Saturday, 1 November 2014

বাংলাদেশ-ভারত তো ‘এক’... স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

আসাদুজ্জামান খান কামাল বাংলাদেশ-ভারত তো ‘এক’ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ও সংস্কৃতির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘আমরা অভিন্ন দেশ, আমরা কথা বলি এক ভাষায়, আমাদের খাদ্য একই। আমাদের দুই দেশের নাম ভিন্ন হতে পারে কিন্তু আমরা তো এক।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সার্ক কালচারাল সোসাইটি আয়োজিত মৈত্রী উৎসবে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

Wednesday, 22 October 2014

শেখ কামালের কিছু অপকীর্তি

আওয়ামীলীগ নেতা গাজি গোলাম মোস্তফার ছেলে ছিল শেখ কামালের বন্ধু। এদের প্রায় ৩০ জনের একটা দল ছিল। বিভিন্ন জায়গায় এরা আড্ডা মারত। আবার সেনাবাহিনীর অফিসারদের কোন পার্টি হলে সেখানেও এই দলটি উপস্থিত হত। দলের মধ্যে একজন তৎকালীন প্রেসিডেন্টের ছেলে হওয়ায় দলটির ক্ষমতাই ছিল অন্যরকম। কাউকে তোয়াক্কা করত না তারা। একটি বিয়ের পার্টিতে মেজর ডালিমের বউকে দেখে আওয়ামীলীগ নেতা গাজী গোলাম মোস্তফার ছেলে তার উদ্দেশ্যে অশালীন মন্তব্য করে। এবং এক পর্যায়ে মেজর ডালিমের স্ত্রীর হাত ধরে টানাটানি করে।এ অবস্থায় ডালিম বাধা দিতে এগিযে গেলে তার সাথে গোলাম মোস্তফার ছেলের ঝগড়া হয়। শেখ কামাল সেখানে উপস্থিত ছিলো। সে সরাসরি তার বন্ধুর পক্ষ নেয় এবং মেজর ডালিমের বউকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকেই তুলে নিয়ে যায়। ( তিনটি অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা---লে, কর্নেল (অব) এম এ হামিদ পি এস সি)


সময়কাল ১৯৭৩ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর দিবাগত রাত। শেখ কামাল ও তার সহযোগীরা অস্ত্র হাতে ঢাকার রাস্তায় কুখ্যাত সাদা রঙ এর মাইক্রোবাস নিয়ে নেমেছে। উদ্দেশ্য ব্যাংক ডাকাতি। অন্যদিকে শহরজুড়ে সিরাজ শিকদারের আগমনধ্বনিতে কম্পমান মুজিব ও তার চ্যালা চামুন্ডারা। পুলিশ বাহিনী চরম স্নায়ুচাপে ভুগছে। ব্যাংক ডাকারি চেষ্টাকালে শেখ কামালের দলবলকে সিরাজ শিকদারের দল মনে করে গুলি চালায় সার্জেন্ট কিবরিয়া। আহত হয় শেখ কামাল। পরদিনের গণকণ্ঠ পত্রিকায় বিস্তারিত ছাপা হয় মুজিব পুত্রের ব্যাংক ডাকাতির কাহিনী। (মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব) বীরবিক্রম)
সময়কাল ১৯৭৫।

Wednesday, 3 September 2014

পিডিবির তার সরবরাহে ভয়াবহ জালিয়াতি..৩৯ কোটি টাকায় ৩৬ শ’ খালি ড্রাম!

প্রতি ড্রামে বৈদ্যুতিক তার থাকার কথা এক হাজার ৭০০ মিটার। কর্মকর্তারা যে ক’টি ড্রাম খুলে পরিমাপ করেছেন সেগুলোর প্রত্যেকটিতে পেয়েছেন মাত্র ৪০০ মিটার। অর্থাৎ প্রতি ড্রামে এক হাজর ৩০০ মিটার তার কম পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় একটির পর একটি ড্রাম যতই মাপছিলেন ততই গলা শুকিয়ে যাচ্ছিল ইন্সপেকশন টিমের সদস্যদের। এত বড় দুর্নীতি দেখে তারাই হতভম্ব হয়ে যান। তারা একপর্যায়ে ড্রাম খোলা বা মাপা বন্ধ করে দিয়ে বাকিগুলো নেড়েচেড়ে ওজন অনুমান করার চেষ্টা করেছেন। এতে ড্রামের গঠন ও ওজন আন্দাজ করে তাদের আশঙ্কা সব ড্রাম খোলা হলে হয়তো কোনো কোনোটিতে আরো কম এমনকি খালিও পাওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগে নজিরবিহীন এই ঘটনায় আঁতকে ওঠেন সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক দলের সদস্যরা। এ ঘটনায় প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকতে পারে, এ আশঙ্কায় পরিদর্শক দলের সদস্যরা ভয়ে তদন্তকাজ অসমাপ্ত রেখেই ঢাকায় ফিরে যান। 
গত ১০ আগস্ট বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) টঙ্গীর কেন্দ্রীয় ভাণ্ডারে ঘটেছে ভয়াবহ এ জালিয়াতির ঘটনা। ভাণ্ডারে গত জুন মাসে ১১০ ট্রাকে তিন হাজার ৬৩০ ড্রাম বৈদ্যুতিক অ্যালুমিনিয়াম তার সরবরাহ করে সরকারি দলের একজন প্রভাবশালী সংসদ সদস্যের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। পরিদর্শক দলের তদন্তে পুকুর চুরি ধরা পড়ায় তারা বর্তমানে চাপের মধ্যে রয়েছেন ও একই সাথে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে জোর চেষ্টা চলছে বলেও জানা গেছে।

Tuesday, 26 August 2014

পঁচাত্তরের পালাবদল এবং জাসদের দায়

এরূপ পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে নিদারুণ দমননীতির মাধ্যমে। এ দমননীতি চালানো হচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায়।...বিগত তিন বছরে অপদার্থ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মীকে খুন করেছে, হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীকে জেলে পুরেছে, বিদেশি শক্তির সহায়তায় ঘৃণ্য রক্ষীবাহিনী ও গুপ্তঘাতক বাহিনী গঠন করে জনসাধারণের ওপর চালিয়েছে অমানুষিক অত্যাচার ও নিষ্পেষণ।...বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই আমাদের সংগ্রামের প্রধান রূপ হচ্ছে যুদ্ধ আর সংগঠনের প্রধান রূপ হচ্ছে সৈন্যবাহিনী।...বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যেক প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মীর কর্তব্য হচ্ছে বিপ্লবী গণবাহিনীতে যোগ দেওয়া...।
চুয়াত্তরের ১৭ মার্চ ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর বাড়ি ঘেরাওয়ের পর জাসদ তার রণনীতি পাল্টাতে থাকে। শুরু হয় গণবাহিনী গড়ার প্রক্রিয়া। এর একটা সাংগঠনিক কাঠামো দাঁড়িয়ে যায় চুয়াত্তরের নভেম্বরের মধ্যে। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়া এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজার বিভাগের পরিচালক পদে চাকরিরত অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল আবু তাহেরকে ফিল্ড কমান্ডার এবং জাতীয় কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনুকে ডেপুটি কমান্ডার করে গণবাহিনী গঠন করা হয়েছিল। হাসানুল হক ইনু বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য এবং জাসদের সভাপতি। গণবাহিনীর অনেকেই এখন আওয়ামী লীগের সদস্য। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি মাদারীপুর জেলা গণবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন।

জাসদ কি কাফফারা দিচ্ছে? ....মাহমুদুর রহমান মান্না

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দার ফোন করেছিলেন। বললেন, জাসদ নিয়ে অনেক কথাবার্তা লেখালেখি হচ্ছে। আপনি কিছু বলছেন না যে? আপনি তো জাসদের জন্ম থেকে ছিলেন। অনেক কিছু জানেন যা আমাদেরও জানার প্রয়োজন হতে পারে। লিখুন না।
আবু সালেহ সেকেন্দার হয়তো জানেন না জাসদ নিয়ে এ পত্রিকায় ৯ জুলাই আমি একটি লেখা লিখেছিলাম। মাত্র ২২ বছর বয়সে আমি জাসদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলাম। তখনো আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ চাকসুর সাধারণ সম্পাদক। স্বাধীনতার পরে এই একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে ছাত্রলীগ জিতেছিল। তখনো ছাত্রলীগ ভাঙেনি। কেন্দ্রসহ সারা দেশে মুজিববাদ ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের লড়াই শুরু হয়েছে। স্পষ্টত সমাজ বিপ্লবের বক্তব্য দিয়ে ওই নির্বাচনে আমি অংশ নিয়েছিলাম এবং জয়লাভের পরে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়ে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিলাম। '৭২-এ পল্টনে ছাত্রলীগের সম্মেলনে সে কারণে আমাকে বিশেষ বক্তা রাখা হয়েছিল রাতের অধিবেশনে। কিন্তু ছাত্রলীগের এক নেতা, মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর ইনস্ট্রাকচার, পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি, '৭৩-এ হাইজ্যাক হয়ে যাওয়া ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী সহ-সভাপতি আ ফ ম মাহবুবুল হক রাত ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত একনাগাড়ে ৪ ঘণ্টা বক্তৃতা করেন। যখন তার বক্তৃতা শেষ হয় তখন আমি আর বক্তৃতা করিনি। কিন্তু একটি আবেশ আমাকে জড়িয়ে রেখেছিল। রাত ২টা পর্যন্ত এই যে ছাত্রকর্মীদের বক্তৃতা শোনা, এখন তো কল্পনাই করতে পারি না।

