নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন
ঢাকা: সমর্থকদের যে কোনো উপায়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে প্রিজাইডিং অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘ঢাকা-১৫ আসনের বেশ কয়েকজন ভোটার মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে (বালিকা শাখা) আসেন ভোট দিতে। তারা ভোটকেন্দ্রে এসে দেখেন তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে কেন্দ্রের ভোটার তালিকার ছবির কোনো মিল নেই।’
আরটিএনএন
ঢাকা: সমর্থকদের যে কোনো উপায়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে প্রিজাইডিং অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘ঢাকা-১৫ আসনের বেশ কয়েকজন ভোটার মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে (বালিকা শাখা) আসেন ভোট দিতে। তারা ভোটকেন্দ্রে এসে দেখেন তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে কেন্দ্রের ভোটার তালিকার ছবির কোনো মিল নেই।’
ইসি থেকে সরবারহকৃত ভোটার তালিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্রের মিল না থাকায় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টরা তাদের ভোট দিতে বাধা দেন।
বিক্ষুব্ধ ভোটাররা বুথ থেকে বেরিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। তবে পুলিশ নির্বিকার থেকে তাদের কোনো বাধা দেয়নি।
খবর পেয়ে দুপুর পৌনে ১টার দিকে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার। তিনি ভোটকেন্দ্রে এসে প্রিজাইডিং অফিসারের কক্ষে প্রবেশ করেন। জানতে চান, ‘কেন তার সমর্থকদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।’
প্রিজাইডিং অফিসার কামাল আহমেদ মজুমদারকে জানান, ‘ভোটারদের পরিচয়পত্রের সঙ্গে তাদের কাছে থাকা ইসির ভোটার তালিকার কোনো মিল নেই। এমন কি আইডি নম্বরেও গড়মিল। সেজন্যেই তারা ভোট নিচ্ছেন না।’
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল আহমেদ মজুমদারের সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমাদের পোলাপাইন (দলীয় কর্মী-সমর্থক) আইডি কার্ড ছাড়াই ভোট দিবে। আপনারা কিছুই বলতে পারবেন না। ভোট দিতে মানুষ দরকার, আইডি কার্ড না। যে যেভাবে আসে, সেভাবেই ভোট দিবে।’
পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের থামিয়ে কামাল আহমেদ মজুমদার প্রিজাইডিং অফিসারকে বলেন, ‘আমার এলাকার লোকজন ভোট দিতে আসলে, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখেই ভোট দিতে দিবেন। আপনাদের তালিকার সঙ্গে না মিললে তো আমাদের কিছু করার নেই। কারণ ওই পরিচয়পত্র তো ইসিই আমাদের দিয়েছে।’
উত্তরে প্রিজাইডিং অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আপনার (কামাল আহমেদ মজুমদার) এই কথাগুলো আমি নির্বাচন কমিশনে জানাচ্ছি। তারা যে সিদ্ধান্ত দিবে, আমি সেই মোতাবেক কাজ করব।’
এরপর থেকে ওই কেন্দ্রে পরিচয়পত্র নিয়ে এলেই তার ভোট নেওয়া হচ্ছে। ইসির ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে না। গণমাধ্যমকর্মীরা ভেতরে গেলে তাদের বের করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, এই আসনে ৭০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য কামাল আহমেদ মজুমদারের নির্দেশে দুপুরের পর থেকে হঠাৎ করে এ ধরনের ভোট দেওয়া শুরু হয়।
কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশের এক এসআই আরটিএনএন- কে বলেন, মিরপুর জোনের ডিসি ইমতিয়াজের নির্দেশে এখানে ক্ষমতাসীনদের ভোট দিতে কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না। বরং বুথে বুথে গিয়ে ঝামেলা ছাড়াই ভোট নিতে বলা হয়েছে।
এতে করে এই কেন্দ্রে দু-একজন সাধারণ যেসব ভোটার এসেছেন তারা ভোট দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
No comments:
Post a Comment