হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও ভোট কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে! ওই কেন্দ্রের ২ হাজার ৬শ ভোটারের মধ্যে সবাই ভোট দিয়েছেন বলা হয়েছে। তবে শতভাগ ভোট কাষ্ট হওয়ার বিষয় প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিং অফিসারদের কেউ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।
প্রত্যক্ষদর্শী সুমন নামের এক যুবক জানান, নোয়াগাও ভোট কেন্দ্রের আশপাশে ভোটারের তেমন উপস্থিতি ছিল না। ভোটারদের লাইন দিয়ে দাঁড়ি থাকতেও দেখা যায়নি।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, ওই কেন্দ্রের অনেক ভোটার ইতিমধ্যে মারা গেছেন এবং কেউ বা দীর্ঘদিন যাবত বিদেশে। এর বাইরে রয়েছেন ১৮ দলীয় সমর্থক ভোটার। তারপরও শতভাগ ভোট পড়েছে বলে জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রের ২৬শ ভোট কাষ্টিং হওয়া নজির বিহীন উল্লেখ করেছেন এলাকাবাসী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কাষ্টিং ভোটের সংখ্যা কমবেশি দেখিয়ে একটি সমঝোতা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান। শহরের স্টাফ কোয়ার্টার ভোট কেন্দ্রে পোলিং অফিসার বিথী রানী সেন চৌধুরীকে নিজ টেবিলে অনেকটা প্রকাশ্যেই ব্যালট পেপারের নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে দেখা গেছে।
এর কারণ জানতে চাইলে বিথী রানী জানান, প্রিজাইডং অফিসার টি এস এম সেলিম সিদ্ধিকী ও কতিপয় ছাত্রলীগ নেতার চাপের মুখে তিনি ব্যালট পেপারে ভোট দিতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রিজাইডিং অফিসার সেলিম সিদ্ধিকী সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলতে রাজী হননি।
ফ্রি স্টাইলে ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারার দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করতে গেলে অপরিচিত কিছু যুবক নিজেদেরকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী দাবি করে সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
No comments:
Post a Comment