I am a blogger ..My blog nick name is chairman ..I try to find out the truth from injustice
Tuesday, 22 October 2013
বিডিআর বিদ্রোহের না জানা গোপন অধ্যায় এবং অন্তরালের খুনি
প্রথমেই বলে নেই, চুলকানী উঠলে এই পোস্ট হতে দূরে থাকবেন। আমার দেশের ৫৭জন অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে, এর বিচার আমরা এখনই দাবী করব। কবে বাংলা পরীক্ষা শেষ হবে, ৪২ বছর পর শাহবাগে দল বেঁধে রাজনৈতিক ভরণ পোষণে আন্দোলন করা হবে, সেই আশায় বসে এখন আঙ্গুল চুষবোনা।
অত্যন্ত পরিকল্পিত এই হত্যাযজ্ঞের পিছনে যেমন অনেক ইতিহাস ছিল, তেমনি পরেও তদন্ত,বিচার নিয়ে ঘটা অসংখ্য নাটক লোকচক্ষুর আড়ালেই রয়ে গেছে। সেগুলোই আপনাদের কাছে তুলে ধরবো। আপনারা পড়ুন, জানুন এবং শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সাবেক সচিব আনিস উজ জামান খানের নেতৃত্বে সরকারীতদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত শেষে ৫০পৃষ্ঠার রিপোর্টের মাঝে মাত্র ৬পৃষ্ঠা সাংবাদিকদের মাঝে বিলি করা হয়, বাকিগুলো দীর্ঘসময় অপ্রকাশিত রয়ে যায়। ২০১০ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তখন দেখা যায়, উপরের মহলের নির্দেশে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পর্যন্ত তদন্ত কমিটিকে যথাযথ তথ্য দিয়ে সাহায্য করেনি এবং আরও অনেক না জানা তথ্যও জানা যায় রিপোর্টটির মাধ্যমে।
উল্লেখ্য তদন্তচলাকালীন তিন কমিটির প্রধান, সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী লেঃ কঃ ফারুক খান বিডিআর বিদ্রোহের সাথে আল কায়েদা, জঙ্গি, উলফা, জামাত শিবির ইত্যাদি একের পর এক ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে গিয়েছে; ফলে আসল ষড়যন্ত্রকারী ধরা ছোঁয়ার বাহিরেই থেকে গেছে।
উক্ত তদন্ত কমিটিতে বেসামরিক, সামরিক বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্তি করা হয়। সরকার বারবার সুষ্ঠু তদন্তের কথা বললেও, রিপোর্টের সীমাবদ্ধতা অংশ থেকে যা পাওয়া যায়, তা হল-
- তদন্তের স্বার্থে কমিটি কতোগুলো গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ আবশ্যক মনে করেছে। কিন্তু পর্যাপ্ত সহযোগিতার অভাবে একাজগুলো করা সম্ভব হয়নি।ফলশ্রুতিতে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণসহ এ বিদ্রোহ এবং হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের সনাক্ত করা এবং ঘটনার পিছনে মূল কারণ বা মোটিভ উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
- এনএসআই, ডিজিএফআই, র্যাব, সিআইডি, পুলিশের এসবি ইত্যাদি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও আশানুরূপ সহায়তা প্রদান করেনি।
- কমিটিকে জিজ্ঞাসাবাদের উপযুক্ত সরঞ্জাম, প্রযুক্তি, কৌশল কিছুই সরবরাহ করা হয়নি।
(রিপোর্টঃ পৃষ্ঠা নং ৮)
এতোগুলো বীর সেনা কর্মকর্তার হত্যার তদন্তে এরকম একটি ‘নিধিরাম সর্দার’ টাইপকমিটি গঠনের পিছনে তাহলে কার কি স্বার্থ কাজ করেছিল?
বিদ্রোহের পটভূমিঃ
রিপোর্ট হতে জানা যায়, নির্বাচনের পূর্বেই বিদ্রোহী গ্রুপটি শেখ মনির পুত্র এমপি ব্যারিস্টার তাপসের কাছে দাবী দাওয়া নিয়ে উপস্থিত হয়।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় লাভের ৩/৪ দিনের মাথায় পুনরায় এই গ্রুপটি তাপসের বাসভবন ‘স্কাইস্টারে’ মিটিং করে।
বিদ্রোহের অল্প কিছুদিন পূর্বে গ্রুপটি শেখ সেলিমের সাথেও একটি বৈঠক করে।
(তদন্ত রিপোর্টঃ পৃষ্ঠা নং ৯-১০)
পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে পার্থক্যঃ
বিদ্রোহীদের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের ৩য়(গ) পয়েন্টটি থেকে জানা যায়,
- ডিজির মাধ্যমে অন্য অফিসারদের জিম্মি করা হবে। কোন বাঁধা আসলে গুলি করা হবে,কিন্তু কাউকে হত্যা করা হবে না। (তদন্ত রিপোর্টঃ পৃষ্ঠা নং ১১)
এই কথার সত্যতা পাওয়া যায় খোদ তদন্ত কমিটির বক্তব্য থেকে,
“তবে তদন্ত কমিটি মনে করে এজন্য এতো বিপুল সংখ্যক সেনা কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা তাদের ক্ষোভের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। সার্বিকভাবে দেশের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করার জন্য কোন মহল বিডিআর বিদ্রোহীদের দাবী-দাওয়ার আড়ালে নিজেদের কায়েমী স্বার্থ উদ্ধারের প্রয়াস পেয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়”।
(তদন্ত রিপোর্টঃ পৃষ্ঠা নং ১২)
তাহলে??? সীমান্তে বিএসএফের সাথে জান বাজী রেখে লড়া এই বাহিনীকে পঙ্গু করে দিলে কার কায়েমী স্বার্থ উদ্ধার হবে বলে মনে করেন?
