Monday 23 June 2014

এবার টয়লেট দখল করলেন ছাত্রলীগ সভাপতি!

24 Jun, 2014

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই টয়লেটটি দখল করে ফটোকপি ও স্টেশনারি দোকান বসিয়েছেন ছাত্রলীগ 

পরিবহনে চাঁদাবাজি, বার্গার হাউসে ফাও খাওয়া নিয়ে মারামারি, দলীয় কর্মীর হাতে চড় খাওয়ার মতো বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার পর এবার টয়লেট দখলের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে। দখলের পর টয়লেটটিতে ফটোকপি ও স্টেশনারি দোকান বসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল উদ্ধার আন্দোলনের সময় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সমবায় ব্যাংকের ওই জায়গাসহ টয়লেটটি দখল করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরে ওই জায়গাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ঘোষণা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত একাধিক কর্মচারী ও ছাত্রলীগের কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মের ছুটি শুরুর পর ১৬ জুন রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম তাঁর লোক দিয়ে টিএসসির টয়লেট পরিষ্কার করে অনুমোদনহীন বিদ্যুতের লাইন টেনে সেখানে ফটোকপি ও স্টেশনারির দোকান বসিয়েছেন। ছুটি শেষে ২২ জুন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে বিষয়টি দেখতে পান। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, 'আমরা হলের দাবিতে আন্দোলনের সময় এ ফাঁকা জায়গাটি দখল করেছিলাম। এখন দেখি সেখানে ছাত্রলীগের নেতাদের ব্যবসা চলছে। তাহলে কি তাঁরা ব্যবসার জন্যই আমাদের সঙ্গে হল আন্দোলনে নেমেছিলেন?'

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে আমরা ওই জায়গাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দখলে নিয়েছি। কিন্তু ওই স্থানে থাকা একটি টয়লেটে ফটোকপির দোকান দিয়েছেন শরীফুল ইসলাম ও তাঁর পক্ষের কয়েকজন কর্মী।'

টয়লেট দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে শরিফুল ইসলাম বলেন, 'জায়গাটি আমি দখল করিনি, অন্য কেউ দখল করে আমার নামে অপপ্রচারণা চালাচ্ছে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট অফিসার কামাল হোসেন সরকার বলেন, সমবায় ব্যাংকের ওই জায়গাটি বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর, সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে জমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তবে কারা জমিটিতে ব্যবসা করছে, তিনি তা জানেন না বলে দাবি করেন।
http://www.onbangladesh.org/newsdetail/detail/200/82376

No comments:

Post a Comment