![Shift+R improves the quality of this image. Shift+A improves the quality of all images on this page.](http://www.bdtoday.net/blog/bloggeruploadedimage/chairman/1361399688.jpg)
আজ আন্তর্জার্তিক মাতৃভাষা দিবস , এই দিনে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বুকের তাজা রক্ত দিয়ে গিয়েছিলেন সালাম বরকত রফিক ও জব্বার ও নাম না জানা অনেকেই ..
আগে জেনে নেই ভাষা আন্দোলনের পটভূমি
১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ভাষণকালে কায়েদে আজম মোহম্মদ আলি জিন্নাহ ঘোষণা করলেন, "উর্দু, এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।"
তার ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গোটা বাংলা।
তৎকালীন বহুভাষিক রাষ্ট্র পাকিস্তানে বিভিন্ন অঞ্চলে মাতৃভাষাভিত্তিক পরিসংখ্যানমতে,
বাংলায় কথা বলে প্রায় ৫৪% জন
পাঞ্জাবিতে প্রায় ২৭% জন
উর্দুতে প্রায় ৬% জন
পশতুতে প্রায় ৬% জন
হিন্দিতে প্রায় ৫% জন
ইংরেজিতে প্রায় ২% জন
১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ
বিজ্ঞানের অধ্যাপক আবুল কাসেম, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জনাব শামসুল আলম প্রমুখের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়
সাংস্কৃতিক সংস্থা তমদ্দুন মজলিস। এই তমদ্দুন মজলিস ছিল ভাষা আন্দোলনের স্থপতি সংগঠন।
![](http://www.bdtoday.net/blog/bloggeruploadedimage/chairman/1361396470.jpg)
তমজুদ্দিন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবুল কাশেম ...
বাংলাকে মাতৃভাষা করার জন্য আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয় , তারপরে সরকার ২০ ফেব্রুয়ারী ১৪৪ ধারা জারি করে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সমবেত ছাত্ররা ২১ ফেব্রুয়ারী ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে। পুলিশ ভাষা সৈনিকদের উপর গুলি বর্ষণ করলে ভাষা শহীদদের তপ্ত রক্তে সিক্ত হয় ঢাকার মাটি। ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারী পুলিশের গুলিবর্ষণে যারা শহীদ হন তাদের মধ্যে ছিলেন সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বার প্রমুখ। ভাষা
সৈনিকদের অনেকে গ্রেফতার হন।
![](http://www.bdtoday.net/blog/bloggeruploadedimage/chairman/1361399901.jpg)
পরে ১৯৯৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর প্রথম বাংলাদেশ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে ২১ ফেরুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। সেই প্রস্তাবের ভিত্তিকেই প্যারিসে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর ৩০তম সাধারণ সভায় ভাষার জন্য এই বিশাল আত্মত্যাগের ঘটনাটিকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয় এবং ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর ফলে, পরের বছর থেকে বিশ্বের ১৮৮ টি দেশ একযোগে ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে
ভাষা আন্দোলনে শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারণে গোলাম আজমকে ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না ..অন্য দিকে ক্ষমতার দাপটে জেলে থাকা মুজিবকে ভাষা সৈনিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আওয়ামীলীগ মিথ্যাচার শুরু করে দিয়েছে ..
ভাষা আন্দোলন নিয়ে গোলাম আজমের ভুমিকা :
![](http://www.bdtoday.net/blog/bloggeruploadedimage/chairman/1361398619.jpg)
* ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ একদল ছাত্র নিয়ে ভাষা আন্দোলনের পক্ষে পিকেটিং করার সময় সদলবলে গ্রেফতার হন এবং তেজগাঁও থানায় বেড়া-বিহীন টিনের ঘরে সাত দিন রোদ বৃষ্টিতে অসহনীয় যন্ত্রণায় ভুগেছেন।
* ১৯৪৮ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে গোলাম আযম রাষ্ট্রভাষা ও পূর্ব পাকিস্তানের সামগ্রিক দাবী সম্বলিত ঐতিহাসিক ‘অভ্যর্থনা স্মারকলিপি’ প্রদান করেন। উল্লেখ্য, ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ঢাকসু) জি.এস. ছিলেন।
* ১৯৫২ সালে মার্চের ৬ তারিখে রংপুরে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে গ্রেফতার হয়ে একমাস রংপুর জেলে অন্তরীণ ছিলেন।
* ২১ ফেব্রুয়ারী যাতে পালন করতে না পারেন তার জন্য ১৯৫৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং দু মাস পরে হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি লাভ করেন।
* ১৯৫৫ সালে কারান্তরীণ অবস্থায় রংপুর কারমাইকেল কলেজের চাকুরী থেকে তাকে অব্যহতি দেয়া হয়। গভর্নিংবডির পক্ষ থেকে জেলে তাকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয় যে, বার বার গ্রেফতার হওয়ায় ছাত্রদের পড়ার ক্ষতি হয় বলে কলেজে তাকে আর প্রয়োজন নেই।
সূত্র ভাষা সৈনিক গোলাম আযম
ভাষা আন্দোলনে লিয়াকত আলী খানকে লেখা গোলাম আজমের মানপত্র
ভাষা আন্দোলনের সময় শেখ মুজিব জেলে ছিলেন ...কিন্তু বর্তমানে মন্ত্রী এমপিরা মুজিবকে ভাষা সৈনিক বানিয়ে দিয়েছিলেন ..কিন্তু এই সম্পর্কে ভাষা সৈনিক বদর উদ্দিন উমর কি বলেন ?
শেখ হাসিনা , ‘এ সময় বলেছিলেন মুজিবকে ফরিদপুর জেলে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি ১৪ ফেব্রুয়ারি অনশন শুরু করলে ১৬ ফেব্রুয়ারি তাকে আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিত্সার জন্য আনা হয়। সেখান থেকেই বঙ্গবন্ধু একুশে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভাঙার নির্দেশ দেন।’
তার উত্তরে বদর উদ্দিন উমর বলেন
ঐতিহাসিক হিসেবে শেখ হাসিনার এ এক নতুন তথ্য আবিষ্কার! আসলে শেখ মুজিব ও বরিশালের মহিউদ্দীন আহমদকে ১৫ই ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর তিনি ও মহিউদ্দীন সেখানে ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য নয়, নিজেদের মুক্তির জন্য অনশন শুরু করেন। (অলি আহাদ- জাতীয় রাজনীতি পৃ: ১৫১—৫২)
শেখ মুজিব সম্পর্কে আরেক ভাষা সৈনিক বিএনপি নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন
মহান ভাষা অন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো অবদান নেই বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলের নেতারা বলেন, আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনের প্রথম সোপান ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ছিল_ এখন পর্যন্ত কোনো গবেষণায় এমন তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়নি। অথচ আওয়ামী বুদ্ধিজীবীরা দাবি করছেন শেখ মুজিব নাকি ভাষাসৈনিক ছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমান কোনো যুক্তিতেই ভাষাসৈনিক ছিলেন না।
ভাষা আন্দোলনের সংগঠক তমুযুদ্দিন মজলিসের নেতারা ও বলেন ভাষা আন্দোলনে মুজিবের কোনো ভুমিকা নাই
এই হচ্ছে আমাদের দেশে ক্ষমতার রাজনীতি ...শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারণে অধ্যাপক গোলাম আজমকে ভাষা সৈনিকের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না ..আবার সাধারণ জনগনের দাবিকে ও মানা হচ্ছে না ..
গোলাম আজমকে ভাষা সৈনিক মর্যাদা দেওয়ার জন্য জরিপ চালায় আমাদের সময় পত্রিকা ..সেখানে ১৫ হাজারের মোট পাঠক গোলাম আজমকে ভাষা সৈনিক মর্যাদা দেওয়ার জন্য ভোট দেয় ..বিপরীতে মাত্র ৩০০০ ভোটার বিরোধিতা করে ..নিচে স্ক্রিন শট দেওয়া হলো
![](http://www.bdtoday.net/blog/bloggeruploadedimage/chairman/1361399389.jpg)
বর্তমান দেশের মানুষের মতামতকে শ্রদ্বা করে , রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে সরকারের উচিত অধ্যাপক গোলাম আজমকে ভাষা সৈনিকের মর্যাদা দেওয়া ...
No comments:
Post a Comment