সাহায্যের আবেদন এবং ফিডব্যাকঃ
বিদ্রোহের সূত্রপাতের সাথে সাথে সকাল ৯.৩০ মিনিটে ডিজি মেজর জেঃ শাকিলপ্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান, র্যাব এবং ডিজিএফআই এর মহাসচিবের কাছে মোবাইল ফোনে সাহায্যের আবেদন জানান। আধা ঘণ্টার মাঝেই র্যাব এবং ১১টায় সেনাবাহিনীর অগ্রগামী দলটি সেখানে পৌঁছে যায়। (পৃষ্ঠা নং ১৮)
বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যেই পিলখানার অভ্যন্তরে অভিযান চালানোর উপযুক্ত ৭টি এপিসি(আরমার্ড পার্সোন্যাল ক্যারিয়ার) সহ প্রচুর সংখ্যক সেনাও উপস্থিত হয়। কিন্তু তাদের অভিযান চালানো হতে সম্পূর্ণ বিরত রাখা হয়। (পৃষ্ঠা নং ৩২)
বরং উল্টা বিডিআর বিদ্রোহীদের সাথে আলোচনার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, ইতিপূর্বে বিদ্রোহীদের সাথে বৈঠক করা ফজলে নূর তাপসসহ অন্যান্যদের প্রেরণ করা হয়।
মুন্নি শাহা'র নেতৃত্বে এটিএন বাংলাসহ আরও কয়েকটি মিডিয়া বিদ্রোহীদের মতামত জানার নামে তাদের পক্ষেজনগণের ‘ইমোশন গ্রো’ করার ঘৃণ্য কাজটিও এসময় সম্পন্ন করে। পিলাখানায়সেনাবাহিনীর অভিযান দেরী হওয়া এবং সরকারের টানা পোড়েনের পিছনে এই মিডিয়া প্রভাবিতজনগণের ইমোশনেরও একটা বিশাল ভূমিকা ছিল; যা ২৭তারিখ কর্মকর্তাদের লাশ উদ্ধারের আগ-পর্যন্তঅব্যাহত ছিল।
৪৪ ব্যাটেলিয়ান, মুখোশধারী হত্যাকারীঃ
রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট জানা যায় বিদ্রোহের সূত্রপাত হয় ৪৪নং ব্যাটেলিয়ান থেকে।
- অস্ত্রধারী বিদ্রোহীরা প্রথমে গুলি চালালেও তাদের লক্ষ ছিল মাটির দিকে বা উপরেফাঁকা ফায়ার। (পৃষ্ঠা নং ১৮)
- তারা দরবারের হলের চারপাশে ঘিরে গুলি চালালেও সেখানে ঢুকে অফিসারদের করেনি, বরং আত্মসমর্পণ করতে বলেছিল।
- অফিসাররা ডিজি শাকিলের নেতৃত্বে বেরিয়ে আসতেই সাড়িবদ্ধ করিয়ে দাঁড় করিয়ে মুখোশপড়া জওয়ানেরা ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে। (পৃষ্ঠা নং ১৯)
তাহলে এখানে মোট দুই শ্রেণীর জওয়ান পাওয়া যাচ্ছে। এক শ্রেণী সাধারণ বিদ্রোহী,আরেক শ্রেণী মুখোশধারী কিলিং গ্রুপ।
প্রশ্নটা এখানেই,
-হাজার হাজার জওয়ানের মাঝে নির্দিষ্ট সংখ্যক মুখোশধারী কিলার হবার কারণ কি? এরাকারা?
-কি কারণে তারা স্বেচ্ছায় নিজেদের অফিসারদের মারার দায়িত্বটুকু পালন করল?
-এরা কি প্রকৃতই বিডিআর এর সৈনিক?
ব্লগার দাসত্বের স্ট্যাটাসটি আবারও একটু দেখে আসেন তাহলে। এতে কি বিডিআর বিদ্রোহেরপ্রশ্ন নাকি উত্তর নিহিত?
http://www.facebook.com/dasotto.dasotto/posts/490250577697228
উপরের পয়েন্টগুলো পড়ে বিবেচনা করুন, কমিটির বক্তব্য অনুযায়ী কার স্বার্থ আদায়েআমাদের দেশের ৫৭জন বীর কর্মকর্তাকে বলি দেওয়া হল?
Labels:
বিডিয়ার হত্যাকান্ড
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment