না। অভিযোগ রয়েছে, উপদেষ্টার একক সিদ্ধান্তে এবং কমিটির সঙ্গে কোনো রকম আলাপ-আলোচনা ছাড়াই কমপক্ষে ১০০টি শিল্পে সংযোগ দেয়া হয়েছে অবৈধভাবে। ওই অর্ডারে কমিটির বেশ ক’জন সদস্য স্বাক্ষর পর্যন্ত করেননি ক্ষোভে। এই ক্ষেত্রে খোদ প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর একাধিক উপদেষ্টার নির্দেশনাকেও তৌফিক-ই-ইলাহী বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। বিশেষ কমিটির অবৈধ সংযোগের বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর মাঝে মাঝে তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ করতেন তৌফিক-ই-ইলাহীর বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। এ কারণে প্রকাশ্যে তারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ছিলেন বছরের পর বছর। আর এই দ্বন্দ্বের কারণে শত শত শিল্প-কারখানার মালিক হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নিয়ে কারখানা বানিয়ে গ্যাস না পেয়ে এখন পথের ভিখারি হয়ে পড়েছেন। ব্যাংকের সুদ পর্যন্ত দিতে পারছেন না অনেকে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জ্বালানি খাতে এই দুই ‘ডক্টরের’ অবৈধ ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্বে বেসরকারি খাতে কমপক্ষে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে আছে। বলতে গেলে মুখ থুবড়ে পড়ে সরকারের বিরাট সাফল্যের এই জায়গাটি।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তৌফিক-ই-ইলাহী, অধ্যাপক হোসেনসহ তার সিন্ডিকেটের বিতর্কিত লোকদের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে ইতিমধ্যে ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে জ্বালানি খাতের সব সেক্টরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এটা আঁচ করতে পেরে আগেভাগে বিদায় নিয়েছেন তৌফিক-ই-ইলাহী। অধ্যাপক সাহেবও ইতিমধ্যে বাক্সপেট্রা গোছগাছ শুরু করে দিয়েছেন বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। তিতাস গ্যাসে ইতিমধ্যে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ পর্যন্ত দাবি করেছে বিভিন্ন সিবিএ সংগঠন। সিবিএ ছাড়াও কর্মকর্তা পর্যায়ের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিও এখন প্রকাশ্যে কথা বলা শুরু করে দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই এবং বাপেক্সের নির্দেশ অমান্য করে প্রায় ২শ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি খরচ করে অধ্যাপক হোসেন মনসুর সুনেত্রা গ্যাস ক্ষেত্রে ড্রিলিং করে কোনো গ্যাস পায়নি। এক্ষেত্রে পুরো টাকাই সরকারের গচ্চা গেছে। যার খেসারত দিতে হয়েছে সরকারকে। বিদেশী একাধিক বিশেষজ্ঞ এই ক্ষেত্রে গ্যাস না থাকার কথা জানালেও মূলত লুটপাট আর সরকারের টাকা গচ্চা দেয়ার জন্যই এই ক্ষেত্রে এখনও ড্রিলিং অব্যাহত রেখেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে হোসেন মনসুর পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান পদে যোগদানের পর প্রথম প্রথম তিনি মোটামুটি ভালোভাবে চালাচ্ছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মাথায় তার চেম্বার দখল করে ফেলেন তদবিরবাজরা। এদের অধিকাংশই নিজেদের ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা আর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দিনরাত তার কারওয়ান বাজরের কার্যালয় দখল করে রাখতেন। আর এদের কারণে তিনি একের পর এক অনিয়ম, দলাদলি, দুর্নীতি, অবৈধ গ্যাস কানেকশন, লুটপাটে জড়িয়ে পড়েন।