I am a blogger ..My blog nick name is chairman ..I try to find out the truth from injustice
Thursday, 25 April 2013
আসেন দলে দলে কবিতা আবৃতি করি ..আর ফানি টম থেকে আবৃতি শুনি
আমাদের পদ্মা নদী চলে বাঁকে বাঁকে,
সেতু করার আশা দিয়ে বিশ্ব ব্যাংক ডাকে
গাড়ি নিয়ে যাবে আবুল, কালকিনি বাড়ি
সিনা উঁচু করে দিবে, পদ্মা সেতু পাড়ি
পার হয়ে যায় দিন পার হয় রাত,
আচমকা বিনা মেঘে যেন বজ্রপাত,
কমিশন চেয়ে আবুল করলো কি ভুল,
টাকা দিবেনা বিশ্ব ব্যাংক, একী হুলুস্থুলল
গ্যাঁকগ্যাঁক করে উঠে সুরঞ্জিতের ঝাঁক,
রাতে উঠে থেকে থেকে ওবায়দুলের হাঁক
তীরে তীরে ছেলেপেলে টিফিনের কালে,
গামছায় সুধা ভরি সদনেতে ঢালে
সকালে বিকালে কভু বাজার হলে পরে
আঁচল ছাঁকিয়া তারা চাঁদার টাকা তুলে
সারা দেশে লীগে লীগে পড়ে যায় সাড়া,
প্রয়োজনে কিডনি নাকি বেচে দিবে তারা
পেটের শিশুটিও কান করে খাড়া,
ভূমিষ্ঠ হইয়া বলে,
এ কোন আজব দেশে জন্মিলাম খোদা ।
Sunday, 14 April 2013
টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি ...হাসনাত আবদুল হাই ..শাহবাগীদের লুঙ্গি খুলে দিল
মেয়েটি অনেকক্ষণ ধরে তার পেছনে পেছনে ঘুরছে, সেই অনুষ্ঠান শেষে হলঘর থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকে যখন তার চারদিকে ভক্ত ও তদবিরবাজদের ভিড়। এত ছেলেমেয়ের মাঝখানে সাদামাটা প্রায় ময়লা কাপড়ে উসর-ধূসর চুল মাথায় বিদ্ঘুটে রঙের সালোয়ার-কামিজ পরা মেয়েটির প্রতি তার চোখ পড়ার কথা না, তবু পড়ল। এতে তিনি বিস্মিত হলেন এবং কিছুটা বিরক্তও। অনেকেই তার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। কেননা, তিনি শুধু একজন সেলিব্রিটি নন, ইংরেজিতে যাকে বলে ফেভার। তা অন্যের প্রতি দেখানোর মতো তার যথেষ্ট ক্ষমতাও আছে। সেলিব্রিটির পেছনে, ছেলেমেয়েরা ঘোরে মুগ্ধতার জন্য অথবা কিছু পাওয়ার আশায়। সংসারে সবারই কিছু না কিছু চাওয়ার আছে। জীবন যতই জটিল হচ্ছে, চাওয়ার তালিকা বেড়েই যাচ্ছে। চারদিকে প্রতিযোগিতার দৌড় জীবনকে আরও জটিল করে তুলছে।
মেয়েটি নাছোড়বান্দা, তিনি যতই তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন, সে ঘুরে এসে দাঁড়ায় সামনে, প্রথম সারিতে না হলেও দ্বিতীয় কি তৃতীয় সারিতে। দেখতে সে সুশ্রী নয়, তবে তার চোখে-মুখে তীক্ষ একটা ভাব আছে, নতুন ছুরির মতো। তার চোখের নিচে ক্লান্তির কালো দাগ, মুখে একধরনের রুক্ষতা। আগে সেখানে যে কমনীয়তা ছিল তা মুছে ফেলেছে। ঠোঁট দুটি চকচক করছে, যেন গ্লিসারিন মাখানো। আসলে সে ঘন ঘন জিভ দিয়ে শুকনো ঠোঁট ভিজিয়ে নিচ্ছে। গলার নিচে কণ্ঠি বের হয়ে এসেছে, ওপরের দিকে গলার মধ্যে কয়েকটি ভাঁজ, সেখানে ঘামের পানি জমে আছে রুপার চিকন হারের মতো। শুকনো খড়ের মতো চুল উড়ছে বাতাসে। প্রায় ময়লা সবুজ ওড়না লাল কামিজে জড়ানো শরীরের ওপরে একটা স্তন ঢেকে রেখেছে, বুকের অন্য পাশে ওড়না কামিজের কাপড়ের ওপর ছড়িয়ে রাখা, প্রায় সমতল দুই দিকেই, হঠাৎ দেখে ছেলে কি মেয়ে বোঝা যায় না। মেয়েটি বাংলাদেশের পতাকার রং দিয়েই সালোয়ার-কামিজ বানিয়েছে অথবা সেই রকম তৈরি করা কাপড় কিনেছে। আজকাল অনেকেই এভাবে কাপড় পরে, কিছুটা দেশপ্রেম দেখাতে, কিছুটা ফ্যাশন স্টেটমেন্টের জন্য। মেয়েটা দেখতে সুশ্রী না হলেও বয়সের জন্য একধরনের আকর্ষণ আছে তার শরীরে। অগোছালো বেশবাস সেই আকর্ষণে একটা বন্যতার ভাব সৃষ্টি করেছে, যেন সে যেখানে খুশি লাফিয়ে পড়তে পারে। দেখেই মনে হয় খুবই বেপরোয়া আর অ্যাগ্রেসিভ।
বুঝলেন স্যার, ওরা আমার সঙ্গে পলিটিকস করছে। সামনের সারিতে থাকতে দিচ্ছে না। অথচ এই কদিন আমি সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে থেকে স্লোগান দিয়েছি। আমার গলার স্বর এত উঁচু যে মাইক্রোফোনের বলতে গেলে দরকার হয় না। এক মাইল দূর থেকেই শুনে বুঝতে পারবেন এটা আমার গলার স্বর। মিটিংয়ের জন্য স্লোগানের দরকার, স্লোগানই মিটিং জমিয়ে তোলে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন। অভিজ্ঞ লোক আপনি। আমি কয়েক দিন মিটিং জমিয়ে রেখেছি শুধু আমার গলার জোরে স্লোগান দিয়ে দিয়ে। কাগজে আমার নাম এসেছে। টেলিভিশনে আমাকে প্রায়ই দেখিয়েছে। পাবনা থেকে দেখে আমার ছোট বোন ফোনে বলেছে, আপু তোকে দেখা গিয়েছে। কয়েকবার। তুই খুব মাতিয়ে রেখেছিস। আমার মাও প্রশংসা করেছেন দেখে। কেন করবেন না? নিজের মেয়ের খ্যাতিতে কোন মা গর্ব অনুভব করে না? বাবা? না, তিনি কিছু বলেননি। বেতো রুগি, বিছানায় শুয়ে থাকেন সব সময়। শুনেছি, ছোট বোনকে বলেছেন, ও ঢাকা গেল পড়াশোনা করতে। এখন মিছিল-মিটিং আর মানববন্ধন করে সময় নষ্ট করছে। ওর পড়াশোনার কী হবে? জমির ভাই তো পড়ার কথা বলেই ওকে নিয়ে গেলেন ঢাকায়। এখন এসব কী হচ্ছে? ওর ভবিষ্যৎ আমার চোখের সামনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জমির ভাই, মানে আমার বাবার অনাত্মীয় জমির সাহেবকে জানেন স্যার? আমরা তাকে চাচা বলি। তিনি একজন রাজনৈতিক নেতা, মফস্বল শহর পাবনা থেকে শুরু করেছিলেন রাজনীতি, আস্তে আস্তে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঢাকায় পৌঁছেছেন। বাবার সঙ্গে জানাশোনা অনেক দিন থেকে। আগে প্রায় প্রতিদিন আসতেন, ঢাকায় আসার পর যান মাঝেমধ্যে। একদিন আমাদের বাসায় এসে বললেন, তোমার বড় মেয়েটা বেশ চটপটে আছে। ওকে ঢাকায় পাঠাও। মফস্বলে থেকে কত দূর আর যেতে পারবে? এখানে কি-ই বা সুযোগ রয়েছে? এখন সবই তো ঢাকায়।
ঢাকায় গিয়ে কী করবে সীমা? ওর তো গ্র্যাজুয়েশনও হয়নি। বাবা বলেছিলেন।
শুনে জমির চাচা উত্তর দিয়েছিলেন, কেন? ঢাকাতেই গ্র্যাজুয়েশন করবে। সেই ব্যবস্থা করে দেব আমি। কলেজ ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে জানাশোনা আছে। বললেই অ্যাডমিশন হয়ে যাবে। হোস্টেলেও জায়গা পেতে অসুবিধা হবে না। সবই তো রাজনৈতিক দলের কন্ট্রোলে, যখন যারা ক্ষমতায় থাকে, তাদের। এখন আমরা আছি, সব সিদ্ধান্ত আমরাই নিই। কে অ্যাডমিশন পাবে, কার জন্য সিট খালি করাতে হবে—এ সবই আমাদের আওতায়। বুঝলেন না, একটা সিস্টেম তৈরি হয়ে গিয়েছে। বেশ সুন্দর চলছে। কেউ বাদ সাধছে না, কোনো হট্টগোল নেই। সবাই পাবে এই সুযোগ, পালা করে। বেশ গণতান্ত্রিক এই ব্যবস্থা। তা ছাড়া দলের কেউ না হলেও এসব সুযোগ পাওয়া যায়। একটু খরচ করতে হয় আর কি। সে যাই হোক, আপনার মেয়েটার দায়িত্ব আমি নিলাম। ও ঢাকায় যাবে, কলেজে ভর্তি হবে, হোস্টেলে থাকবে। পড়াশোনা করবে। মাঝেমধ্যে আমাদের পার্টি অফিসে এসে এটা-ওটা নিয়ে কাজ করে সাহায্য করবে।
কী কাজ করবে? কী নিয়ে সাহায্য করতে হবে সীমাকে? বাবার স্বরে উদ্বেগ ও ব্যাকুলতা।
তেমন কিছু না। ধরেন নেতার জন্য বক্তৃতা লেখা, প্যামফ্লেট তৈরি, প্রচার পুস্তিকা লেখা, ব্যানারের স্লোগান—এই সব আরকি। বড় ধরনের কোনো কাজ না, জটিলও না। খুব বেশি সময় দিতে হবে না তাকে। পড়াশোনার কোনো ক্ষতি হবে না।
বাবা শুনে আমার দিকে তাকিয়েছেন। মাথা নেড়ে বলেছেন, ও অমন কাজ আগে কখনো করেনি। পারবে না। তা ছাড়া ওই সব নিয়ে থাকলে পড়াশোনা লাটে উঠবে।
জমির চাচা আশ্বাস দিয়ে বললেন, কাজগুলো সব সোজা। লেখালেখি, তা-ও বাংলায়। ছোট ছোট আকারে। তাতে সময় বেশি লাগবে না। আর পড়াশোনার সময় তো সে এসব কাজ করবে না, অবসরে করবে। সন্ধ্যার পর। কখনো রাতে।
সন্ধ্যার পর, রাতে? বাবা খুব চিন্তিত হয়ে তাকিয়েছেন জমির চাচার দিকে। বলেছেন মাথা দুলিয়ে কাঁপা গলায়, শুনেছি, সন্ধ্যার পর ঢাকার রাস্তাঘাট নিরাপদ না। গুন্ডা-বদমাশ ঘুরে বেড়ায়। ইভটিজার পিছু নেয়।
আরে না। ওসব বাড়িয়ে বলে লোকে। ঢাকা রাজধানী, সেখানে আইনশৃঙ্খলা থাকবে না তো থাকবে কোথায়? অন্য সব মেয়ে থাকছে না ঢাকায়? কাজ করছে না, ঘোরাঘুরি করছে না? মজার ব্যাপার কি জানেন?
কী? বাবার চোখে একরাশ কৌতূহল এবং পুরোনো প্রশ্ন।
ঢাকায় মফস্বলের মেয়েরাই বেশি ফ্রি, বেশি দুরন্ত, বেশ সাহসী। ওরা কাউকে পরোয়া করে না। সব পার্টিতেই তারা আছে। টেলিভিশনে দেখেন না, মিছিলের সময় সামনে থেকে কেমন হাত তুলে জোরে জোরে স্লোগান দেয়। মফস্বলের মেয়েরাই ঢাকায় আন্দোলন জমিয়ে রাখে। বলতে গেলে ওরাই আসল কর্মী দল। ছেলেগুলো ফাঁকিবাজ। তারা মেয়েদের দিয়েই সব কাজ করিয়ে নিতে চায়। শুধু বাহবা আর টাকা নেওয়ার সময় সামনে থাকে। সব কাজের ক্রেডিট নেয়। জমির চাচা অনেকক্ষণ কথা বলে থামেন।
স্যার, কিছুই জানা ছিল না আমার, মফস্বলের মানুষ, তা-ও আবার মেয়ে। অল্প সময়ে অনেক কিছু শিখলাম। হয়তো আরও শেখার আছে। মেয়েদের সারা জীবনটাই জানার। ছাত্রী হয়েই থাকতে হয় সবকিছু জানার জন্য। অ্যাপ্রেন্টিস বলে না? আমরা হলাম তাই। কিন্তু আমি আর পারছি না স্যার। আমার একটা চাকরি দরকার। ভদ্রলোকের, ভদ্রমেয়ের মতো চাকরি। আপনি দিতে পারেন। আপনার তো সেই সুযোগ রয়েছে। আমার বেশি কিছু দেওয়ার নেই, সবই তো দেখতে পাচ্ছেন। প্রায় দেউলে হয়ে গিয়েছে শরীর আর মন। দেওয়ার মতো কিছু হয়তো একসময় ছিল, এখন তেমন কিছু নেই। মিথ্যে বলব কেন। আপনি অভিজ্ঞ লোক। সেলিব্রিটি।
তিনি বিরক্ত হয়ে বলেন, তোমার একটা দোষ আছে। তুমি বেশি কথা বল।
মেয়েটি শুনে মিইয়ে যায়। তারপর বলে, জমির চাচা কোথায়? আছেন, তিনি তার জায়গাতেই আছেন, দলের কাজ করছেন উঠে-পড়ে, দলে আরও কিছুটা ওপরে উঠতে পেরেছেন। অনেক ফন্দিফিকির জানেন তিনি। কী করে ডিঙিয়ে যেতে হয়, ওপরের মানুষকে তুষ্ট করতে হয়, সব জানা আছে তার। তিনি আরও ওপরে উঠবেন।
আমি? না, আমার পক্ষে ওপরে ওঠা সম্ভব হবে না। যেটুকু উঠেছি, ওই পর্যন্ত। মানববন্ধন করি, মিছিলে যাই, মঞ্চ তৈরি করে তার ওপরে উঠে গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিই। টেলিভিশনে দেখায়। কাগজে নাম ছাপা হয়। পাবনা থেকে ছোট বোন প্রশংসা করে ফোনে জানায়। মা-ও খুশি, তার মেয়েকে টেলিভিশনে দেখা যাচ্ছে, সবাই তার কথা বলছে। মা আমাকে নিয়ে গর্ব করেন বলে শুনেছি।
পড়াশোনা? হ্যাঁ, জমির চাচা তাঁর কথা রেখেছিলেন। কলেজে অ্যাডমিশন হয়েছে। হোস্টেলে শেয়ারে সিট পেয়েছি, মানে দুজনে একসঙ্গে থাকতে হয়। ক্লাস বেশি হয় না, প্রায়ই বন্ধ থাকে। আমরাও ফুরসত পাই না। হরতাল, মিটিং, মিছিল। মঞ্চে উঠে স্লোগান দেওয়া। এতে অনেক সময় চলে যায়। তবে কলেজে নামটা আছে খাতায়। হোস্টেলে সিটটা আছে এখনো। কেউ আপত্তি করে না, কেন করবে? প্রায় সবাই তো আমার মতো অবস্থার। কারও অনুগ্রহে অ্যাডমিশন আর সিট পাওয়া। সন্ধ্যার পর পড়াশোনা? না, সেটা প্রায় কারোরই হয় না। সবাই কিছু না কিছু নিয়ে ব্যস্ত, টাকার ধান্দায় ঘোরে। আমি পার্টি অফিসে যাই। কখনো একা, কখনো ছাত্রনেতাদের সঙ্গে। জমির ভাইয়ের অফিসে বসে বক্তৃতা লিখি, কখনো লিফলেট। কম্পিউটারে প্রিন্ট আউট বের করে দেখাই। তিনি প্রুফ দেখে দেন। আবার টাইপ করি। এসব কাজ ছেলেরা করতে চায় না। তারা মারধর, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ভাঙচুর—এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কাজ শেষ হলে আড্ডা দেয়, ড্রিংক করে একসঙ্গে বসে।
ড্রিংক? না, না। চা-টা না। অ্যালকোহল। হুইসকি। বিয়ার। আমাকেও খেতে হয়েছে পাল্লায় পড়ে। ওদের সঙ্গে থাকতে হলে তাদের সমর্থন পাওয়ার জন্য নানাভাবে সঙ্গ দিতে হয়। এড়ানোর উপায় নেই। ওরা নেতাদের কাছে নালিশ করলে আমাদের ভাতা বন্ধ। দেড় হাজার টাকা ভাতা পাই আমি অফিস থেকে, তাই দিয়ে কলেজে পড়া, হোস্টেলে থাকা। খুব মূল্যবান সেই ভাতা। বোকামি করে হারাতে পারি না। তাহলে যে পথে বসব।
জমির ভাইকে বলোনি কেন এসব? কী যে বলেন! তিনি কি ধোয়া তুলসি পাতা? তিনিও ড্রিংক করেন। রাতে কাজ শেষ হয়ে গেলে অফিসে বসেই করেন। আমাকেও খেতে হয়েছে তার সঙ্গে। আদর করে জড়ানো গলায় বলেছেন, খাও, খাও। ভালো জিনিস। স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এনার্জি বাড়ায়। এত পরিশ্রম করার পর দরকার আছে এটার। সাহেবরা তো খারাপ জিনিস তৈরি করেনি। অল্প অল্প খাও, তাহলে বেসামাল হবে না। একটু সামলে চলতে হবে, হাজার হোক এটা পার্টি অফিস। বেসামাল হতে চাও তো আমার বাসায় এসো। তোমার ভাবি? আরে সে থাকলে তো! কেউ নেই, বাসা খালি। মারা গিয়েছে? না, মারা যাবে কেন? মেয়েরা অত তাড়াতাড়ি মরে না। এই ঝগড়া করে চলে গেল আরকি। বলল, রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে ঘর করা পোষাবে না তার। কয়েক বছর একসঙ্গে থাকার পর এই কথা বলা। এত দিন যখন সহ্য করতে পেরেছে, তখন বাকিটাও পারত। কোনো মানে হয় হঠাৎ করে এসব কথা বলার? যারা দেশের জন্য খাটছে দিন-রাত, তাদের কিছু খামখেয়ালি, নিয়ম ভেঙে চলা—এসব সহ্য করতে না পারলে চলবে কেন? শুনল না মেয়ে মানুষটা। চলে গেল। যাক গে। বেশ আছি। হাত-পা ঝাড়া। চাকর আছে, রাঁধুনি আছে বাসায়। খাওয়া-দাওয়ার অসুবিধা হচ্ছে না, ঘুমোবার সময় বেশ ঘুমোচ্ছি। হ্যাঁ, তোমার যখন খুশি যেতে পারো। ওদের বললেই তোমাকে খেতে দেবে। দোকানে দোকানে সব সময় খাওয়া ভালো না লাগারই কথা। সেই তো বিরিয়ানি, নয়তো পরোটা-গোশত। কত দিনের পুরোনো কে জানে। স্বাদ বদলের জন্য এসো আমার বাড়ি মাঝে মাঝে। যখন খুশি। আমি বলে রাখব। জমির চাচা বললেও আমি সঙ্গে সঙ্গে তার বাসায় যাইনি। আমার মনে বেশ সন্দেহ জমেছিল। আস্তে আস্তে লোকটার চেহারা খুলে যাচ্ছিল আমার সামনে।
জমির চাচা নিজেই একদিন নিয়ে গেলেন তার বাসায়। প্রায় জোর করেই ড্রিংক করালেন ড্রয়িংরুমে বসে। সেদিন বেশিই খাওয়া হয়ে গিয়েছিল, তারই চাপে। ড্রিংকের পর পোলাও-কোর্মা খাওয়া হলো। খুব ফুর্তি লাগছিল। অমন মজা করে খাইনি অনেক দিন। তিনি যখন অনেক রাতে বললেন, দেরি হয়ে গিয়েছে। এখন হোস্টেলে যাওয়া ঠিক হবে না। থেকে যাও এখানে।
তাঁকে বেশি করে বলতে হলো না। থেকে গেলাম প্রায় স্বেচ্ছায়। সেই শুরু। তারপর বেশ কয়েক দিন হয়েছে অমন, একসঙ্গে ড্রিংক করা, খাওয়া আর ঘুমানো। দলের ছেলেরা তো বোকা না, টের পেয়ে গিয়েছে। ঠাট্টা করেছে, মিসট্রেস বলে। গায়ে মাখিনি। এমন ভাব করেছি, যেন শুনতেই পাইনি। ওরা ঠাট্টা করা বন্ধ করেনি।
জমির চাচাকে কেন বলিনি ওদের কথা? এই জন্য বলিনি যে জমির চাচা ওদের কিছু বলবেন না। তাদের নিয়ে কাজ করতে হয় তাকে।
তিনি রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছেন, অনেক জায়গাজুড়ে মঞ্চ। রাস্তায়, ফুটপাতে মানুষের ভিড়। অল্প বয়সের ছেলেমেয়েই বেশি। স্লোগান উঠছে থেকে থেকে, কোলাহল বাড়ছে। তিনি সীমার দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি মঞ্চে যাবে না আজ? স্লোগান দিতে?
না। ছাত্রনেতারা পলিটিকস করছে আমার সঙ্গে। বলছে, তাদের খাদ্য হতে হবে। শুধু জমির চাচার একার খাদ্য হলে চলবে না। রাতের বেলা মঞ্চের আশপাশে তাদের সঙ্গেও শুতে হবে। তাহলেই হাতে মাইক্রোফোন দেবে, নচেৎ নয়।
শুনে তিনি অবিশ্বাসের চোখে তার দিকে তাকান। রাস্তার স্লোগান ক্রমেই জোরালো হয়। তিনি সীমা নামের মেয়েটিকে বলেন, মাইক্রোফোন ওরা কন্ট্রোল করে? ওরাই ঠিক করে কে কখন স্লোগান দেবে?
তা নয় তো কী? ওরাই তো মঞ্চের নেতা। ওদের কথা যারা মানবে না, তারা হাতে মাইক্রোফোন পাবে না। গলা যত সুন্দরই হোক। আমার মতো ভরাট গলা হলেও চান্স পাবে না। মেয়েটি হঠাৎ তার দিকে তাকিয়ে বলল, শুনবেন স্যার? একটা স্লোগান দেব? আমার ভরাট গলায়?
না, না। দরকার নেই। এমনিতেই বুঝতে পারছি তোমার গলা বেশ ভরাট। রেডিও, টিভি অ্যানাউন্সারদের মতো, নিউজ রিডারের মতো।
মেয়েটি খুব খুশি হয় শুনে। হাসিমুখে বলে, সত্যি বলছেন স্যার? টিভি অ্যানাউন্সার, নিউজ রিডারের মতো? বলতে বলতে মেয়েটির চোখ ভিজে এল। ধরা গলায় বলল, আমার মতো অধঃপতিত মেয়ের ভাগ্যে কি তা হবে কখনো? হতে পারত যদি খারাপ হয়ে না যেতাম। ভালো পথে চলতাম। ভালো লোকের সঙ্গে মিশতাম। কিন্তু তা কী করে সম্ভব? আমার মতো অবস্থার একটা মেয়ে ভালো পথে কী করে চলবে? ভালো মানুষের সঙ্গ সে কোথায় পাবে? হাজার চেষ্টা করলেও তা হবে না। পাবনা থেকে ঢাকা অনেক দূরের পথ। আমি তো জানি পথের বাধাগুলো কোথায় কোথায় দাঁড়িয়ে। না, অত বড় কিছুর কথা ভাবতে পারি না আমি এখন। ছোটখাটো একটা চাকরি পেলেই বর্তে যাব। যেকোনো কাজ, যা ভদ্রভাবে চলতে দেবে, সুন্দরভাবে থাকতে দেবে। আচ্ছা স্যার, আপনার টেলিভিশন চ্যানেলে লেখাটেখার কোনো কাজ নেই? আমি খুব ভালো বাংলা লিখি। কবি শামসুর রাহমানের ওপর লেখা আমার কয়েকটা প্রবন্ধ আছে। অনেকে প্রশংসা করেছিল। আরও কয়েকটা লিখে একটা বই বের করব ভেবেছিলাম। কিন্তু সময় হলো না। ইচ্ছেটা এখনো আছে।
জমির চাচাকে বলব? তিনি উড়িয়ে দেবেন কথাটা। বলবেন, কবি-টবিদের ওপরে বই লিখে কী হবে? তার চেয়ে আমাদের দলের ওপর লেখো। দলের নেতাদের ওপর লেখো। তারপর একটু থেমে বলেছেন, তোমার অসুবিধা কোথায়? এই সব কথা তোমার মাথায় ঢোকে কেন? মাসে তিন হাজার টাকা পাচ্ছ। সেই টাকায় কলেজের ফি, হোস্টেলের খরচ দিচ্ছ। এই বয়সে এর চেয়ে ভালো চাকরি আর কী হতে পারে? তাও আবার পার্টটাইম। পরীক্ষায় পাস করার পর বেশি বেতনে চাকরি পেয়ে যাবে, তখন তুমি শুধু শামসুর রাহমান কেন, সব কবিদের নিয়ে লিখবে। এখন তোমাকে আমার অফিসের কাজের জন্য বেশি দরকার। ছাত্রনেতারা হাসি-ঠাট্টা করে? তা একসঙ্গে করলে বন্ধুরা অমন করবেই, গায়ে না মাখালেই হলো অথবা হেসে উড়িয়ে দেবে। আর শোনো, আমাকে না বলে ছাত্রনেতাদের সম্পর্কে কিছুই বলতে যাবে না। ওরা রেগে গেলে সবকিছু করতে পারে। দল ভেঙে অন্য কোথাও যাওয়ারও চেষ্টা কোরো না। দলের ছেলেরা সেটা সহ্য করবে না। ওরা সাংঘাতিক কিছু করে ফেলবে। দলের ছেলেমেয়েদের দলে রাখা তাদের জন্য একটা প্রেসটিজের ব্যাপার। ইচ্ছে করলেই কাউকে চলে যেতে দেওয়া যায় না। ঢোকা সহজ, বেরোনো কঠিন। বুঝলে? মাথা ঠিক রেখে কাজ করো। সমস্যা হলেই আমার কাছে চলে আসবে, খোলাখুলি সব বলবে।
জমির সাহেব মঞ্চের ছেলেদের বলছেন না কেন তোমাকে মাইক্রোফোন দেওয়ার জন্য? তিনি মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করেন।
বলছেন না এই জন্য যে তিনি তাদের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে চান না। তা ছাড়া ব্যাপারটা নাটকের মতো। পেছন থেকে প্রম্পটার যা বলছে, তাই নিয়ে স্লোগান হচ্ছে, সে অনুযায়ী সবকিছু চলছে। বাইরে থেকে কিছু বোঝা যায় না। জমির চাচা মঞ্চের পেছন থেকে সামনে আসতে যাবেন কেন? তিনি এবং তার বন্ধুরা টাকা দিয়ে যাচ্ছেন, খাওয়ার প্যাকেট পাঠাচ্ছেন। মঞ্চ চালু থাকছে, মিছিল বের হচ্ছে। ব্যস, এতেই তারা সন্তুষ্ট। একটা মেয়ের জন্য তিনি কিংবা তার সহকর্মীরা ছাত্রনেতাদের খেপাতে যাবেন কেন? নিজের দুর্বলতা থাকলে এমনই হয়। না, জমির চাচাকে বলে কিছু হবে না। সে আমার জানা আছে। হাতে মাইক্রোফোন পাওয়ার একটাই উপায়। ছাত্রনেতাদের কথা শুনতে হবে। সোজা কথায়, তাদের খাদ্য হতে হবে। হ্যাঁ স্যার, আমার মতো মেয়েরা সবাই খাদ্য। তারা মেনে নিয়েছে, ইচ্ছায় এবং অনিচ্ছায়। কী করবে? বাবার এত টাকা নেই যে তার খরচে ঢাকায় থাকবে। চাচা নেই, মামা নেই যে সাহায্য করতে পারেন। একমাত্র জমির চাচারা আছেন। তারা আগ বাড়িয়ে সাহায্য করতে আসেন। বড় মিষ্টি তাদের ব্যবহার। প্রায় অপত্যস্নেহে তাঁরা সঙ্গে নিয়ে ঘোরেন।
মেয়েটি প্রসঙ্গ বদলায়। বলে, আপনাকে টেলিভিশনে দেখেছি, টকশোতে আপনার কথা শুনেছি। আপনাকে অন্য রকম মনে হয়েছে। মানে অন্য পুরুষদের মতো না। আমার ভুলও হতে পারে। কিন্তু সত্যিই আপনাকে দেখে আমার এমন মনে হয়েছে। তা স্যার, পারবেন আমার জন্য কিছু করতে? বড় কিছু না। মঞ্চের আড়ালেই থাকব, লেখালেখি কিছু থাকলে করে দেব। টেলিভিশনেও লেখার কাজ নিশ্চয়ই আছে?