Thursday, 31 July 2014

শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা সমগ্র



১) শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার সংক্ষিপ্ত জীবনী ও পরিচিতি

http://chairmanbd.blogspot.co.uk/2014/07/blog-post_83.html


২) বিচার প্রক্রিয়া : শহীদ হওয়ার দিন পর্যন্ত : বাংলাদেশ ওয়ারক্রাইম ব্লগ।  ডেভিড বার্গমেন http://bangladeshwarcrimes.blogspot.co.uk/search/label/Molla 
৩) শহীদ হওয়ার আগে কর্মীদের প্রতি আব্দুল কাদের মোল্লার নসিহত : আমার অনুরোধ, আমার শাহাদাতের পর ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা যেন ধৈর্য্য ও সহনশীলতার পরিচয় দেয় - আব্দুল কাদের মোল্লা
http://jamaat-e-islami.org/details.php?artid=MTU1MzE=

৪) কাদের মোল্লা, কসাই কাদের ও কিছু প্রশ্ন
http://nuraldeen.com/2013/12/24/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%93/ 
৫) কাদের মোল্লাকে নিয়ে জামায়াতের সাইটের আরো থ্রেড :
http://jamaat-e-islami.org/categorypage.php?catid=45 

৬) কাদের মোল্লার জানাজা : 
ছবি কি বলে শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা কি আসলেই কসাই কাদের? 
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4901/Banglardamalsontan/33596#.U9rp5vldWSo  
সারাদেশে কার গায়েবানা জানাজা দেখলাম ? একজন অপরাধী হলে তো এমন হবার কথা নয় ?
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/2601/muhon/33569#.U9rxc_ldWSo

৭) শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার জানাজার নামাজ ও দাফনের চিত্র 
https://www.youtube.com/watch?v=eOccVIgH-ro 

শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার সংক্ষিপ্ত জীবনী ও পরিচিতি

আব্দুল কাদের মোল্লা
সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

সামাজিক নেতা হিসাবে আব্দুল কাদের মোল্লা একটি পরিচিত নাম। তার জন্ম ১৯৪৮ সালে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন। ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার জরিপারডঙ্গী গ্রামে তিনি জন্ম গ্রহণ করেছেন। ধার্মিক একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার বেড়ে ওঠা। বড় হন তার পরিবার একটি । তার গ্রামের জরিপারডঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েই তার শিক্ষা জীবনের শুরু। বরাবরই তিনি ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। তিনি যথাক্রমে ১৯৫৯ ও ১৯৬১ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বৃত্তি লাভ করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে আমিরাবাদ ফজলুল হক ইন্সিটিউট থেকে প্রথম শ্রেণীতে মাধ্যমিক পরিক্ষায় কৃতকার্য হন।

এরপর তিনি একই জেলার রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন। কৃতিত্বের সাথে ১৯৬৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষায় উত্তীর্ন হন তিনি। ১৯৬৮ সালে তিনি একই কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেন। কিন্তু প্রবল আর্থিক সংকটের কারনে এরপর তাকে শিক্ষকতা পেশায় আত্মনিয়োগ করতে হয়। পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া হয়নি তখন আর। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। মুক্তিযুদ্ধের কারনে ১৯৭১ সালে তার মাস্টার্স পরীক্ষা দেয়া হয়ে ওঠেনাই। ১৯৭৫ সালে তিনি সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষা প্রশাসনের ডিপ্লোমায় অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরে ১৯৭৭ সালে তিনি শিক্ষা প্রশাসন থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। এখানেও তিনি প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হন। জনাব মোল্লা তার ছাত্র জীবন থেকেই শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঢাকার বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন।

তার এম,এড পরীক্ষার রেজাল্টের পরে তিনি বাংলাদেশ রাইফেলস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। পরে তিনি একই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে তিনি ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে সংস্কৃতি কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে রিসার্স স্কলার হিসাবে বাংলাদেশ ইসলামী সেন্টারে যোগ দেন। ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি হিসাবে ছিলেন। ১৯৮১ সালে জনাব মোল্লা বিখ্যাত দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে যুক্ত হন। তখন থেকেই তিনি সাংবাদিকতার সাথে জড়িত রয়েছেন।

জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার রয়েছে সংগ্রামী রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যায়নকালেই তিনি কম্যূনিজমের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং কম্যূনিষ্ট পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্রইউনিয়নে যোগ দেন। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি এ সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকেন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরে তিনি বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ মাওলানা মওদূদী লিখিত তাফহীমুল কুরআনের সাথে পরিচিত হন। আগ্রহের সাথে তিনি এ গ্রন্থ পড়তে থাকেন।

তাফহীমুল কুরআনের হৃদয়স্পর্শী ছোঁয়ায় তিনি ইসলামের প্রতি প্রবল আকর্ষীত হন এবং ১৯৬৬ সালে তৎকালীন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী ছাত্রসংঘের পূর্বপাকিস্তান শাখায় যোগদান করেন। ১৯৭০ সালে তিনি এ সংগঠনের সদস্য হন। পরবর্তীতে তিনি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামী ছাত্রসংঘের শহিদুল্লাহ হল শাখার সভাপতি ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি ছাত্রসংঘের ঢাকা বিশব্বিদ্যালয় শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। অতঃপর তার উপর ঢাকা নগরী ছাত্রসংঘের সেক্রেটারীর দায়িত্ব অর্পিত হয়। একই সাথে তিনি কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ছিলেন।

তার বর্নীল ছাত্রজীবন শেষে ১৯৭৭ সালের মে মাসে তিনি বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে যোগ দেন এবং ১৯৭৮ সালের নভেম্বর মাসে রুকন শপথ নেন। অতঃপর তাকে প্রবীণ বর্ষীয়ান নেতা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের ব্যাক্তিগত সেক্রেটারি হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি জামায়াত ঢাকা মহানগরীর শূরা সদস্য ও কর্মপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। অল্পদিনের ব্যাবধানে তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশ-এ-শূরার সদস্য হন। ১৯৯২ সালে তাকে ঢাকা মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারির দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা মহানগরীর নায়েব-এ-আমীরের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৫ সালে জনাব মোল্লা জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর আমীর নির্বাচিত হন এবং কেন্দ্রিয় কর্মপরিষদের সদস্য হন। ১৯৯১ সালে তাকে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় এবং উক্ত দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করতে থাকেন। ২০০০ সালে তাকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব দেয়া হয়। উক্ত দায়িত্বের পাশাপাশি আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী আন্দোলনে তিনি চার দলীয় জোটের লিয়াজো কমিটির গুরুত্বপূর্ন সদস্য হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন।

জনাব মোল্লাকে বিভিন্ন মেয়াদে চার চারবার জেলে যেতে হয়। আইয়ুব সরকারের নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের দায়ে ১৯৬৪ সালে প্রথমবারের মত তিনি গ্রেপ্তার হন। জেলে যেতে হয়। বিনা উস্কানীতে ১৯৭২ সালে তিনি আবার গ্রেপ্তার হন। কিন্তু স্থানীয় জনতার বিক্ষোভের মুখে পুলিশ তাকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশন কাস্টোডী থেকেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। জেনারেল এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কারনে আব্দুল কাদের মোল্লাকে আবারও আটক করে রাখা হয়। পরে উচ্চ আদালত তার এ আটকাদেশকে আবৈধ ঘোষণা করলে চার মাশ পরে তিনি মুক্ত হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন করায় তৎকালীন বিএনপি সরকার ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তাকে আটক করে।

জনাব মোল্লা একজন উত্তম সমাজসেবক। ১৯৮২ ও ১৯৮৩ সালে তিনি পরপর দুই বছর ঢাকা ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট (ডি ইউ জে) এর সহসভাপতি নির্বাচিত হন।

তিনি সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক সংস্থার সাথে যুক্ত । এদের মধ্যে বাদশাহ ফয়সাল ইন্সটিটিউট, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সোসাইটি ও এর স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, সদরপুর মাদরাসা ও এতিমখানা, ফরিদপুর জেলার হাজিডাঙ্গি খাদেমুল ইসলাম মাদরাসা ও এতিমখানা, সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদূদী একাডেমী অন্যতম। তিনি এসব মাদরাসা ও এতিমখানার উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করে আসছেন। এছাড়াও তিনি পরপর তিন মেয়াদের জন্য বাদশাহ ফয়সাল ইন্সটিটিউট ও এর ট্রাস্টের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ছিলেন। জনাব মোল্লা দেশ বিদেশের সমসাময়িক বিষয়ের উপর কলাম ও প্রবন্ধ লিখে আসছেন। ইসলামের বিভিন্ন দিকের উপরো তার লেখা পাওয়া যায়। তার সুচিন্তিত কলাম ও প্রবন্ধ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও বস্তুবাদ, কম্যূনিজমের উপরে তার বৈজ্ঞানিক সমালোচনা শিক্ষিত মহলের কাছে সমাদৃত হয়েছে।

জনাব মোল্লা ইতোমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করেছেন। এরই মধ্যে তিনি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান, সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান ও ভারতে সফর করেছেন।

জনাব মোল্লা বেগম সানোয়ার জাহানের সাথে ১৯৭৭ সালের ৮ অক্টোবর তারিখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দুই পুত্র ও চার কন্যার সুখি সংসার তাদের। সব সন্তানই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছেন। সবাই ইসলামী আন্দোলনের সাথে জড়িত। বেগম সানোয়ার জাহান জামায়াতের রুকন ।

জনাব মোল্লা নিয়মিত কুরআন পড়তে ও কুরআন তেলাওয়াত শুনতে পছন্দ করেন। তিনি সাংগঠনিক ব্যাস্তময় সময় থেকে তিনি বিভিন্ন বিখ্যাত লেখক, কবি- যেমন আল্লামা ইকবাল, সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদূদী, সাইয়্যেদ কুতুব, মোহাম্মাদ কুতুব, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, ফররুখ আহমেদ সহ বিখ্যাত লেখকদের লেখা পড়ার জন্য নিয়মিত সময় বেড় করেন।

এই জাতীয় দেশ বরেন্য সংগঠক ও শিক্ষাবিদ আজ আওয়ামী দুশাসনের স্বীকার হয়ে মিথ্যা অপবাদে জেল খানার মধ্যে আটক রয়েছেন। দেশবাসী তার সম্মানজনক মুক্তির জন্য অপেক্ষায় আছেন।

আজ ট্রাইব্যুনাল-২ এ তার বিরুদ্ধের বিচারের রায় ঘোষনা চলছে। মহান আল্লাহ-র কাছে অগণিত মানুষ আজ তার জন্য দোয়া করছেন। আল্লাহ যেন তাকে খুব সম্মানজনকভাবে মুক্তি দিয়ে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেন। আমীন।
সামাজিক নেতা হিসাবে আব্দুল কাদের মোল্লা একটি পরিচিত নাম। তার জন্ম ১৯৪৮ সালে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন। ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার জরিপারডঙ্গী গ্রামে তিনি জন্ম গ্রহণ করেছেন। ধার্মিক একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার বেড়ে ওঠা। বড় হন তার পরিবার একটি । তার গ্রামের জরিপারডঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েই তার শিক্ষা জীবনের শুরু। বরাবরই তিনি ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। তিনি যথাক্রমে ১৯৫৯ ও ১৯৬১ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বৃত্তি লাভ করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে আমিরাবাদ ফজলুল হক ইন্সিটিউট থেকে প্রথম শ্রেণীতে মাধ্যমিক পরিক্ষায় কৃতকার্য হন।

এরপর তিনি একই জেলার রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন। কৃতিত্বের সাথে ১৯৬৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষায় উত্তীর্ন হন তিনি। ১৯৬৮ সালে তিনি একই কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেন। কিন্তু প্রবল আর্থিক সংকটের কারনে এরপর তাকে শিক্ষকতা পেশায় আত্মনিয়োগ করতে হয়। পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া হয়নি তখন আর। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। মুক্তিযুদ্ধের কারনে ১৯৭১ সালে তার মাস্টার্স পরীক্ষা দেয়া হয়ে ওঠেনাই। ১৯৭৫ সালে তিনি সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষা প্রশাসনের ডিপ্লোমায় অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরে ১৯৭৭ সালে তিনি শিক্ষা প্রশাসন থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। এখানেও তিনি প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হন। জনাব মোল্লা তার ছাত্র জীবন থেকেই শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঢাকার বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন।

Wednesday, 23 July 2014

40 maps that explain the Middle East


by Max Fisher on May 5, 2014


Maps can be a powerful tool for understanding the world, particularly the Middle East, a place in many ways shaped by changing political borders and demographics. Here are 40 maps crucial for understanding the Middle East — its history, its present, and some of the most important stories in the region today.

    Middle East History

  1. The fertile crescent, the cradle of civilization

Friday, 18 July 2014

"ঈহুদিরা শক্তিশালী এবং মুসলমানেরা শক্তিহীন কেন?"

পৃথিবীতে ইহুদির সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লক্ষ। এই জনসংখ্যায় প্রতি ১ জন ইহুদীর জন্য মুসলমানের সংখ্যা ১০০ জনের ও বেশী। অথচ ইহুদীরা মুসলমানদের তুলনায় শক্তিশালী, কেন?
আলবার্ট আইনস্টাইন ছিলেন ইহুদী। টাইম ম্যাগাজিনের নির্বাচনে নির্বাচিত শতাব্দীর সেরা মানব “ সিগমন্ড ফ্রয়েড” ছিলেন ইহুদী সিগমন্ড ফ্রয়েড কে বলা হয়ে থাকে “ সাইকোএনালিসিসের জনক” কার্ল মার্কস, পল স্যামুয়েলসন , মিল্টন ফ্রয়েডম্যান এরা সবাই ছিলেন ইহুদী।
অনান্য উল্লেখযোগ্য ইহুদী যারা সমগ্র মানব কল্যানে নিবেদিত ছিলেন এবং তাদের অবদান হল-
বেঞ্জামিন রুবিন(Benjamin Rubin ) প্রতিরোধক ভ্যাক্সিনের সুচ আবিস্কার, জোনাস সক ( Jonas Salk ) পোলিও ভ্যাক্সিনের উদ্ভাবক। এলার্ট সেবিন- Alert Sabin মুখে খাওয়ার পোলিও প্রতিরোধক ভ্যাক্সিনের উদ্ভাবক। গারট্রুড এলিওন Gertrude Elion রক্ত ক্যান্সারের ঔষধ আবিস্কার, বারুখ ব্লুমবার্গ (Baruch Blumberg )- হেপাটাইটিস বি’র প্রতিষেধক আবিস্কার, পল আরলিখ-( Paul Ehrlich) সিফিলিসে ঔষধ আবিস্কার, এলি মেচনিকফ(Elie Metchnikoff ) সংক্রামক রোগের উপর নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। বার্নার্ড কাজ (Bernard Katz) স্নায়ু এবং মাংশপেশীর উপর নোবেলজয়ী, এনড্রু শ্যালী (Andrew Schally) এন্ডোক্রাইনোলজী’র উপর নোবেলজয়ী, আরন বেক-( Aaron Beck)- কগনিটিভ থেরাপী- মানসিক ব্যাধি চিকিৎসার উপায়। গ্রেগরী পিনকাস- Gregory Pincus জন্ম নিরোধক বড়ি
জর্জ ওয়াল্ড (George Wald) মানব চক্ষুর উপর কাজের জন্য নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী,স্ট্যানলী কোহেন. (Stanley Cohen) ভ্রুনবিদ্যায় embryology নোবেলজয়ী, উইলেম কলফ(Willem Kolff ) কিডনী ডায়ালাইসিস যন্ত্রের আবিস্কারক।
নোবেল পুরস্কারের ১০৫ বছরের ইতিহাসে নোবেলজয়ী ইহুদীর সংখ্যা-১৮০, মুসলমানের সংখ্যা- ৩।
ইহুদীরা এত শক্তিশালী কেন?
স্টানলী মেজর (Stanley Mezor ) মাইক্রোপ্রসেসিং চিপসের আবিস্কারক, (micro-processing chip.) লিও সিলার্ডLeo Szilard পারমানবিক শক্তির “ চেইন রিয়্যাক্টরের এর উদ্ভাবক the first nuclear chain reactor; পিটার শুলজ (Peter Schultz) অপটিক্যাল ফাইবার কেবল the optical fibre cable; চার্লস এডলার Charles Adler – ট্রাফিক লাইট traffic lights; বেনো স্ট্রস Benno Strauss – ইস্পাত stainless steel; ইসাডর কিস- Isador Kisee - সবাক চলচিত্র sound movies; এমিল বার্লিনার Emile Berliner – টেলিফোন মাইক্রোফোন telephone microphone and চার্লস গিনসবার্গ Charles Ginsburg – ভিডিও টেপ রেকর্ডার videotape recorder.

Wednesday, 16 July 2014

জেনে নিন ফিলিস্তিনের ইতিহাস। চোখে আপনার অশ্রু গড়াবেই


প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে ফিলিস্তিন ছিল তুরস্কের ওসমানীয় খেলাফতের অধীনে শাসিত একটি সুন্দর আকর্ষণীয় ও সমৃদ্ধ প্রদেশ। ফিলিস্তিন শ্যামল উর্বর সোনার ফসলের এলাকা ছিল। এখানকার বাসিন্দারাও দৈহিক সৌন্দর্য ও কমনীয়তার প্রতীক।
আয়তন দশ হাজার চার’শ ঊনত্রিশ বর্গমাইল। মধ্যপ্রাচ্যের ‘উর্বর চন্দ্র’ (Fertile Crescent) নামে খ্যাত এলাকার একেবারে উত্তরে ফিলিস্তিন। পৃথিবীর তিনটি প্রধান ধর্মের আবির্ভাব ঘটেছে পশ্চিম এশিয়ার একেবারে পশ্চিম অঞ্চল থেকে। ফিলিস্তিন থেকে ইহুদি ও খ্রিষ্টধর্ম এবং এটারই নিকটবর্তী এলাকা অর্থাৎ মক্কা থেকে অভ্যুদয় হয়েছে ইসলামের। আসমানি তিন ধর্মই ফিলিস্তিনে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাসকে শ্রদ্ধা ও ভক্তির উৎস ও কেন্দ্র বলে মনে করে। উদারতা ও সহিষ্ণুতা যদি বিশ্ববাসীর মধ্যে থাকত তাহলে এ শহর হতে পারত তিন ধর্মানুসারীদের মিলনস্থল। কিন্তু কী নির্মম পরিহাস। স্থানটি সবসময়ই সঙ্ঘাতের কেন্দ্র হয়ে রয়েছে।
ফিলিস্তিন মুসলমানদের হস্তগত হয় হজরত ওমর ফারুকের খেলাফতকালে ১৮ হিজরিতে। তারপর ক্রুসেড যুদ্ধের সময় প্রায় ৯০ বছর তা ছিল খ্রিষ্টানদের দখলে। আবার তা মুসলমানদের দখলে আসে গাজি সালাহুদ্দীন আইয়ুবির মাধ্যমে। এরপর ১৯১৭ পর্যন্ত তা নিরবচ্ছিন্নভাবে মুসলমানদের আয়ত্তেই ছিল। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ১২৫০ বছর মুসলমানদের অধীনেই ছিল ফিলিস্তিন ভূমি। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ থেকে ইঙ্গ মার্কিন মদদে ফিলিস্তিনে ইহুদিরা শক্তি বাড়াতে থাকে এবং এক পর্যায়ে স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দাদের উৎখাত করে সেখানে একটি ইহুদি রাষ্ট্র কায়েম করে। ইহুদিদের জন্য এখানে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত অনেক দীর্ঘ ও পরিকল্পিত।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কিছু দিন আগে কর্নেল লরেন্স দৃশ্যত মুসলমান হয়ে আরবদের প্রতারিত করে। অর্থাৎ তাদের মধ্যে আরব জাতীয়তাবাদের শ্লোগান তোলে ও প্রচারণা চালায়। আরব তরুণরা তার মন্ত্রে মুগ্ধ হয়ে যায়। ফল দাঁড়ায় তুর্কি খেলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।

Thursday, 3 July 2014

শাঁখারী বাজারে মন্দির দখল করলো স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

03 Jul, 2014
হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষণের সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভয় দেখিয়ে পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারে একটি সম্পত্তিসহ মন্দির দখলের অভিযোগ উঠেছে সরকার সমর্থক সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্থানীয় এক নেতার বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দলীয় প্রভাব ও ভয় দেখিয়ে ইতিমধ্যে ওই ভবনটির ভাড়াটেদের উচ্ছেদ করেছেন ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ (দক্ষিণ) এর সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস।

শাঁখারী বাজার এলাকার ১৪ নম্বর ভবনটির ২য় তলায় ‘শ্রী শ্রী কালা চাঁদ দেবের’ একটি মন্দির রয়েছে। ভবনের অন্যান্য অংশে বাস করছেন অন্তত ১০টি পরিবার।

Monday, 23 June 2014

এবার টয়লেট দখল করলেন ছাত্রলীগ সভাপতি!

24 Jun, 2014

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই টয়লেটটি দখল করে ফটোকপি ও স্টেশনারি দোকান বসিয়েছেন ছাত্রলীগ 

পরিবহনে চাঁদাবাজি, বার্গার হাউসে ফাও খাওয়া নিয়ে মারামারি, দলীয় কর্মীর হাতে চড় খাওয়ার মতো বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার পর এবার টয়লেট দখলের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে। দখলের পর টয়লেটটিতে ফটোকপি ও স্টেশনারি দোকান বসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল উদ্ধার আন্দোলনের সময় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সমবায় ব্যাংকের ওই জায়গাসহ টয়লেটটি দখল করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরে ওই জায়গাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ঘোষণা করা হয়।

Sunday, 22 June 2014

ট্রাইব্যুনালে নতুন কেলেঙ্কারী

ঢাকা: ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটরদের মধ্যকার পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-কলহ এখনো চলমান। ঠিক সেই মুহূর্তে নতুন বিতর্কের জন্ম নিল। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার মাঝেও রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম কৌশলী ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজের নিজস্ব কম্পিউটার থেকে মানবতাবিরোধী মামলার বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত খোয়া গেছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।
এমনকি এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রুমটি সাময়িক সময়ের জন্য সিলগালা করে দেন।

রোববার দীর্ঘ ১০ দিনের ছুটি শেষে ট্রাইব্যুনালে যোগদানের পর দুপুরে নিজ কক্ষে অবস্থানকালে এ বিষয়টি প্রথম তুরিন আফরোজের নজরে আসে।

বিদ্যুতের খাম্বা কিনতে লুটপাট

অবিশ্বাস্য দামে কেনা হচ্ছে কাঠ ও সিমেন্টের (এসপিসি পোল) তৈরী খাম্বা। প্রতিটি এসপিসি পোল ১৯ হাজার ৪২০ টাকায় আর কাঠের খাম্বা ১৮ হাজার ৯০৩ টাকায় কেনা হচ্ছে। এমন বেশি দামে খাম্বা কিনতে গিয়ে কোটি কোটি টাকার লুটপাট শুরু হয়েছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (পবিবো)-এ। চলছে ঠিকাদারদের সুবিধামতো টেন্ডার প্রক্রিয়া। কাঠ ও সিমেন্টের খাম্বা কিনতে এসব টেন্ডারে ঘুরেফিরে কয়েকটি মুখচেনা কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। তারা দর উল্লেখ করছে প্রাক্কলিত দরের চেয়ে অনেক বেশি। এরপরও প্রস্তাবগুলো পার করে দিচ্ছে খাম্বা কেনা সংক্রান্ত দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। কোন কিছুতেই যেন সমস্যা হচ্ছে না। অবিশ্বাস্য দ্রুততায় সব কিছু ম্যানেজ হয়ে যাচ্ছে। গত ১৫ই জুন দুই লাখ ৪১ হাজার ৭১০টি খাম্বা কেনার প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। 

Thursday, 5 June 2014

30 Things to Stop Doing to Yourself. #10 Is An Absolute Must.


Marc and Angel, two passionate writers, life-hackers and “admirers of the human spirit,” have come up with an amazing list of 30 things to stop doing to yourself. If you like their list, make sure you check out their site and sign up to their amazing newsletter.
#1. Stop spending time with the wrong people. – Life is too short to spend time with people who suck the happiness out of you.  If someone wants you in their life, they’ll make room for you.  You shouldn’t have to fight for a spot.  Never, ever insist yourself to someone who continuously overlooks your worth.  And remember, it’s not the people that stand by your side when you’re at your best, but the ones who stand beside you when you’re at your worst that are your true friends.
#2. Stop running from your problems. – Face them head on.  No, it won’t be easy.  There is no person in the world capable of flawlessly handling every punch thrown at them.  We aren’t supposed to be able to instantly solve problems.  That’s not how we’re made.  In fact, we’re made to get upset, sad, hurt, stumble and fall.  Because that’s the whole purpose of living – to face problems, learn, adapt, and solve them over the course of time.  This is what ultimately molds us into the person we become.

Wednesday, 7 May 2014

10 Evil Crimes Of The British Empire

MORRIS M. :At its height, the British Empire was the largest to have ever existed. Aside from covering most of the globe, it was responsible for some of the greatest advances in engineering, art, and medicine that the world will ever know. The Empire gave us steam engines, penicillin, radar, and even television.
However, life under the British wasn’t all just incredible inventions. Alongside the good stuff the Empire did sat a whole ream of not-so-good stuff, and alongside that a whole load of other stuff so evil it’d make Dick Dastardly balk.

10The Boer Concentration Camps

01
We all now know about the horrors of concentration camps, but during the time of Boer Wars, rounding up tens of thousands of innocent people anddetaining them in camps seemed like a stroke of genius. The British needed the South African populace under control and had the means and manpower to detain them. What could possibly go wrong?

ফিরে আসছে আওয়ামীলীগের সেইসব 'গুণধরের' স্মৃতি!

ফিরে আসছে সেইসব 'গুণধরের' স্মৃতি!
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত হত্যার ঘটনায় যে র‍্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে একজন হলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাইদ মাহমুদ। তিনি নারায়ণগঞ্জে র‍্যাব-১১ এর কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।
সাত খুনের ঘটনায় আলোচনা যতোই গভীরে ঢুকছে ততোটাই অভিযুক্ত হচ্ছেন মায়ার পরিবারের এই সদস্য। অবশ্য শুধু তিনি নন, তার সাথে ত্রাণমন্ত্রীর ছেলের নামও এসেছে। নিহত কাউন্সিলর নজরুলের পরিবারের ভাষ্যমতে, মন্ত্রীপুত্র ওই ঘটনায় লেনদেনের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রাখেন।

Sunday, 4 May 2014

নির্মূল কমিটির হিসাবে ৫ মে নিহত ৩৯


রাজধনীর শাপলা চত্বরে গত ৫ মে হেফাজতের অবস্থান কর্মসূচিতে ৩৯ জন নিহত হয়েছে বলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে।

সংগঠনটির উদ্যোগে ওইদিনের ঘটনায় ‘মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’ নামে একটি কমিশন গঠন করে এ তদন্ত করা হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম। আর সদস্য সচিব ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির।

শুক্রবার বিকেলে ধানমণ্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে ‘হেফাজত-জামায়াতের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ৪০০ দিন’  নামে একটি শ্বেতপত্রের মোড়ক উন্মোচন করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। সেখানেই এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

মীর কাশেম আলীঃ মাত্র এক বোতল পানির জন্য কি না করলেন

মাত্র এক বোতল পানির জন্য ইনসান এমন করতে পারে, তা আপনি না দেখলে বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু এই কাজটি ঘটেছে মীর কাশেম আলীর বেলায়। আমার এই এজহারের সাক্ষী হবেন শিবিরের এক জামানার কেন্দ্রীয় সভাপতি, যিনি এখন দিগন্ত টেলিভিশনের বড় কর্মকর্তা। আমার বিশ্বাস তিনি তিনি সাক্ষী দেবেন।
মীর কাশেম আলী মানে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা। তিনি-
১. জামায়াতে ইসলামীর সর্বোচ্চ বডি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য।
২. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম।
৩. ইবনে সিনার ডাইরেক্টর ও সর্বোচ্চ নির্বাহী।
৪. দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশন-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান।
৫. মেসার্স কেয়ারী ইন্টারন্যাশনাল এর চেয়ারম্যান।
২০১০ এ তিনি দেশ থেকে বিদেশে গেলেন বা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেলেন।পালিয়ে গেলেন ঢাকার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করে। বিভিন্ন দেশ ঘুরে আসলেন মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে। উদ্দেশ্য আল জাজিরা টেলিভিশনের সাথে দিগন্ত টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্পর্কিত চূক্তি করা। সাথে দিগন্ত মিডিয়া কপোরেশনের শেয়ার বিক্রি। দেশের প্রায় সকল পত্রিকায় মোটা হরফে নিউজঃ মীর কাশেম আলী দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। তিনি অবশ্য বিবৃতি দিলেন যে, তিনি পালিয়ে যাননি, কাজে এসেছেন এবং কাজ শেষে আবার দেশে ফিরবেন সহসাই। তার সফর সংগী ছিলেন শিবিরের এক সময়ের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুজিবুর রাহমান মনজু।
তার সেই সফরেই তিনি মাত্র এক বোতল পানির জন্য যে কান্ডটাই না ঘটালেন, তা শুনলে বিশ্বাস করবেন না।

Friday, 2 May 2014

7 bodies found afloat in N’ganj river, ditch

Supporters of abducted councillor, others on rampage all day long
Our Correspondent . Narayanganj
Agitated local people set a filling station on fire after six bodies, including that of Narayanganj city ward councillor Nazrul Islam, were recovered from the River Sitalakhya on Wednesday.  — New Age photo
Agitated local people set a filling station on fire after six bodies, including that of Narayanganj city ward councillor Nazrul Islam, were recovered from the River Sitalakhya on Wednesday.
— New Age photo
The police on Wednesday found bodies of seven people, including city councillor Nazrul Islam and lawyer Chandan Kumar Sarker, abducted three days ago, afloat in a river and a ditch in Narayanganj.
Six of them were found afloat in the River Sitalakhya in the Bandar police area and the other, yet to be identified, in a ditch at Fatullah.
The bodies each had the hands and the legs tied to two sacks, each containing 12 bricks, witnesses said. The bodies were almost decomposed. Four of them were associates of the city councillor.
The Fatullah police officer-in-charge, Md Akhter Hossain, said, ‘The
case of abduction will now turn into a murder case.’

Six Abductees in N'ganj.... Murdered brutally, dumped into river

City erupts in fury as decomposed bodies found floating, tied to bags filled with bricks
Star Report
One of the six bodies found in the river Shitalakkhya at Narayanganj is being pulled towards the shore yesterday. The photo was partly pixelated.  Photo: Courtesy/TV grab
One of the six bodies found in the river Shitalakkhya at Narayanganj is being pulled towards the shore yesterday. The photo was partly pixelated. Photo: Courtesy/TV grab
In a shocking turn of events, the bodies of Narayanganj city councillor Nazrul Islam and five others were found floating in the Shitalakkhya river yesterday, three days after seven people, including Nazrul, were kidnapped in broad daylight in Narayanganj.
The six victims were killed and their bodies were dumped into the river in similar manner. The murderers cut the victims' bellies and then tied the bodies to sacks full of bricks before throwing into water, according to police.

Wednesday, 30 April 2014

পেশাজীবীদের জন্য কানাডায় আবার অভিবাসনের সুযোগ

30 Apr, 2014
কানাডা সরকার আবার দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য ‘Federal Skilled Worker (FSW)’ প্রোগ্রামের অধীনে আবেদন গ্রহণ শুরু করছে।

মে মাসের ১ তারিখ থেকে এ আবেদন গ্রহণ শুরু হবে।

কানাডায় ইমিগ্রেশনের জন্য আগ্রহী অনেক পেশাজীবী অনেক দিন ধরে গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। এই প্রোগ্রামের অধীনে কানাডা সরকার ২৫ হাজার আবেদন গ্রহণ করবে।

র‌্যাব সদর দপ্তরে ছিনতাইকারী কামালের তথ্য...যুবলীগ নেতার নির্দেশে ত্রিশালে জঙ্গি ছিনতাই!

গ্রাফিকসে ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ। গ্রাফিকস: মো. জহির উদ্দিনগ্রাফিকসে ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ। গ্রাফিকস: মো. জহির উদ্দিনময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে জেএমবির তিন সদস্যের একজন হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসানকে ছিনতাই করা হয়েছে ভালুকা থানার যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান কামালের নির্দেশে। এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় নেতৃত্বদানকারী কামাল হোসেন ওরফে সবুজ আজ বুধবার র‌্যাবের সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

নিষিদ্ধঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের তিন জঙ্গিকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিভিন্ন সময় টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ থেকে আটজনকে আটক করেছে র‌্যাব। তাঁদের উপস্থিতিতে আজ রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাবের সদর দপ্তরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে ছিনতাইকারী দলটির দলনেতা কামাল হোসেন ওরফে সুবজ এসব তথ্য জানান।

Sunday, 27 April 2014

যুদ্ধকালে আওয়ামীলীগ নেতাদের শরনার্থী জীবনের যত কীর্তি….

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংস হামলার মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতা অনিবর্তনীয় হয়ে ওঠে। রাত বারোটার পরে ঢাকায় যখন চলছিল স্বেচ্ছা-আত্মসমর্পন পর্ব, ঠিক প্রায় একই সময়ে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে গর্জে ওঠে- “উই রিভোল্ট!” স্বাধীন বাংলাদেশ জড়িয়ে পড়ে জন্মযুদ্ধে, যার ডাক আসে কালুরঘাট বেতার থেকে। মেজর জিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে মরনপণ লড়াইয়ে সামিল হয় বাঙ্গালি সেনা, পুলিশ, রাইফেলসের ১১ হাজার যোদ্ধা।

২৫ মার্চ সন্ধার পর থেকে আওয়ামীলীগের নেতারা ভিড় করতে থাকেন শেখ মুজিবের ৩২ ধানমন্ডির বাড়িতে। দলীয় সাধারন সম্পাদক তাজউদ্দীন মুজিবের কন্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা রেকর্ড করার উদ্দেশ্যে টেপরেকর্ডার নিয়ে গেলে “রাষ্ট্রদ্রোহিতার ভয়ে” মুজিব ফিরিয়ে দেন, বরং তাজউদ্দীনকে “নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে” নির্দেশ দেন (আহমদ, শারমিন, ২০১৪,‘তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা’)। দলীয় নেতাদের নিরাপদে সরে পড়ার নির্দেশ দিয়ে সকল পরমার্শ অগ্রাহ্য করে মুজিব স্বেচ্ছায় ধরা দেয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রইলেন, যদিও তার আগেই স্বেচ্ছাসেবক নেতা আবদুর রাজ্জাক মারফত তিনি আগাম জেনে যান ইয়াহিয়ার বাহিনীর আক্রমনের খবর। সার্বিক ধংসযজ্ঞের মুখে ২৭ মার্চ সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে মুজিব সুটকেস গুছিয়ে গ্রেফতার হওয়ার অপেক্ষায় রইলেন নিজ বাসভবনে।

আব্বু চিন্তিত মুজিব কাকু আমলেই নিলেন না

আম্মা আমাকে সঙ্গে নিয়ে একদিন সন্ধ্যারাতে মুজিব কাকুর বাসায় গেলেন। মুজিব কাকি ঘরের সামনের বারান্দায় বসে পান খেতে খেতে গল্প করছেন। আমি মুজিব কাকুর ঘরের সামনে দিয়ে হেঁটে যেতেই ভেতর থেকে মুজিব কাকু আমাকে ডাকলেন, ‘এই রিপি নাকি? ভেতরে আয়।’ ঘরের খোলা দরজা দিয়ে দেখা যায় মুজিব কাকু বালিশে মাথা রেখে বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। তাঁর মাথার কাছে চেয়ারে শেখ ফজলুল হক মনি বসা। তিনি মুখ নিচু করে নিম্নস্বরে মুজিব কাকুকে কিছু বলছিলেন। মুজিব কাকুর ডাকে আমি ঘরে ঢুকতেই শেখ মনি মুখ তুলে আমার দিকে তাকালেন। তাঁর দৃষ্টি শীতল ও সতর্ক। মুজিব কাকু তাঁর স্বভাবজাত উষ্ণতা ভরা কণ্ঠে আমাদের কুশল জিজ্ঞেস করলেন। এরপর দরাজ গলায় বললেন, ‘শোন, আমি তোকে লেখাপড়া করতে রাশিয়ায় পাঠাবো।’ আমার সঙ্গে মুজিব কাকুর সেই শেষ কথা। মনে পড়ে ১৯৬৮ সালে মুজিব কাকু ও আব্বু যখন জেলে, তখন এই বাড়িতেই অনাড়ম্বর পরিবেশে অল্প কিছু আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে মুজিব কাকুর জ্যেষ্ঠ কন্যা হাসিনা আপার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে বিজ্ঞানী এমএ ওয়াজেদ মিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আম্মার সঙ্গে সেই অনুষ্ঠানে আমি যোগ দিয়েছিলাম।
‘তাজউদ্দীন আহমদ, নেতা ও পিতা’ গ্রন্থে এসব কথা লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা শারমিন আহমদ। 

খুনি মুজিবকে হত্যা করা হইয়াছে’ - মানুষ এই হত্যাকান্ডে উল্লাস প্রকাশ করেছে

আম্মা আমাকে সঙ্গে নিয়ে একদিন সন্ধ্যারাতে মুজিব কাকুর বাসায় গেলেন। মুজিব কাকি ঘরের সামনের বারান্দায় বসে পান খেতে খেতে গল্প করছেন। আমি মুজিব কাকুর ঘরের সামনে দিয়ে হেঁটে যেতেই ভেতর থেকে মুজিব কাকু আমাকে ডাকলেন, ‘এই রিপি নাকি? ভেতরে আয়।’ঘরের খোলা দরজা দিয়ে দেখা যায় মুজিব কাকু বালিশে মাথা রেখে বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। তাঁর মাথার কাছে চেয়ারে শেখ ফজলুল হক মনি বসা। তিনি মুখ নিচু করে নিম্নস্বরে মুজিব কাকুকে কিছু বলছিলেন। মুজিব কাকুর ডাকে আমি ঘরে ঢুকতেই শেখ মনি মুখ তুলে আমার দিকে তাকালেন। তাঁর দৃষ্টি শীতল ও সতর্ক। মুজিব কাকু তাঁর স্বভাবজাত উষ্ণতা ভরা কণ্ঠে আমাদের কুশল জিজ্ঞেস করলেন। এরপর দরাজ গলায় বললেন, ‘শোন, আমি তোকে লেখাপড়া করতে রাশিয়ায় পাঠাবো।’ আমার সঙ্গে মুজিব কাকুর সেই শেষ কথা। মনে পড়ে ১৯৬৮ সালে মুজিব কাকু ও আব্বু যখন জেলে, তখন এই বাড়িতেই অনাড়ম্বর পরিবেশে অল্প কিছু আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে মুজিব কাকুর জ্যেষ্ঠ কন্যা হাসিনা আপার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে বিজ্ঞানী এমএ ওয়াজেদ মিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আম্মার সঙ্গে সেই অনুষ্ঠানে আমি যোগ দিয়েছিলাম।

Saturday, 26 April 2014

‘মুজিব কাকু সরে গিয়েছিলেন অনেক দূরে’

তাজউদ্দীন আহমদ প্রসঙ্গে একটি কথা খুবই প্রচলিত। ১৯৭১ সালে মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক চলছে ঢাকায়। পাকিস্তান পিপলস পার্টি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় এসেছেন। আছেন ইন্টারকন্টিনেন্টালে কড়া মিলিটারি পাহারায়। কজন বাঙালি সাংবাদিক সাক্ষাতের অনুমতি পেয়েছে। আলাপকালে ভুট্টো এ সময় বলে বসলেন, আলোচনা বৈঠকে মুজিবকে আমি ভয় পাই না। ইমোশনাল এপ্রোচে মুজিবকে কাবু করা যায়, কিন্তু তার পেছনে ফাইল বগলে চুপচাপ যে নটোরিয়াস লোকটি বসে থাকে তাঁকে কাবু করা শক্ত। দিস তাজউদ্দীন, আই টেল ইউ, উইল বি ইউর মেইন প্রবলেম। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তাজউদ্দীন কন্যা শারমীন আহমদের ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে সদ্য প্রকাশিত ‘তাজউদ্দীন আহমদ, নেতা ও পিতা’ বইতে মুজিব-তাজউদ্দীন সম্পর্ক নিয়ে লিখেছেন, ষাটের দশকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্বর্ণালি লগ্নে মুজিব-তাজউদ্দীন এই নবীন জুটির আবির্ভাব বাংলাদেশের রাজনৈতিক মঞ্চে। তারা আওয়ামী লীগে প্রগতিশীল নতুন ধারার সূচনা করেন। তারা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো নিতেন একত্রে। বাস্তবায়ন করতেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। তাদের কাজ দেখে মনে হতো তারা এক অভিন্ন সত্তা। তাদের টিমওয়ার্কের সবল ভিত্তির ওপর ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন ও জনগণের আস্থা অর্জন সম্ভবপর হয়েছিল। তারা ছিলেন একে অন্যের পরিপূরক।

তারানকোর বৈঠক নিয়ে মুখ খুললেন ফখরুল

জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নেতাদের মধ্যে যে বৈঠক হয়েছিল তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, দলটি এখন সেই অবস্থানে নেই বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
গত বছরের ডিসেম্বর ঢাকা সফর করেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। রাজনৈতিক সমঝোতার উদ্দেশ্যে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
গুলশানে জাতিসংঘের একটি প্রকল্প কার্যালয়ে তারানকোর সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের যে দুই দফা বৈঠক হয়েছিল তাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবিহ উদ্দিন এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদের সদ্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও ড. গওহর রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

Friday, 25 April 2014

মুজিব কাকু বললেন ‘তাজউদ্দীন, আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হব’

নয় মাসের যুদ্ধ শেষে ১৯৭১-এর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখনও পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। মুক্ত হয়ে তিনি দেশে ফিরেন ১০ই জানুয়ারি। অবিসংবাদিত নেতার     
প্রত্যাবর্তনে বিমানবন্দরে লাখো মানুষের ঢল। রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) সংবর্ধনার আয়োজন। একটি খোলা ট্রাকে চড়ে বঙ্গবন্ধু চার নেতাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে নিয়ে রওনা হলেন জনসভাস্থলে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অংশে শারমিন আহমদ লিখেছেন, মুজিব কাকুর পাশেই আনন্দে উদ্বেলিত আব্বু দাঁড়িয়ে আছেন। হঠাৎ মুজিব কাকু আব্বুর কানের কাছে মুখ নামিয়ে বললেন, ‘তাজউদ্দীন, আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হব’। ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে সদ্য প্রকাশিত তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন আহমদের ‘তাজউদ্দীন আহমদ, নেতা ও পিতা’ বইতে পঞ্চম পর্বে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও সরকার গঠনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেন, মুজিব কাকুর উদাসীনতায় আব্বু (তাজউদ্দীন আহমদ) আহত হয়ে ছিলেন। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু কেন জানতে চাননি কারা ছিলেন স্বাধীনতার শত্রু আর কারা ছিলেন স্বাধীনতার মিত্র। গোলাম আযমসহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের পক্ষেও অবস্থান নিয়েছিলেন তাজউদ্দীন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন আহমদ বিস্তারিত বর্ণনায় আরও লিখেছেন, ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি জনগণ-মন-নন্দিত বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলেন। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষের ঢল চারদিকে। তাঁদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে একনজর দেখার জন্য তাঁরা ব্যাকুল। 

স্বাধীনতার ঘোষণায় স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানান মুজিব কাকু : তাজউদ্দিন কন্যা

‘তাজউদ্দীনকে হত্যার চেষ্টা করেছিল মুজিব বাহিনী’

২৭শে মার্চ সকালে কারফিউ তুলে নেয়া হয় দেড় ঘণ্টার জন্য। এই সময় আব্বু দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলেন যে, সাতমসজিদ রোড পার হয়ে রায়ের বাজারের পথ দিয়ে শহর ত্যাগ করবেন। লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, মাথায় সাদা টুপি পরিহিত ও হাতে লোকদেখানো বাজারের থলির আড়ালে কোমরে গোঁজা পিস্তল আড়াল করে আব্বু চললেন গ্রামের উদ্দেশ্যে।’ যুদ্ধাকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এভাবেই বেরিয়ে পড়েছিলেন রণাঙ্গনের উদ্দেশ্যে। সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থ ‘তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা’ গ্রন্থে তাজউদ্দীন আহমদের যুদ্ধযাত্রার এ বর্ণনা দিয়েছেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শারমিন আহমদ। ১৯৯০ সালে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেলোশিপ ও উইমেন্স স্টাডিজ স্কলারসহ উইমেন্স স্টাডিজে মাস্টার অব আর্টস ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। শারমিন আহমদ আরও লিখেছেন, যাওয়ার পথে পদ্মার তীরবর্তী গ্রাম আগারগাঁয়ে শুকুর মিয়া নামের আওয়ামী লীগের এক কর্মীর বাড়িতে তারা আশ্রয় নেন। এই বাড়ির সকলেই তাঁতের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সেখানে তারা শুনতে পান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা। ২৭শে মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত এই ঘোষণাটি আব্বুসহ সামরিক ও বেসামরিক সকল বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করে। পরদিন ভোরেই তাঁরা সেই স্থান ত্যাগ করেন। এরপর তাজউদ্দীন আহমদের ভারত যাত্রা, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বভার গ্রহণ, মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠার বিশদ বিবরণ লিখেছেন শারমিন আহমদ। 

তিস্তায় পানি চান না আ.লীগ নেতারা!

তিস্তায় পানি চান না আ.লীগ নেতারা!
তিস্তার পানি চাই না, পানি চুক্তির দরকার নাই- এমন দাবি তুলে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার পারুলিয়ার চরে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে তিস্তা পূর্ব তীর রক্ষা কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সারওয়ার হায়াত খান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, "এবার তিস্তার পানি না আসায় লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ২৬টি ইউনিয়নের ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টাসহ বিভিন্ন চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়া ৬০ হাজার পরিবার তাদের বসত বাড়ি ফিরে পেয়েছে। যে কারণে তিস্তার পানি না আসাটাই উত্তম।"

Thursday, 24 April 2014

সাঈদীকে কাতারে নিষিদ্ধ করণ বিষয়ে চ্যালেঞ্জ..২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ফানারে ২০০৩ সালে নিষিদ্ব হন কিভাবে ??

বাংলানিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম-এ সাঈদী সাহেবকে কাতারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে একটি অপপ্রচার মূলক রিপোর্ট করা হয়েছে। আর অনেক ব্লগার এই রিপোর্টটাকে কপি করে পোষ্ট করেছেন। আর অন্য কিছু অতি উৎসাহী ব্লগার সেই সব পোষ্টে বিরামহীন মন্তব্য করে অপপ্রচারকারীদেরকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। সাঈদীকে নিষিদ্ধ করণ বিষয়ে বিস্তারিত লিখবো সময় নিয়ে। আজ সাঈদী সাহেবের কাতার সফর সম্পর্কে মাত্র কয়েকটি চ্যালেঞ্জ।

 ১.) যে "ফানার" সাঈদী সাহেবকে নিয়ে ২০০৩ সালে এতো মাতামাতি করেছে, সেই ফানারের জন্ম ২০০৬ সালে। আমার জিজ্ঞাসা যে প্রতিষ্ঠানের জন্ম ২০০৬ সালে সেই প্রতিষ্ঠান ২০০৩ সালে কিভাবে তদন্ত করে। বিস্তারিত জানার জন্য ফানারের ওয়েব সাইট
 http://www.fanar.gov.qa/Index.aspx
... বা ফানারের ফেইস বুকে
https://www.facebook.com/FanarQatar/info দেখুন।

 ২)  সাঈদী সাহেব ২০০২ সালের পর কখনও কাতার সফর করেননি। তাহলে যে ব্যক্তিটি ২০০২সালের পর কাতার যায়নি, সেই ব্যক্তিটি ২০০৩সালে কিভাবে কাতারে কোন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবে। সাঈদী সাহেব সম্পর্কে যারা অযথা অপপ্রচার করেন, তারা বিষয়গুলোর জবাব দেবেন আশা করি।

Monday, 7 April 2014

গনজাগরন মঞ্চের চাঁদাবাজির সংক্ষিপ্ত লিস্ট/ তালিকা

১. এস পি মাহবুব থেকে ৪ লক্ষ টাকা বাপ্পাদিত্য বসুর সামনে লেনদেন
২. কানাডা থেকে জিয়াউল হক প্রবাসীদের ফান্ড লেনদেন বাপ্পাদিত্য বসুর পরিচিত।
৩. ইনসেপ্টা ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে নাছিরউদ্দিন ইউসূফ বাচ্চুর কাছে জানিয়েছেন ফরিদুর রেজা সাগর।
৪. বসুন্ধুরা গ্রুপ ২০ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে ।
৫. রেনেটা ফার্মা (জামাতের) ৪ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে।
৬. ল্যাবএইড ডা আর্সালনের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে।
৭. ইস্পাহানি ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে।
৮. এফবিসিসিআই চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন হতে ৬০ লক্ষ টাকা।
৯. আবেদ খান ২.৫ লাখ টাকা ইমরান এইচ সরকারের হাতে প্রদান করেছে।
১০. হামীম গ্রুপ ২০ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে।
১১. যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে থেকে আগত ফান্ড।
১২. হনিফ পরিবহন ১০ লক্ষ টাকা ইমরান এইচ সরকারকে ক্যাশ চেক।
১৩. অটবি ১০ লক্ষ টাকা এবং ফেব্রুয়ারী ৮ তারিখ পর্যন্ত খাবার প্রদান করেছে।
১৪. ৪.৬ লক্ষ টাকা প্রথম আলোর মাধ্যমে।
১৫. ফরিদুর রেজা সাগর ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে সোমার মাধ্যমে ইমরানের কাছে ।
১৬. আওয়ামীলীগ নেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তোলা চাঁদা।
১৭. আওয়ামীলীগের অনেক এমপি-মন্ত্রী প্রচুর** টাকা দিয়েছে।

Sunday, 6 April 2014

কোটি টাকা ভাগাভাগির অভিযোগ

যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার রায়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা কোটি কোটি টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করা হয়েছে মঞ্চের নামে। শুধু তাই নয়, চাঁদাবাজির পর চাপে পড়ে কমপক্ষে ২০টি প্রতিষ্ঠানের টাকা ফেরতও দেয়া হয়েছে। মঞ্চের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও অস্বচ্ছতার প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনের এক পর্যায়ে নোট অব ডিসেন্ট দেয় ছাত্র ফেডারেশন। অভিযোগ রয়েছে মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন ইতিমধ্যে। নিজেও দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন। আর আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতরা তার কাছে হিসাব চাইছেন। শুধু ডা. ইমরান এইচ সরকারই নয় আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা জড়িত রয়েছেন চাঁদাবাজিতে। তারা এখন হিসাব দিচ্ছেন না। এর মধ্যে কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বও রয়েছেন। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর শুক্রবার পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলার পর বিষয়টি জোরালোভাবে সামনে এসেছে। গণজাগরণ মঞ্চ পর্দার অন্তরালে বিভিন্ন স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন থেকেও টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগ নেতারা।

Sunday, 30 March 2014

মিল-অমিলঃ তারেক-জয়- শামস মোহাম্মদ

বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম সম্প্র্রতি জাতির সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের সূত্রপাত করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান এবং পরমাণু বিজ্ঞানী ডঃ ওয়াজেদ মিয়া ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে রাজনীতি থেকে একসাথে মাইনাস করার চক্রান্ত চলছে। আর এ বিতর্ক ডালপালা বিস্তার করেছে দেশ হতে দেশান্তরে। সম্প্রতি মার্কিন মুল্লুকে এসে সরকারের আরেক প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার ঘোষণা করেছেন, ‌‌'বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র চাঁদের মত পবিত্র’। আজকের নিবন্ধ এ আলোচনার মধ্যে রাখার চেষ্টা করব।
চাঁদ পবিত্র কি না তা কোনো ধর্মগ্রন্থে পাওয়া না গেলেও কবি-সাহিত্যিকরা চাঁদেও কলঙ্ক আবিস্কার করেছেন। তাই বলে কি চাঁদ সুন্দর নয়? হ্যাঁ, সুন্দর বটে- পুর্নিমায় আলো ছড়ায়। তবে তা কেবলই পক্ষকালের জন্য, কৃষ্ণপক্ষে এসে গভীর অন্ধকারে ঢেকে দেয় সারা পৃথিবীকে। তাছাড়া চাঁদের নিজস্ব কোনো আলো নেই, সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়। আমরা অবশ্য পুর্নিমার চাঁদ চাই- আলোকিত মানুষ চাই।

Friday, 28 March 2014

জিয়াউর রহমান : স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান


বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের ৩৮ বছর পার হয়েছে। এ সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন যেমন কম নয়, তেমনি নানান বিষয়ে জাতিসত্তার মধ্যে বিভক্তি জাতিকে পেছনের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও স্বাধীনতার ঘোষনা। এটি ঐতিহাসিকদের বিষয় হলেও বর্তমানে তা দাড়িয়েছে আদালতের কাঠগড়ায়। বর্তমান রাজনীতির অপসংস্কৃতির বদৌলতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জীবনপণ সংগ্রামের স্বীকৃতি আজ আদালতের মাধ্যমে অর্জন করতে হচ্ছে। একটা জাতির জন্যে এর চেয়ে আর দুর্ভাগ্যের বিষয় আর কি হতে পারে। আজকের প্রতিপাদ্য বিষয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে বাংলাদেশের সরকার ও দেশ পরিচালনার অবস্থা।

১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ পাকিস্তানের শাসন থেকে ছিন্ন করে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসাবে ঘোষনা করে দেশ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। স্বাধীনতা ঘোষণা করার ২২ দিন পরে ১৭ই এপ্রিল বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চল কুষ্টিয়ার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের আম্রকুঞ্জে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহন করে। ইতোপূর্বে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের মধ্যে যারা আগরতলায় হাজির ছিলেন তারা ১৩ই এপ্রিল সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। দেশী বিদেশী সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি ও ১০ সহস্রাধিক জনতার উপস্থিতিতে ১৭এপ্রিল শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রেসিডেন্ট, তাঁর অবর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সঙ্গত কারনেই প্রশ্ন উঠে, তাহলে কি স্বাধীনতার প্রারম্ভে অস্থায়ী সরকার গঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ২২ দিন বাংলাদেশ এবং তাঁর মুক্তিযুদ্ধ নেতৃত্বশূন্য ছিল? এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রেকর্ড পত্রে কি পাওয়া যায় সেটাই আজকের আলোচনা।

Thursday, 20 March 2014

বিএনপি জামায়াত হেফাজত দমনেই বেশি পদক



ঢাকা: সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখা পুলিশ কর্মকর্তারাই এবার পদক তালিকায় শীর্ষে। বিএনপি তথা ১৮ দলীয় জোটের আন্দোলন দমন, জাময়াত-শিবিরের নাশকতা প্রতিরোধ, হেফজতকর্মীদের ঢাকা থেকে বিতারিতসহ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরকারবিরোধীদের সফলতার সঙ্গে প্রতিরোধের কারণেই তাদের পদক দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১৬ পুলিশ সহস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) সাহসীকতা; র‌্যাব, পুলিশের শীর্ষ ২০ কর্মকর্তাকে বিপিএম সেবা পদক দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) সাহসীকতা দেয়া হয়েছে ২৯ পুলিশ-র‌্যাব সদস্যকে। যাদের অধিকাংশই মাঠ পর্যায়ের।

এছাড়া রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) সেবা দেয়া হয়েছে ৪০ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের। যার মধ্যে রয়েছে বহুল  আলোচিত লালবাগ বিভাগ পুলিশের উপ-কমিশনার হারুন আর রশিদ ও তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

Tuesday, 4 March 2014

বর্তমান সময়ে জামায়াত শিবির যা করতে পারে - ১ম পর্ব- সমাজসেবা ও তৃণমূলে পৌঁছার কৌশল



যদি কোনো গাছের মূল ঠিক থাকে তাহলে সেই গাছটির উপর যত ঝড় বৃষ্টি আসুক না কেন, তা উপড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে ..ঠিক একইভাবে যদি আমরা কোনো সংগঠন, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দলের কথা চিন্তা করি,তাদের ক্ষেত্রে ও একই কথা প্রযোজ্য। জামায়াত শিবিরের বিরুদ্বে একটি অভিযোগ,স্বাধীন বাংলাদেশে প্রায় ৪৩ বছর কাজ করে ও তারা সংগঠনকে তৃনমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেনি..কেন করতে পারেনি সেটি নিয়ে আমি কোনো বিতর্কে যাবো না..তবে কিভাবে যেতে পারে সেটি নিয়েই এই লেখা।আর এই লেখাটি শুধু জামায়াত না , যে কেউ ১০ বছর অনুসরণ করলেই অনেক দূর আগাতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। আর এই সংগঠনটি জামায়াতের নামে হবে না,হবে নতুন নামে।

জামায়াত দাওয়া সংগঠন হিসেবে রেখে, এক ঝাক তরুণ মেধাবী নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন এই রাজনৈতিক সংগঠনটিকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিবে। কল্পনা করুন শিবির শিবিরই থাকলো। জামায়াত নতুন নামে একটি রাজনৈতিক শাখা খুললো , নাম দিলো ৯০ ডিগ্রী এঙ্গেলে ঘুরে "বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি"

শিবিরকে IHS এর সন্ত্রাসী লিস্টে যোগ করতে সাহায্য করেন ভারতীয় অনুরাগ গুপ্ত

>


গতকালকে যখন IHS এর গত ১৩ তারিখের প্রেস রিলিজে (যদি ও আমাদের মিডিয়া গতকাল খবর দিয়েছে) শিবিরকে ৩ নাম্বার সন্ত্রাসী লিস্ট দেখি তখনি সন্দেহ হয়েছিলো , নিশ্চয় কোনো চক্রান্ত কাজ করছে এইখানে। শিবিরকে আলকায়েদার আগে স্থান দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য যাওয়ারি কার্ড না খেলতে পেরে শিবির কার্ড খেলতে চেয়েছে। যাই হোক কালকে IHS এর ওয়েবসাইটে গিয়ে খুজি কে আছে এই সাইটের পিছনে ? দেখতে দেখতে পেয়ে গেলাম এক দাদাবাবুর নাম। যিনি কোম্পানির একজিকিউটিভ ডিরেক্টর। 

সূত্র : http://www.ihs.com/about/executives.aspx

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের আমদানিকারক ও প্রতিষ্ঠাতা আওয়ামীলীগ



@ ১৯৯৭ সালের ৩০ জানুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা মুন্সি আনিসুল ইসলামের বড়ভাই মুফতি হান্নানকে গোপালগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরীর ৭ নম্বর প্লটে চার হাজার ৫০০ বর্গফুট জমি বরাদ্দ দেয় আ'লীগ সরকার যেখানে বোমা তৈরির কারখানা গড়ে ওঠে। (১) 

@১৯৯৮ সালের ২৩ জানুয়ারী ওসামা বিন লাদেনের জিহাদের ডাকে সাড়া দেয় বাংলাদেশের ফজলুর রহমান, এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে হুজি বাংলাদেশ গঠিত হয়। 

প্রজন্ম তুমি ভুল মানুষকে ফাঁসি দিয়েছ এবং একজন কানাডিয়ান মোজাম্মেলের মিথ্যাচার





প্রজন্ম গত বছরের ৫ ই ফেব্রুয়ারী কাদের মোল্লার ফাসির জন্য আন্দোলন শুরু করেছিলো। আপাদত দৃষ্টিতে তোমরা তোমাদের দাবি পূরণ করতে পেরেছ। কিন্তু প্রজন্ম তুমি কি কখনই চিন্তা করেছ , কাদের মোল্লা আর কসাই কাদের একই ব্যক্তি না ও হতে পারে। তুমি যা দেখনি আর যা শুনেছ তা মিথ্যা ও হতে পারে , তা কি কখনো ভেবেছ ? 

তুমি কি কখনো ভেবেছ কসাই কাদের কিভাবে স্বাধীনতার পরে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ? তোমার কি চিন্তা জাগ্রত হয়নি যে একজন কসাইয়ের নাম স্বাধীনতার পর রাজাকারদের তালিকায় কেন তার নাম নেই? 

সাতক্ষীরা অপারেশনে ভারতীয় বাহিনীঃ আগেই বলেছিল ভারতের দ্যা হিন্দ।এবং আরো কিছু প্রমান



বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্ভভৌমত্ব দেশ। ৩০ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে অর্জিত হয় এই দেশের স্বাধীনতা। কিন্তু যারা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্বের স্বপক্ষের একমাত্র শক্তি বলে ,সেই রকম একটি সরকারের কাছে দেশের সার্ভভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে বলে প্রশ্ন উঠেছে সর্বমহলে। এই হুমকির একমাত্র কারণ বাংলাদেশে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ। এই ধরনের একটি ফ্যাক্সবার্তা প্রকাশ হলো গতকাল। যা নিয়ে তোলপাড় চলছে সারাদেশে। 

চলমান রাজনৈতিক সংকটে ভারতীয় বাহিনীর সাহায্য চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে পাঠানো এই বার্তায় দেখা যায়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৩৩তম কোরের ১৭তম, ২০তম ও ২৭তম মাউন্টেন ডিভিশান, এবং বিএসএফ।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রকৃত চিত্র এবং মিডিয়ার ব্লেইম গেমের অপরাজনীতি





১০ম জাতীয় নির্বাচনের পর আবারো সংখ্যালঘুদের উপর বিশেষ করে হিন্দুদের উপর বিভিন্ন জায়গায় হামলা হচ্ছে। যেখানে প্রশাসন থেকে ও এই সব হামলা বন্ধের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো কয়েক জায়গায় রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামীলীগের লোকজন সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে তুলকালাম সৃষ্টি করে। বলেছিলো সংখ্যালঘুরা সরকারী দলের সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। 

কিন্তু বর্তমানে এই আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেই বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন । আসল সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে, রাজনৈতিক সুবিধার্থে উল্টো ক্ষমতার বাহিরে থাকা জামায়াত শিবির ও বিএনপির কর্মীদের দোষারোপ করে যাচ্ছে। আর তার সাথে ইন্ধন যোগাচ্ছে কিছু মিডিয়া। মিডিয়ার এই অন্ধ রিপোর্টগুলোর কারণেই সন্ত্রাসীরা আরো বেশি করে হামলা করছে হিন্দুদের উপরে। কারণ তারা জানে তারা যতই হামলা করুক না কেন মিডিয়ায় প্রকৃত খবর আসবে না , উল্টো জামায়াত শিবিরকে দোষারোপ করা হচ্ছে। অথচ একজন স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে মিডিয়াতে আমরা প্রকৃত দৃশ্য দেখতে চাই , এবং সন্ত্রাসীরা যেই দলেরই হোক না কেন প্রশাসনের সুষ্ঠ তদন্তের মাঝে আমরা প্রকৃত দোষীদের কঠিন শাস্তি চাই।