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তৌফিক-ই-ইলাহী, অধ্যাপক হোসেনসহ তার সিন্ডিকেটের বিতর্কিত লোকদের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে ইতিমধ্যে ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে জ্বালানি খাতের সব সেক্টরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এটা আঁচ করতে পেরে আগেভাগে বিদায় নিয়েছেন তৌফিক-ই-ইলাহী। অধ্যাপক সাহেবও ইতিমধ্যে বাক্সপেট্রা গোছগাছ শুরু করে দিয়েছেন বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। তিতাস গ্যাসে ইতিমধ্যে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ পর্যন্ত দাবি করেছে বিভিন্ন সিবিএ সংগঠন। সিবিএ ছাড়াও কর্মকর্তা পর্যায়ের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিও এখন প্রকাশ্যে কথা বলা শুরু করে দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই এবং বাপেক্সের নির্দেশ অমান্য করে প্রায় ২শ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি খরচ করে অধ্যাপক হোসেন মনসুর সুনেত্রা গ্যাস ক্ষেত্রে ড্রিলিং করে কোনো গ্যাস পায়নি। এক্ষেত্রে পুরো টাকাই সরকারের গচ্চা গেছে। যার খেসারত দিতে হয়েছে সরকারকে। বিদেশী একাধিক বিশেষজ্ঞ এই ক্ষেত্রে গ্যাস না থাকার কথা জানালেও মূলত লুটপাট আর সরকারের টাকা গচ্চা দেয়ার জন্যই এই ক্ষেত্রে এখনও ড্রিলিং অব্যাহত রেখেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে হোসেন মনসুর পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান পদে যোগদানের পর প্রথম প্রথম তিনি মোটামুটি ভালোভাবে চালাচ্ছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মাথায় তার চেম্বার দখল করে ফেলেন তদবিরবাজরা। এদের অধিকাংশই নিজেদের ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা আর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দিনরাত তার কারওয়ান বাজরের কার্যালয় দখল করে রাখতেন। আর এদের কারণে তিনি একের পর এক অনিয়ম, দলাদলি, দুর্নীতি, অবৈধ গ্যাস কানেকশন, লুটপাটে জড়িয়ে পড়েন।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারিভাবে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকার পরও তিতাস গ্যাসের সাবেক এমডি আজিজ খানকে না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে অধ্যাপক হোসেন মনসুর নিজের ক্ষমতা অপব্যবহার করে তার গ্রামের বাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেন। জানা গেছে, গত ৫ বছরে কাগজে-কলমে ৬শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করতে পারলেও এই খাতে এই দুই ব্যক্তির কোনো অবদান নেই। পুরোটাই বাপেক্স ও বিদেশী কোম্পানিগুলোর অবদান। বরং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই দুই ব্যক্তির অবৈধ হস্তক্ষেপ না থাকলে এই উৎপাদন ১ হাজার থেকে ১২শ মিলিয়ন ঘনফুটের ঘরে পৌঁছানো সম্ভব হতো। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মূলত উৎপাদন কমিয়ে রেখে কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়াই ছিল তাদের এই অপকৌশল।
সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি উপদেষ্টা ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ভাঙ্গিয়ে দাপট দেখাতেন। তাদের এই দাপটের কারণে সরকারি দল সমর্থিত সৎ ব্যবসায়ীরা পর্যন্ত গ্যাস কানেকশন না পেয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসান গুনছেন। তারা সরকারের অনেক প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপির কথা পর্যন্ত শুনতেন না।
জানা গেছে, জ্বালানি উপদেষ্টা হিসেবে তৌফিক-ই-ইলাহী যোগদানের পর পরই তিনি দেশব্যাপী গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেন। পরে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হলেও দীর্ঘদিন গ্যাসের আবাসিক সংযোগ বন্ধ ছিল। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পর্যাপ্ত গ্যাস থাকার পরও সরকার দীর্ঘদিন আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার খেসারত দিতে হবে আগামী নির্বাচনে। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে উপদেষ্টা বাসাবাড়ি ও শিল্প কারখানায় বাধ্যতামূলক সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশনা দেন। এরপর তারই পছন্দের কতিপয় কোম্পানির কাছ থেকে সোলার প্যানেল ক্রয় করতে বাধ্য করা হয় বাড়ির মালিকদের। অন্যথা বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হতো না। জানা গেছে, এই খাতে জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী ও তার সিন্ডিকেট শত শত কোটি টাকা আন্ডারহ্যান্ড ডিলিং করেছে। তার আত্মীয়-স্বজনরা এই সোলার প্যানেলের সঙ্গে জড়িত ছিল। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় বিনামূল্যে নিুমানের জ্বালানি সাশ্রয়ী বাল্ব বিতরণের নামেও জ্বালানি উপদেষ্টা ও তার সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকা আন্ডারহ্যান্ড ডিলিং করেছে। এসব বাতি এতটাই নিুমানের ছিল যে, এক মাসেরও বেশি টেকেনি। জ্বালানি উপদেষ্টার বিরুদ্ধে অভিযাগ, তিনি বছরের অধিকাংশ সময় দেশের বাইরে থাকতেন। অভিযোগ আছে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ পাওয়া কোম্পানিগুলোর সঙ্গে গোপন যোগাযোগের জন্যই তৌফিক-ই-ইলাহী প্রতি মাসে একবার কখনও আরও বেশি সময় দেশের বাইরে যেতেন। সেখানে সংশ্লিষ্ট ওই সব কোম্পানির মালিকদের সঙ্গে আন্ডারহ্যান্ড ডিলিং হতো। জানা গেছে, জ্বালানি উপদেষ্টার একক সিদ্ধান্তের কারণে বছরে ৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হচ্ছে শুধু রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালাতে গিয়ে। অভিযোগ আছে, দেশের যেসব এলাকায় গ্যাসের ঘাটতি আছে জ্বালানি উপদেষ্টার একক সিদ্ধান্তে সেখানে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ কারণে ওইসব এলাকায় এখন তীব্র গ্যাস সংযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, ওইসব বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর জন্য উপদেষ্টার একক সিদ্ধান্তে সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলোকে বন্ধ রাখা হতো। এতে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা গচ্চা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি উপদেষ্টা ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ভাঙ্গিয়ে দাপট দেখাতেন। তাদের এই দাপটের কারণে সরকারি দল সমর্থিত সৎ ব্যবসায়ীরা পর্যন্ত গ্যাস কানেকশন না পেয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসান গুনছেন। তারা সরকারের অনেক প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপির কথা পর্যন্ত শুনতেন না।
জানা গেছে, জ্বালানি উপদেষ্টা হিসেবে তৌফিক-ই-ইলাহী যোগদানের পর পরই তিনি দেশব্যাপী গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেন। পরে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হলেও দীর্ঘদিন গ্যাসের আবাসিক সংযোগ বন্ধ ছিল। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পর্যাপ্ত গ্যাস থাকার পরও সরকার দীর্ঘদিন আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার খেসারত দিতে হবে আগামী নির্বাচনে। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে উপদেষ্টা বাসাবাড়ি ও শিল্প কারখানায় বাধ্যতামূলক সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশনা দেন। এরপর তারই পছন্দের কতিপয় কোম্পানির কাছ থেকে সোলার প্যানেল ক্রয় করতে বাধ্য করা হয় বাড়ির মালিকদের। অন্যথা বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হতো না। জানা গেছে, এই খাতে জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী ও তার সিন্ডিকেট শত শত কোটি টাকা আন্ডারহ্যান্ড ডিলিং করেছে। তার আত্মীয়-স্বজনরা এই সোলার প্যানেলের সঙ্গে জড়িত ছিল। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় বিনামূল্যে নিুমানের জ্বালানি সাশ্রয়ী বাল্ব বিতরণের নামেও জ্বালানি উপদেষ্টা ও তার সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকা আন্ডারহ্যান্ড ডিলিং করেছে। এসব বাতি এতটাই নিুমানের ছিল যে, এক মাসেরও বেশি টেকেনি। জ্বালানি উপদেষ্টার বিরুদ্ধে অভিযাগ, তিনি বছরের অধিকাংশ সময় দেশের বাইরে থাকতেন। অভিযোগ আছে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ পাওয়া কোম্পানিগুলোর সঙ্গে গোপন যোগাযোগের জন্যই তৌফিক-ই-ইলাহী প্রতি মাসে একবার কখনও আরও বেশি সময় দেশের বাইরে যেতেন। সেখানে সংশ্লিষ্ট ওই সব কোম্পানির মালিকদের সঙ্গে আন্ডারহ্যান্ড ডিলিং হতো। জানা গেছে, জ্বালানি উপদেষ্টার একক সিদ্ধান্তের কারণে বছরে ৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হচ্ছে শুধু রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালাতে গিয়ে। অভিযোগ আছে, দেশের যেসব এলাকায় গ্যাসের ঘাটতি আছে জ্বালানি উপদেষ্টার একক সিদ্ধান্তে সেখানে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ কারণে ওইসব এলাকায় এখন তীব্র গ্যাস সংযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, ওইসব বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর জন্য উপদেষ্টার একক সিদ্ধান্তে সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলোকে বন্ধ রাখা হতো। এতে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা গচ্চা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিদেশী কোম্পানি এগ্রিকোর সঙ্গে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে শুধু জ্বলানি উপদেষ্টার একক সিদ্ধান্তে। এই ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধাও নিয়েছিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা ও তার সিন্ডিকেট। এ কারণে এগ্রিকো প্রথমে তেলতিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়েও পরে সেটিকে গ্যাসে রুপান্তর করে। আর এগ্রিকোকে চালাতে গিয়ে একাধিক সরকারি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে রাখতে হয়েছিল। এতে হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারকে গচ্চা দিতে হয়েছে।
জানা গেছে, জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক হোসেন মনসুরের বিশেষ কমিটি এই পর্যন্ত ২৪৮টি শিল্প সংযোগ দিয়েছে। এরমধ্যে প্রথম দফায় দিয়েছে ২৯টি সংযোগ। দ্বিতীয় দফায় ৯২টি, তৃতীয় দফায় ১৫টি, চতৃর্থ দফায় ২৬টি এবং সর্বশেষ ৮৬টি সংযোগ দেয়। জানা গেছে, কোনো ধরনের এজেন্ডা বা অগ্রিম চিঠি না দিয়ে হঠাৎ জ্বালানি উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের তার বাসায় ডেকে নিয়ে পছন্দের কোম্পানিগুলোর নামের আগে টিক চিহ্ন দিয়ে পেট্রোবাংলায় পাঠিয়ে দিতেন। আর গোপনে সেটি বাস্তবায়ন করতেন অধ্যাপক হোসেন মনসুর। বিশেষ কমিটির অনেক সদস্য অভিযোগ করেছেন, এ ধরনের কমিটির বৈঠক অবৈধ ও আইন সিদ্ধভাবে হয়নি।
অভিযোগ জ্বালানি উপদেষ্টা ও অধ্যাপক হোসেন মনসুরের একরোখা নীতির কারণে এখনও বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ালে সার কারখানা বন্ধ রাখতে হয়। আর সার কারখানা চালু করলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়। সিএনজি স্টেশনে রেশনিং চলে সারা বছর। শিল্প-গ্রাহকরা সঠিক চাপে ও প্রয়োজনীয় পরিমাণে গ্যাস পান না। আবাসিক গ্রাহকের জন্য সহনীয় দামে এলপি গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত হয়নি। আবাসিক খাতে গ্যাস সরবরাহে সমস্যা লেগেই আছে। বর্তমান সরকার জ্বালানি বহুমুখীকরণের একটি যুগোপযোগী নীতি নিয়েছে। সে অনুযায়ী বাণিজ্যিক জ্বালানির জন্য শুধু গ্যাস ও তেলের ওপর নির্ভরশীলতার ঝুঁকির মধ্যে না থেকে সব ধরনের বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর কথা ছিল। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস হচ্ছে কয়লা। কিন্তু কয়লা খাতের উন্নয়নে সামান্যতম পদক্ষেপ নিতেও উপদেষ্টা ব্যর্থ হয়েছেন। এ ব্যর্থতা দেশের কয়লা ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেমন আমদানি করে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও তেমনি। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রণীত কয়লানীতিটি পর্যন্ত চূড়ান্ত করতে পারেনি, যাকে ব্যর্থতা বললেও কম বলা হয়। আর এটিও হয়েছে শুধু জ্বালানি উপদেষ্টার কারণে।
