Thursday 31 July 2014

শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা সমগ্র



১) শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার সংক্ষিপ্ত জীবনী ও পরিচিতি

http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2014/07/blog-post_83.html


২) বিচার প্রক্রিয়া : শহীদ হওয়ার দিন পর্যন্ত : বাংলাদেশ ওয়ারক্রাইম ব্লগ।  ডেভিড বার্গমেন http://bangladeshwarcrimes.blogspot.co.uk/search/label/Molla 
৩) শহীদ হওয়ার আগে কর্মীদের প্রতি আব্দুল কাদের মোল্লার নসিহত : আমার অনুরোধ, আমার শাহাদাতের পর ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা যেন ধৈর্য্য ও সহনশীলতার পরিচয় দেয় - আব্দুল কাদের মোল্লা
http://jamaat-e-islami.org/details.php?artid=MTU1MzE=

৪) কাদের মোল্লা, কসাই কাদের ও কিছু প্রশ্ন
http://nuraldeen.com/2013/12/24/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%93/ 
৫) কাদের মোল্লাকে নিয়ে জামায়াতের সাইটের আরো থ্রেড :
http://jamaat-e-islami.org/categorypage.php?catid=45 

৬) কাদের মোল্লার জানাজা : 
ছবি কি বলে শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা কি আসলেই কসাই কাদের? 
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4901/Banglardamalsontan/33596#.U9rp5vldWSo  
সারাদেশে কার গায়েবানা জানাজা দেখলাম ? একজন অপরাধী হলে তো এমন হবার কথা নয় ?
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/2601/muhon/33569#.U9rxc_ldWSo

৭) শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার জানাজার নামাজ ও দাফনের চিত্র 
https://www.youtube.com/watch?v=eOccVIgH-ro 

শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার সংক্ষিপ্ত জীবনী ও পরিচিতি

আব্দুল কাদের মোল্লা
সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

সামাজিক নেতা হিসাবে আব্দুল কাদের মোল্লা একটি পরিচিত নাম। তার জন্ম ১৯৪৮ সালে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন। ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার জরিপারডঙ্গী গ্রামে তিনি জন্ম গ্রহণ করেছেন। ধার্মিক একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার বেড়ে ওঠা। বড় হন তার পরিবার একটি । তার গ্রামের জরিপারডঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েই তার শিক্ষা জীবনের শুরু। বরাবরই তিনি ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। তিনি যথাক্রমে ১৯৫৯ ও ১৯৬১ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বৃত্তি লাভ করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে আমিরাবাদ ফজলুল হক ইন্সিটিউট থেকে প্রথম শ্রেণীতে মাধ্যমিক পরিক্ষায় কৃতকার্য হন।

এরপর তিনি একই জেলার রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন। কৃতিত্বের সাথে ১৯৬৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষায় উত্তীর্ন হন তিনি। ১৯৬৮ সালে তিনি একই কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেন। কিন্তু প্রবল আর্থিক সংকটের কারনে এরপর তাকে শিক্ষকতা পেশায় আত্মনিয়োগ করতে হয়। পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া হয়নি তখন আর। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। মুক্তিযুদ্ধের কারনে ১৯৭১ সালে তার মাস্টার্স পরীক্ষা দেয়া হয়ে ওঠেনাই। ১৯৭৫ সালে তিনি সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষা প্রশাসনের ডিপ্লোমায় অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরে ১৯৭৭ সালে তিনি শিক্ষা প্রশাসন থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। এখানেও তিনি প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হন। জনাব মোল্লা তার ছাত্র জীবন থেকেই শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঢাকার বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন।

তার এম,এড পরীক্ষার রেজাল্টের পরে তিনি বাংলাদেশ রাইফেলস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। পরে তিনি একই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে তিনি ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে সংস্কৃতি কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে রিসার্স স্কলার হিসাবে বাংলাদেশ ইসলামী সেন্টারে যোগ দেন। ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি হিসাবে ছিলেন। ১৯৮১ সালে জনাব মোল্লা বিখ্যাত দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে যুক্ত হন। তখন থেকেই তিনি সাংবাদিকতার সাথে জড়িত রয়েছেন।

জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার রয়েছে সংগ্রামী রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যায়নকালেই তিনি কম্যূনিজমের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং কম্যূনিষ্ট পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্রইউনিয়নে যোগ দেন। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি এ সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকেন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরে তিনি বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ মাওলানা মওদূদী লিখিত তাফহীমুল কুরআনের সাথে পরিচিত হন। আগ্রহের সাথে তিনি এ গ্রন্থ পড়তে থাকেন।

তাফহীমুল কুরআনের হৃদয়স্পর্শী ছোঁয়ায় তিনি ইসলামের প্রতি প্রবল আকর্ষীত হন এবং ১৯৬৬ সালে তৎকালীন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী ছাত্রসংঘের পূর্বপাকিস্তান শাখায় যোগদান করেন। ১৯৭০ সালে তিনি এ সংগঠনের সদস্য হন। পরবর্তীতে তিনি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামী ছাত্রসংঘের শহিদুল্লাহ হল শাখার সভাপতি ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি ছাত্রসংঘের ঢাকা বিশব্বিদ্যালয় শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। অতঃপর তার উপর ঢাকা নগরী ছাত্রসংঘের সেক্রেটারীর দায়িত্ব অর্পিত হয়। একই সাথে তিনি কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ছিলেন।

তার বর্নীল ছাত্রজীবন শেষে ১৯৭৭ সালের মে মাসে তিনি বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে যোগ দেন এবং ১৯৭৮ সালের নভেম্বর মাসে রুকন শপথ নেন। অতঃপর তাকে প্রবীণ বর্ষীয়ান নেতা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের ব্যাক্তিগত সেক্রেটারি হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি জামায়াত ঢাকা মহানগরীর শূরা সদস্য ও কর্মপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। অল্পদিনের ব্যাবধানে তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশ-এ-শূরার সদস্য হন। ১৯৯২ সালে তাকে ঢাকা মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারির দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা মহানগরীর নায়েব-এ-আমীরের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৫ সালে জনাব মোল্লা জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর আমীর নির্বাচিত হন এবং কেন্দ্রিয় কর্মপরিষদের সদস্য হন। ১৯৯১ সালে তাকে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় এবং উক্ত দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করতে থাকেন। ২০০০ সালে তাকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব দেয়া হয়। উক্ত দায়িত্বের পাশাপাশি আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী আন্দোলনে তিনি চার দলীয় জোটের লিয়াজো কমিটির গুরুত্বপূর্ন সদস্য হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন।

জনাব মোল্লাকে বিভিন্ন মেয়াদে চার চারবার জেলে যেতে হয়। আইয়ুব সরকারের নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের দায়ে ১৯৬৪ সালে প্রথমবারের মত তিনি গ্রেপ্তার হন। জেলে যেতে হয়। বিনা উস্কানীতে ১৯৭২ সালে তিনি আবার গ্রেপ্তার হন। কিন্তু স্থানীয় জনতার বিক্ষোভের মুখে পুলিশ তাকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশন কাস্টোডী থেকেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। জেনারেল এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কারনে আব্দুল কাদের মোল্লাকে আবারও আটক করে রাখা হয়। পরে উচ্চ আদালত তার এ আটকাদেশকে আবৈধ ঘোষণা করলে চার মাশ পরে তিনি মুক্ত হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন করায় তৎকালীন বিএনপি সরকার ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তাকে আটক করে।

জনাব মোল্লা একজন উত্তম সমাজসেবক। ১৯৮২ ও ১৯৮৩ সালে তিনি পরপর দুই বছর ঢাকা ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট (ডি ইউ জে) এর সহসভাপতি নির্বাচিত হন।

তিনি সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক সংস্থার সাথে যুক্ত । এদের মধ্যে বাদশাহ ফয়সাল ইন্সটিটিউট, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সোসাইটি ও এর স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, সদরপুর মাদরাসা ও এতিমখানা, ফরিদপুর জেলার হাজিডাঙ্গি খাদেমুল ইসলাম মাদরাসা ও এতিমখানা, সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদূদী একাডেমী অন্যতম। তিনি এসব মাদরাসা ও এতিমখানার উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করে আসছেন। এছাড়াও তিনি পরপর তিন মেয়াদের জন্য বাদশাহ ফয়সাল ইন্সটিটিউট ও এর ট্রাস্টের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ছিলেন। জনাব মোল্লা দেশ বিদেশের সমসাময়িক বিষয়ের উপর কলাম ও প্রবন্ধ লিখে আসছেন। ইসলামের বিভিন্ন দিকের উপরো তার লেখা পাওয়া যায়। তার সুচিন্তিত কলাম ও প্রবন্ধ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও বস্তুবাদ, কম্যূনিজমের উপরে তার বৈজ্ঞানিক সমালোচনা শিক্ষিত মহলের কাছে সমাদৃত হয়েছে।

