আমাদের গ্রামের মানুষগুলো অনেক ভালো .....যেই গ্রামে বাস করে ১৬ কোটি মানুষ...আর সেই গ্রামে আছে ২ জন মহিলা ...একজনের নাম জরিনা আরেকজন রহিমা ..২ জনের মাঝে জরিনা বেগম বিএ পাশ এবং ১৭ খানা ডিগ্রী কিনিয়া ...আরেকখান অপেক্ষমান ত্রিপুরার এক ইউনি থেকে ... এমন ভাব দেখায় যেনো সেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিক্ষিত .......
তাই সেই মাঝে মাঝে রহিমাকে খালি খোচা দিয়ে কথা বলতো .........কালকে কে ও জরিনা বেগম রহিমা বেগমকে উদ্দেশ্য করে গ্রামের কুনু এক সমাবেশে কহিলেন উনার কাজের মেয়ে ও নাকি বিএ পাশ .......কারণ রহিমা বেগম নাকি মেট্রিক পাশ করিতে পারেন নাই .....
জরিনা বেগম গ্রামের মানুষের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় কহিলেন , জনগণ নাকি দশ টাকায় চাল খায় ,জরিনা বেগমের গ্রামে মানুষ ৪০ টাকার নিচে চাল তো দুরের কথা খুদ ও কিনতে পায়না আর চোরের মার বড় গলা করে জরিনা বেগম বলেন উনার গ্রামে নাকি ১০০ টাকায় ১০-১২ কেজি চাল পাওয়া যায়।
তার মানে হল (১০+১২)/২*৪০= ১০০ !!!!!!! এই হল জরিনা বেগমের গনিত জ্ঞান!!!
শত শত ডিগ্রি নিলেও তার অজ্ঞতা এভাবেই থলের তলা দিয়ে বেরিয়ে পড়ে ।
তার কাজের বুয়া যে কিরকম বিএ পাশ করছে তা ভাবতে গেলাম্না। ........ কিন্তু রহিমা বেগম ও ইচ্ছে করলে ডক্টরেট ডিগ্রী ওয়ালা বুয়া রাখতে পারেন ........কিন্তু উনারা যদি এখন শিক্ষিত বুয়া রাখার প্রতিযোগিতায় নাম লেখান , তাইলে পাবলিকদের বাশ মারা টাকাই যাবে বুয়াদের পকেটে ...উনাদের কি ?
জরিনা বেগম যে কি রকম শিক্ষিত , আল্লাহই ভালো জানে , যার কতা বার্তায় গ্রামের রাখাল বালকের চেয়ে ও নিকৃষ্ট ......... উনিই নিজে একদিন বলেন রহিমা বেগমের জামাই মুক্তিযোদ্বা ছিলেন , আরেক দিন বলেন না রহিমার জামাই মুক্তিযোদ্বা ছিলেন না , আর জরিনার চামচারা তো আরো কয়েক ডিগ্রী উত্তাপ দিয়ে বলেন , রহিমার জামাই পাশের গ্রামের গুপ্তচর হিসাবে , অথবা বাই চান্সে মুক্তিযোদ্বা হয়েছে ....রহিমা বেগম উনার অফিসে রাত ২ টা পর্যন্ত কি করেন ..উনার জামাইয়ের কফিনে লাশ ছিলো কিনা?..খালি গাজাখুরি প্রশ্ন ,যা দেশ ও দশের উন্নুতির সাথে সম্পৃক্ত নয় .. জরিনা বেগমের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ভালো দিক হলো , তিনি খুব শান্ত ....কিন্তু মাঝে মাঝে লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরে তার উপর নৃত্য করেন , আর একটার বদলে দশটা লাশ ফেলে দিতে বলেন এই আর্কি ?
জরিনা বেগম গ্রামের উন্নয়নের জন্য অলরেডি ১০ হাজার মানুষকে গুম বা হত্যা করেছেন .......এটা ও একটি বিশাল কৃতিত্ব .....আশা করি শান্তিতে ও একটি নুবেল ধরা দিবে শিগ্রই .....রহিমা বেগম একটু সহজ সরল হওয়ার কারণে এই সব কথাবার্তার উত্তর দেন না বলে হয়তো গ্রামটা এখনো টিকে আছে , নাইলে এতো দিনে গ্রামে ২ বেগমের চুলাচুলি শুরু হয়ে যেত ..............
তয় নোবেল কমিটি এই সব হিংসাত্মক কথাবার্তার জন্য জরিনা বেগমকে আজকে নুবেল পুরস্কার দিবেন বলে কাশেম টিভির সুত্রে জানা গেছে .........
আসলেই সাধারণ মানুষ হিসাবে আমি আর কি বলবো , যদি এই সব হিংসাত্মক কথা বার্তায় নোবেল পাওয়া যায় যায় , তাহলে শুধু শুধু কেন , দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো , শেয়ার বাজার ঠিক রাখা , বিদ্যুত উত্পাদন করা , ডগলিক কন্ট্রোল করা , দেশের ব্যাংকের টাকা ঠিক রাখা দেশের অবকাঠামোর উন্নয়ন , সব দলের সহঅবস্থানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের কি দরকার ?
(এটা মূলত অলস মস্তিস্কের কাল্পনিক লেখা ,বাস্তবে কারো চরিত্রের সাথে মিলিয়া গেলে আমি দায়ী নাইক্কা )
No comments:
Post a Comment