সরকারের নানা চেষ্টা থাকলেও তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সরকারি উদ্যোগ সফল হয়নি শুধু উপদেষ্টার কারণে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলে বাড়িভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ (সোলার হোম সিস্টেম) ব্যবহার বিপুলসংখ্যায় সম্প্রসারিত হলেও এই ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা খুবই কম। নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্য কোনো ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এসব কারণে ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। জ্বালানি স্বল্পতার কারণে প্রতি বছর যে পরিমাণ উৎপাদন ব্যাহত হয়, তার অর্থনৈতিক মূল্য সরকারি হিসাবেই মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ শতাংশের বেশি।
জানা গেছে, জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক হোসেন মনসুরের বিশেষ কমিটি এই পর্যন্ত ২৪৮টি শিল্প সংযোগ দিয়েছে। এরমধ্যে প্রথম দফায় দিয়েছে ২৯টি সংযোগ। দ্বিতীয় দফায় ৯২টি, তৃতীয় দফায় ১৫টি, চতৃর্থ দফায় ২৬টি এবং সর্বশেষ ৮৬টি সংযোগ দেয়। জানা গেছে, কোনো ধরনের এজেন্ডা বা অগ্রিম চিঠি না দিয়ে হঠাৎ জ্বালানি উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের তার বাসায় ডেকে নিয়ে পছন্দের কোম্পানিগুলোর নামের আগে টিক চিহ্ন দিয়ে পেট্রোবাংলায় পাঠিয়ে দিতেন। আর গোপনে সেটি বাস্তবায়ন করতেন অধ্যাপক হোসেন মনসুর। বিশেষ কমিটির অনেক সদস্য অভিযোগ করেছেন, এ ধরনের কমিটির বৈঠক অবৈধ ও আইন সিদ্ধভাবে হয়নি।
অভিযোগ জ্বালানি উপদেষ্টা ও অধ্যাপক হোসেন মনসুরের একরোখা নীতির কারণে এখনও বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ালে সার কারখানা বন্ধ রাখতে হয়। আর সার কারখানা চালু করলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়। সিএনজি স্টেশনে রেশনিং চলে সারা বছর। শিল্প-গ্রাহকরা সঠিক চাপে ও প্রয়োজনীয় পরিমাণে গ্যাস পান না। আবাসিক গ্রাহকের জন্য সহনীয় দামে এলপি গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত হয়নি। আবাসিক খাতে গ্যাস সরবরাহে সমস্যা লেগেই আছে। বর্তমান সরকার জ্বালানি বহুমুখীকরণের একটি যুগোপযোগী নীতি নিয়েছে। সে অনুযায়ী বাণিজ্যিক জ্বালানির জন্য শুধু গ্যাস ও তেলের ওপর নির্ভরশীলতার ঝুঁকির মধ্যে না থেকে সব ধরনের বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর কথা ছিল। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস হচ্ছে কয়লা। কিন্তু কয়লা খাতের উন্নয়নে সামান্যতম পদক্ষেপ নিতেও উপদেষ্টা ব্যর্থ হয়েছেন। এ ব্যর্থতা দেশের কয়লা ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেমন আমদানি করে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও তেমনি। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রণীত কয়লানীতিটি পর্যন্ত চূড়ান্ত করতে পারেনি, যাকে ব্যর্থতা বললেও কম বলা হয়। আর এটিও হয়েছে শুধু জ্বালানি উপদেষ্টার কারণে।
