Friday 17 January 2014

হিন্দুতে ড. চ্যাটার্জির নিবন্ধ...আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরাও হিন্দুর সম্পদ ও বাস্তুভিটা গ্রাস করে

ভারতীয় প্রভাবশালী দৈনিক হিন্দুতে গতকাল প্রকাশিত এক নিবন্ধে হিন্দুদের ওপর জুলুম চালানোর বিষয়ে ক্ষসতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি ও জামায়াতের মনোভাব ও কৌশল মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনার পাশাপাশি এটাও স্পষ্ট করা হয়েছে যে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরাও হিন্দুদের সম্পদ গ্রাস করেছে। আবার যুদ্ধাপরাধের বিচারেও তারা গড়িমসি করেছিল। শাহবাগের তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের পরেই কেবল তারা গুরুত্বের সঙ্গে এই বিচারে মনোযোগী হয়েছে।  
ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগ শাসনামলে দলটির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিয়মিতভাবে হিন্দুদের সম্পদ ও বাস্তুভিটা নিয়মিতভাবে কেড়ে নিয়ে থাকেন। তবে সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগতভাবে আক্রমণ চালানো দলটির নীতি নয়। তবে একই কথা তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও জামায়াতের ক্ষেত্রে খাটে না। তারা নিয়মিতভাবে হিন্দুদের জান ও মাল উভয়ের প্রতি হুমকি হয়ে থাকে। তাই হিন্দুরা কেন গভীর সমুদ্রে প্রেত দেখতে পায় সেটা অনুভব করা কষ্টসাধ্য নয়।’  

ওই নিবন্ধের লেখক ড. গার্গা চ্যাটার্জি কলকাতা থেকে এমবিবিএস করার পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন। বর্তমানে তিনি ম্যাসাচুসেসটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-তে গবেষক হিসেবে কর্মরত।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে বাঙালি হিন্দু শীর্ষক নিবন্ধে ড. গার্গা চ্যাটার্জি আরও লিখেছেন, হিন্দুরা ঐতিহ্যগতভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে থাকে। যে কোন মা
নুষের বেঁচে থাকার জন্য জানমালের নিশ্চয়তা গুরুত্বপূর্ণ। তবে হিন্দুরা এবারে মনে হচ্ছে একূল-ওকূল (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) দু’কূলেরই আনুকূল্য হারিয়েছে। কিছু এলাকায় তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়েছে বলেই বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। আবার অন্য কিছু এলাকা যেখানে আওয়ামী লীগের সরকারি মনোনায়নেই হিন্দু প্রার্থী দাঁড়িয়েছে সেখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হিন্দু ভোটারদের টার্গেট করেছে। গত কয়েক বছর ধরে একটা অস্বস্তিকর প্রবণতা ফুটে উঠেছে যে, স্থানীয়ভাবে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ আওয়ামী লীগার এবং সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী জামায়াতের কর্মীদের মধ্যকার ব্যবধান ঘুচে যেতে শুরু করেছে।’
ওই নিবন্ধে আরও উল্লেখ করা হয় যে, ‘বর্তমান জামায়াত নেতৃত্বের বেশির ভাগই একাত্তরে খুন, ধর্ষণ, লুণ্ঠন ও জবরদস্তি ধর্মান্তরিতকরণের সঙ্গে জড়িত। উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইস্যু সাধারণত জনগণের স্মৃতিতে বেঁচে থাকে। একাত্তরের এই বিচারের ইস্যুটি বাংলাদেশের মানুষের মনে যথেষ্ট জাগরূক। আওয়ামী লীগ বিচার নিয়ে গড়িমসি করছিল। এ অবস্থায় শাহবাগের তরুণদের আন্দোলন দানা বাঁধে। সরকার তাদেরই চাপে এই বিচার গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করতে অনেকটা বাধ্য হয়।’
http://mzamin.com/details.php?mzamin=NzQwOA%3D%3D&s=Mg%3D%3D#.Utj0GlGO-2o.facebook

No comments:

Post a Comment