Tuesday 31 December 2013

Even in 1971, Awami League wasn't stating it wanted independence: Srinath Raghavan

With elections approaching amidst violence, Bangladesh's future looks uncertain. Some of this is rooted in a past marked by enduring clashes.Srinath Raghavan , senior fellow at the Centre for Policy Researchand senior research fellow at King's College, London, spoke withAshish Yechury about why Bangladesh's creation was a global affair, influences shaping this — and how even Israel apparently got involved:

Your book is called 1971: A Global History of the Crea-tion of Bangladesh — why global?

Well, the creation of Bangladesh is generally seen as a subcontinental affair; in default mode, it's seen as the second partition. This seems to me a very narrow view. It doesn't take into account a wider international context in which this happened and which decisively shaped the outcome. This was a global event — participants themselves thought they had to secure global support. In a sense, the struggle on the ground was matched by a struggle for global opinion. That's central in understanding these events.

You argue Bangladesh's creation wasn't inevitable — but you list conditions in the build-up to 1971 which played a key role. How do you reconcile these?

Monday 30 December 2013

গোপালগঞ্জ বিশ্বের মানুষের তীর্থস্থান

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌ-পরিবহন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘গোপালগঞ্জ হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান। এটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষের কাছে তীর্থস্থান।’
তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জকে নিয়ে বিরোধী দলীয় নেতার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বাংলার মানুষ সহ্য করতে পারে না। বাংলার মানুষ এই আচরণকে ধিক্কার জানায়। তার এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।’  
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সাতক্ষীরায় ইউপি চেয়ারম্যানকে তুলে নিয়ে হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি
আরটিএনএন
সাতক্ষীরা: জেলার সদর উপজেলার ১১নং আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আনোয়ারুল ইসলাম আনারকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে তাকে যৌথবাহিনী আগরদাঁড়ির বাড়ি থেকে আটক করে।আটকের পরে আনারকেকে উপজেলার শিতলী এলাকায় নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।ইতোপূর্বে তার বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছিল।সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির দাবি করেন, ‘অভিযানের একপর্যায়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আনার নিহত হন।

বাংলাদেশকে ভারতের চোখে দেখুন, ওয়াশিংটনকে দিল্লি

নিউজ ডেস্ক
আরটিএনএন
ঢাকা: বাংলাদেশ ইস্যুতে দিল্লি ও ওয়াশিংটনের দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশীদ।

বাংলাদেশকে ভারতের চোখে দেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকাকে খুরশীদ বলেন, ‘আমরা তৃতীয় কোনো দেশের গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করি না।’‘কিন্তু আমি সর্বশেষ যখন ওয়াশিংটন সফর করি তখন দেখতে পাই যে (বাংলাদেশ ইস্যুতে) যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে অবশ্যই কিছু মতপার্থক্য রয়েছে, বিশেষ করে বর্তমান সরকারের অভ্যন্তরীণ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার নিয়ে’ যোগ করেন তিনি।

Sunday 29 December 2013

গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় প্রথম শহীদ চাঁদপুরের মানছুর

বি এম হান্নান, চাঁদপুর : দেশ বাঁচাতে, মানুষ বাঁচাতে ভোটাধিকার রক্ষায় গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রায়’ প্রথম শহীদ হয়েছে চাঁদপুরের মানছুর প্রধানিয়া। পুলিশের গুলিতে নিহত মানছুর প্রধানিয়া চাঁদপুর সদর উপজেলার নুরুল্লাপুরের মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ গণতন্ত্রের অভিযাত্রা সফল করতে গেলে পুলিশের গুলিতে সে নির্মমভাবে প্রাণ হারায়। তার মৃত্যুর সংবাদ চাঁদপুরে আসলে পুরো এলাকায় শোকের মাতম ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত মানছুরের পিতা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ‘৭১ সালে সশ¯্র পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে আবদুর রাজ্জাক প্রাণ হারাননি। দিয়ে গেছেন স্বাধীন দেশ। সে দেশেই তার নিরস্ত্র সন্তান নিরাপত্তা পায়নি পুলিশের কাছে। রক্ষক হয়ে ভক্ষকের দায়িত্ব পালন করলেন রাজ্জাকের স্বাধীন করা দেশের পুলিশ। প্রকাশ্য নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করল তার ছেলে মানছুরকে। মানছুরের অপরাধ ছিল সে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে শরিক হয়ে ছিল। 

প্রেসক্লাবে হামলা এবং সুপ্রিমকোর্টকে নুনু দেখিয়ে আওয়ামী জঙ্গীদের চেতনার বাস্তবায়ন

সাগর রুনি হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দেওয়ার অন্যতম কারিগর , হাসিনার উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান ও আরেক সন্ত্রাসী মায়ার নেতৃতে আওয়ামীলীগ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর হামলা করে। যা একটি স্বাধীন দেশের জন্য লজ্বাকর। 
 

আওয়ামী জঙ্গীদের হামলা ঠেকাতে চেষ্টা করে বাংলাদেশের কিছু পুলিশ। কিন্তু হাসিনার সোনার ছেলেরা তাদেরকে আক্রমন করতে উদ্যত হয়। 
 

সুপ্রিমকোর্টে হামলার নেতৃত্বে শীর্ষ সন্ত্রাসী হান্নান!

ঢাকা: সুপ্রিমকোর্টে আওয়ামী লীগের হামলায় নেতৃত্বে দিয়েছেন রাজধানীর শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর অন্যতম কামরুল হাসান হান্নান।

রোববার বিরোধী দলের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি চলার সময় সুপ্রিম কোর্টে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ কর্মীরা।

দুপুর ২টায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের প্রতিহত করতে সুপ্রিমকোর্টের প্রধান ফটক খুলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা।

জানা গেছে, সে হামলায় নেতৃত্বে দেন হান্নান। তবে হামলা শুরুর কিছুক্ষণ পরই তিনি সটকে পড়েন। পুলিশের উপস্থিতিতে তার নেতৃত্বে হামলার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে তোলপাড় চলছে।

প্রেসক্লাবে হামলাকারীদের পক্ষেই ইকবাল সোবহান

ঢাকা: জাতীয় প্রেসক্লাবের ১৮ দলপন্থি সাংবাদিকদের ওপর হামলার চেষ্টাকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পক্ষে সাফাই গাইলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

যে পক্ষই হামলা করুক, এটা একটা নিন্দনীয় কাজ- এ ধরনের কোনো কথা বলেননি তিনি। বরং ‘একপক্ষ উসকানি দিলে আরেক পক্ষ হামলা করতেই পারে’ এ ধরনের মন্তব্য করেছেন।

রোববার ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচির পক্ষে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে হামলা করে আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এসময় পুলিশকে নীরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা যায়।

প্রেসক্লাবে আ.লীগের হামলা


ঢাকা: রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে হামলা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ কর্মীরা। রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশকে তেমন কোনো ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। হামলাকারী কোনো আওয়ামী লীগ কর্মীকে তারা আটকও করেননি।

এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মীরা লাঠি নিয়ে প্রেসক্লাবের বাইরে অবস্থান করে। ভেতরে থাকা বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে তারা ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে।

সহযোগিতায় পুলিশ..সুপ্রিমকোর্টে আ.লীগের নারকীয় তাণ্ডব

ঢাকা: পুলিশের সহযোগিতায় সুপ্রিমকোর্টের গেট খুলে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা। এসময় তারা বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ধাওয়া করে ভবনের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়।
এর আগে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বাইরে বের হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় এবং কয়েকবার তাদের প্রতিহত করতে জলকামান ব্যবহার করা হয়।
 
এরপর ৩টা ২০ মিনিটের দিকে সরকার সমর্থকরা জাতীয় পতাকা, লাঠি, বন্দুক, হকিস্টিক, চাপাতি হাতে সুপ্রিমকোর্টের গেট খুলে ভেতরে প্রবেশ করে আইনজীবীদের ধাওয়া করে। এসময় তারা সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে থাকা একটি মোটরবাইকসহ ভবনের নানা স্থানে ভাঙচুর চালায় ও পরে বাইকটি জ্বালিয়ে দেয়। আইনজীবীদের কার্যালয়েও ভাঙচুর চালানো হয়।

ঢাবি শিক্ষকদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলা, আহত ১০, রক্ষা পাননি নারী শিক্ষকরাও


এবার পুলিশের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও শিক্ষক সমিতির সদস্যসহ ১০ শিক্ষক আহত হন। লাঞ্ছিত করা হয় নারী শিক্ষকদেরও। গতকাল বেলা ২টায় হাইকোর্ট মোড়ে কদম ফোয়ারার কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীদের এ হামলার প্রতিবাদে আজ বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেছেন তারা। এছাড়া রাতে এ ঘটনা নিয়ে জরুরি সাধারণ সভা করেছেন শিক্ষক সমিতি। এ সময় আগামীকাল অনুষ্ঠেয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন বর্জনের দাবি জানান তারা। এরপর সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

Saturday 28 December 2013

গণহত্যার সাথে সম্পৃক্ত অফিসারদের তালিকা হচ্ছেঃ সার্বিয়ার মত বিচার হবে

bjbশেখনিউজ রিপোর্টঃবাংলাদেশে বিগত পাঁচ বছর শেখ হাসিনার সরকারের সকল অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার নিরস্ত্র নাগরিকদের দমন করা হয়েছে নির্মমভাবে। শুধু গ্রেফতার, নির্যাতন, কারাবাসেই তা সীমাবদ্ধ থাকে নি। বিভিন্ন স্থান থেকে এমনকি নিজ বাড়ী থেকেও উঠিয়ে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে অনেক কে। গুম করা হয়েছে হাজার হাজার। এই সকল কাজগুলোর সাথে বিভিন্নভাবে জড়িয়ে গেছে আমাদের সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু কর্মকর্তা। যারা অন্যান্য বাহিনীতে ডেপুটেশনে থাকাকালে এই কাজগুলতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। শেখনিউজ ডট কম এমন কিছু অফিসারদের তালিকা পেয়েছে। এই অফিসারগন সেই তালিকার একটি অংশ মাত্র। জানাগেছে জাতিসংঘের একটি টিম ক্রোয়েশিয়ায় গণহত্যার সাথে জড়িত সারবিয়ান সেনা অফিসারদের যেভাবে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের সম্মুখীন করেছে, সেই একই ভাবে এই সকল অফিসারদের  আন্তর্জাতিক আদালতে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে বিচারের সম্মুখীন করার প্রচেষ্টা চলছে। 
নিচে কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার বিবরণী সংক্ষিপ্ত তুলে ধরা হলঃ

যাত্রীসহ বাসটি ঢোকানো হলো থানায়

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসার পথে মহানন্দা স্পেশাল নামে যাত্রীবোঝাই এই বাসটি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে বাসটি ছেড়ে দেওয়া হয়।  ছবি: শহীদুল ইসলাম।চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসার পথে মহানন্দা স্পেশাল নামে যাত্রীবোঝাই এই বাসটি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে বাসটি ছেড়ে দেওয়া হয়। ছবি: শহীদুল ইসলাম।চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবোঝাই বাস মহানন্দা স্পেশালকে আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী নগরের বোয়ালিয়া থানার ঢোকানো হয়। বাসের ৩০ জন যাত্রীকে থানায় নামিয়ে নিয়ে বাসটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ বলছে, বিরোধী দলের ‘ঢাকা অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য বাসটি রিজার্ভ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বাসে রাজশাহী পর্যন্ত গিয়ে ট্রেনে ঢাকায় যাওয়ার জন্য তারা এসেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ নগরের বর্ণালীর মোড় থেকে বাসটিকে আটক করে।

হাসিনা কেন এত হিংস্র ? খালেদাকে ভারত চায় না, তাই বিপুল অর্থ নিয়ে মাঠে ‘র’

Mena faraমিনা ফারাহ
**********************
সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এখন একমাত্র আসমানি হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কেউই টলাতে পারবে না। এথেন্স আদালতে সক্রেটিসের শেষ বক্তব্য নিয়ে প্লেটোর লেখা ‘অ্যাপোলজি’ বইটি অনেকেরই পড়া। সেই সূত্রেই লেখাটি।
সক্রেটিসের চেয়ে জ্ঞানী কেউ নেই, গ্রিক দেবতা অ্যাপোলোর এমন বক্তব্যের পর, দেবতাকে ভুল প্রমাণ করতে প্রথমেই বেছে নিলেন একজন জ্ঞানী রাজনীতিবিদ।
এরপর সক্রেটিস বললেন সেই কথাটি, ‘এবার আমি জানি, আমিই জ্ঞানী, কারণ আমি অন্তত একটি কথা জানি যে, আমি আসলেই কিছু জানি না। আর ওই রাজনীতিবিদ মনে করেন সব জানেন, কিন্তু তিনি জানেন না যে, আসলেই তিনি কিছু জানেন না।’
জ্ঞানের ফেরিওয়ালাদের জন্য এটাই যথেষ্ট সত্ত্বেও সক্রেটিসের ২৪০০ বছর পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে এত পণ্ডিতের জন্ম হয়েছে, যাদের অবাধ্য জিহ্বার কারণেই মহা-অরাজক। অশ্লীল বাক্যবানে শ্লীলতা হারিয়েছে রাজনীতির ভাষা। এরা জানে না এমন কিছু পৃথিবীতে নেই কিংবা সম্ভবও না।
এদের অপরিসীম বুদ্ধি জোর করে ঢুকিয়ে দেয়ায় জাতির মনোজগতে অভাবনীয় খরা এবং নৈতিকতা প্রায় ধূলিসাৎ। উগ্র রাজনীতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে গেছে সমাজ, ধর্ম, রাজনীতিতে। মাকে খুন করছে সন্তান, ভাতিজাকে খুন করছে চাচা, স্বামীকে বিশ্বাস করছে না স্ত্রী। এসবই রাজনীতিবিদদের সৃষ্টি।

ফরিদপুরে ৪৫ পতাকা জব্দ, মুচলেকা দিয়ে মুক্তি তিন দর্জির

ফরিদপুরের বোয়ালখালীতে বিএনপির ঢাকা অভিযাত্রা কর্মসূচির জন্য তৈরি করা ৪৫টি জাতীয় পতাকা জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় আটক করা হয় তিন দর্জিকে। পরে তাঁরা 'আর জাতীয় পতাকা তৈরি করব না' এ ধরনের মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
বোয়ালমারী থানার ওসি রুহুল আমীন কালের কণ্ঠকে জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উপজেলা সদরের স্টেশন রোডের বাগচী বস্ত্র বিতানের ইয়াছিন মোল্লা ও তালতলা এলাকার অলোক শীলের দোকান থেকে ৪৫টি জাতীয় পতাকা জব্দ করা হয়। এ সময় আটক করা হয় ইয়াছিন মোল্লা (৫২), তাঁর সহকারী সুমন রায় (২৫) ও দর্জি অলোক শীলকে (৪২)। পরে এ কর্মসূচির জন্য আর কোনো পতাকা তৈরি করবে না বলে মুচলেকা দিলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2013/12/28/35524#sthash.t6PDGFKN.dpuf

মুন্সীগঞ্জে ২ হাজার জাতীয় পতাকা জব্দ


মুন্সীগঞ্জ: জেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের তেলেরবিলে ২ হাজার  জাতীয় পতাকা জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে ইউনিয়নের তেলেরবিল  দর্জি  দোকানে এসব পতাকার অর্ডার দেয়। পুলিশ সেখান থেকে পতাকাগুলো জব্দ করে।

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: মহিউদ্দিন বলেন, রোববারের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্যে পতাকার অর্ডার দিয়েছিলাম। পুলিশ পতাকা জব্দ করে আমাদেরকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।

বিজয়ের রাতেই জাতীয় পতাকাসহ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আটক

বিজয়ের রাতেই জাতীয় পতাকাসহ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আটক

শীর্ষ নিউজ ডটকম, চট্টগ্রাম : বিজয়ের রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ শতাধিক জাতীয় পতাকাসহ একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করেছে। আটক মুক্তিযোদ্ধার নাম মোঃ আবুল মুনছুর। তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সীতাকুণ্ড উপজেলার সাবেক কমান্ডার। তার অপরাধ তিনি বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর সোমবার সকালে বিজয় দিবসের র‌্যালীর জন্য সীতাকুণ্ডের কলেজ রোডের চৌধুরী পাড়ায় নিজ বাড়িতেই জাতীয় পতাকা ও খাওয়া তৈরি করছিল। সকাল ১০টায় সীতাকুন্ড পৌরসদরে উপজেলা বিএনপির পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

তার আগেই রোববার রাত সাড়ে ১১টায় সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা আবুল মুনছুরের বাড়িতে হানা দিয়ে শতাধিক জাতীয় পতাকা, বিজয় র‌্যালী সরঞ্জামসহ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটক আবুল মনছুর উপজেলা বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক।

মাইকিং করে ট্রেনযাত্রী নামিয়ে দিল পুলিশ

উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে পৌঁছলে মাইকিং করে ট্রেনযাত্রীদের নামিয়ে দিল পুলিশ এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন ট্রেনের যাত্রীরা। এসময় ঢাকাগামী শত শত যাত্রী ঘারিন্দা রেলস্টেশনে আটকা পড়েন বলে জানা যায়।
 
এদিকে শুক্রবার গভীররাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ঘারিন্দা রেলস্টেশন থেকে শতাধিক যাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
 
ঘারিন্দা রেলস্টেশনের মাস্টার জামাল উদ্দিন বাংলামেইলকে জানান, নীলফামারী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ঘারিন্দা স্টেশনে পৌঁছালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ট্রেন থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়।

মার্চ ফর ডেমোক্রেসি.. পুলিশি ছিনতাইয়ে রক্ষা পেল না জুতোও!

চট্টগ্রাম: মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে যোগ দিতে পুলিশের নানা হয়রানির পর একপর্যায়ে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজের চেকপোস্টে পুলিশের ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম ছাত্রদলের দুই কর্মী।

তবে এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

ঘটনার শিকার চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের কর্মী সালাউদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার সুমনের অভিযোগ, কাঁচপুর ব্রিজ এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টে ঢাকাগামী সব যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশির নামে পুলিশ সদস্যরা যেভাবে পারছেন টাকা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিচ্ছেন। প্রতিবাদ করলেই অভিযাত্রায় অংশগ্রহণের অভিযোগে আটক করার হুমকি দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করছেন।

আল্লামা শফীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবের বৈঠক


হাটহাজারী (চট্টগ্রাম): হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হাটহাজারী মাদ্রাসায় গিয়ে হেফাজতের আমির আল্লামা আহমদ শফীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে সরকারের একটি প্রতিনিধিদল।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এমএ ছালাম এর নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দুজন সদস্যসহ তিনজন ছিলেন এ প্রতিনিধিদলে।

বৈঠকে হেফাজত আমিরের পাশপাশি অন্যদের মধ্যে সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, যুগ্ম-মহাসচিব মাঈনুদ্দিন রুহি, প্রচার সম্পাদক ও আমিরের ছেলে মাওলানা আনাস আল মাদানী।

বৈঠকের ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ হেফাজত আমিরের প্রেসসচিব মাওলানা মুনির আহমদসহ হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা।

পুলিশের ধাক্কায় গরম তেলে ঝলসে গেলো নান্নু

ঢাকা: দোকান বন্ধ করতে দেরি হওয়ায় উত্তেজিত পুলিশের ধাক্কায় পুরি ভাজার গরম তেলে পড়ে ঝলসে গেলো নান্নু মিয়া (২৫) নামে ফুটপাতের এক দোকান কর্মচারী।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর ফকিরেরপুল টিএনটি কলনি মসজিদ সংলগ্ন ফুটপাতে চা-পুরির একটি দোকানে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, জীবিকার সন্ধানে মাত্র তিনদিন আগে মাধবপুর হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসছিলেন নান্নু মিয়া। এরপর চাকরি পান পারভেজের চা-পুরির দোকানে। চাকরির প্রথমদিনেই তিনি শিকার হন এই দুর্ঘটনার।

গ্রেফতার বাণিজ্য তুঙ্গে : রেহাই পাচ্ছে না নারী ও শিশুরাও

29 Dec, 2013
পনের বছর বয়সী পাপ্পু ও ষোলো বছরের ইব্রাহিম ফিল্টার ‘পানির জার’ সরবরাহের কাজ করে শ্যামলী হাউজিং এলাকায়। হাউজিংয়ের ২ নম্বর প্রকল্পে কোম্পানির পানি পরিশোধন কেন্দ্রেও মাঝে-মধ্যে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। শুক্রবার রাতে ওই পরিশোধন কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিল তারা। ওই রাতে তাদের আটক করে পুলিশ। শনিবার সকালে আদাবর থানায় ছুটে আসেন পাপ্পুর দরিদ্র বাবা মান্নান ও মা হেনা বেগম। বাবা মান্নান বলেন, ‘আমার ছেলেকে কোন অপরাধে ধরেছে জানি না। আমার ছেলে তো কোনো দল করে না। সে পানি বিক্রির কাজ করে। তাকে ক্যান ধরে আনল?’ শুধু পাপ্পু ও ইব্রাহিমই নয়, রাজধানীতে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন শত শত নিরপরাধ লোকজনকে ধরা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যৌথ অভিযান নিয়ে সারা দেশের জনমনে চরম আতংক বিরাজ করছে। অতি প্রয়োজনীয় কাজকর্ম ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছেন না।

সাতমাসের শিশু কোলে রিমান্ডে শিউলি

28 Dec, 2013
শিউলি বেগম (২৭)। সামান্য একজন কেয়ারটেকারের স্ত্রী। তিন সন্তানের জননী। স্বামী আবুল কাশেম। তার মাসিক আয় ৭ হাজার টাকা। এ নিয়েই টানাপোড়েনে চলে শিউলির সংসার।

মিরপুরে একটি বাড়িতে একটি রুমে বিনা ভাড়ায় থাকতেন শিউলিরা। সেই থাকাটিই কাল হলো তার জীবনে। পুলিশের রোষানলে পড়ে তিনি এখন তিন মামলার আসামী। তাও যা-তা মামলা নয়। অস্ত্র আইন, বিষ্ফোরক দ্রব্য আইন এবং দ্রুত বিচার আইন।

মিরপুর মডেল থানায় দায়েরকৃত ৬৪ (১২)১৩, ৬৫(১২)১৩ ও ৬৬(১২)১৩ নম্বরের মামলায় শিউলিকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। অস্ত্র আইনের মামলায় পুলিশ তাকে রিমান্ডেও নিয়েছে।

একটির বিনিময়ে দশটি গুলি করবে ছাত্রলীগ’

 ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেছন, “২৯ ডিসেম্বর বিএনপির আন্দোলনে জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করতে বরাবরের মতো ছাত্রলীগ মাঠে থাকবে। তারা যদি একটি গুলি করে ছাত্রলীগ দশটি গুলি করবে। এর প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে থাকবে ছাত্রলীগ।”

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগরের এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম।

নাজমুল আলম বলেন, “বিএনপি যে সাংঘর্ষিক আন্দোলনের ডাক দিয়েছে আমরা জানি সে আন্দোলনে বিএনপি নয় মাঠে থাকবে জামায়াত-শিবির। তাই তাদের সম্পূর্ণ প্রতিহত করা হবে।”

Friday 27 December 2013

চট্টগ্রামে পুলিশকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ!


হরতাল-অবরোধের সময় ছাড়াও অন্য সময়ে পুলিশ সদস্যের ওপর আকস্মিক হামলা চালাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে রাজধানী ও রাজশাহীতে দুজন পুলিশ কনস্টেবল বোমায় নিহত হয়েছেন। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, সরকারি সম্পদ রক্ষা ও আত্মরক্ষার্থে এখন থেকে পুলিশকে নাশকতাকারীদের দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাঠপর্যায়ের একাধিক পুলিশ সদস্য। গতকাল শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন চায়নিজ রাইফেলে গুলি ভর্তি থাকে, ট্রিগারে থাকে আঙুল। নাশকতাকারীদের দেখামাত্রই গুলি করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকা ও রাজশাহীতে পুলিশের গাড়িতে আকস্মিক হামলা হয়েছে, সেখানে পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। এটা পুলিশের ওপর সরাসরি হামলা এবং বোঝাই যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা এখন পুলিশকে সরাসরি টার্গেট করেছে।

রাজশাহী বিএনপি নেতাদের বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা-ভাংচুর

রাজশাহী মহানগর বিএনপি নেতাদের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মহানগর বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনা জড়িতদের আটকের নামে মধ্যরাতে মহানগরীর শালবাগান ও সবজিপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ৭-৮ জন বিএনপি ও যুবদল নেতার বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায় পুলিশ সদস্যরা।
এর মধ্যে কয়েকটি স্থানের নেতাকর্মীদের ধরেও নিয়ে যায় তারা।
মহানগর বিএনপির দফতর সম্পাদক জুয়েল জানান, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান শরিফের সপুরা এলাকার বাসায় অভিযানের নামে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে।

মিরপুরে পুলিশের এ কোন অভিযান

অভিযানের সময় বাসার আসবাবপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় -নিজস্ব ছবিসাজানো-গোছানো বাসার কোন জিনিসই অক্ষত নেই। সবই ভেঙে চুরমার। ফ্রিজ, টিভি, কম্পিউটার থেকে শুরু করে খাট, আলমারি, সোফা খণ্ড-বিখণ্ড। বাদ যায়নি বাথরুমের বেসিন, কমোডও। দেখলে মনে হয় প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের ক্ষোভ থেকে কোন সন্ত্রাসী তাণ্ডবের শিকার এ বাড়িটি। কিন্তু নজিরবিহীন এ কাণ্ড করেছে জনমানুষের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তাণ্ডব চালিয়েই শেষ নয়। পুলিশ ওই বাসার মালিক যুবদল নেতা মামুন হাসানকে না পেয়ে তার ভাইয়ের স্ত্রী ও তার কলেজপড়ুয়া দুই কন্যাকে ধরে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর। মিরপুর মনিপুরের বাসিন্দা যুবদল নেতা মামুন হাসান ও তার বড় ভাই মাহাবুব হাসানের পৃথক বাসায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বাসায় তাকে না পেয়ে পুলিশ সদস্যরা তার ও পার্শ্ববর্তী বড় ভাইয়ের বাসায় তাণ্ডব চালায়।

Wednesday 25 December 2013

৯/১১র সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করেছে মোসাদ-বুশ!

26 Dec, 2013
মার্কিন কংগ্রেসের একটি গোপন প্রতিবেদনে পরিষ্কার ভাষায় স্বীকার করা হয়েছে, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে আমেরিকায় চালানো নজিরবিহীন সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত ছিল।

বিদেশি এই গোয়েন্দা সংস্থাটি মোসাদ বলেই বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন। মোসাদ ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এ সন্ত্রাসী ততরপরতার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

Tuesday 24 December 2013

আওয়ামীলীগ ও মহাজোট নেতাদের হলফনামায় দেওয়া অস্বাভাবিক সম্পদের খতিয়ান (সংকলিত )

১) শেখ হাসিনা : সম্পদ বেড়েছে ২ কোটি টাকার 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পদ গত পাঁচ বছরে বেড়েছে দুই কোটি দুই লাখ ৪৩ হাজার ১৩৫ টাকা। নির্বাচন কমিশনে শেখ হাসিনার দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া ২০০৮-০৯ অর্থবছরের আয়কর বিবরণী অনুযায়ী শেখ হাসিনার নিট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৫৪ লাখ ২ হাজার ৯০৪ টাকার। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের আয়কর বিবরণীতে দেখা যায়, তাঁর নিট সম্পদ পাঁচ কোটি ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯ টাকার।হলফনামার তথ্য অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নামে ছয় একর কৃষিজমি রয়েছে, যার আনুমানিক দাম ছয় লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এখান থেকে তাঁর বছরে আয় হয় ৭৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া মত্স্য খামার থেকে তাঁর আয় বছরে চার লাখ ৫০ হাজার টাকা। গাছ বিক্রি থেকে বছরে তাঁর আয় ১০ লাখ টাকা। ব্যাংকে তাঁর নগদ টাকার পরিমাণ চার লাখ ৯৮ হাজার। আর ব্যাংকে প্রধানমন্ত্রীর স্থায়ী আমানত (এফডিআর) রয়েছে পাঁচ কোটি টাকার কিছু বেশি।
প্রধানমন্ত্রীর একটি গাড়ি রয়েছে যেটি দানে পাওয়া। তাঁর কাছে থাকা স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও পাথরনির্মিত অলংকারাদির মূল্য ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। আসবাবপত্র রয়েছে সাত লাখ ৪০ হাজার টাকার।  
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/102178/%E0


২) আব্দুল মান্নান খান (ঢাকা-১)সম্পত্তি বেড়েছে ১০৭ গুন 
আব্দুল মান্নান খান ছিলেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী। একসময়ের বাম রাজনীতি করা আব্দুল মান্নান খান পাঁচ বছরেই অস্বাভাবিক অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন। ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনকে তিনি যে হলফনামা দিয়েছিলেন, তাতে দেখা যায়, নিতান্তই সাধারণ জীবন যাপন করতেন তিনি। কিন্তু পাঁচ বছরেই ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে তাঁর।২০০৮ সালে এই আয় ছিল ২৬ লাখ ২৫ হাজার, নির্ভরশীলদের কোনো আয়ই ছিল না। পাঁচ বছর পর তিনি ও তাঁর স্ত্রী বা অন্য নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় হয়ে গেছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।আয়ের তুলনায় আব্দুল মান্নান খানের পরিবারের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে বহুগুণ। পাঁচ বছর আগে তাঁর সম্পদ ছিল প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকার। আর এখন সেই সম্পদ হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকার। পাঁচ বছরে ১০৭ গুণ বেশি সম্পদ বাড়ার এটি একটি নতুন রেকর্ড।

Monday 23 December 2013

সম্পত্তি ১০৭ গুণ বেড়েছে..পূর্ত মন্ত্রণালয়ে মধু পেয়েছিলেন মান্নান


ডেস্ক রিপোর্ট : পাঁচ বছর আগে সাকুল্যে সম্পত্তি ছিল ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার। খুব অল্প দিনের ব্যবধানে সেটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি তিন লাখে। আগে বার্ষিক আয় ছিল তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা। তারপর দায়িত্ব পেলেন প্রতিমন্ত্রীর। মন্ত্রিত্ব পেয়েই বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়ালো তিন কোটি ২৮ লাখ টাকায়। পাঁচ বছরের মন্ত্রিত্বকালে সম্পত্তি বেড়েছে ১০৭ গুণ!
 
এই সৌভাগ্যবান হলেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান। বর্তমানে তিনি ঢাকা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় তিনি নিজেই যে সম্পত্তির বিবরণ দিয়েছেন, তাতে যে কারো চোখ ছানাবড়া হতে বাধ্য। তবে প্রশ্ন হলো- রাতারাতি কীভাবে এমন বিত্তবান হয়ে উঠলেন সাবেক এই বামপন্থি নেতা।

জাপা নেতারাও গড়েছেন সম্পদের পাহাড়

 শুধু সরকারি দল নয়, মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির নেতারাও বিগত পাঁচ বছরে গড়েছেন সম্পদের হিসাব। কারো কারো সম্পদ পাঁচ বছরে ১০ গুণ হয়েছে। রাজধানীতে ২০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক দলের শীর্ষ নেতা ফিরোজ রশীদ। রওশন এরশাদের ব্যাংকেই জমা আছে ২৬ কোটি টাকার বেশি এবং বিনামূল্যে পেয়েছেন ৭০ ভরি স্বর্ণ। হোটেল আর গার্মেন্টস ব্যবসায় সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রুহুল আমিন হাওলাদার।  প্রায় দশগুণ সম্পদ বেড়েছে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের। ১৭ কোটি টাকার বন্ড-শেয়ার আছে সালমার। চুন্নুর আয় বেড়েছে আট গুণ, স্ত্রীর বেড়েছে চার গুণ। এক কথায় বললে কী নেই জাপার সংসদ সদস্য প্রার্থীদের...?  নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা থেকে জানা গেছে নেতাদের সম্পদের বিবরণ।

রওশনের ব্যাংকে জমা ২৬ কোটি
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের স্ত্রী ও দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম রওশন এরশাদ। তিনি ময়মনসিংহ-৪ আসন থেকে ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারও সম্পদ বেড়েছে অবিশ্বাস্য হারে। ২০০৮ সালে তার ব্যাংকে রাখা টাকার পরিমাণ ছিল এক কোটি দুই লাখ টাকা। এবার তা বেড়ে হয়েছে ২৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

কাদের মোল্লা, কসাই কাদের ও কিছু প্রশ্ন

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বহুল আলোচিত বিষয় কাদের মোল্লার ফাঁসি। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর যুদ্ধাপরাধের বিচারের মতো সংবেদনশীল একটি বিষয় এর সাথে জড়িত থাকায় আলোচনার ব্যপ্তি ছিল বিচার প্রক্রিয়া, রায়, প্রতিক্রিয়া হিসেবে শাহবাগের গণজাগরণ, আইন সংশোধন, রায় পরিবর্তন, এবং শেষপর্যন্ত ফাঁসি নিয়ে। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফাঁসির মধ্য দিয়েই ঘটনার যবনিকাপাত ঘটেনি। উঠে এসেছে নতুন কিছু প্রশ্ন।

কাদের মোল্লার বিচার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে মূলতঃ দুটি বিষয়ে -
  •  বিচার প্রক্রিয়ায় আপাতঃ অনিয়ম, অন্যায্যতা, বা আন্তর্জাতিক মান রক্ষায় ব্যর্থতা
  •  কাদের মোল্লার পরিচয় সংক্রান্ত জটিলতা
প্রথম ইস্যুটি নিয়ে লেখালেখি হয়েছে বিস্তর। এর মধ্যে সাংবাদিক David Bergman এর ব্লগhttp://bangladeshwarcrimes.blogspot.com/ উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে প্রমাণে জটিলতার কারণে দ্বিতীয় ইস্যুটিতে আলোচনা কম হলেও সাম্প্রতিক সময়ে এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অভিযুক্তের সংশ্লিষ্ট অপরাধে নিজেকে নির্দোষ দাবি করা যা প্রতীয়মান হয় জেল থেকে সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনিকে লেখা চিরকুট বা ফাঁসির পূর্বে স্ত্রীকে লেখা শেষ চিঠি থেকে। এ থেকে প্রশ্ন জাগে অভিযুক্ত কাদের মোল্লা এবং যুদ্ধাপরাধী হিসেবে কুখ্যাত মিরপুরের কসাই কাদের একই ব্যক্তি কিনা।

সম্পদ বেড়েছে কয়েক শ’ গুণ..নাটোরের এমপি পলক ও তার স্ত্রী জানেন না তাদের সম্পত্তির মূল্য কত

নাটোরে দেশের সর্বকনিষ্ঠ এমপি জুনাইদ আহম্মেদ পলক ও তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন : নয়া দিগন্ত
আরিফা জেসমিন। কর্মজীবন শুরু করেন নাটোরের সিংড়া সদরের দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিকিা হিসেবে। ২০১১ সালের শুরুতে মনোবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে স্থানীয় দমদমা স্কুল অ্যান্ড কলেজে চাকরি নিয়েছেন। ২০০৮ সালে তার সম্পদ বলতে ছিল ১৫ শতক মাঠের জমি, ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকা, নগদ ১০ হাজার টাকা, ১০ ভরি সোনা, ২৫ হাজার টাকা দামের একটি রেফ্রিজারেটর ও ১০ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন। ঠিক পাঁচ বছরের মাথায় এখন তিনি ভিশন বিল্ডার্স লিমিটেড কোম্পানির ৮০ ভাগ শেয়ারের মালিক। এখন তার সঞ্চয়পত্র আছে ২০ লাখ টাকার, ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের (ঢাকা-মেট্রো-গ-৩৩-০২৪৫) একটি অত্যাধুনিক প্রাইভেট কার। সোনা ১০৩ ভরি ও নগদ রয়েছে ১০ লাখ ও ব্যাংকে তিন লাখ ৮০ হাজার ৮৭৩ টাকা। একটি ডেস্কটপ ও একটি ল্যাপটপ, এসি ও ফ্রিজ। খাট, ড্রেসিং টেবিল, ডাইনিং টেবিল, সোফা, আলমারী ও ওয়্যারড্রবসহ সোনা এবং সব ইলেকট্রনিকস সামগ্রী এই শিকিা উপহার পেয়েছেন বলে তিনি এগুলোর দাম জানেন না। আগে ১৫ শতক জমির মালিক হলেও এখন তার মালিকানায় রয়েছে ৭৬২ শতক জমি। এর মধ্যে সিংড়া পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে ৩০০ শতক অকৃষি জমি উপহার হিসেবে পাওয়ায় এর দামও তিনি জানেন না! 

মহাজোটের 'গাড়িখেকো' মন্ত্রী-এমপিরা

23 Dec, 2013
মহাজোট সরকারের পাঁচ বছরে সংসদ সদস্যদের উপার্জন শুধু ফুলেফেঁপেই ওঠেনি, শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি আর কর ফাঁকির নতুন রেকর্ডও গড়েছেন তারা। অষ্টম সংসদের রেকর্ড ছাড়িয়ে নবম জাতীয় সংসদের এমপি ও মন্ত্রীরা শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করেছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক।এ সরকারের আমলে গত অক্টোবর পর্যন্ত ৩৫০ সংসদ সদস্যের মধ্যে বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩৩৯ জন। চড়া দামের বিলাসবহুল এই গাড়িগুলোকে শুল্ক থেকে 'মুক্তি' দেয়া হয়েছে ২ থেকে ৪ কোটি টাকা করে। ফলে সরকার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে এ সময়ে।

মিতব্যয়ী' রাষ্ট্রপতি হামিদের জন্য অমিত অপচয়

'মিতব্যয়ী' রাষ্ট্রপতির জন্য অমিত অপচয়
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও তার সফরসঙ্গীদের জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৪১৯ আসনের একটি উড়োজাহাজ দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ বিমানবন্দরে চারদিন বসিয়ে রাখা হয়েছিল। উড়োজাহাজটি হ্যাংগারে বসিয়ে রাখলেও পরিচালন ব্যয় করতে হয়েছে। এর পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা। এর বাইরে রয়েছে ক্রু’দের খরচ, জ্বালানী খরচ ও পরিচালনা খরচ।
বিমান এই বাড়তি খরচ সরকারের কাছ থেকেই আদায় করবে বলে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেভিন স্টিল পরিবর্তনকে জানিয়েছেন।

Sunday 22 December 2013

সে রাতে মেহেরপুরের রাজনগর আচমকা অশান্ত হয়

ভোরের আলো ফুটতে আরও অন্তত ঘণ্টা দুয়েক বাকি।। মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী নিরিবিলি গ্রাম রাজনগরের বেশির ভাগ মানুষ তখনও গভীর ঘুমে। হঠাৎ দুনিয়া কাঁপানো আওয়াজ। বিস্ফোরণের এমন ভয়ঙ্কর আওয়াজের সঙ্গে একেবারেই অপরিচিত গ্রামটির বাসিন্দারা। মুহুর্মুহু সেই আওয়াজ যেন কিছুতেই থামতে চায় না। ক্রমশ কাছাকাছি আসতে থাকে বিকট সেই শব্দ। এভাবেই একটানা গুলি করতে করতে রাজনগর গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। শুরু হয় ঘরে ঘরে তল্লাশি। কিন্তু বেশির ভাগ বাড়িতেই পাওয়া যায়নি পুরুষ তথা কর্তাব্যক্তিদেরকে। তাতে আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। তারা ঘরের আসবাবপত্র টেনেহিঁচড়ে বাড়ির উঠানে জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বেদম পিটুনি দেয় নারী ও শিশুদেরকে। ৭০ বছরের বৃদ্ধও বাদ যায়নি তাদের অত্যাচার থেকে। এভাবেই চলে সকাল ৮টা পর্যন্ত। 

সাতক্ষীরায় যৌথ অভিযান ও আ’লীগ সন্ত্রাসীদের তান্ডব আইয়ামে জাহিলিয়াতকেও হার মানিয়েছে

# সেনা ও বিজিবি সদস্যদের বাড়িও জ্বালিয়ে দিয়েছে
# প্রতিদিনই নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে
# পরিকল্পিতভাবে তা-ব চালানো হচ্ছে
# গ্রেফতার এড়াতে মানুষ গা ঢাকা দিচ্ছে
# অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ২০ লাখ মানুষ
# ঘুমন্ত বাবুলকে ধরে রাস্তায় এনে গুলী করা হয়
আব্দুর রাজ্জাক রানা, সাতক্ষীরা থেকে ফিরে : যৌথবাহিনীর অভিযানের মধ্যে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তা-বে সাতক্ষীরা সদর, কালিগঞ্জ, শ্যামনগর ও আশাশুনি’র মানুষ আতঙ্কিত ও অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ১৮ দলের পঞ্চম দফার অবরোধ করতে নেতা-কর্মীরা মাঠে নামলেই যৌথবাহিনী তাদের উপর গুলী করছে। এমনকি বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে থানায় ও রাস্তায় মানুষের সামনেই গুলী করছে। এ দৃশ্য দেখে যাতে ভয় পেয়ে আর কেউ রাজপথে নামতে সাহস না পায় সে জন্য। এখানে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকসহ কিছুই চলছে না। আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা নেতাশূন্য করতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি, বৈকারী, কুশখালি, ঘোনা, ঝাউডাঙ্গা, বল্লী, লাবসা, আলীপুর, ভোমরা, বাঁশদহা, ফিংড়ি, কলারোয়ার দেয়াড়া, যুগিখালি, লাঙ্গলঝাড়া, ব্রজাবক্স, তালার কুমিরা, জেয়ালা নলতা, ইসলামকাটি, খলিষখালি, পাটকেলঘাটা, তালা সদর, নগরঘাটা, আশাশুনির বুধহাটা, কুল্যা, প্রতাপনগর, আনুলিয়া, খাজরা, বড়দল, দরগাহপুর, কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর, কৃষ্ণনগর, মৌতলা, ভাড়াশিমলা, নলতা, পাউখালি, সাতপুর, দেবহাটার নারকেলি, সখিপুর, গাজীরহাট, নাংলা, দেবহাটা সদর, গড়ানবাড়িয়া, শ্যামনগরের কাশিমাড়ি, জয়নগর, আটুলিয়া, রমজাননগর, ভেটখালি, বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা, কৈখালি, ঈশ্বরীপুর, ভুরুলিয়া, খানপুরসহ জামায়াত অধ্যুষিত এলাকায় পরিকল্পিতভাবে তা-ব চালাচ্ছে। এসব এলাকার সাধারণ মানুষও যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার এড়াতে গা-ঢাকা দিয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরেও অনেকের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করছে। আর চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে। এসব হামলায় সুন্দরবনের বনদস্যুদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে। 

নজিরবিহীন তাণ্ডব চলছেই সাতক্ষীরায় : পুলিশের বুলডোজারে বিরোধী নেতাদের বাড়ি ভাংচুর-লুট, নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে গুলি, পাঁচ দিনে ছাইয়ের স্তূপে পরিণত হয়েছে শতাধিক বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

পুলিশ বুলডোজার নিয়ে এসেছে বাড়ি ভাঙতে। বাড়িমালিক বিরোধী দলের একজন নেতা। এটাই অর্থাত্ বিরোধী দলের নেতা হওয়াটাই সুন্দর বসতবাড়িটি ভেঙে ফেলার একমাত্র কারণ! এদিকে পুলিশের সঙ্গে এসেছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী। পুলিশ বাড়ি ভাঙছে আর ক্যাডার বাহিনী মালপত্র লুটের উত্সবে মেতে উঠেছে! দু’পক্ষ মিলে কয়েক মিনিটে আস্ত পাকা একটা বাড়ি ধুলায় মিশিয়ে দিয়ে নারকীয় উল্লাস করতে করতে স্থান ত্যাগ করছে! আর একটু দূরে দাঁড়িয়ে চোখ মুছছেন বাড়িটির মহিলা আর শিশু সদস্যরা! এটা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার প্রতিদিনের বর্তমান চিত্র। এ রকম একাধিক ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে জেলাটিতে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাধারণত মাঠে নামানো হয় কোথাও বিশৃঙ্খলা ঘটলে তা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য, মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্য। এটা সর্বকালে সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত হয়ে আসছে। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান সরকার গড়ছে এক নজিরবিহীন ইতিহাস। দেশের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মাঠে নামানো হয়েছে মানুষ হত্যা এবং তাদের বাড়িঘর ও সম্পদ ধ্বংস করার জন্য! গত ক’দিন ধরে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সাতক্ষীরায় ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি সরকারি নির্দেশে সাধারণ মানুষের জানমাল ধ্বংসের জ্বলন্ত সাক্ষ্য হয়ে আছে।

সাতক্ষীরা বিধ্বস্ত এক জনপদ


সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর ৩ দিনের অভিযানে সাতক্ষীরা বলতে গেলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে, দেখলে মনে হয় কোন ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত জনপদ। স্বচক্ষে এ দৃশ্য না দেখলে বিশ্বাস হওয়ার নয়। এখানে-ওখানে জ্বলছে আগুন। বাতাসে বইছে কান্নার শব্দ। চারদিকে চিৎকার আর হাহাকার। সহায়-সম্বল হারিয়ে মানুষ পাগলপ্রায়। তাদের আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছে গোটা জেলার পরিবেশ। আশ্রয় ও গৃহহীন হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। যৌথবাহিনীকে দেখলেই মানুষ পালাচ্ছে। রক্ষা পায়নি নারী-শিশু ও বৃদ্ধরাও। রাত শুরু হলেই আতঙ্কে বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে বাড়ির পুরুষ ও যুবক ছেলেরা। প্রতি রাতেই ঘটছে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। জেলার কোথাও না কোথাও ঘটছে ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট। বিপদ আছে আরও।

Saturday 21 December 2013

আওয়ামীলীগ নেতাদের অস্বাভাবিক সম্পদ

ফুলে ফেঁপে পাঁচ বছরে সম্পদ বেড়ে হয়েছে বহুগুণ। কারও কারও ক্ষেত্রে এ বৃদ্ধির পরিমাণ অবিশ্বাস্য। আবার কেউ কেউ অবাক করার মতো তথ্যও দিয়েছেন নিজেদের সম্পদ বিবরণীতে। দশম সংসদে প্রার্থী হয়েছেন এমন সংসদ সদস্যদের হলফনামায় দেয়া সম্পদ বিবরণী থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে

অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হয়েছেন নবম জাতীয় সংসদের অধিকাংশ সংসদ সদস্য। ফুলে ফেঁপে পাঁচ বছরে সম্পদ বেড়ে হয়েছে বহুগুণ। কারও কারও ক্ষেত্রে এ বৃদ্ধির পরিমাণ অবিশ্বাস্য। আবার কেউ কেউ অবাক করার মতো তথ্যও দিয়েছেন নিজেদের সম্পদ বিবরণীতে। দশম সংসদে প্রার্থী হয়েছেন এমন সংসদ সদস্যদের হলফনামায় দেয়া সম্পদ বিবরণী থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে অনেকে অস্বাভাবিক পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন যা হলফনামায় স্বীকারও করেছেন। 
প্রধানমন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ২ কোটি
নির্বাচন কমিশনে দায়ের করা হলফনামা অনুসারে প্রধানমন্ত্রীর মালিকানায় গত পাঁচ বছরে ২ কোটি ২ লাখ ৪৩ হাজার ১৩৫ টাকার সম্পদ বেড়েছে।

কাদের মোল্লাকে হত্যা করা হয়েছে : ড. ইউসুফ আল কারযাবি

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে হত্যা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলারস ফোরামের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওলামা পরিষদের সদস্য বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ড. ইউসুফ আল কারযাবি কাদের মোল্লার ফাঁসির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা মুসলিম দেশগুলোর দিকে নজর দিলে দেখতে পাই তারা অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করছে। বাংলাদেশ একটি বৃহৎ মুসলিম দেশ হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানদের ওপর বর্বর নির্যাতন করা হচ্ছে। 

সম্পদ গড়ার রেকর্ড সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবের



পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার সম্পদ গড়ার রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। গত পাঁচ বছরে ব্যাংকে জমাকৃত তার টাকা বেড়েছে ৫৮৬ দশমিক ৭৫ গুণ, জমি বেড়েছে ১৪৩ দশমিক ২৫ গুণ ও বার্ষিক আয় বেড়েছে ৭৯ দশমিক ২৩ গুণ। স্ত্রীর নামে স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ বেড়েছে ৩ দশমিক ২২ গুণ। নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের সময় মাহবুবুর রহমান হলফনামায় ২০ একর কৃষি জমি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন, যার বাজার মূল্য ছিল ৫৫ হাজার টাকা। বর্তমানে তার কৃষি জমির পরিমাণ ২ হাজার ৮৬৫ একর, যার বাজার দাম দেখানো হয়েছে ৭০ লাখ ১৪ হাজার ৪৪০ টাকা। পাঁচ বছরে তার জমির মালিকানা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪৩ দশমিক ২৫ গুণ। ২০০৮ সালে খণ্ডকালীন রাখি মালামাল থেকে আয় দেখিয়েছিলেন ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এখানে তার নির্ভরশীলদের কোনো আয় দেখানো হয়নি। ২০১৩ সালের হলফনামায় তার চাকরি থেকে আয় দেখানো হয়েছে ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৭০০ টাকা এবং মৎস্য উৎপাদন ও বিক্রি থেকে আয় দেখানো হয়েছে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা।

পাঁচ বছরে দুর্নীতি-অনিয়মের এক লাখ কোটি টাকা পাচার

বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। অবৈধভাবে আয় ও দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করা এসব অর্থ পাচার করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে ছোট ও মধ্যম সারির নেতারাও। পাচারের সঙ্গে আছেন প্রশাসনের শীর্ষ ও মধ্যম শ্রেণীর কর্মকর্তারাও। মূলত নিজেদের ভবিষ্যত্ নিয়ে উদ্বেগের কারণ থেকেই অর্থ পাচার বাড়ছে। এক হিসেবে দেখা গেছে, বছরে গড়ে দেশ থেকে চলে যাচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। শুধু গত বছর বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হয়েছে ৩০০ কোটি ডলার। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার কোটি। সরকারের শেষ সময়ে এসে অর্থ পাচার বেড়ে গেছে। হিড়িক পড়ে গেছে বিদেশে বাড়ি-গাড়ি কেনার। এদিকে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) তাদের সাম্প্রতিক এক জরিপে জানিয়েছে, ২০১১ সালে আগের বছরের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার বেড়েছে ২৮ শতাংশ। সংস্থাটি অর্থ পাচারের এমন দৃষ্টান্তকে নজিরবিহীন উল্লেখ করেছে। জিএফআই’র হিসেবে এশিয়ার মধ্যে অর্থ পাচারের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থান দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশ। 

হলফনামার তথ্য এত সম্পদ!

22 Dec, 2013
মনোনয়নপত্র দাখিলের সঙ্গে জমা দেওয়া সরকারদলীয় সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের এবারের প্রার্থিতার হলফনামায় আয় বৃদ্ধির অবিশ্বাস্য চিত্র পাওয়া গেছে। হলফনামা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খানের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১৮০ গুণ, সরকারদলীয় এমপি ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৯১ গুণ, মির্জা আজমের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৮০ গুণ। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হকের ৫ বছরে ১২ কোটি ৩০ লাখ টাকার সম্পদ বেড়েছে।

Friday 20 December 2013

৫ বছরেই হাইব্রিড হানিফের সম্পদের পাহাড়

..গত পাঁচ বছরে প্রায় পাঁচ কোটি টাকায় ৭০ একর জমি কিনেছেন। এর মধ্যে ৬৬ একরই সুন্দরবনের পাশে বাগেরহাটের মংলা উপজেলার জয়মনিগোল গ্রামে। তিন কোটি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনটি নতুন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। গাজীপুরে কিনেছেন তিন একর জমি। হাতে আছে আরও প্রায় ৪৪ লাখ টাকা। স্ত্রী ও নিজের নামে শেয়ার কেনা আছে এক কোটি ২২ লাখ টাকার। এক কোটি ১৮ লাখ টাকায় দুটি গাড়িও কিনেছেন।
এই ‘সফল’ ব্যক্তিটি হলেন মাহবুব উল আলম হানিফ, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। কিছুদিন আগ পর্যন্ত এ সরকারের প্রায় পুরো মেয়াদেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ছিলেন।
বিপুল এই সম্পদের হিসাব হানিফের নিজেরই দেওয়া। ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় হানিফ এ তথ্য দিয়েছেন। তবে এই হিসাবের বাইরে বেনামে আরও সম্পদ রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

জিতবে আওয়ামী লীগ হারবে বাংলাদেশ

 বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে প্রক্রিয়ায় তার ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াতে চাইছেন, তাকে একজন ইউরোপীয় কূটনৈতিক ধাপে ধাপে সংঘটিত অভ্যুত্থান হিসেবে বর্ণনা করেছেন। প্রধান বিরোধী দল ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করছে। সুতরাং এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত। বৈধতার বিষয়টি অবশ্য আলাদা।
লন্ডনের বিখ্যাত ম্যাগাজিন দি ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। শুক্রবারের মুদ্রণ সংস্করণে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হবে। তা এরই মধ্যে অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটির শিরোনাম করা হয়েছে- ‘দ্য ক্যাম্পেন ট্রেল: দ্য রুলিং পার্টি উইল উইন বাংলাদেশ’স্‌ ইলেকশন, দ্য কান্ট্রি উইল লুজ’।

আওয়ামীলীগ এমপি বদির আয় বেড়েছে ৩৫১ গুণ

বদিবদিস্ত্রী-ভাই-বোন ও নিজের কর্মচারীর কাছ থেকে আট লাখ টাকা ধার করে ২০০৮ সালের নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহ করেছিলেন কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাংসদ আবদুর রহমান বদি। জীবনে প্রথম সাংসদ হয়ে পাঁচ বছরে তাঁর আয় বেড়ে গেছে ৩৫১ গুণ। আর নিট সম্পদ বেড়েছে ১৯ গুণের বেশি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আওয়ামী লীগের বিতর্কিত এই সাংসদের জমা দেওয়া হলফনামা ও আয়কর বিবরণী পর্যালোচনা করে তাঁর আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির এই চিত্র পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, হলফনামায় সাংসদ বদি কেবল আয়কর বিবরণীতে প্রদর্শিত অর্থ ও সম্পদের কথা উল্লেখ করেছেন। এর বাইরে অপ্রদর্শিত অনেক অর্থ-সম্পদ রয়েছে।
সাংসদ বদি এবারও একই আসনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী। তিনি গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া দলের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামার মাধ্যমে আয়বিবরণী ও সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, গত পাঁচ বছরে আয় করেছেন ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকনাফে জ্বালানি তেলের ব্যবসা করে এ টাকা অর্জন করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। 

আওয়ামীলীগ নেতাদের ফুলে-ফেঁপে উঠেছে সম্পদ..সুধাসদন যখন দুর্নীতির আখড়া

নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা থেকেই ক্ষমতায় থেকে সম্পদশালী হওয়ার অসংখ্য উদাহরণ পাওয়া যাচ্ছে।নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা থেকেই ক্ষমতায় থেকে সম্পদশালী হওয়ার অসংখ্য উদাহরণ পাওয়া যাচ্ছে।মন্ত্রী-সাংসদদের একটি অংশ পাঁচ বছরে অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হয়েছে। ক্ষমতা নামের আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ বদলে দিয়েছে তাঁদের স্ত্রীদেরও। অথচ দৃশ্যমান তেমন কোনো আয় অনেকেরই নেই।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার শর্ত হিসেবে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা থেকে তাঁদের স্বেচ্ছায় ঘোষিত এই সম্পদের হিসাব জানা গেছে। ১৪ ডিসেম্বর থেকে এসব তথ্য সাধারণের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
নতুন এই তথ্যের সঙ্গে আগের নির্বাচনের সময় ২০০৮ সালে দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মন্ত্রী-সাংসদদের অনেকেই অতি দ্রুত সম্পদশালী হয়েছেন। কেউ কেউ পাঁচ বছরে একাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন। এই সরকারের পাঁচ বছরে শেয়ারবাজারে যত বড় কেলেঙ্কারিই ঘটুক, মন্ত্রী-সাংসদদের একটি অংশ সেখানে বিনিয়োগ করতেও পিছপা হয়নি।

Wednesday 18 December 2013

প্রধানমন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে দুই কোটি টাকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পদ গত পাঁচ বছরে বেড়েছে দুই কোটি দুই লাখ ৪৩ হাজার ১৩৫ টাকা। নির্বাচন কমিশনে শেখ হাসিনার দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া ২০০৮-০৯ অর্থবছরের আয়কর বিবরণী অনুযায়ী শেখ হাসিনার নিট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৫৪ লাখ ২ হাজার ৯০৪ টাকার। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের আয়কর বিবরণীতে দেখা যায়, তাঁর নিট সম্পদ পাঁচ কোটি ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯ টাকার।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নামে ছয় একর কৃষিজমি রয়েছে, যার আনুমানিক দাম ছয় লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এখান থেকে তাঁর বছরে আয় হয় ৭৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া মত্স্য খামার থেকে তাঁর আয় বছরে চার লাখ ৫০ হাজার টাকা। গাছ বিক্রি থেকে বছরে তাঁর আয় ১০ লাখ টাকা। ব্যাংকে তাঁর নগদ টাকার পরিমাণ চার লাখ ৯৮ হাজার। আর ব্যাংকে প্রধানমন্ত্রীর স্থায়ী আমানত (এফডিআর) রয়েছে পাঁচ কোটি টাকার কিছু বেশি।

খালেদা জিয়াকে ভারতের লোভনীয় প্রস্তাব: প্রত্যাখান করলেন খালেদা জিয়া

ভারত সরকার খালেদা জিয়াকে গতকাল মঙ্গল বার একটি প্রস্তাব দিয়েছে, ভারতীয় সাংবাদিকের একটি প্রতিনিধি দল খালেদা জিয়া এবং বিএনপির সাথে দেখা করেছে। প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন ................

১. শুভজিত রায় (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস) 
২. জয়ন্ত জেকব (হিন্দুস্তান টাইমস)
৩. ইন্দ্রানী দত্ত (দ্যা হিন্দু) 
৪. গৌতম লাহিড়ি ( সংবাদ প্রতিদিন) 
৫. দেবিরুপা মিত্রা (নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস) 
৬. রায়দেন দিসৌজা (দুরদর্শন)
৭. দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী (ইকনমিক টাইমস) 
৮. অগ্নি রায় (আনন্দ বাজার পত্রিকা) 

এছাড়া র' এর ডেপুটি চিপ এবং ইন্ডিয়ান সরকারের ডেপুটি সেক্রেটারিও খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছে। বিএনপির কাছে তাদের প্রস্তাব ছিল নিম্নরূপ।.....

১. দশম জাতীয় নির্বাচন মেনে নিন.
২. এই নির্বাচন পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে ভারত একাদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্তা করবে। 
৩. একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভারত বিএনপিকে পৃষ্ঠপোষকতা করবে (এখন যেমন আওয়ামীলীগকে করছে) 
৪. বর্তমান জামাত নেতাদের (ট্রাইবুনালের মাধ্যমে ফাঁসি দিয়ে) হত্যা করা হবে এবংপরবর্তী নতুন নেতারা ভারতের পৃষ্ঠপোষকতা বা আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে। 
৫. বর্তমান সরকারের সাথে দ্বিপাক্ষিক যত চুক্তি আছে সব সম্পন্ন করবে। 

Monday 16 December 2013

শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা আর কসাই কাদের কি এক ? ছবি কি বলে ?


উপরের ছবিটি ট্রাইব্যুনালে সংরক্ষিত সরকার পক্ষের কৌসুলিদের জমা দেয়া কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মহা গুরুত্বপুর্ন একটি ডকুমেন্ট। ছবিতে জেনারেল এ এ কে নিয়াজীর পিছনে দাঁড়ানো মিরপুরের বিহারী 'কসাই কাদেরকে' আব্দুল কাদের মোল্লা বলে চালানো হয়েছে। 
নিচের ছবিতে ৯২ সালের রোকন সম্মেলনে তৎকালীন আমীরে জামায়াত অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবের পাশে দাঁড়ানো আব্দুল কাদের মোল্লা।

বিশ্লেষণঃ ১৯৭১ সালে-

নিয়াজীঃ উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী নিয়াজীর বয়স ছিল ৫৭ বছর। উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি।
কাদের মোল্লাঃ বিভিন্ন সুত্রের তথ্যানুযায়ী কাদের মোল্লার বয়স ছিল ২২/২৩ বছর। উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।
কসাই কাদেরঃ অসমর্থিত সুত্র এবং বিশ্লেষণ অনুযায়ী কসাই কাদেরের বয়স ছিল ৪৮ বছর। পাশে দাঁড়ানো নিয়াজীর সাথে তুলনা করলে বিহারী কসাই কাদেরের উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি।

প্রশ্ন-১: ৯২ সালে নিচের ছবিতে অধ্যাপক গোলাম আযমের পাশে দাঁড়ানো ৪৩/৪৪ বছর বয়স্ক কাদের মোল্লাকে যদি ২১ বছর আগে কল্পনা করা হয় তাহলে কি নিয়াজীর পাশে দাঁড়ানো ৪৮ বছর বয়স্ক 'কসাই কাদেরের' মতো মনে হবে?

ধরা না খাইলে শিবির , ধরা খাওয়ার পর দেখি আওয়ামীলীগ :P





প্রত্যেকদিন দেশে হিন্দুদের উপর হামলা হচ্ছে , পেট্রোল বোমা, ককটেল ফুটানো হচ্ছে। কিন্তু এই সবের জন্য আসল ঘটনা উদঘাটন না করে সবাই মুখস্তভাবে জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করা হচ্ছে। এই সব কাজের জন্য প্রধানত দায়ী হচ্ছে নতুন প্রজন্মের এইচ ডি বিটিভিগুলো। গত কয়েকদিনের কিছু ঘটনা দেখি। আমরা কিন্তু দোষ দিচ্ছি জামায়াত শিবিরের , কিন্তু ধরা খাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে এই সব কাজ করতেছে আওয়ামীলীগ। 

কাদের মোল্লার ফাঁসিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের দুঃখ প্রকাশ

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। একই সঙ্গে এ ঘটনার পর বাংলাদেশের সব পক্ষকে শান্ত থাকার ও সহিংসতা পরিহারেরও আহ্বান জানান তিনি। বান কি মুনের মুখপাত্র মার্টিন নেসারকি শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়ার আগে এই দণ্ড কার্যকর না করতে জাতিসংঘের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দণ্ড কার্যকরের পর কোন কর্মকর্তা কেন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি- এমন প্রশ্নের জবাবে মার্টিন বলেন, আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরে মহাসচিব দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বান কি মুন আগেও এই পদক্ষেপকে নিরুৎসাহিত করেছেন।
http://mzamin.com/details.php?mzamin=MzE0OA==&sMQ==

Sunday 15 December 2013

আব্দুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দিবেন। কিসের ভিত্তিতে ??



আব্দুল কাদের মোল্লাকে চিনিয়ে দেওয়ার কিছু নাই। বাংলাদেশের এমন কোনো মানুষ নেই যারা কাদের মোল্লাকে চিনে না। যিনি মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আজ আসমানি ফয়সালার সামনে দাড়িয়ে। 

কাদের মোল্লার বিরুদ্বে আন্তর্জার্তিকভাবে বিতর্কিত ট্রাইবুনাল গত ফেব্রুয়ারী মাসে যাবজ্জ্বীবন কারাদন্ড দেয়। তারপর কাদের মোল্লার ফাসির দাবিতে শুরু হয় শাহবাগের কথিত গণজাগরণ। তারপর সংসদে দাড়িয়ে হাসিনা বলেছিলেন আশা করি জনগনের আশা আকাঙ্খার দিকে তাকিয়ে বিচারকরা রায় দিবেন। জামায়াতের সাথে স্ট্রং দরকষাকষিতে যেতে হলে হাসিনার দরকার একটি ফাসির রায়। পরিবর্তন করা হয় আইন।

জামায়াত শিবির কি জাসদের ভাগ্য বরণ করবে না আরো শক্তিশালী হবে ?



অনেক ভাইকে স্টাটাস দিতে দেখেছি , তাদের কনসার্ন হলো জামায়াত কি জাসদের ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছে ? তারা উদাহরণ দিচ্ছেন শেখ মুজিবের রক্ষী বাহিনীর মত বাংলাদেশের কসাই হাসিনা ও র্যাব দিয়ে নিরপরাধ জামায়াত কর্মীদের হত্যা করছে। আসলে আমাদের এতো তাড়াতাড়ি এই রকম জাস্টিফিকেশনে যাওয়া উচিত না। আমাদের বুঝতে হবে জামায়াত আর জাসদের আদর্শ এক না। জামায়াত আল্লাহর উপর নির্ভর করে ইসলামিক আন্দোলন করেতেছে আর জাসদ নাস্তিকতার উপর।অন্যদিকে কসাই হাসিনার এখন শেষ সময়। তাই মরার আগে একটু বেশি লাফাচ্ছে। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নাই। 

কাদের মোল্লার রায় নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর বিবৃতি ও শাহবাগী মিথ্যাচার

গত কয়েকদিন আওয়ামী বুদ্ধিজীবী, তাদের মিডিয়া এবং শাহবাগী তরুণ প্রজন্ম প্রোপাগান্ডা চালিয়ে মানুষকে এমনটা বুঝাতে চেয়েছে যে জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আসলে নীতিগত কারণে মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে, এমনিতে ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। শাহবাগীদের এমন দাবী আসলে সত্যের সম্পূর্ণ অপলাপ।

যেমন, হিউম্যান ওয়াচ তাদের বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলেছে, "Accused Should Have Right to Appeal in Case Rife with Fair Trial Problems."

লিংকঃ http://www.hrw.org/news/2013/12/08/bangladesh-halt-execution-war-crimes-accused

জাতিসংঘের হাই কমিশনার নাভি পিল্লাইয়ের বিবৃতিতে বিষয়টা এসেছে এভাবে, "The High Commissioner urged the Bangladeshi Government not to proceed with the death penalty in cases before the International Crimes Tribunal, particularly given concerns about the fairness of the trials."

লিংকঃ http://www.un.org/apps/news/story.asp?NewsID=46704&Cr=death+penalty&Cr1#.Uq2dVt98Lv4

এই দুই বিবৃতিতে তারা স্পষ্টভাবে ট্রাইব্যুনালের fairness নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু শাহবাগীরা সুচতুরভাবে এসব বিষয় এড়িয়ে যায়।