সরকারের নানা চেষ্টা থাকলেও তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সরকারি উদ্যোগ সফল হয়নি শুধু উপদেষ্টার কারণে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলে বাড়িভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ (সোলার হোম সিস্টেম) ব্যবহার বিপুলসংখ্যায় সম্প্রসারিত হলেও এই ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা খুবই কম। নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্য কোনো ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এসব কারণে ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। জ্বালানি স্বল্পতার কারণে প্রতি বছর যে পরিমাণ উৎপাদন ব্যাহত হয়, তার অর্থনৈতিক মূল্য সরকারি হিসাবেই মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ শতাংশের বেশি।
এ অবস্থার মধ্যেও চলছে জ্বালানির ব্যাপক অপচয় ও চুরি। বিদ্যুৎ ও সার কারখানায় অপচয়ের পরিমাণ ভয়াবহ। শিল্পে অপচয়ের পাশাপাশি চুরিও চলছে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক জরিপের তথ্য অনুযায়ী তাদের বিতরণ এলাকায় শুধু শিল্পে প্রতিদিন ২৫ কোটি ঘনফুট গ্যাসের অপচয় হচ্ছে, যা সারা দেশের আবাসিক গ্রাহকদের প্রতিদিনের ব্যবহারের প্রায় সমান। এ ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সার কারখানা, দেশের অন্যান্য শিল্প ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে অপচয় হিসাব করলে প্রতিদিন দেশে গ্যাস অপচয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় অন্তত ৪০ কোটি ঘনফুট। অভিযোগ, এর পুরোটাই লুটপাট হয়। গ্যাস সেক্টরে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছরই এই চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সামঞ্জস্য আসার কথা ছিল। কিন্তু আসেনি। তবে চলতি বছরের মধ্যে প্রবৃদ্ধিসহ বাড়তি চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুর বলেন।
রাষ্ট্রীয় অনুসন্ধান কোম্পানি (বাপেক্স) এবং উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তির (পিএসসি) অধীনে শেভরন, টাল্লো ও স্যান্টোস নিজ নিজ ক্ষেত্রগুলো থেকে উৎপাদন বাড়ানোর কার্যক্রম চালাচ্ছে। একই সঙ্গে গ্যাস সঞ্চালনের বিদ্যমান সীমাবদ্ধতা দূর করার কার্যক্রমও চালানো হচ্ছে। জানা গেছে, দেশে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত পাঁচটি ক্ষেত্রে মোট মজুদ প্রায় ৩০০ কোটি (তিন বিলিয়ন) মেট্রিক টন উন্নতমানের বিটুমিনাস কয়লা। এই কয়লার জ্বালানিমান প্রায় ৭০ টিসিএফ গ্যাসের সমান। এই কয়লা দিয়ে ৫০ বছর ধরে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। কিন্তু এই সম্পদ উত্তোলন করে উন্নয়নের কাজে লাগানোর লাগসই পরিকল্পনা করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা তুলে ২৫০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানো হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান পদ্ধতিতে খনিটি থেকে মোট মজুতের ১৫ শতাংশ কয়লা তোলাও সম্ভব হবে না। অবশিষ্ট কয়লা তোলার আর কোনো উপায়ও থাকবে না। অর্থাৎ বিপুল পরিমাণ জাতীয় সম্পদ বিনষ্ট হবে। এটিও হবে জ্বালানি উপদেষ্টার একগুয়েমীর কারণে।
সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনায় দেশের খনি থেকে তুলে ও আমদানি করা কয়লা দিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দেশের কয়লা তোলার কোনো পদক্ষেপ সরকার নিতে পারেনি। আমদানিরও কোনো চুক্তিপত্র এখন পর্যন্ত হয়নি। আর এর পুরোটাই জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহীর কারণে হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করেছেন।
বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অধ্যাপক ইজাজ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ‘জ্বালানি খাতের দৈন্যদশা শিগগিরই কাটার কোনো কারণ দেখছি না। কেননা, এই খাতে বিদেশী বিনিয়োগ কম। দেশের জ্বালানি সম্পদ ব্যবহারেরও যথাযথ পদক্ষেপ নেই। এমনকি গত পাঁচ বছরেও যে কাজ এই খাতে হয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় মোটেই যথেষ্ট নয়।’ প্রতি বছর অন্তত তিনটি করে গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment