Saturday 16 March 2013

ভাইগো আমারে বুদ্বি দিয়ে বাচান, নানুতো এইবার আমারে বিয়ে দিয়েই ছাড়ব

ভাইয়েরা বিশাল টেনশনে আছি ....সেই টেনশনের নাম আমার নানী ....আমার আম্মা নানুর একমাত্র মেয়ে আর আমি মায়ের প্রথম ছেলে ....নানু এখন বয়স্ক হয়ে গেছে ....এই বুড়া বয়সে এখন তার সাধ জেগেছে নাতি বউ দেখার .... নাহলে নাকি উনি মরে গিয়ে ও কবরে শান্তি পাবে না ........আমি আর কি করমু নানুর বুড়ো মুখের দিকে তাকিয়ে তাই না করতে পারলাম না .......নানু আমার জন্য একটা মেয়ে ও দেখেছে .....মেয়ে নাকি এমবিবিএস ২য় বর্ষে পড়ে ......

ভাইয়েরা সমস্যাটা এখানেই ....কোথায় যেনো পড়েছিলাম
ডাক্তারি পড়ুয়া মেয়েরা নাকি খুব খিটখিটে মেজাজের হয়  

সারাদিন টিচার ডাক্তারদের লেকচার শুনতে শুনতে এদের নাকি মেজাজ সব সময় মিডলইস্টের বালুর মত থাকে    ...... বিয়ে করার পর নাকি নিজের ভাতের সাথে সাথে বৌয়ের ভাত ও নাকি রান্না করে দিতে হয় ....   আল্লাহ জানে কাপড় কাচার কথা বলে নাকি ? 

তার পর বউ কাজ করবে এক হসপিটালে আর আমার কর্মস্থল হবে অন্যখানে ..... ভাইয়েরা কনতো বিয়ে করে বউ থাকবে একজায়গায় , আরি আমি থাকবো আরেক জায়গায় এটা কি মানা যায় ?   


গতকাল রাত্রে এই সব চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম ...হটাত স্বপ্নে দেখি মেজাজ খিটখিটে ডাক্তার বউ আমার সাথে জঘড়া করে রোগী অপারেশন করতে হসপিটাল গেছে ....হটাত দেখলাম রোগীর অপারেশনের জন্য কেচি , ছুরি নিয়ে বাসায় এসে আমারে অপারশনের জন্য দিলো দৌড়ানি   ....কি আর করমু আমি ও দিলাম দৌড়   বউ আমারে দৌরাড় আর আমি ও দৌড়াই .... দৌড়ানির মাঝেই হটাত ঘুম ভেঙ্গে গেলো ....এই স্বপ্ন দেখার পর তাড়াতাড়ি ২ রাকাত নফল নামাজ পড়ে ফজরের নামাজ পড়লাম ........

শুনলাম পাত্রী ও নাকি ব্লগিং করে ...কিন্তু কোন ব্লগে ব্লগিং করে বা কি নিক তার , তা জানি না ...জানলে অন্তত ফলো করে জানতে পারতাম তার মনোভাব ..সেই কি রকম ব্লগিং করে ..কারো গায়ে পড়ে ঝগড়া করে নাতো ?   টিচার ডাক্তারদের বকুনি খেয়ে তা অন্য ব্লগারদের উপর ঝাড়ে না তো ?  
এখন নানুরে কিভাবে বলি নানু আরেকটি পাত্রী দেখেন ....নানুতো শুনতেই নারাজ ...আমি ও মাঝে মাঝে চিন্তা করি না এইটারেই বিয়ে করমু .....কারণ পাত্রী দেখতে নাকি অনেক সুন্দর   

ভাইয়েরা আপ্নেরা একটা পরামর্শ দেন তো , আমার কি করা উচিত ?    

No comments:

Post a Comment