জনাব মোল্লা ইতোমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করেছেন। এরই মধ্যে তিনি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান, সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান ও ভারতে সফর করেছেন।

জনাব মোল্লা বেগম সানোয়ার জাহানের সাথে ১৯৭৭ সালের ৮ অক্টোবর তারিখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দুই পুত্র ও চার কন্যার সুখি সংসার তাদের। সব সন্তানই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছেন। সবাই ইসলামী আন্দোলনের সাথে জড়িত। বেগম সানোয়ার জাহান জামায়াতের রুকন ।

জনাব মোল্লা নিয়মিত কুরআন পড়তে ও কুরআন তেলাওয়াত শুনতে পছন্দ করেন। তিনি সাংগঠনিক ব্যাস্তময় সময় থেকে তিনি বিভিন্ন বিখ্যাত লেখক, কবি- যেমন আল্লামা ইকবাল, সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদূদী, সাইয়্যেদ কুতুব, মোহাম্মাদ কুতুব, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, ফররুখ আহমেদ সহ বিখ্যাত লেখকদের লেখা পড়ার জন্য নিয়মিত সময় বেড় করেন।

এই জাতীয় দেশ বরেন্য সংগঠক ও শিক্ষাবিদ আজ আওয়ামী দুশাসনের স্বীকার হয়ে মিথ্যা অপবাদে জেল খানার মধ্যে আটক রয়েছেন। দেশবাসী তার সম্মানজনক মুক্তির জন্য অপেক্ষায় আছেন।

আজ ট্রাইব্যুনাল-২ এ তার বিরুদ্ধের বিচারের রায় ঘোষনা চলছে। মহান আল্লাহ-র কাছে অগণিত মানুষ আজ তার জন্য দোয়া করছেন। আল্লাহ যেন তাকে খুব সম্মানজনকভাবে মুক্তি দিয়ে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেন। আমীন।
সামাজিক নেতা হিসাবে আব্দুল কাদের মোল্লা একটি পরিচিত নাম। তার জন্ম ১৯৪৮ সালে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন। ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার জরিপারডঙ্গী গ্রামে তিনি জন্ম গ্রহণ করেছেন। ধার্মিক একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার বেড়ে ওঠা। বড় হন তার পরিবার একটি । তার গ্রামের জরিপারডঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েই তার শিক্ষা জীবনের শুরু। বরাবরই তিনি ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। তিনি যথাক্রমে ১৯৫৯ ও ১৯৬১ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বৃত্তি লাভ করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে আমিরাবাদ ফজলুল হক ইন্সিটিউট থেকে প্রথম শ্রেণীতে মাধ্যমিক পরিক্ষায় কৃতকার্য হন।

এরপর তিনি একই জেলার রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন। কৃতিত্বের সাথে ১৯৬৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষায় উত্তীর্ন হন তিনি। ১৯৬৮ সালে তিনি একই কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেন। কিন্তু প্রবল আর্থিক সংকটের কারনে এরপর তাকে শিক্ষকতা পেশায় আত্মনিয়োগ করতে হয়। পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া হয়নি তখন আর। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। মুক্তিযুদ্ধের কারনে ১৯৭১ সালে তার মাস্টার্স পরীক্ষা দেয়া হয়ে ওঠেনাই। ১৯৭৫ সালে তিনি সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষা প্রশাসনের ডিপ্লোমায় অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরে ১৯৭৭ সালে তিনি শিক্ষা প্রশাসন থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। এখানেও তিনি প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হন। জনাব মোল্লা তার ছাত্র জীবন থেকেই শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঢাকার বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন।

Wednesday 23 July 2014

40 maps that explain the Middle East


by Max Fisher on May 5, 2014


Maps can be a powerful tool for understanding the world, particularly the Middle East, a place in many ways shaped by changing political borders and demographics. Here are 40 maps crucial for understanding the Middle East — its history, its present, and some of the most important stories in the region today.

    Middle East History

  1. The fertile crescent, the cradle of civilization

Friday 18 July 2014

"ঈহুদিরা শক্তিশালী এবং মুসলমানেরা শক্তিহীন কেন?"

পৃথিবীতে ইহুদির সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লক্ষ। এই জনসংখ্যায় প্রতি ১ জন ইহুদীর জন্য মুসলমানের সংখ্যা ১০০ জনের ও বেশী। অথচ ইহুদীরা মুসলমানদের তুলনায় শক্তিশালী, কেন?
আলবার্ট আইনস্টাইন ছিলেন ইহুদী। টাইম ম্যাগাজিনের নির্বাচনে নির্বাচিত শতাব্দীর সেরা মানব “ সিগমন্ড ফ্রয়েড” ছিলেন ইহুদী সিগমন্ড ফ্রয়েড কে বলা হয়ে থাকে “ সাইকোএনালিসিসের জনক” কার্ল মার্কস, পল স্যামুয়েলসন , মিল্টন ফ্রয়েডম্যান এরা সবাই ছিলেন ইহুদী।
অনান্য উল্লেখযোগ্য ইহুদী যারা সমগ্র মানব কল্যানে নিবেদিত ছিলেন এবং তাদের অবদান হল-
বেঞ্জামিন রুবিন(Benjamin Rubin ) প্রতিরোধক ভ্যাক্সিনের সুচ আবিস্কার, জোনাস সক ( Jonas Salk ) পোলিও ভ্যাক্সিনের উদ্ভাবক। এলার্ট সেবিন- Alert Sabin মুখে খাওয়ার পোলিও প্রতিরোধক ভ্যাক্সিনের উদ্ভাবক। গারট্রুড এলিওন Gertrude Elion রক্ত ক্যান্সারের ঔষধ আবিস্কার, বারুখ ব্লুমবার্গ (Baruch Blumberg )- হেপাটাইটিস বি’র প্রতিষেধক আবিস্কার, পল আরলিখ-( Paul Ehrlich) সিফিলিসে ঔষধ আবিস্কার, এলি মেচনিকফ(Elie Metchnikoff ) সংক্রামক রোগের উপর নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। বার্নার্ড কাজ (Bernard Katz) স্নায়ু এবং মাংশপেশীর উপর নোবেলজয়ী, এনড্রু শ্যালী (Andrew Schally) এন্ডোক্রাইনোলজী’র উপর নোবেলজয়ী, আরন বেক-( Aaron Beck)- কগনিটিভ থেরাপী- মানসিক ব্যাধি চিকিৎসার উপায়। গ্রেগরী পিনকাস- Gregory Pincus জন্ম নিরোধক বড়ি
জর্জ ওয়াল্ড (George Wald) মানব চক্ষুর উপর কাজের জন্য নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী,স্ট্যানলী কোহেন. (Stanley Cohen) ভ্রুনবিদ্যায় embryology নোবেলজয়ী, উইলেম কলফ(Willem Kolff ) কিডনী ডায়ালাইসিস যন্ত্রের আবিস্কারক।
নোবেল পুরস্কারের ১০৫ বছরের ইতিহাসে নোবেলজয়ী ইহুদীর সংখ্যা-১৮০, মুসলমানের সংখ্যা- ৩।
ইহুদীরা এত শক্তিশালী কেন?
স্টানলী মেজর (Stanley Mezor ) মাইক্রোপ্রসেসিং চিপসের আবিস্কারক, (micro-processing chip.) লিও সিলার্ডLeo Szilard পারমানবিক শক্তির “ চেইন রিয়্যাক্টরের এর উদ্ভাবক the first nuclear chain reactor; পিটার শুলজ (Peter Schultz) অপটিক্যাল ফাইবার কেবল the optical fibre cable; চার্লস এডলার Charles Adler – ট্রাফিক লাইট traffic lights; বেনো স্ট্রস Benno Strauss – ইস্পাত stainless steel; ইসাডর কিস- Isador Kisee - সবাক চলচিত্র sound movies; এমিল বার্লিনার Emile Berliner – টেলিফোন মাইক্রোফোন telephone microphone and চার্লস গিনসবার্গ Charles Ginsburg – ভিডিও টেপ রেকর্ডার videotape recorder.

Wednesday 16 July 2014

জেনে নিন ফিলিস্তিনের ইতিহাস। চোখে আপনার অশ্রু গড়াবেই


প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে ফিলিস্তিন ছিল তুরস্কের ওসমানীয় খেলাফতের অধীনে শাসিত একটি সুন্দর আকর্ষণীয় ও সমৃদ্ধ প্রদেশ। ফিলিস্তিন শ্যামল উর্বর সোনার ফসলের এলাকা ছিল। এখানকার বাসিন্দারাও দৈহিক সৌন্দর্য ও কমনীয়তার প্রতীক।
আয়তন দশ হাজার চার’শ ঊনত্রিশ বর্গমাইল। মধ্যপ্রাচ্যের ‘উর্বর চন্দ্র’ (Fertile Crescent) নামে খ্যাত এলাকার একেবারে উত্তরে ফিলিস্তিন। পৃথিবীর তিনটি প্রধান ধর্মের আবির্ভাব ঘটেছে পশ্চিম এশিয়ার একেবারে পশ্চিম অঞ্চল থেকে। ফিলিস্তিন থেকে ইহুদি ও খ্রিষ্টধর্ম এবং এটারই নিকটবর্তী এলাকা অর্থাৎ মক্কা থেকে অভ্যুদয় হয়েছে ইসলামের। আসমানি তিন ধর্মই ফিলিস্তিনে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাসকে শ্রদ্ধা ও ভক্তির উৎস ও কেন্দ্র বলে মনে করে। উদারতা ও সহিষ্ণুতা যদি বিশ্ববাসীর মধ্যে থাকত তাহলে এ শহর হতে পারত তিন ধর্মানুসারীদের মিলনস্থল। কিন্তু কী নির্মম পরিহাস। স্থানটি সবসময়ই সঙ্ঘাতের কেন্দ্র হয়ে রয়েছে।
ফিলিস্তিন মুসলমানদের হস্তগত হয় হজরত ওমর ফারুকের খেলাফতকালে ১৮ হিজরিতে। তারপর ক্রুসেড যুদ্ধের সময় প্রায় ৯০ বছর তা ছিল খ্রিষ্টানদের দখলে। আবার তা মুসলমানদের দখলে আসে গাজি সালাহুদ্দীন আইয়ুবির মাধ্যমে। এরপর ১৯১৭ পর্যন্ত তা নিরবচ্ছিন্নভাবে মুসলমানদের আয়ত্তেই ছিল। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ১২৫০ বছর মুসলমানদের অধীনেই ছিল ফিলিস্তিন ভূমি। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ থেকে ইঙ্গ মার্কিন মদদে ফিলিস্তিনে ইহুদিরা শক্তি বাড়াতে থাকে এবং এক পর্যায়ে স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দাদের উৎখাত করে সেখানে একটি ইহুদি রাষ্ট্র কায়েম করে। ইহুদিদের জন্য এখানে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত অনেক দীর্ঘ ও পরিকল্পিত।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কিছু দিন আগে কর্নেল লরেন্স দৃশ্যত মুসলমান হয়ে আরবদের প্রতারিত করে। অর্থাৎ তাদের মধ্যে আরব জাতীয়তাবাদের শ্লোগান তোলে ও প্রচারণা চালায়। আরব তরুণরা তার মন্ত্রে মুগ্ধ হয়ে যায়। ফল দাঁড়ায় তুর্কি খেলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।

Thursday 3 July 2014

শাঁখারী বাজারে মন্দির দখল করলো স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

03 Jul, 2014
হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষণের সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভয় দেখিয়ে পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারে একটি সম্পত্তিসহ মন্দির দখলের অভিযোগ উঠেছে সরকার সমর্থক সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্থানীয় এক নেতার বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দলীয় প্রভাব ও ভয় দেখিয়ে ইতিমধ্যে ওই ভবনটির ভাড়াটেদের উচ্ছেদ করেছেন ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ (দক্ষিণ) এর সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস।

শাঁখারী বাজার এলাকার ১৪ নম্বর ভবনটির ২য় তলায় ‘শ্রী শ্রী কালা চাঁদ দেবের’ একটি মন্দির রয়েছে। ভবনের অন্যান্য অংশে বাস করছেন অন্তত ১০টি পরিবার।