ফেলানী হত্যা মামলার ন্যায্য বিচার থেক বঞ্চিত হয়ে ভারতীয় হাইকমিশন অফিসের সামনের রাস্তার নাম ‘ফেলানী রোড’ করার জন্য ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে জোর দাবি উঠেছে।
ফেসবুকে ‘ঢাকায় ইন্ডিয়ান হাই কমিশনের সামনের রাস্তার নাম “ফেলানী রোড” করা হোক’ নামে একটি পেইজও খোলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তৈরি ঐ ফেসবুক পেইজটি তাদের দাবি নিয়ে সামাজিক মিডিয়াতে হাজির হবার পর মাত্র একদিনের মধ্যে ঐ পেইজটিতে প্রায় ৯০০০ জন যুক্ত হয়েছে।
পেইজে বলা হয়েছে, সরকার দিক বা না দিক, গুলশান-১ এর ১৪২ নাম্বার রোডের নাম “ফেলানী রোড”।
এই দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছানোর জন্য ‘চেঞ্জ ডট অর্গ’ ওয়েবসাইটে একটি পিটিশানও খোলা হয়েছে।
পেজটিতে আরো বলা হয়েছে, শুটিং ক্লাবের সামনে থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত রাস্তাটার নাম “ফেলানী রোড”। সরকার দিক বা না দিক, আমরা সেটাকে “ফেলানী রোড” ডাকব। ইন্ডিয়ান হাই কমিশনও ঐ রাস্তায়, হাই কমিশনারের বাসাও ঐ রাস্তায়। দেখি ফেলানীর নাম না নিয়ে সে কই যায়! উদাহরন হিসাবে তারা বেইলী রোডের কথা বলেন। সরকারের দেওয়া বেইলী রোডের নাম "নাটক স্মরণী" হওয়া সত্ত্বেও বেইলী রোড সেই নামে পরিচিত নয়। সেই হিসাবে তারা ভারতীয় হাইকমিশনারের সামনে রাস্তাটি 'ফেলানী রোড' হিসাবে ডাকতে আগ্রহী।
বিএসএফের হাতে নির্মমভাবে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যার প্রহসনমূলক বিচার এবং সীমান্ত হত্যা প্রতিবাদে বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রতিবাদের অংশ হিসেবেই এই পেজ খোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার পথে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। দালালের মাধ্যমে মই বেয়ে পিতার সঙ্গে কাঁটাতারের বেড়ার ওপরে ওঠেন ফেলানী। এ সময় বিএসএফ এর ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের টহলরত সদস্যদের গুলিতে নির্মম ভাবে প্রাণ হারান ফেলানী।
দীর্ঘ আড়াই বছর পর গত ১৩ আগস্ট ফেলানী হত্যাকাণ্ডের এ বিচার শুরু হলেও বিচারের রায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় ভারতের কুচবিহার ১৮১ বিএসএফ সদর দপ্তরের বিশেষ আদালত।
http://tazakhobor.com/bangla/weird-news/11200-2013-09-12-20-06-39?q=d73c77f2399c3cb8c562ba873ef77a5d
No comments:
Post a Comment