I am a blogger ..My blog nick name is chairman ..I try to find out the truth from injustice
Sunday, 5 January 2014
ভোটার-খরা কাটালেন ছাত্রলীগ কর্মীরা
মুঠোফোনে জাল ভোটের ছবি তুলতে গেলে ছাত্রলীগের এক কর্মী এই প্রতিবেদকে বাধা দেন। তিনি বলেন, ‘আপনারাও জানেন, আমরাও জানি—এই নির্বাচনের গুরুত্ব নাই। শুধু শুধু ঝামেলা করেন কেন?’ অন্যদিকে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা এই প্রতিবেদকে ইশারায় চুপ থাকার অনুরোধ করেন। বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও পোগোজ স্কুলসহ কয়েকটি কেন্দ্রে একই কায়দায় ছাত্রলীগের কর্মীরা জাল ভোট দেন বলে জানা যায়।
মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদের জন্যই ছাত্রলীগ কর্মীদের এই অপতৎপরতা। দুপুরে গেন্ডারিয়ার নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদুর রহমান (সহিদ)। এরপর সব কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে আনা হয়।
পুরান ঢাকার সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, কোতোয়ালি নিয়ে ঢাকা-৬ আসন। এই আসনে কুঁড়েঘর প্রতীক নিয়ে লড়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মো. আকতার হোসেন। তবে কোনো কেন্দ্রে তার কোনো এজেন্টও দেখা যায়নি।
মাত্র ৫ শতাংশ ভোট: এই আসনের অন্তত ৩০টি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোট শুরুর প্রথম তিন ঘণ্টায় একেবারেই হাতে গোনা কয়েকজন ভোটার ভোট দিতে আসেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি একটু বাড়ে।
এমনই একটি কেন্দ্র হচ্ছে কবি নজরুল কলেজের ৩ নম্বর বা ঢাকা-৬-এর ৫৭ নম্বর কেন্দ্রের মোট ভোটারসংখ্যা তিন হাজার ৩৬৯। কেন্দ্রটিতে প্রথম ভোট পড়ে সকাল আটটা ৫৫ মিনিটে। কেন্দ্রের প্রথম ভোট দেন কলতাবাজারের লালবানু। তারপর সারা দিনে কেন্দ্রের ব্যালট বাক্সে জমা পড়ে মাত্র ১৮৪টি। তার মানে এই কেন্দ্রে ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।
বেলা ১১টায় গেন্ডারিয়ার মনিজা রহমান গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার ১ নম্বর বা আসনের ৮০ নম্বর কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৬১টি। কেন্দ্রের মোট ভোটার দুই হাজার ৪০৬ জন। সেই হিসেবে ওই সময় পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র আড়াই শতাংশ। পাশের ৮১ নম্বর কেন্দ্রেরও একই অবস্থা। তখন পর্যন্ত ভোট পড়ে ৫০টি। শতাংশ হিসেবে যা মাত্র দুই শতাংশ। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার দুই হাজার ৫৯৯ জন।
অবশ্য সকাল সোয়া ১০টার দিকে কবি নজরুল কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে এসে প্রার্থী ফিরোজ রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করছি, ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।’
কার্ড আছে, ভোট নেই: জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বে এই আসনের অনেক ভোটারই ভোট দিতে পারেননি। কারণ আগে থাকলেও এবারের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেন্দ্রে ধরনা দিয়েও শেষ পর্যন্ত অনেকেই ভোট না দিয়েই বাড়ি চলে যান।
সোয়া ১১টার দিকে এই এলাকার ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব ভোটকেন্দ্রের সামনে গিয়ে দেখা যায় অর্ধশত নারী-পুরুষের জটলা। রোকেয়া বেগম, রাশিদা, মনোয়ারা, আলেয়া, আয়েশা, মিরাজ হাসান, শামসুল ইসলাম, সোহেলী বেগম, রেজাউলসহ অনেকে জানালেন, তালিকায় তাঁরা নাম খুঁজে পাচ্ছেন না। কেউ কোনো সমাধানও দিতে পারছে না। তবে তাঁদের সবারই জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। গত নির্বাচনেও তাঁরা ভোট দিয়েছেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment