দ্বিতীয় আবাস বা ‘সেকেন্ড হোম’ গড়ার নামে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও আমলাসহ চিহ্নিত একটি সুবিধাবাজ চক্র ৪ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকার সমপরিমাণ মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার করেছেন। একই কায়দায় পাচারের অপেক্ষায় পাইপ লাইনে রয়েছে আরো প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। এমন তথ্যই জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দাদের একটি সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে এ তৎপরতা হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
দায়িত্বশীল একটি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে রাজনৈতিক অঙ্গন যতই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, সুবিধাবাদি একটি মহল ঘোলা এই পরিস্থিতিতে দেশের বাইরে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজা শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সেকেন্ড হোম প্রকল্পের ব্যানারে দেশ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে যারা সম্প্রতি বিদেশে পাড়ি জমানোর জন্য অস্থির হয়ে পড়েছেন ওই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিকরা। সুবিধাভোগী শিল্পপতি, ব্যবসায়ী ও আমলারা দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছেন।
গোযয়েদারা জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা এ পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছেন তাতে বিদেশে পাড়ি জমানোর জন্য সেকেন্ড হোম প্রকল্পে আবেদন করে ৬৪৮ জন অপেক্ষমাণ রয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৮৭ জন, বিএনপি-জামায়াতের ৯৬ জন এবং বাকি ২৬৫ জন সুবিধাভোগী শিল্পপতি, ব্যবসায়ী ও আমলা। তাদের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে মালয়েশিয়া। এ ছাড়াও অনেকেই কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। এ দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে ‘বিনিয়োগকারী’, ‘উদ্যোক্তা’ ও ‘স্ব-কর্মসংস্থান’ কোটায় সহজেই ভিসা দিচ্ছে।
দ্বিতীয় আবাস বা সেকেন্ড হোমের নামে বাংলাদেশিরা কীভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাঠাচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান জানান, কোনো আইনি পদ্ধতিতে এ ধরনের লেনদেনের সুযোগ নেই। যা হচ্ছে সব বেআইনি। এখন পর্যন্ত যারা সেকেন্ড হোম প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা বিদেশে নিয়ে গেছে তাদের কেউই অনুমোদন নেননি।
তিনি জানান, এ বিষয়ে বছর দুয়েক আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে বাংলাদেশি ‘বিনিয়োগকারী’ অভিবাসীদের বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিবাসন হওয়া সবার নাম-ঠিকানাসাপেক্ষেই তথ্য দেয়া সম্ভব বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানোর পর বিষয়টি থমকে গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকায় মালয়েশিয়া হাইকমিশনের মুখপাত্র বলেন, ‘মাই সেকেন্ড হোম’ মালয়েশিয়া সরকারের একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের সবই মালয়েশিয়ার আইন অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে।
গোয়েন্দাদের একটি সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে এ তৎপরতা হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
দায়িত্বশীল একটি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে রাজনৈতিক অঙ্গন যতই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, সুবিধাবাদি একটি মহল ঘোলা এই পরিস্থিতিতে দেশের বাইরে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজা শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সেকেন্ড হোম প্রকল্পের ব্যানারে দেশ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে যারা সম্প্রতি বিদেশে পাড়ি জমানোর জন্য অস্থির হয়ে পড়েছেন ওই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিকরা। সুবিধাভোগী শিল্পপতি, ব্যবসায়ী ও আমলারা দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছেন।
গোযয়েদারা জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা এ পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছেন তাতে বিদেশে পাড়ি জমানোর জন্য সেকেন্ড হোম প্রকল্পে আবেদন করে ৬৪৮ জন অপেক্ষমাণ রয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৮৭ জন, বিএনপি-জামায়াতের ৯৬ জন এবং বাকি ২৬৫ জন সুবিধাভোগী শিল্পপতি, ব্যবসায়ী ও আমলা। তাদের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে মালয়েশিয়া। এ ছাড়াও অনেকেই কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। এ দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে ‘বিনিয়োগকারী’, ‘উদ্যোক্তা’ ও ‘স্ব-কর্মসংস্থান’ কোটায় সহজেই ভিসা দিচ্ছে।
দ্বিতীয় আবাস বা সেকেন্ড হোমের নামে বাংলাদেশিরা কীভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাঠাচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান জানান, কোনো আইনি পদ্ধতিতে এ ধরনের লেনদেনের সুযোগ নেই। যা হচ্ছে সব বেআইনি। এখন পর্যন্ত যারা সেকেন্ড হোম প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা বিদেশে নিয়ে গেছে তাদের কেউই অনুমোদন নেননি।
তিনি জানান, এ বিষয়ে বছর দুয়েক আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে বাংলাদেশি ‘বিনিয়োগকারী’ অভিবাসীদের বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিবাসন হওয়া সবার নাম-ঠিকানাসাপেক্ষেই তথ্য দেয়া সম্ভব বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানোর পর বিষয়টি থমকে গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকায় মালয়েশিয়া হাইকমিশনের মুখপাত্র বলেন, ‘মাই সেকেন্ড হোম’ মালয়েশিয়া সরকারের একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের সবই মালয়েশিয়ার আইন অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে আইনের সাংঘর্ষিকতা ও অর্থ লেনদেনের স্বচ্ছতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য থেকে বিরত থাকেন।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের উপপরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বলেন, সেকেন্ড হোমের ব্যানারে অর্থ পাচারের বিষয়টি সবারই জানা। কিন্তু এ ব্যাপারে যাদের অভিযোগ তোলার কথা তারাই নিশ্চুপ রয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অভিযোগ পেলেই দুদক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভিযোগ ছাড়া এ বিষয়ে দুদকের কিছুই করার নেই।
এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যখন সরকার বদল হবার সময় আসে তখন দেশের ভেতর থেকে অর্থ পাচারের প্রবণতা বাড়ে অথবা অর্জিত অর্থ দেশে ফিরিয়ে না আনার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ২০১০ সালের পর থেকে আবার এটা বেড়ে গেছে।
পরিসংখ্যানও বলছে একই কথা। ২০০২ সালে নতুন করে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম কর্মসূচি শুরু হলেও সে বছর কোনো বাংলাদেশি এ সুযোগ নেননি। পরের বছর অর্থাৎ ২০০৩ সালে প্রথমে এ সুযোগ নেন ৩২ জন।
এরপর থেকেই বাড়তে শুরু করে দেশের বাইরে বাড়ি কেনার হিড়িক। এক বছরে সবচেয়ে বেশি ৮৫২ বাংলাদেশি বিদেশে বাড়ি কেনেন ২০০৫ সালে যা ছিল চারদলীয় জোট সরকারের শেষ বছর। নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ২০১০ সালে দেশ যখন কাতরাচ্ছিল অস্থিতিশীলতার জ্বরে তখন বাড়ি কেনেন ৩৪১ জন।
এরপর থেকে সংখ্যাটি কমতে থাকে। নামতে থাকে এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থানও। তবে বর্তমান সরকারের শেষদিকে এসে বাংলাদেশের অবস্থান ৬ থেকে লাফিয়ে আবারো উঠে এসেছে দুই নাম্বারে।
২০১১ সালে বাড়ি কেনেন ২৭৬ জন আর ২০১২ সালে এ সংখ্যা ৩৮৮। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত বিদেশে বাড়ি কিনেছেন ৯৪ জন।
মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম প্রকল্পের বাড়ি কেনার বিষয়ে সহায়তাকারী অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ইলাকো ট্রেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল আজিজ জানান, এ প্রকল্পের আওতায় এখনো ৬৪৩ বাংলাদেশি আবেদনকারী মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার পর্যটন মন্ত্রণালয়।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের উপপরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বলেন, সেকেন্ড হোমের ব্যানারে অর্থ পাচারের বিষয়টি সবারই জানা। কিন্তু এ ব্যাপারে যাদের অভিযোগ তোলার কথা তারাই নিশ্চুপ রয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অভিযোগ পেলেই দুদক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভিযোগ ছাড়া এ বিষয়ে দুদকের কিছুই করার নেই।
এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যখন সরকার বদল হবার সময় আসে তখন দেশের ভেতর থেকে অর্থ পাচারের প্রবণতা বাড়ে অথবা অর্জিত অর্থ দেশে ফিরিয়ে না আনার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ২০১০ সালের পর থেকে আবার এটা বেড়ে গেছে।
পরিসংখ্যানও বলছে একই কথা। ২০০২ সালে নতুন করে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম কর্মসূচি শুরু হলেও সে বছর কোনো বাংলাদেশি এ সুযোগ নেননি। পরের বছর অর্থাৎ ২০০৩ সালে প্রথমে এ সুযোগ নেন ৩২ জন।
এরপর থেকেই বাড়তে শুরু করে দেশের বাইরে বাড়ি কেনার হিড়িক। এক বছরে সবচেয়ে বেশি ৮৫২ বাংলাদেশি বিদেশে বাড়ি কেনেন ২০০৫ সালে যা ছিল চারদলীয় জোট সরকারের শেষ বছর। নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ২০১০ সালে দেশ যখন কাতরাচ্ছিল অস্থিতিশীলতার জ্বরে তখন বাড়ি কেনেন ৩৪১ জন।
এরপর থেকে সংখ্যাটি কমতে থাকে। নামতে থাকে এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থানও। তবে বর্তমান সরকারের শেষদিকে এসে বাংলাদেশের অবস্থান ৬ থেকে লাফিয়ে আবারো উঠে এসেছে দুই নাম্বারে।
২০১১ সালে বাড়ি কেনেন ২৭৬ জন আর ২০১২ সালে এ সংখ্যা ৩৮৮। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত বিদেশে বাড়ি কিনেছেন ৯৪ জন।
মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম প্রকল্পের বাড়ি কেনার বিষয়ে সহায়তাকারী অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ইলাকো ট্রেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল আজিজ জানান, এ প্রকল্পের আওতায় এখনো ৬৪৩ বাংলাদেশি আবেদনকারী মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার পর্যটন মন্ত্রণালয়।
No comments:
Post a Comment