এই বইটা থেকে পড়ব? কতটুকু? এক প্যারা? বেশ পড়ছি। বলে মেয়েটি পড়তে থাকে এক মনে। পড়া শেষ হলে সে তাকে বলে, ক্যামন হলো স্যার? স্লোগান দিয়ে দিয়ে গলাটা ভেঙে গিয়েছে। নরমাল হলে আর একটু ভালো হতো। তা লেখালেখির কাজের জন্য তো গলার স্বরের দরকার নেই। আমার লেখা প্রবন্ধগুলো আপনাকে দেব। কবি শামসুর রাহমানের ওপর লেখা প্রবন্ধ। আমার খুব প্রিয় কবি ছিলেন। ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়লেই আমার গায়ের রোমকূপ দাঁড়িয়ে যায়। আমি প্রবন্ধগুলো আপনার অফিসে গিয়ে দিয়ে আসব। আপনার কাছে পৌঁছাবে কি না কে জানে। কত রকমের সিকিউরিটি আপনাদের অফিসে। তবু আমি দিয়ে আসব।
তিনি পকেট থেকে মোবাইল বের করে চোখের সামনে নিয়ে একটা নম্বরে টিপ দিলেন। তারপর ওপাশে কণ্ঠস্বর শোনা যেতেই তিনি বললেন, একটা মেয়ে যাবে অফিসে। নাম সীমা। ওর একটা অডিশন নেবে। হ্যাঁ, সে একটা কিছু পড়ে যাবে, যা তোমরা তাকে দেবে। শোনার পর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে। তারপর আমাকে তোমাদের মত দেবে। হ্যাঁ, আমিও শুনব তার রেকর্ড করা অডিশন।
স্যার, আমি টেলিভিশনে অডিশন দেব? সত্যি বলছেন? না, না ঠাট্টা করবেন না আমার সঙ্গে। আমি এর মধ্যেই জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছি। আর বাড়াতে চাই নে কষ্টের বোঝা। স্যার, চাকরি না দেন, আমার সঙ্গে ঠাট্টা করবেন না। আমি মফস্বলের সামান্য একজন মেয়ে, তার ওপর আবার অধঃপতিত। পড়ে গেলে নাকি ওঠা কঠিন। আমি একটু দেখতে চাই, পড়ে গেলেও ওঠা যায় কি না, তার জন্য ছোট একটা সুযোগ দেন শুধু।
তিনি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি খুব বেশি কথা বল।
শাহবাগ চত্বর লোকে লোকারণ্য। সব বয়সের মানুষ নর-নারীতে ভরে গিয়েছে সব রাস্তা, ফুটপাত। সবাই ব্যগ্র হয়ে তাকিয়ে আছে দক্ষিণের দিকে, যেখানে জাতীয় জাদুঘর, পাবলিক লাইব্রেরি আর তারপর আর্ট ইনস্টিটিউট। হকাররা ভিড়ের মধ্যে নানা ধরনের জিনিস বিক্রি করছে। খেলনা, খাবার জিনিস—সবই। লাল আর সাদা হাওয়াই মিঠাইয়ের পেজা তুলার মতো ফাঁপানো শরীর প্লাস্টিকের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। বাবার কাঁধে চড়ে একটা শিশু হাওয়াই মিঠাই খাচ্ছে, কাঁধে চড়েই কেউ বাতাসে খেলনা নাড়ছে। বাঁশি বাজাচ্ছে এক হকার, গলায় ঝোলানো ঝোলায় বিক্রির বাঁশি। শুকনো মিষ্টি বিক্রি করছে ঠেলাওয়ালা। বাতাসে ভাজা-পোড়ার গন্ধ। শিশুপার্কের সামনে এক চিলতে জায়গায় ফকির আলমগীর তাঁর দল নিয়ে লালনসংগীত গাইছেন ফিউশন সুরে।
একটু পরে আর্ট ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হলো। সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে ঢেউয়ের মতো একটা চঞ্চলতা আছড়ে পড়ল। পেপিয়ার-ম্যাশে তৈরি মস্ত বড় বাঘ, প্যাঁচা, ময়ূর মাথার ওপরে তুলে এগিয়ে আসছে শোভাযাত্রার ছেলেমেয়েরা। উত্তেজনায় ফেটে পড়ছে যেন, চঞ্চল হয়ে উঠেছে ভিড়ের মানুষ। গরমে ঘামছে সবাই, লাল হয়ে এসেছে মুখ। ধুলো উড়ছে, বাতাসে রোদের ঝাঁজ।
মেয়েটি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে বলছে, ‘নতুন বর্ষকে স্বাগত জানিয়ে এগিয়ে আসছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। এতক্ষণ যারা অধীর প্রতীক্ষায় ছিল, হাজার হাজার সেই সব নর-নারী শিশু-কিশোরের প্রতীক্ষা শেষ হলো। গান শোনা যাচ্ছে, এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।’ বলতে বলতে মেয়েটির স্বর ক্রমেই উঁচু হলো। এত কোলাহল, গানের চড়া সুর, তার ভেতরে মেয়েটির কণ্ঠস্বর স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। সে পরেছে লাল পেড়ে সাদা সুতির একটা শাড়ি। তার এক হাতে ছোট গাঁদা ফুলের মালা বালার মতো জড়িয়ে।
মেয়েটি নাছোড়বান্দা, তিনি যতই তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন, সে ঘুরে এসে দাঁড়ায় সামনে, প্রথম সারিতে না হলেও দ্বিতীয় কি তৃতীয় সারিতে। দেখতে সে সুশ্রী নয়, তবে তার চোখে-মুখে তীক্ষ একটা ভাব আছে, নতুন ছুরির মতো। তার চোখের নিচে ক্লান্তির কালো দাগ, মুখে একধরনের রুক্ষতা। আগে সেখানে যে কমনীয়তা ছিল তা মুছে ফেলেছে। ঠোঁট দুটি চকচক করছে, যেন গ্লিসারিন মাখানো। আসলে সে ঘন ঘন জিভ দিয়ে শুকনো ঠোঁট ভিজিয়ে নিচ্ছে। গলার নিচে কণ্ঠি বের হয়ে এসেছে, ওপরের দিকে গলার মধ্যে কয়েকটি ভাঁজ, সেখানে ঘামের পানি জমে আছে রুপার চিকন হারের মতো। শুকনো খড়ের মতো চুল উড়ছে বাতাসে। প্রায় ময়লা সবুজ ওড়না লাল কামিজে জড়ানো শরীরের ওপরে একটা স্তন ঢেকে রেখেছে, বুকের অন্য পাশে ওড়না কামিজের কাপড়ের ওপর ছড়িয়ে রাখা, প্রায় সমতল দুই দিকেই, হঠাৎ দেখে ছেলে কি মেয়ে বোঝা যায় না। মেয়েটি বাংলাদেশের পতাকার রং দিয়েই সালোয়ার-কামিজ বানিয়েছে অথবা সেই রকম তৈরি করা কাপড় কিনেছে। আজকাল অনেকেই এভাবে কাপড় পরে, কিছুটা দেশপ্রেম দেখাতে, কিছুটা ফ্যাশন স্টেটমেন্টের জন্য। মেয়েটা দেখতে সুশ্রী না হলেও বয়সের জন্য একধরনের আকর্ষণ আছে তার শরীরে। অগোছালো বেশবাস সেই আকর্ষণে একটা বন্যতার ভাব সৃষ্টি করেছে, যেন সে যেখানে খুশি লাফিয়ে পড়তে পারে। দেখেই মনে হয় খুবই বেপরোয়া আর অ্যাগ্রেসিভ।
বুঝলেন স্যার, ওরা আমার সঙ্গে পলিটিকস করছে। সামনের সারিতে থাকতে দিচ্ছে না। অথচ এই কদিন আমি সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে থেকে স্লোগান দিয়েছি। আমার গলার স্বর এত উঁচু যে মাইক্রোফোনের বলতে গেলে দরকার হয় না। এক মাইল দূর থেকেই শুনে বুঝতে পারবেন এটা আমার গলার স্বর। মিটিংয়ের জন্য স্লোগানের দরকার, স্লোগানই মিটিং জমিয়ে তোলে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন। অভিজ্ঞ লোক আপনি। আমি কয়েক দিন মিটিং জমিয়ে রেখেছি শুধু আমার গলার জোরে স্লোগান দিয়ে দিয়ে। কাগজে আমার নাম এসেছে। টেলিভিশনে আমাকে প্রায়ই দেখিয়েছে। পাবনা থেকে দেখে আমার ছোট বোন ফোনে বলেছে, আপু তোকে দেখা গিয়েছে। কয়েকবার। তুই খুব মাতিয়ে রেখেছিস। আমার মাও প্রশংসা করেছেন দেখে। কেন করবেন না? নিজের মেয়ের খ্যাতিতে কোন মা গর্ব অনুভব করে না? বাবা? না, তিনি কিছু বলেননি। বেতো রুগি, বিছানায় শুয়ে থাকেন সব সময়। শুনেছি, ছোট বোনকে বলেছেন, ও ঢাকা গেল পড়াশোনা করতে। এখন মিছিল-মিটিং আর মানববন্ধন করে সময় নষ্ট করছে। ওর পড়াশোনার কী হবে? জমির ভাই তো পড়ার কথা বলেই ওকে নিয়ে গেলেন ঢাকায়। এখন এসব কী হচ্ছে? ওর ভবিষ্যৎ আমার চোখের সামনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জমির ভাই, মানে আমার বাবার অনাত্মীয় জমির সাহেবকে জানেন স্যার? আমরা তাকে চাচা বলি। তিনি একজন রাজনৈতিক নেতা, মফস্বল শহর পাবনা থেকে শুরু করেছিলেন রাজনীতি, আস্তে আস্তে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঢাকায় পৌঁছেছেন। বাবার সঙ্গে জানাশোনা অনেক দিন থেকে। আগে প্রায় প্রতিদিন আসতেন, ঢাকায় আসার পর যান মাঝেমধ্যে। একদিন আমাদের বাসায় এসে বললেন, তোমার বড় মেয়েটা বেশ চটপটে আছে। ওকে ঢাকায় পাঠাও। মফস্বলে থেকে কত দূর আর যেতে পারবে? এখানে কি-ই বা সুযোগ রয়েছে? এখন সবই তো ঢাকায়।
ঢাকায় গিয়ে কী করবে সীমা? ওর তো গ্র্যাজুয়েশনও হয়নি। বাবা বলেছিলেন।
শুনে জমির চাচা উত্তর দিয়েছিলেন, কেন? ঢাকাতেই গ্র্যাজুয়েশন করবে। সেই ব্যবস্থা করে দেব আমি। কলেজ ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে জানাশোনা আছে। বললেই অ্যাডমিশন হয়ে যাবে। হোস্টেলেও জায়গা পেতে অসুবিধা হবে না। সবই তো রাজনৈতিক দলের কন্ট্রোলে, যখন যারা ক্ষমতায় থাকে, তাদের। এখন আমরা আছি, সব সিদ্ধান্ত আমরাই নিই। কে অ্যাডমিশন পাবে, কার জন্য সিট খালি করাতে হবে—এ সবই আমাদের আওতায়। বুঝলেন না, একটা সিস্টেম তৈরি হয়ে গিয়েছে। বেশ সুন্দর চলছে। কেউ বাদ সাধছে না, কোনো হট্টগোল নেই। সবাই পাবে এই সুযোগ, পালা করে। বেশ গণতান্ত্রিক এই ব্যবস্থা। তা ছাড়া দলের কেউ না হলেও এসব সুযোগ পাওয়া যায়। একটু খরচ করতে হয় আর কি। সে যাই হোক, আপনার মেয়েটার দায়িত্ব আমি নিলাম। ও ঢাকায় যাবে, কলেজে ভর্তি হবে, হোস্টেলে থাকবে। পড়াশোনা করবে। মাঝেমধ্যে আমাদের পার্টি অফিসে এসে এটা-ওটা নিয়ে কাজ করে সাহায্য করবে।
কী কাজ করবে? কী নিয়ে সাহায্য করতে হবে সীমাকে? বাবার স্বরে উদ্বেগ ও ব্যাকুলতা।
তেমন কিছু না। ধরেন নেতার জন্য বক্তৃতা লেখা, প্যামফ্লেট তৈরি, প্রচার পুস্তিকা লেখা, ব্যানারের স্লোগান—এই সব আরকি। বড় ধরনের কোনো কাজ না, জটিলও না। খুব বেশি সময় দিতে হবে না তাকে। পড়াশোনার কোনো ক্ষতি হবে না।
বাবা শুনে আমার দিকে তাকিয়েছেন। মাথা নেড়ে বলেছেন, ও অমন কাজ আগে কখনো করেনি। পারবে না। তা ছাড়া ওই সব নিয়ে থাকলে পড়াশোনা লাটে উঠবে।
জমির চাচা আশ্বাস দিয়ে বললেন, কাজগুলো সব সোজা। লেখালেখি, তা-ও বাংলায়। ছোট ছোট আকারে। তাতে সময় বেশি লাগবে না। আর পড়াশোনার সময় তো সে এসব কাজ করবে না, অবসরে করবে। সন্ধ্যার পর। কখনো রাতে।
সন্ধ্যার পর, রাতে? বাবা খুব চিন্তিত হয়ে তাকিয়েছেন জমির চাচার দিকে। বলেছেন মাথা দুলিয়ে কাঁপা গলায়, শুনেছি, সন্ধ্যার পর ঢাকার রাস্তাঘাট নিরাপদ না। গুন্ডা-বদমাশ ঘুরে বেড়ায়। ইভটিজার পিছু নেয়।
আরে না। ওসব বাড়িয়ে বলে লোকে। ঢাকা রাজধানী, সেখানে আইনশৃঙ্খলা থাকবে না তো থাকবে কোথায়? অন্য সব মেয়ে থাকছে না ঢাকায়? কাজ করছে না, ঘোরাঘুরি করছে না? মজার ব্যাপার কি জানেন?
কী? বাবার চোখে একরাশ কৌতূহল এবং পুরোনো প্রশ্ন।
ঢাকায় মফস্বলের মেয়েরাই বেশি ফ্রি, বেশি দুরন্ত, বেশ সাহসী। ওরা কাউকে পরোয়া করে না। সব পার্টিতেই তারা আছে। টেলিভিশনে দেখেন না, মিছিলের সময় সামনে থেকে কেমন হাত তুলে জোরে জোরে স্লোগান দেয়। মফস্বলের মেয়েরাই ঢাকায় আন্দোলন জমিয়ে রাখে। বলতে গেলে ওরাই আসল কর্মী দল। ছেলেগুলো ফাঁকিবাজ। তারা মেয়েদের দিয়েই সব কাজ করিয়ে নিতে চায়। শুধু বাহবা আর টাকা নেওয়ার সময় সামনে থাকে। সব কাজের ক্রেডিট নেয়। জমির চাচা অনেকক্ষণ কথা বলে থামেন।
স্যার, কিছুই জানা ছিল না আমার, মফস্বলের মানুষ, তা-ও আবার মেয়ে। অল্প সময়ে অনেক কিছু শিখলাম। হয়তো আরও শেখার আছে। মেয়েদের সারা জীবনটাই জানার। ছাত্রী হয়েই থাকতে হয় সবকিছু জানার জন্য। অ্যাপ্রেন্টিস বলে না? আমরা হলাম তাই। কিন্তু আমি আর পারছি না স্যার। আমার একটা চাকরি দরকার। ভদ্রলোকের, ভদ্রমেয়ের মতো চাকরি। আপনি দিতে পারেন। আপনার তো সেই সুযোগ রয়েছে। আমার বেশি কিছু দেওয়ার নেই, সবই তো দেখতে পাচ্ছেন। প্রায় দেউলে হয়ে গিয়েছে শরীর আর মন। দেওয়ার মতো কিছু হয়তো একসময় ছিল, এখন তেমন কিছু নেই। মিথ্যে বলব কেন। আপনি অভিজ্ঞ লোক। সেলিব্রিটি।
তিনি বিরক্ত হয়ে বলেন, তোমার একটা দোষ আছে। তুমি বেশি কথা বল।
মেয়েটি শুনে মিইয়ে যায়। তারপর বলে, জমির চাচা কোথায়? আছেন, তিনি তার জায়গাতেই আছেন, দলের কাজ করছেন উঠে-পড়ে, দলে আরও কিছুটা ওপরে উঠতে পেরেছেন। অনেক ফন্দিফিকির জানেন তিনি। কী করে ডিঙিয়ে যেতে হয়, ওপরের মানুষকে তুষ্ট করতে হয়, সব জানা আছে তার। তিনি আরও ওপরে উঠবেন।
আমি? না, আমার পক্ষে ওপরে ওঠা সম্ভব হবে না। যেটুকু উঠেছি, ওই পর্যন্ত। মানববন্ধন করি, মিছিলে যাই, মঞ্চ তৈরি করে তার ওপরে উঠে গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিই। টেলিভিশনে দেখায়। কাগজে নাম ছাপা হয়। পাবনা থেকে ছোট বোন প্রশংসা করে ফোনে জানায়। মা-ও খুশি, তার মেয়েকে টেলিভিশনে দেখা যাচ্ছে, সবাই তার কথা বলছে। মা আমাকে নিয়ে গর্ব করেন বলে শুনেছি।
পড়াশোনা? হ্যাঁ, জমির চাচা তাঁর কথা রেখেছিলেন। কলেজে অ্যাডমিশন হয়েছে। হোস্টেলে শেয়ারে সিট পেয়েছি, মানে দুজনে একসঙ্গে থাকতে হয়। ক্লাস বেশি হয় না, প্রায়ই বন্ধ থাকে। আমরাও ফুরসত পাই না। হরতাল, মিটিং, মিছিল। মঞ্চে উঠে স্লোগান দেওয়া। এতে অনেক সময় চলে যায়। তবে কলেজে নামটা আছে খাতায়। হোস্টেলে সিটটা আছে এখনো। কেউ আপত্তি করে না, কেন করবে? প্রায় সবাই তো আমার মতো অবস্থার। কারও অনুগ্রহে অ্যাডমিশন আর সিট পাওয়া। সন্ধ্যার পর পড়াশোনা? না, সেটা প্রায় কারোরই হয় না। সবাই কিছু না কিছু নিয়ে ব্যস্ত, টাকার ধান্দায় ঘোরে। আমি পার্টি অফিসে যাই। কখনো একা, কখনো ছাত্রনেতাদের সঙ্গে। জমির ভাইয়ের অফিসে বসে বক্তৃতা লিখি, কখনো লিফলেট। কম্পিউটারে প্রিন্ট আউট বের করে দেখাই। তিনি প্রুফ দেখে দেন। আবার টাইপ করি। এসব কাজ ছেলেরা করতে চায় না। তারা মারধর, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ভাঙচুর—এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কাজ শেষ হলে আড্ডা দেয়, ড্রিংক করে একসঙ্গে বসে।
ড্রিংক? না, না। চা-টা না। অ্যালকোহল। হুইসকি। বিয়ার। আমাকেও খেতে হয়েছে পাল্লায় পড়ে। ওদের সঙ্গে থাকতে হলে তাদের সমর্থন পাওয়ার জন্য নানাভাবে সঙ্গ দিতে হয়। এড়ানোর উপায় নেই। ওরা নেতাদের কাছে নালিশ করলে আমাদের ভাতা বন্ধ। দেড় হাজার টাকা ভাতা পাই আমি অফিস থেকে, তাই দিয়ে কলেজে পড়া, হোস্টেলে থাকা। খুব মূল্যবান সেই ভাতা। বোকামি করে হারাতে পারি না। তাহলে যে পথে বসব।
জমির ভাইকে বলোনি কেন এসব? কী যে বলেন! তিনি কি ধোয়া তুলসি পাতা? তিনিও ড্রিংক করেন। রাতে কাজ শেষ হয়ে গেলে অফিসে বসেই করেন। আমাকেও খেতে হয়েছে তার সঙ্গে। আদর করে জড়ানো গলায় বলেছেন, খাও, খাও। ভালো জিনিস। স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এনার্জি বাড়ায়। এত পরিশ্রম করার পর দরকার আছে এটার। সাহেবরা তো খারাপ জিনিস তৈরি করেনি। অল্প অল্প খাও, তাহলে বেসামাল হবে না। একটু সামলে চলতে হবে, হাজার হোক এটা পার্টি অফিস। বেসামাল হতে চাও তো আমার বাসায় এসো। তোমার ভাবি? আরে সে থাকলে তো! কেউ নেই, বাসা খালি। মারা গিয়েছে? না, মারা যাবে কেন? মেয়েরা অত তাড়াতাড়ি মরে না। এই ঝগড়া করে চলে গেল আরকি। বলল, রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে ঘর করা পোষাবে না তার। কয়েক বছর একসঙ্গে থাকার পর এই কথা বলা। এত দিন যখন সহ্য করতে পেরেছে, তখন বাকিটাও পারত। কোনো মানে হয় হঠাৎ করে এসব কথা বলার? যারা দেশের জন্য খাটছে দিন-রাত, তাদের কিছু খামখেয়ালি, নিয়ম ভেঙে চলা—এসব সহ্য করতে না পারলে চলবে কেন? শুনল না মেয়ে মানুষটা। চলে গেল। যাক গে। বেশ আছি। হাত-পা ঝাড়া। চাকর আছে, রাঁধুনি আছে বাসায়। খাওয়া-দাওয়ার অসুবিধা হচ্ছে না, ঘুমোবার সময় বেশ ঘুমোচ্ছি। হ্যাঁ, তোমার যখন খুশি যেতে পারো। ওদের বললেই তোমাকে খেতে দেবে। দোকানে দোকানে সব সময় খাওয়া ভালো না লাগারই কথা। সেই তো বিরিয়ানি, নয়তো পরোটা-গোশত। কত দিনের পুরোনো কে জানে। স্বাদ বদলের জন্য এসো আমার বাড়ি মাঝে মাঝে। যখন খুশি। আমি বলে রাখব। জমির চাচা বললেও আমি সঙ্গে সঙ্গে তার বাসায় যাইনি। আমার মনে বেশ সন্দেহ জমেছিল। আস্তে আস্তে লোকটার চেহারা খুলে যাচ্ছিল আমার সামনে।
জমির চাচা নিজেই একদিন নিয়ে গেলেন তার বাসায়। প্রায় জোর করেই ড্রিংক করালেন ড্রয়িংরুমে বসে। সেদিন বেশিই খাওয়া হয়ে গিয়েছিল, তারই চাপে। ড্রিংকের পর পোলাও-কোর্মা খাওয়া হলো। খুব ফুর্তি লাগছিল। অমন মজা করে খাইনি অনেক দিন। তিনি যখন অনেক রাতে বললেন, দেরি হয়ে গিয়েছে। এখন হোস্টেলে যাওয়া ঠিক হবে না। থেকে যাও এখানে।
তাঁকে বেশি করে বলতে হলো না। থেকে গেলাম প্রায় স্বেচ্ছায়। সেই শুরু। তারপর বেশ কয়েক দিন হয়েছে অমন, একসঙ্গে ড্রিংক করা, খাওয়া আর ঘুমানো। দলের ছেলেরা তো বোকা না, টের পেয়ে গিয়েছে। ঠাট্টা করেছে, মিসট্রেস বলে। গায়ে মাখিনি। এমন ভাব করেছি, যেন শুনতেই পাইনি। ওরা ঠাট্টা করা বন্ধ করেনি।
জমির চাচাকে কেন বলিনি ওদের কথা? এই জন্য বলিনি যে জমির চাচা ওদের কিছু বলবেন না। তাদের নিয়ে কাজ করতে হয় তাকে।
তিনি রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছেন, অনেক জায়গাজুড়ে মঞ্চ। রাস্তায়, ফুটপাতে মানুষের ভিড়। অল্প বয়সের ছেলেমেয়েই বেশি। স্লোগান উঠছে থেকে থেকে, কোলাহল বাড়ছে। তিনি সীমার দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি মঞ্চে যাবে না আজ? স্লোগান দিতে?
না। ছাত্রনেতারা পলিটিকস করছে আমার সঙ্গে। বলছে, তাদের খাদ্য হতে হবে। শুধু জমির চাচার একার খাদ্য হলে চলবে না। রাতের বেলা মঞ্চের আশপাশে তাদের সঙ্গেও শুতে হবে। তাহলেই হাতে মাইক্রোফোন দেবে, নচেৎ নয়।
শুনে তিনি অবিশ্বাসের চোখে তার দিকে তাকান। রাস্তার স্লোগান ক্রমেই জোরালো হয়। তিনি সীমা নামের মেয়েটিকে বলেন, মাইক্রোফোন ওরা কন্ট্রোল করে? ওরাই ঠিক করে কে কখন স্লোগান দেবে?
তা নয় তো কী? ওরাই তো মঞ্চের নেতা। ওদের কথা যারা মানবে না, তারা হাতে মাইক্রোফোন পাবে না। গলা যত সুন্দরই হোক। আমার মতো ভরাট গলা হলেও চান্স পাবে না। মেয়েটি হঠাৎ তার দিকে তাকিয়ে বলল, শুনবেন স্যার? একটা স্লোগান দেব? আমার ভরাট গলায়?
না, না। দরকার নেই। এমনিতেই বুঝতে পারছি তোমার গলা বেশ ভরাট। রেডিও, টিভি অ্যানাউন্সারদের মতো, নিউজ রিডারের মতো।
মেয়েটি খুব খুশি হয় শুনে। হাসিমুখে বলে, সত্যি বলছেন স্যার? টিভি অ্যানাউন্সার, নিউজ রিডারের মতো? বলতে বলতে মেয়েটির চোখ ভিজে এল। ধরা গলায় বলল, আমার মতো অধঃপতিত মেয়ের ভাগ্যে কি তা হবে কখনো? হতে পারত যদি খারাপ হয়ে না যেতাম। ভালো পথে চলতাম। ভালো লোকের সঙ্গে মিশতাম। কিন্তু তা কী করে সম্ভব? আমার মতো অবস্থার একটা মেয়ে ভালো পথে কী করে চলবে? ভালো মানুষের সঙ্গ সে কোথায় পাবে? হাজার চেষ্টা করলেও তা হবে না। পাবনা থেকে ঢাকা অনেক দূরের পথ। আমি তো জানি পথের বাধাগুলো কোথায় কোথায় দাঁড়িয়ে। না, অত বড় কিছুর কথা ভাবতে পারি না আমি এখন। ছোটখাটো একটা চাকরি পেলেই বর্তে যাব। যেকোনো কাজ, যা ভদ্রভাবে চলতে দেবে, সুন্দরভাবে থাকতে দেবে। আচ্ছা স্যার, আপনার টেলিভিশন চ্যানেলে লেখাটেখার কোনো কাজ নেই? আমি খুব ভালো বাংলা লিখি। কবি শামসুর রাহমানের ওপর লেখা আমার কয়েকটা প্রবন্ধ আছে। অনেকে প্রশংসা করেছিল। আরও কয়েকটা লিখে একটা বই বের করব ভেবেছিলাম। কিন্তু সময় হলো না। ইচ্ছেটা এখনো আছে।
জমির চাচাকে বলব? তিনি উড়িয়ে দেবেন কথাটা। বলবেন, কবি-টবিদের ওপরে বই লিখে কী হবে? তার চেয়ে আমাদের দলের ওপর লেখো। দলের নেতাদের ওপর লেখো। তারপর একটু থেমে বলেছেন, তোমার অসুবিধা কোথায়? এই সব কথা তোমার মাথায় ঢোকে কেন? মাসে তিন হাজার টাকা পাচ্ছ। সেই টাকায় কলেজের ফি, হোস্টেলের খরচ দিচ্ছ। এই বয়সে এর চেয়ে ভালো চাকরি আর কী হতে পারে? তাও আবার পার্টটাইম। পরীক্ষায় পাস করার পর বেশি বেতনে চাকরি পেয়ে যাবে, তখন তুমি শুধু শামসুর রাহমান কেন, সব কবিদের নিয়ে লিখবে। এখন তোমাকে আমার অফিসের কাজের জন্য বেশি দরকার। ছাত্রনেতারা হাসি-ঠাট্টা করে? তা একসঙ্গে করলে বন্ধুরা অমন করবেই, গায়ে না মাখালেই হলো অথবা হেসে উড়িয়ে দেবে। আর শোনো, আমাকে না বলে ছাত্রনেতাদের সম্পর্কে কিছুই বলতে যাবে না। ওরা রেগে গেলে সবকিছু করতে পারে। দল ভেঙে অন্য কোথাও যাওয়ারও চেষ্টা কোরো না। দলের ছেলেরা সেটা সহ্য করবে না। ওরা সাংঘাতিক কিছু করে ফেলবে। দলের ছেলেমেয়েদের দলে রাখা তাদের জন্য একটা প্রেসটিজের ব্যাপার। ইচ্ছে করলেই কাউকে চলে যেতে দেওয়া যায় না। ঢোকা সহজ, বেরোনো কঠিন। বুঝলে? মাথা ঠিক রেখে কাজ করো। সমস্যা হলেই আমার কাছে চলে আসবে, খোলাখুলি সব বলবে।
জমির সাহেব মঞ্চের ছেলেদের বলছেন না কেন তোমাকে মাইক্রোফোন দেওয়ার জন্য? তিনি মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করেন।
বলছেন না এই জন্য যে তিনি তাদের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে চান না। তা ছাড়া ব্যাপারটা নাটকের মতো। পেছন থেকে প্রম্পটার যা বলছে, তাই নিয়ে স্লোগান হচ্ছে, সে অনুযায়ী সবকিছু চলছে। বাইরে থেকে কিছু বোঝা যায় না। জমির চাচা মঞ্চের পেছন থেকে সামনে আসতে যাবেন কেন? তিনি এবং তার বন্ধুরা টাকা দিয়ে যাচ্ছেন, খাওয়ার প্যাকেট পাঠাচ্ছেন। মঞ্চ চালু থাকছে, মিছিল বের হচ্ছে। ব্যস, এতেই তারা সন্তুষ্ট। একটা মেয়ের জন্য তিনি কিংবা তার সহকর্মীরা ছাত্রনেতাদের খেপাতে যাবেন কেন? নিজের দুর্বলতা থাকলে এমনই হয়। না, জমির চাচাকে বলে কিছু হবে না। সে আমার জানা আছে। হাতে মাইক্রোফোন পাওয়ার একটাই উপায়। ছাত্রনেতাদের কথা শুনতে হবে। সোজা কথায়, তাদের খাদ্য হতে হবে। হ্যাঁ স্যার, আমার মতো মেয়েরা সবাই খাদ্য। তারা মেনে নিয়েছে, ইচ্ছায় এবং অনিচ্ছায়। কী করবে? বাবার এত টাকা নেই যে তার খরচে ঢাকায় থাকবে। চাচা নেই, মামা নেই যে সাহায্য করতে পারেন। একমাত্র জমির চাচারা আছেন। তারা আগ বাড়িয়ে সাহায্য করতে আসেন। বড় মিষ্টি তাদের ব্যবহার। প্রায় অপত্যস্নেহে তাঁরা সঙ্গে নিয়ে ঘোরেন।
মেয়েটি প্রসঙ্গ বদলায়। বলে, আপনাকে টেলিভিশনে দেখেছি, টকশোতে আপনার কথা শুনেছি। আপনাকে অন্য রকম মনে হয়েছে। মানে অন্য পুরুষদের মতো না। আমার ভুলও হতে পারে। কিন্তু সত্যিই আপনাকে দেখে আমার এমন মনে হয়েছে। তা স্যার, পারবেন আমার জন্য কিছু করতে? বড় কিছু না। মঞ্চের আড়ালেই থাকব, লেখালেখি কিছু থাকলে করে দেব। টেলিভিশনেও লেখার কাজ নিশ্চয়ই আছে?
এই বইটা থেকে পড়ব? কতটুকু? এক প্যারা? বেশ পড়ছি। বলে মেয়েটি পড়তে থাকে এক মনে। পড়া শেষ হলে সে তাকে বলে, ক্যামন হলো স্যার? স্লোগান দিয়ে দিয়ে গলাটা ভেঙে গিয়েছে। নরমাল হলে আর একটু ভালো হতো। তা লেখালেখির কাজের জন্য তো গলার স্বরের দরকার নেই। আমার লেখা প্রবন্ধগুলো আপনাকে দেব। কবি শামসুর রাহমানের ওপর লেখা প্রবন্ধ। আমার খুব প্রিয় কবি ছিলেন। ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি পড়লেই আমার গায়ের রোমকূপ দাঁড়িয়ে যায়। আমি প্রবন্ধগুলো আপনার অফিসে গিয়ে দিয়ে আসব। আপনার কাছে পৌঁছাবে কি না কে জানে। কত রকমের সিকিউরিটি আপনাদের অফিসে। তবু আমি দিয়ে আসব।
তিনি পকেট থেকে মোবাইল বের করে চোখের সামনে নিয়ে একটা নম্বরে টিপ দিলেন। তারপর ওপাশে কণ্ঠস্বর শোনা যেতেই তিনি বললেন, একটা মেয়ে যাবে অফিসে। নাম সীমা। ওর একটা অডিশন নেবে। হ্যাঁ, সে একটা কিছু পড়ে যাবে, যা তোমরা তাকে দেবে। শোনার পর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে। তারপর আমাকে তোমাদের মত দেবে। হ্যাঁ, আমিও শুনব তার রেকর্ড করা অডিশন।
স্যার, আমি টেলিভিশনে অডিশন দেব? সত্যি বলছেন? না, না ঠাট্টা করবেন না আমার সঙ্গে। আমি এর মধ্যেই জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছি। আর বাড়াতে চাই নে কষ্টের বোঝা। স্যার, চাকরি না দেন, আমার সঙ্গে ঠাট্টা করবেন না। আমি মফস্বলের সামান্য একজন মেয়ে, তার ওপর আবার অধঃপতিত। পড়ে গেলে নাকি ওঠা কঠিন। আমি একটু দেখতে চাই, পড়ে গেলেও ওঠা যায় কি না, তার জন্য ছোট একটা সুযোগ দেন শুধু।
তিনি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি খুব বেশি কথা বল।
শাহবাগ চত্বর লোকে লোকারণ্য। সব বয়সের মানুষ নর-নারীতে ভরে গিয়েছে সব রাস্তা, ফুটপাত। সবাই ব্যগ্র হয়ে তাকিয়ে আছে দক্ষিণের দিকে, যেখানে জাতীয় জাদুঘর, পাবলিক লাইব্রেরি আর তারপর আর্ট ইনস্টিটিউট। হকাররা ভিড়ের মধ্যে নানা ধরনের জিনিস বিক্রি করছে। খেলনা, খাবার জিনিস—সবই। লাল আর সাদা হাওয়াই মিঠাইয়ের পেজা তুলার মতো ফাঁপানো শরীর প্লাস্টিকের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। বাবার কাঁধে চড়ে একটা শিশু হাওয়াই মিঠাই খাচ্ছে, কাঁধে চড়েই কেউ বাতাসে খেলনা নাড়ছে। বাঁশি বাজাচ্ছে এক হকার, গলায় ঝোলানো ঝোলায় বিক্রির বাঁশি। শুকনো মিষ্টি বিক্রি করছে ঠেলাওয়ালা। বাতাসে ভাজা-পোড়ার গন্ধ। শিশুপার্কের সামনে এক চিলতে জায়গায় ফকির আলমগীর তাঁর দল নিয়ে লালনসংগীত গাইছেন ফিউশন সুরে।
একটু পরে আর্ট ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হলো। সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে ঢেউয়ের মতো একটা চঞ্চলতা আছড়ে পড়ল। পেপিয়ার-ম্যাশে তৈরি মস্ত বড় বাঘ, প্যাঁচা, ময়ূর মাথার ওপরে তুলে এগিয়ে আসছে শোভাযাত্রার ছেলেমেয়েরা। উত্তেজনায় ফেটে পড়ছে যেন, চঞ্চল হয়ে উঠেছে ভিড়ের মানুষ। গরমে ঘামছে সবাই, লাল হয়ে এসেছে মুখ। ধুলো উড়ছে, বাতাসে রোদের ঝাঁজ।
মেয়েটি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে বলছে, ‘নতুন বর্ষকে স্বাগত জানিয়ে এগিয়ে আসছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। এতক্ষণ যারা অধীর প্রতীক্ষায় ছিল, হাজার হাজার সেই সব নর-নারী শিশু-কিশোরের প্রতীক্ষা শেষ হলো। গান শোনা যাচ্ছে, এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।’ বলতে বলতে মেয়েটির স্বর ক্রমেই উঁচু হলো। এত কোলাহল, গানের চড়া সুর, তার ভেতরে মেয়েটির কণ্ঠস্বর স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। সে পরেছে লাল পেড়ে সাদা সুতির একটা শাড়ি। তার এক হাতে ছোট গাঁদা ফুলের মালা বালার মতো জড়িয়ে।
Saturday, 13 April 2013
হেফাজত ও জামায়াতকে অভিযুক্ত করতে বৈশাখী শোভাযাত্রাতে শাহবাগীদের বোমা হামলার পরিকল্পনা
ছাত্রলীগের চাদাবাজি ও দলীয় কোন্দলের কারণে বৈশাখী অনুষ্ঠানের কনসার্ট বাতিল করেছে ছাত্রলীগ .. এদিকে ছাত্রলীগ ও গণজাগরণ মঞ্চের মাঝে ও চরম কোন্দল দেখা দিয়েছে ...কারণ হিসাবে জানা যায় গণজাগরণ মঞ্চের দখল নিয়ে ভিতরে ভিতরে যুদ্ব চলছে আওয়ামীলীগ ও গণজাগরণ মঞ্চের সাথে জড়িত বাম দলগুলোর মাঝে।
সকলেই জানেন ফেসবুকে সাহবাগিদের একটি পেইজ আছে , নাম শাহবাগের সাইবার যুদ্ব ..এই পেইজটি ছিল বামদের দখলে ..কিন্তু কিন্তু সেই পেইজটি দখল করে নেয় আওয়ামীলীগের মিডিয়া সেলের সেক্রেটারি ইমরান এইচ সরকার ..এই নিয়ে কোন্দল চরম আকার ধারণ করার পর শাহবাগের স্লোগান কন্যা লাকি আখতারকে ধোলাই দেয় আওয়ামীলীগ।
প্রথম থেকে শাহবাগ জামায়াত শিবির ও হেফাজত বিরোধী জঙ্গি কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছিল। হেফাজতের লংমার্চের দিন হরতাল দিয়েছিল শাহবাগীরা ..কিন্তু তাদের এই হরতাল চরমভাবে ফ্লপ খায়। উল্টো ওই দিন মুরগি কবিরের উপর উত্তরায় হামলা হয়। তারপরে হেফাজত ও জামায়াতের বিরুদ্বে লাঠি মিছিল করে আওয়ামীলীগ ও শাহবাগীরা .
এদিকে হেফাজত ইসলাম ও জামায়াত শিবিরকে বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিরোধী প্রমানের জন্য বৈশাখী শোভাযাত্রা নিয়ে চরম ষয়যন্ত্র করছে আওয়ামীলীগ ও শাহবাগীরা। ১৯৯৭ সালের রমনা বটমূলের মত বোম ফুটাতে জঙ্গিদের সাথে যোগাযোগ সম্পন্ন করেছে আওয়ামীলীগের ২ সংসদ সদস্য। এদের একজন হলো মির্জা আজম ও অন্যজন হলো জাহাঙ্গীর কবির নানক। মির্জা আজমের ভগ্নিপতি শায়খ আব্দুর রহমানকে ইতিমধ্যে দেশ জুড়ে সিরিজ বোমা হামলায় কারণে ফাসি কার্যকর করা হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী আজকে রাত্রেই উত্তরাঞ্চল থেকে জঙ্গিরা ঢাকায় এসে পৌছেছে। অবস্থান করছে আওয়ামীলীগের এক নেতার বাসায়। তাদের গেটআপ মূলত দেখতে ধর্মীয় নেতাদের মত।
ছাত্রলীগ ও ইমরান এইচ সরকার ইতিমধ্যে বোম সাপ্লাই দিয়েছে। আওয়ামীপন্থী মিডিয়ার সাথে এই নিয়ে কয়েকদফা বৈঠক করেছে ইমরান এইচ সরকার।জঙ্গিরা বৈশাখী শোভাযাত্রায় বোমা হামলা করার সময় এটিএন ও একাত্তর টিভির সাংবাদিকরা ভিডিও দৃশ্য ধারণ করবে।
ভিডিওতে দেখা যাবে হুজুর টাইপের কয়েকজন লোক বোমা হামলা করবে। আর সেগুলো জামায়াত শিবির ও হেফাজতের কাজ বলে প্রচার করবে আওয়ামীলীগ ও বামদের সিন্ডিকেট মিডিয়া। এই ধরনের পরিকল্পনা নিয়েই এগুচ্ছে আওয়ামী ও বাম সন্ত্রাসীরা।
তাই সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান একদিনের আনন্দ করতে গিয়ে আপনার মূল্যবান জীবন আওয়ামী ও শাহবাগীদের কাছে দিয়ে আসবেন না।
সকলেই জানেন ফেসবুকে সাহবাগিদের একটি পেইজ আছে , নাম শাহবাগের সাইবার যুদ্ব ..এই পেইজটি ছিল বামদের দখলে ..কিন্তু কিন্তু সেই পেইজটি দখল করে নেয় আওয়ামীলীগের মিডিয়া সেলের সেক্রেটারি ইমরান এইচ সরকার ..এই নিয়ে কোন্দল চরম আকার ধারণ করার পর শাহবাগের স্লোগান কন্যা লাকি আখতারকে ধোলাই দেয় আওয়ামীলীগ।
প্রথম থেকে শাহবাগ জামায়াত শিবির ও হেফাজত বিরোধী জঙ্গি কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছিল। হেফাজতের লংমার্চের দিন হরতাল দিয়েছিল শাহবাগীরা ..কিন্তু তাদের এই হরতাল চরমভাবে ফ্লপ খায়। উল্টো ওই দিন মুরগি কবিরের উপর উত্তরায় হামলা হয়। তারপরে হেফাজত ও জামায়াতের বিরুদ্বে লাঠি মিছিল করে আওয়ামীলীগ ও শাহবাগীরা .
এদিকে হেফাজত ইসলাম ও জামায়াত শিবিরকে বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিরোধী প্রমানের জন্য বৈশাখী শোভাযাত্রা নিয়ে চরম ষয়যন্ত্র করছে আওয়ামীলীগ ও শাহবাগীরা। ১৯৯৭ সালের রমনা বটমূলের মত বোম ফুটাতে জঙ্গিদের সাথে যোগাযোগ সম্পন্ন করেছে আওয়ামীলীগের ২ সংসদ সদস্য। এদের একজন হলো মির্জা আজম ও অন্যজন হলো জাহাঙ্গীর কবির নানক। মির্জা আজমের ভগ্নিপতি শায়খ আব্দুর রহমানকে ইতিমধ্যে দেশ জুড়ে সিরিজ বোমা হামলায় কারণে ফাসি কার্যকর করা হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী আজকে রাত্রেই উত্তরাঞ্চল থেকে জঙ্গিরা ঢাকায় এসে পৌছেছে। অবস্থান করছে আওয়ামীলীগের এক নেতার বাসায়। তাদের গেটআপ মূলত দেখতে ধর্মীয় নেতাদের মত।
ছাত্রলীগ ও ইমরান এইচ সরকার ইতিমধ্যে বোম সাপ্লাই দিয়েছে। আওয়ামীপন্থী মিডিয়ার সাথে এই নিয়ে কয়েকদফা বৈঠক করেছে ইমরান এইচ সরকার।জঙ্গিরা বৈশাখী শোভাযাত্রায় বোমা হামলা করার সময় এটিএন ও একাত্তর টিভির সাংবাদিকরা ভিডিও দৃশ্য ধারণ করবে।
ভিডিওতে দেখা যাবে হুজুর টাইপের কয়েকজন লোক বোমা হামলা করবে। আর সেগুলো জামায়াত শিবির ও হেফাজতের কাজ বলে প্রচার করবে আওয়ামীলীগ ও বামদের সিন্ডিকেট মিডিয়া। এই ধরনের পরিকল্পনা নিয়েই এগুচ্ছে আওয়ামী ও বাম সন্ত্রাসীরা।
তাই সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান একদিনের আনন্দ করতে গিয়ে আপনার মূল্যবান জীবন আওয়ামী ও শাহবাগীদের কাছে দিয়ে আসবেন না।
Friday, 12 April 2013
সাক্ষীদের জবানবন্দিতে প্রমাণিত আওয়ামীলীগ বিডিয়ার হত্যাকান্ডে জড়িত ..
এই পোস্টের লেখাটি অত্যান্ত সংবেদনশীল ..এখানে সাক্ষীদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে বিডিয়ার ও সেনবাহিনী হত্যাকান্ডে আওয়ামী ষয়যন্ত্র। কিভাবে তাপস ও নানকরা বিডিয়ার হত্যাকান্ডের আগে পরিকল্পনা করেছিল।
বিডিয়ার হত্যাকান্ডের একজন প্রতক্ষ্য সাক্ষীর জবানবন্দী দেখলে ব্যাপারটি আরো ক্লিয়ার হবে।
সাক্ষী সিপাহী (ব্যান্ড ) আলমগীর ..নং ..৫৯১০০ ..৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়ান, সংযুক্ত আরটিসিএন্ডএস (ব্যান্ড) ....
গত ১ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ তারিখে ডিএডি জলিল প্রথমে বিদ্রোহের পরিকল্পনার কথা জানায়। ওই দিন আমাদেরকে বলা হয় দরবার যেদিনই হোক , সেদিনই অফিসারদের জিম্মি করা হবে এবং আমাদের দাবি দাওয়া প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে। দাবি দাওয়া পূরণ করে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলে অফিসারদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
পরে ২২ ফেব্রুয়ারী ০৯ তারিখে রোল কলের পর আমরা বাইরে একটি বাসায় ২ জন সংসদ সদস্যের সাথে দেখা করি। সেখানে অন্যানদের মধ্যে ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস ও আরেকজন সংসদ সদস্যের সাথে সাক্ষাত করে আমাদের দাবি দাওয়া সম্পর্কে জানালে তারা আমাদের পরিকল্পনার কথা শুনেন এবং সম্মতি দেন।
এটি স্পস্ট যে ওই বাসাটি ছিল আওয়ামীলীগ এমপি ফজলে নুর তাপসের। একজন সামান্য বিডিয়ার কিভাবে একজন সংসদ সদস্যের সাথে দেখা করতে পারেন। যখন তাদেরকে এই পরিকল্পনার কথা জানালেন তারা কেন বাধা না দিয়ে দাবির সাথে সম্মতি জানালো ? তাহলে এটি স্পস্ট যে সরকার আগে থেকেই প্লান করে এই কাজ করিয়েছিল।
২৪ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ রোলকলের পর গলফ গ্রাউন্ডের পাশে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে আনুমানিক ২২.০০ ঘটিকায় চূড়ান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ..ডিএডি জলিল উক্ত পরিকল্পনার সময় সকলকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন। ওই সময় আনুমানিক ৪০/৫০ জন উপস্থিত ছিল এবং সকলকে ৫ টি দলে বিভক্ত করা হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ তারিখ সকাল আনুমানিক ৮:৩০ ঘটিকায় আমি সহ আরো ৪ জন সদর ব্যাটালিয়ন ও দরবার হলের মধ্যবর্তী স্থানে আশ্রয় নেই। আমাদের দ্বায়িত্ব ছিলো এই জায়গা দিয়ে যে সকল অফিসার আসবে তাদের গুলি করা। যদি আত্মসমর্পণ করে তাহলে গুলি না করে গাড়িতে করে আর এস ইউ ইউনিট এর ডাইনিং হলে জিম্মি করা হবে।
আনুমানিক সকাল ৯:৩০ ঘটিকার দিকে গোলাগুলি শুরু হলে কয়েকজন অফিসার সদর ব্যাটালিয়নের সামনের রাস্তা দিয়ে দৌড়ে নিরাপদ স্থানে যাবার জন্য আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। আমি , সিপাহী আবুল গুলি করি . এই তিন জনের গুলিতে তিনি মারা যান। হাবিলদার বক্কর আমিনুল সামাদ এর গ্রুপ তখন দরবার হলের বাহিরে ও ভিতরে ফায়ার করছিল . শুধু মাত্র যারা পালাতে বা লুকাতে সক্ষম হয় তারা হত্যাকান্ড থেকে বেছে যায়। আনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকার মধ্যে এই সকল কাজ শেষ হয়ে যায়।
ডিজির বাসায় আনুমানিক ১৫/২০ মিনিট থাকার পর আমি ৪ নং গেটের দিকে যাই . সময় তখন আনুমানিক ১১:৩০ ঘটিকা .ওখানে গিয়ে দেখি আলোচনার জন্য কয়েকজন সংসদ সদস্য ৪নং গেটের বাহিরে এসেছেন। তখন ডিএডি তৌহিদ জলিল হারুন সহ আরো কয়েকজন সিপাহী ও জেসিও আলোচনা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করার জন্য ..ওখানে দীর্ঘ আলোচনার পর ডিওডি তৌহিদ এর নেতৃত্বে ১০-১২ জন সদস্য আনুমানিক ১৪:০০ ঘটিকার দিকে সংসদ সদস্যের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করতে যায়।
বিডিয়ার হত্যাকান্ডের একজন প্রতক্ষ্য সাক্ষীর জবানবন্দী দেখলে ব্যাপারটি আরো ক্লিয়ার হবে।
সাক্ষী সিপাহী (ব্যান্ড ) আলমগীর ..নং ..৫৯১০০ ..৩৯ রাইফেল ব্যাটালিয়ান, সংযুক্ত আরটিসিএন্ডএস (ব্যান্ড) ....
গত ১ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ তারিখে ডিএডি জলিল প্রথমে বিদ্রোহের পরিকল্পনার কথা জানায়। ওই দিন আমাদেরকে বলা হয় দরবার যেদিনই হোক , সেদিনই অফিসারদের জিম্মি করা হবে এবং আমাদের দাবি দাওয়া প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে। দাবি দাওয়া পূরণ করে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলে অফিসারদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
পরে ২২ ফেব্রুয়ারী ০৯ তারিখে রোল কলের পর আমরা বাইরে একটি বাসায় ২ জন সংসদ সদস্যের সাথে দেখা করি। সেখানে অন্যানদের মধ্যে ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস ও আরেকজন সংসদ সদস্যের সাথে সাক্ষাত করে আমাদের দাবি দাওয়া সম্পর্কে জানালে তারা আমাদের পরিকল্পনার কথা শুনেন এবং সম্মতি দেন।
এটি স্পস্ট যে ওই বাসাটি ছিল আওয়ামীলীগ এমপি ফজলে নুর তাপসের। একজন সামান্য বিডিয়ার কিভাবে একজন সংসদ সদস্যের সাথে দেখা করতে পারেন। যখন তাদেরকে এই পরিকল্পনার কথা জানালেন তারা কেন বাধা না দিয়ে দাবির সাথে সম্মতি জানালো ? তাহলে এটি স্পস্ট যে সরকার আগে থেকেই প্লান করে এই কাজ করিয়েছিল।
২৪ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ রোলকলের পর গলফ গ্রাউন্ডের পাশে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে আনুমানিক ২২.০০ ঘটিকায় চূড়ান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ..ডিএডি জলিল উক্ত পরিকল্পনার সময় সকলকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন। ওই সময় আনুমানিক ৪০/৫০ জন উপস্থিত ছিল এবং সকলকে ৫ টি দলে বিভক্ত করা হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ তারিখ সকাল আনুমানিক ৮:৩০ ঘটিকায় আমি সহ আরো ৪ জন সদর ব্যাটালিয়ন ও দরবার হলের মধ্যবর্তী স্থানে আশ্রয় নেই। আমাদের দ্বায়িত্ব ছিলো এই জায়গা দিয়ে যে সকল অফিসার আসবে তাদের গুলি করা। যদি আত্মসমর্পণ করে তাহলে গুলি না করে গাড়িতে করে আর এস ইউ ইউনিট এর ডাইনিং হলে জিম্মি করা হবে।
আনুমানিক সকাল ৯:৩০ ঘটিকার দিকে গোলাগুলি শুরু হলে কয়েকজন অফিসার সদর ব্যাটালিয়নের সামনের রাস্তা দিয়ে দৌড়ে নিরাপদ স্থানে যাবার জন্য আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। আমি , সিপাহী আবুল গুলি করি . এই তিন জনের গুলিতে তিনি মারা যান। হাবিলদার বক্কর আমিনুল সামাদ এর গ্রুপ তখন দরবার হলের বাহিরে ও ভিতরে ফায়ার করছিল . শুধু মাত্র যারা পালাতে বা লুকাতে সক্ষম হয় তারা হত্যাকান্ড থেকে বেছে যায়। আনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকার মধ্যে এই সকল কাজ শেষ হয়ে যায়।
ডিজির বাসায় আনুমানিক ১৫/২০ মিনিট থাকার পর আমি ৪ নং গেটের দিকে যাই . সময় তখন আনুমানিক ১১:৩০ ঘটিকা .ওখানে গিয়ে দেখি আলোচনার জন্য কয়েকজন সংসদ সদস্য ৪নং গেটের বাহিরে এসেছেন। তখন ডিএডি তৌহিদ জলিল হারুন সহ আরো কয়েকজন সিপাহী ও জেসিও আলোচনা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করার জন্য ..ওখানে দীর্ঘ আলোচনার পর ডিওডি তৌহিদ এর নেতৃত্বে ১০-১২ জন সদস্য আনুমানিক ১৪:০০ ঘটিকার দিকে সংসদ সদস্যের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করতে যায়।
রাত আনুমানিক ০০০১/০১০০ ঘটিকার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ আরো কয়েকজন পিলখানায় প্রবেশ করেছেন বলে জানতে পারি। তারা ঘন্টাখানেক ভিতরে অবস্থান করে কয়েকটি অফিসার পরিবারকে নিয়ে যায়। সস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অস্ত্র জমা দেয়ার কথা বললেও বেশি সংখ্যক বিডিআর সদস্যই অস্ত্র জমা দেয়নি। এরপর আনুমানিক রাত ০৪০০ ঘটিকার দিকে এমটির দিকে গিয়ে দেখতে পাই দুইটি লাশ বহনকারী ৩ টনের একটি নাই। এরপর জানতে পারি যে ৩০/৪০টি লাশ ইতিমধ্যে হাসপাতালের পাশে গণকবর দেয়া হয়েছে। বাকি ১০ টি লাশ তখন পুর্যন্ত একটি ৩ টনে এমটির সামনে রাখা ছিল। সেখানে আমি,নায়েক এমটি আলী হোসেনের কাছে জানতে পারি সুবেদার ইয়াকুব-এর আদেশে লাশগুলো সুয়ারেজ লাইনে ফেলে দেয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর আনুমানিক সকাল ০৫০০ ঘটিকার দিকে এমটি লাইনে নাস্তা করে ইএমই লাইনে এসে বসি। ২৬ফেব্রুয়ারী ২০০৯ তারিখ দিনের বেলা সারা দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে বসে থেকে ফাঁকা গুলির আওয়াজ ও মাইকে জয় বাংলা ,জয় বঙ্গ বন্ধু-স্লোগান শুনতে পাই। আনুমানিক ১৪০০ ঘটিকায় প্রধান মন্ত্রীর ভাষণের পর অস্ত্র দেয়া শুরু হয়। তখন আমি আমার সাথে থাকা পিস্তলটি ১৩ রাইফেল ব্যাটেলিয়ানের কোতে জমা দেই। এরপর আনুমানিক ১৭০০ ঘটিকার দিকে সিগন্যাল সংলগ্ন তারকাটার দেয়াল টপকে গণকটুলি দিয়ে পালিয়ে যাই। পালিয়ে যাবার সময় আমি রাত ৮টা পুর্যন্ত আমার ফপার বাসা হাজারীবাগে অবস্থান করি। পরবর্তীতে ঐদিন রাতেই ট্রেন যোগে চট্টগ্রামে চলে আসি।পরবর্তীতে ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ তারিখে আনুমানিক ১০০০ ঘটিকার দিকে আরটিসি এন্ড এস-এ নিজ বাসায় চলে আসি।
নং ৫৯১০০
সিপাহী (ব্যান্ড) মো: আলমগীর শেখ
৩৯ রাইফেল ব্যাটেলিয়ান, সংযুক্ত আরটিসিএন্ডএস
এপ্রিল ২০০৯
জবান বন্দী:
গত ১১ জানুয়ারী ২০০৭ জরিউরী অবস্থা জারীর পর থেকে বিভিন্ন সময় আমাদের দাবী দাওয়া পূরণের জন্য অফিসারদের বিরুদ্ধে কোন না কোন পরিকল্পনা চলতে থাকে।আমাদের দাবী দাওয়া পূরণের লক্ষে হাজারীবাগ এলাকার পরিচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস-এর সাথে যোগযোগ করা হয়। তিনি তখন আশ্বাস দেন যে,তাকে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করলে সে বিডিআর-এর সমস্ত দাবি দাওয়া পূরণ করবে। গত ৯ জানুয়ারী ২০০৯ তারিখে দাবী দাওয়া পূরণের জন্য অফিসারদের ইম্মি করা হবে বলে জানতে পারি।
১৯ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ তারিখের বৈঠকে এ সকল দাবী দাওয়া ও প্রস্তাব ২২ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ তারিখে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার তাপসকে জানাও হবে বলে আমাদেরকে জন্য হয়।এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২২ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার তাপসের উপস্থিতিতে অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য তোরাব আলী (সন্ত্রাসী লেদার লিটনের পিতা) বাসায় বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকের সময়সীমা ছিল আনুমানিক ১৯৩০ থেকে ২১০০ ঘটিকা।
বৈঠকে আমাদের দাবী দাওয়া এবং পরিকল্পনার কথা মাননীয় সংসদকে জানানো হয়।তিনি আমাদের পরিকল্পনার কথা শুনেন এবং তাতে সম্মতি দেন। তিনি আমাদেরকে বেশি অফিসারকে না মেরে ২/১ জনকে হত্যা করার সম্মতি দেন। সে বৈঠকে ব্যারিস্টার তাপসের সাথে আরেকজন সংসদ সদস্য (মোচওয়ালা,কোকড়ানো চুল, চশমা পরিহিত,ফর্সা রঙ-এর)উপস্থিত ছিল
আমার জানামতে সিপাহী তারেকের সাথে সংসদ সদস্য তাপসের যোগাযোগ ছিল। এমপি তাপসের মাধ্যমে সে তার একজন অত্তীয়কে চাকুরীর দেওয়ার ব্যবস্থাও করে।
পরিকল্পনা মোতাবেক সকাল ৯টা থেকে সোয়া ৯টার মধ্যে আমি আমার দলের অন্যান্য সদস্যসহ দরবার হলের পিছনে অবস্থান নেই। সিপাহী মইনুল, সিপাহী তারেক(সদর ব্যাড)সর্ব প্রথম দরবার হলে ঢুকে পরিকল্পনা মাফিক অস্ত্র নিয়ে ডিজির পাশে অবস্থান নেয়। কিন্তু সিপাহী মইনুল হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সিপাহী তারেক কিছুক্ষণের জন্য বাহিরে চলে আসে এবং এর সাথে সাথেই সিপাহী তারেকসহ ৪৪ আইফেল ব্যাটালিয়নের নায়েক ফরহাদ ও সিপাহী তোতা মিয়া সদর ব্যান্ডের সিপাহী জসিম ও আরটিসি এন্ড এসের ব্যান্ডের সিপাহী শাহাবুদ্দিন এসএমজি নিয়ে দরবার হলে প্রবেশ করে। সিপাহী তারেক এর পর সব অফিসারকে দরবার হলের বাহিরে গিয়ে লাইনে দাড়াতে বলে। এসময় অনেকে চিত্কার করতে থাকে সেনাবাহিনী ও র্যাব পিলখানায় প্রবেশ করেছে বিডিআরদের মেরে ফেলার জন্য। সিপাহী তারেক এ সময় ডিজিকে লক্ষ্য করে বার্স্ট ফায়ার করে। সাথে সাথে আমি এবং সিপাহী শাহাবুদ্দীন সহ আরো অনেকে লাইনে দাড়ানো অফিসারদের গুলি করা শুরু করি।
এরপর রাতের বেলায় আমি শুনতে পাই অফিসারদের পরিবারদের কেন্দ্রীয় কোয়ার্টার গার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাদের সাথে দুর্ব্যাবহারও করা হয়েছে।এ কাজে জড়িত ছিল সিপাহী তারেক।
বিভিন্ন সময় ধরে সমগ্র পিলখানায় জয়বাংলা স্লোগানটি শুনতে পাই এবং আমাদের পিছনে সরকারের সমর্থন আছে বলে সিনিয়র বিডিআর সদস্য কর্তিক আশ্বস্ত হই।
সিপাহী আলম
Wednesday, 10 April 2013
নারী নির্যাতন নিয়ে সুশীলদের এই ম্যাত্কার আগে কই ছিলো ?
গত কয়েকদিন আগে হেফাজতে ইসলামের লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশে হলুদ সাংবাদিকতা করতে হলুদ সাংবাদিকতা করতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে লাঞ্চিত হন ইটিভি সহ আরো কয়েকটি চ্যানেলের সাংবাদিক ..তার আগের দিন ও চট্রগ্রামে বিটিভি ইন এইচডির-HD- (একাত্তর টিভি ) এক সাংবাদিক ও গণধোলাইয়ের শিকার হয়। কারণ একটাই হলুদ ছাড়িয়ে কমলা সাংবাদিকতা করতে গিয়ে রোষানলে পড়ে ওই সাংবাদিক ..
কিন্তু হেফাজতের ইসলামের জনসভায় ইটিভির একজন মহিলা সাংবাদিক জনতার হাতে লাঞ্চিত হওয়ার পর সুশীলদের চিত্কারে মনে হয় বাংলাদেশে ইতিপূর্বে আর কোনো নারী লাঞ্চিত হয়নি।
তারপর থেকে হেফাজতকে নারী বিদ্বেষী হিসাবে প্রমানের জন্য শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের পেইজ থেকে চট্রগ্রামে পরকীয়া নিয়ে এক হিন্দু মহিলাকে তার স্বামীর মাইর দেওয়ার ঘটনাকে হেফাজতের কাজ বলে নির্লজ্ব মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী পেইজগুলো .
কিন্তু একটি কথা সকলেই জানেন আওয়ামীলীগের নেতাদের দ্বারা শাহবাগে যখন লাকি আখতার নির্যাতিত হলো তখন এই সুশীলদের ম্যাতকার কোথায় ছিলো ?
এটা কি আওয়ামীলীগের হাতে হয়েছে বলে সুশীলরা মুখে কুলুপ এটে রেখেছে ?
আওয়ামীলীগ আমলে আরো কিছু নির্যাতনের ছবি দেখাবো এখন আপনাদের .......
বেশি দুরে না এইতো সেইদিন বগুড়ায় একজন মহিলাকে এইভাবে হত্যা করে লাশ নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ
সাগর রুনি হত্যা নিয়ে স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর চা খেয়ে সবাই চুপ
ছাত্রলীগের নির্যাতনে পালাচ্ছে মহিলা ছাত্রলীগ
নারায়ানগঞ্জে মেধাবী ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়ার সময় গ্রেপ্তার করা হয় এই সব নারী কর্মীদের .
আরো কিছু নারী নির্যাতনের চিত্র
পিরোজপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষার পর ছাত্রী সংস্থার কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
নারী নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ করতে আসার পর গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সাবেক সচিব সহ সম্মানিত মা বোনদের .
নামাজ পড়তে বাধা , অবশ্যই নারী অধিকার হরণ চট্রগ্রাম নার্সিং কলেজে .
ঢাকার একটি কলেজে হিজাব পরার অধিকার কেড়ে নেওয়ার পর কলেজ ত্যাগ করে বের হয়ে আসছে ২ বোন .
বোরকা পরার কারণে একজন বিদেশী মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো বায়তুল মোকারম উত্তরগেট থেকে .
বিএনপির নারী নেত্রীকে পুলিশ ভ্যান থেকে ফেলে দিয়েছিলো আওয়ামী পুলিশ
রাজধানীর একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে জামায়াত সমর্থিত কয়েকজন মহিলা কর্মীকে .এদের মধ্যে একজন মেয়ে ছিলো ৭ মাসের গর্ভবতী ..পুলিশ রিমান্ডের নামে ৭ তলা থেকে লিফট থাকা সত্বে ও পুলিশ সিড়ি দিয়ে নামাতে বাধ্য করে .
জাহাঙ্গীর নগর ভার্সিটির সোনার ছেলে ধর্ষণে সেন্চুরি করলে ও এই সব জ্ঞানপাপী সুশীল নামের শয়তানরা কোনো কথা বলে না ..ছাত্রলীগ এসিডে জলসে দিলে ও কোনো কথা বলে না ..
কয়েকদিন আগে টকশোতে আসিফ নজরুল বলেছিলেন , আমরা সুশীলরাই সবচেয়ে বড় খারাপ ..বর্তমানে ,চুলটানা কামাল এখন বোবা হয়ে গেছে , কানা মিজানের চোখ নাই , ও অন্যান্য কথিত সুশীলদের কার্যক্রম দেখলে এই কথাটিই যথার্থ মনে হয় ..যারা লাকি ও উপরুক্ত নির্যাতনগুলোর বিরুদ্বে কোনো কথা বলে না, কথিত এই সব সুশীলরা মহিলা সাংবাদিক নির্যাতন নিয়ে কথা বলেন কোন মুখে ??
Thursday, 4 April 2013
লংমার্চ নিয়ে ভন্ড আলেমদের পাশাপাশি নাস্তিক জননী হাসিনার ও ষয়যন্ত্র,আলেমরা তবু ও ঐক্যবদ্ব
নাস্তিকদের বিরুদ্বে হেফাজতের লংমার্চ শুরু হওয়ার পর হাসিনা সরকার ও তার পা চাটা ভন্ড আলেমরা হেফাজত আন্দোলনের বিরুদ্বে বিভিন্ন ফতোয়া দিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে ..এই সব ভন্ড আলেমদের পাশাপাশি সরকার ও হেফাজত নেতাদের হুমকি দিয়েছে ..মুফতি আমিনীর ছেলের মত তাদের ছেলে মেয়েদেরকে ও অপহরণ করার হুমকি দিচ্ছে সরকার ..কিন্তু কোনো কিছুই দমাতে পারছে না আল্লাহ প্রেমিক এই সব মানুষদের ..
গত কয়েকদিন ধরে এই সব ভন্ড হুজুরেরা বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও সংবাদ সম্মেলন করে লংমার্চ হারাম ইত্যাদি বলছে ..কিন্তু লংমার্চ যদি হারাম হয় সংবাদ সম্মেলন করে এই ফতোয়া মারা কিভাবে হালাল হয় সেটা বোধগম্য নয়।
এই সব আলেম আবার নিজেদেরকে হক্কানী আলেম দাবি করছে ...
কিন্তু এই সব হক্কানী আলেমরা এসেছে জনপ্রতি ২৫০ টাকা করে
এখন প্রশ্ন হলো যেই সব আলেম ২৫০ টাকায় নাস্তিকদের কাছে বিক্রি হয় তারা কিভাবে হক্কানী আলেম হয় ?
তারপর হাসিনা সরকার ব্যবহার করে ফরিদ উদ্দিন মাসুদকে। ইসলামী ব্যাঙ্কে একাউন্ট খোলা হারাম এই ফতোয়া দিয়ে , যখন জনগন দেখল এই ভন্ডেরই ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট আছে , তখন তার ক্যারিয়ার পুরো ধংস হয়ে গেল এবং এই ভন্ডের আসল মুখোশ উন্মোচন হলো ..
ফরিদ উদ্দিন মাসুদের পর আরেক শিরক বিদায়াতী ভন্ড কুতুবাগের পীর ফতোয়া দেয় ..
কিন্তু এই ভন্ডের পুরো ভন্ডামি দেখতে পারবেন এই ভিডিওটিতে ..যারা দুর্নীতি টাকা আত্মসাত ,মাজার পূজা ও শিরকি কাজে লিপ্ত
এই হলো ধর্ম ব্যবসায়ী আওয়ামীলীগের ধর্ম ব্যবসায়ীদের নিয়ে সিজনাল ধর্মীয় ব্যবসা ..
এবার দেখাবো হাসিনা সরকার কিভাবে নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রশ্রয় ও আশ্রয় দিচ্ছে ..
শহীদ একটি ধর্মীয় বিষয় এবং এটি শুধু মুসলিমদের জন্য ..কিন্তু শেখ হাসিনা নাস্তিক থাবা বাবাকে শহীদ
বলে আখ্যা দিয়ে শহীদ শব্দটাকে অপব্যাখ্যা করেছেন
আবার তিনিই গজে চড়ে মা দূর্গা আসার কারণেই ফসল ভালো হয়েছে বলে স্পস্ট শিরক করেছেন ..
এবার এই নাস্তিক জননী গত নির্বাচনের আগে ইসলাম বিরোধী কোনো আইন করবে না বলে খেলাফত মজলিসের সাথে চুক্তি করেছিল ..
কিন্তু এই ধর্ম বিরোধী ক্ষমতায় এসে সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা এবং বিশ্বাস তুলে দিয়েছেন ..
এবার শেখ হাসিনার আসে পাশে কারা আছে ..ইসলাম সম্পর্কে তাদের বিভিন্ন মন্তব্যগুলো দেখি ..
পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, ধর্ম তামাক ও মদের মতো একটি নেশা।
১৪ ডিসেম্বর ২০০৯
রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ব্যাঙের ছাতার মতো কওমী মাদরাসাগুলো গজিয়ে উঠেছে।
*১০ ডিসেম্বর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া বলেছেন, রাসুল (সা.) মসজিদের অর্ধেক জায়গা হিন্দুদের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন।
*বিশ্বকাপের উদ্বোধন উপলক্ষে জাতীয় মসজিদের আসর, মাগরিব ও এশা এই ৩ ওয়াক্তের আযানের সময় মাইক বন্ধ রেখে চরম হীনমন্যতার পরিচয় দেয় আওয়ামী লীগ। তাছাড়া মঙ্গলযাত্রা দেখানো হলেও পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত হয়নি। এটাই কি ধর্মনিরপেক্ষতা!? ঢাকা মসজিদের শহর এটা বিশ্ববাসী জানলে কি ক্ষতি হতো?
* মতিয়া চৌধুরীর দাবি, আওয়ামী কর্মীরাই নাবী (স) এর প্রকৃত উম্মত।
*এছাড়া মার্চের দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াতের পরিবর্তে রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে শুরু করা হয়।
*ড. জাফর ইকবাল সরাসরি পর্দার বিরুদ্ধে কলাম লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, ....মেয়েদের ঘরের ভেতর আটকে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো। একান্তই যদি ঘরের ভেতর আটকে রাখা না যায় অন্তত বোরকার ভেতর আটকে রাখা যাক। তার মানে বোরকাকে তিনি নারীর জন্য জেলখানা বা বাঁধা হিসেবে বুঝাতে চেয়েছেন। প্রথম আলো- ০৪-১১-২০১১
*‘‘সংবিধান থেকে ধর্মের কালো ছায়াও একদিন মুছে ফেলবো' জাতীয় সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী
*‘আমি হিন্দুও নই, মুসলমানও নই' আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ (১৪ জুলাই ২০১১)
*'পবিত্র কুরআন-হাদিসের আলোকে খলিফাতুল মোসলেমীন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব' শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন খলিফাতুল মুসলিমিনদের একজন। মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বশূন্য অসহায় দরিদ্র মুসলমান তথা সারা বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বঙ্গবন্ধুর আপসহীন লড়াইয়ের কারণে বঙ্গবন্ধুই সারা বিশ্বের মুসলমানদের একমাত্র অভিভাবক ছিলেন। তারা বলেন, আমাদের ঈমানই হলো ধর্মনিরপেক্ষতা। যারা ধর্মনিরপেক্ষতারবিরোধিতা করেন তারা কুরআনকে অস্বীকার করেন। তারা বলেন, 'বাংলাদেশ-জিন্দাবাদ' কোনো ফজিলত নেই কিন্তু 'জয় বাংলা' শ্লোগানে বরকত ও ফজিলত আছে।(নভেম্বর ২৬, ২০০৯, নয়া দিগন্ত)
*প্রধানমন্ত্রীরউপদেষ্টা এইচটি ইমাম ২ এপ্রিল আওয়ামী ওলামা লীগ আয়োজিত এক সভায় বলেন, দেশে ইসলাম টিকিয়ে রেখেছে একমাত্র আওয়ামী লীগ। আর এ ইসলামের প্রবর্তক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আরো বলেন, জামায়াত নেতারা রোজা রাখে ঠিকই, কিন্তু ইফতার করে হুইস্কি দিয়ে। (৩ মার্চ ২০১০)
*''সেনাবাহিনী ফেরেশতা নয় যে তারা এলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সেনাবাহিনী কেন খোদ আল্লাহতায়ালা নেমে আসলেও কিছু করতে পারবে না।'' -সিইসি
*"আল্লাহ যদি লাখ লাখ কোটি কোটি বছর পর বিচার করতে পারেন তাহলে আমরা কেন ৪০ বছর পর বিচার করতে পারব না ?" আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম - ২০ মার্চ ২০১০
*আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, কৃষি মন্ত্রী, ও সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী মতিয়া চৌধুরী হালে নতুন উম্মতের সন্ধান দিয়েছেন। বিএনপি জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, তারা রাসূলে পাক (সা.)-এর ইসলামে বিশ্বাস করে না। বিএনপি হচ্ছে জিয়াউর রহমানের উম্মত, তাদের দোসর জামায়াত হচ্ছে নিজামীর উম্মত, আর আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি তারা মহানবীর (সা.) উম্মত (আমার দেশ, ২১ মার্চ, ২০১০)
*সুযোগ করে দেয়ার জন্য ফতোয়া দরকার, যদিও ফতোয়ার ব্যপারে হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে তা সত্বেও বাংলাদেশ জাতীয় মুফতি ঐক্য পরিষদ (বামুপ) থেকে ফতোয়ায় বলা হয়েছে "বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিরোধিতা করা তথা আওয়ামী লীগের সমর্থন না করা কুফরি" অতএব, আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করলে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে, সে যত বড় আলেমই হোক না কেন। (নয়া দিগন্ত, নভেম্বর ৩১, ২০০৯)
*"শেখ হাসিনার নির্দেশ মানা আলীগ ও ছাত্রলীগের জন্য ইবাদত" বলেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম! (নয়াদিগন্ত,মে ৬, ২০১০)
*"বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক ওয়াক্ত নামাজ পড়েন না এবং এমন কোনো ইসলাম বিরোধী কাজ নেই যা তিনি করেন না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের নিয়ম-নীতি মেনে চলেন। যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন প্রতিদিন তিনি নামাজ আদায় ও কোরআন তেলোয়াত করেন।" আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ। ২৭ মে ২০১০- বিডিনিউজ
*আওয়ামীলিগের অতি আস্থাভাজন মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, 'পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলে ইসলামি দল নিষিদ্ধ হবে না। দুই-তিনটি জঙ্গি দল নিষিদ্ধ হবে। শেখ হাসিনা আমাকে তা স্পষ্ট করে বলেছেন। (নয়াদিগন্ত, ১ এপ্রিল, ২০১০)।
*‘বিসমিল্লাহ বললে কী হয়? প্রার্থনা দিয়ে কিছু হয় না। কেননা, ফিলিস্তিন মুক্ত করার জন্য মক্কায় যে প্রার্থনা করা হয় তা কবুল হলে এত দিনে ফিলিস্তিন মুক্ত হয়ে যেত।' ইউনিসেফের বিশ্ব শিশু পরিসি'তি রিপোর্ট প্রকাশনা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় পরিকল্পনাসচিব ভুঁইয়া শফিকুল ইসলাম ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২
* "সভা সমাবেশে বিসমিল্লাহ বলা ও কুরআন পড়ার দরকার নেই এসব করলে পবিত্রতা নষ্ট হয়"
*ঢাকা বিশ্ববিরমনার কালিমন্দির উদ্বোধনকালে আওয়ামী লীগ এমপি সুধাংশু শেখর হালদার বলেছিল, মাওলানা, মৌলভী ও মোল্লাদের কেটে তাদের রক্ত 'মা কালির ' পায়ের নিচে না দিলে মা কালি জাগবে না।
তারপর আরেক শয়তান ইফার ডিজি শামিম আফজাল ইমাম সম্মেলনে ব্যালেডান্স দেখানোর মত নিকৃস্ট কাজ করেন এই সরকারের আমলে ..কিন্তু নাস্তিক বান্ধব সরকার এই নিয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
উপরে মন্তব্যগুলো দেখলে বুঝবেন হাসিনা কিভাবে ধর্মবিদ্বেষী উন্মাদদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ..
এই দিকে নির্ভরযোগ্য কিছু সুত্রে জানা যায় , হেফাজত নেতাদের বিভিন্নভাবে সরকার হুমকি দিচ্ছে লংমার্চে যেন অংশগ্রহণ না করে ..তাদের ছেলেমেয়েদের অপহরণ করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে ..
আবার বিভিন্ন মিডিয়া দিয়ে আলেমদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে ..ফরিদ উদ্দিন মাসুদের মত লংমার্চে অংশগ্রহণকারী কিছু ওলেমাকে টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করছে সরকার ..কিন্তু আজ দেশ ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার্থে , ও ইসলামী ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করতে আলেম ওলামারা ঐক্যবদ্ব .তারা কেউই আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই হতে চান না , সবাই হামজা (রা ও আলীর উত্তরসুরী হতে চায় .
তবু ও সকল আলেম ওলামার প্রতি আহ্বান আপনারা হাসিনার অভিনীত কোনো অভিনয়ে বিভ্রান্ত হবেন না ..সবাই হাসিনার ইসলাম বিরোধী কার্যক্রমের ইতিহাস জেনেই সিদ্বান্ত নিবেন এবং বয়কট করবেন।
গত কয়েকদিন ধরে এই সব ভন্ড হুজুরেরা বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও সংবাদ সম্মেলন করে লংমার্চ হারাম ইত্যাদি বলছে ..কিন্তু লংমার্চ যদি হারাম হয় সংবাদ সম্মেলন করে এই ফতোয়া মারা কিভাবে হালাল হয় সেটা বোধগম্য নয়।
এই সব আলেম আবার নিজেদেরকে হক্কানী আলেম দাবি করছে ...
কিন্তু এই সব হক্কানী আলেমরা এসেছে জনপ্রতি ২৫০ টাকা করে
এখন প্রশ্ন হলো যেই সব আলেম ২৫০ টাকায় নাস্তিকদের কাছে বিক্রি হয় তারা কিভাবে হক্কানী আলেম হয় ?
তারপর হাসিনা সরকার ব্যবহার করে ফরিদ উদ্দিন মাসুদকে। ইসলামী ব্যাঙ্কে একাউন্ট খোলা হারাম এই ফতোয়া দিয়ে , যখন জনগন দেখল এই ভন্ডেরই ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট আছে , তখন তার ক্যারিয়ার পুরো ধংস হয়ে গেল এবং এই ভন্ডের আসল মুখোশ উন্মোচন হলো ..
ফরিদ উদ্দিন মাসুদের পর আরেক শিরক বিদায়াতী ভন্ড কুতুবাগের পীর ফতোয়া দেয় ..
কিন্তু এই ভন্ডের পুরো ভন্ডামি দেখতে পারবেন এই ভিডিওটিতে ..যারা দুর্নীতি টাকা আত্মসাত ,মাজার পূজা ও শিরকি কাজে লিপ্ত
এই হলো ধর্ম ব্যবসায়ী আওয়ামীলীগের ধর্ম ব্যবসায়ীদের নিয়ে সিজনাল ধর্মীয় ব্যবসা ..
এবার দেখাবো হাসিনা সরকার কিভাবে নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রশ্রয় ও আশ্রয় দিচ্ছে ..
শহীদ একটি ধর্মীয় বিষয় এবং এটি শুধু মুসলিমদের জন্য ..কিন্তু শেখ হাসিনা নাস্তিক থাবা বাবাকে শহীদ
বলে আখ্যা দিয়ে শহীদ শব্দটাকে অপব্যাখ্যা করেছেন
আবার তিনিই গজে চড়ে মা দূর্গা আসার কারণেই ফসল ভালো হয়েছে বলে স্পস্ট শিরক করেছেন ..
এবার এই নাস্তিক জননী গত নির্বাচনের আগে ইসলাম বিরোধী কোনো আইন করবে না বলে খেলাফত মজলিসের সাথে চুক্তি করেছিল ..
কিন্তু এই ধর্ম বিরোধী ক্ষমতায় এসে সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা এবং বিশ্বাস তুলে দিয়েছেন ..
এবার শেখ হাসিনার আসে পাশে কারা আছে ..ইসলাম সম্পর্কে তাদের বিভিন্ন মন্তব্যগুলো দেখি ..
পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, ধর্ম তামাক ও মদের মতো একটি নেশা।
১৪ ডিসেম্বর ২০০৯
রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ব্যাঙের ছাতার মতো কওমী মাদরাসাগুলো গজিয়ে উঠেছে।
*১০ ডিসেম্বর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া বলেছেন, রাসুল (সা.) মসজিদের অর্ধেক জায়গা হিন্দুদের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন।
*বিশ্বকাপের উদ্বোধন উপলক্ষে জাতীয় মসজিদের আসর, মাগরিব ও এশা এই ৩ ওয়াক্তের আযানের সময় মাইক বন্ধ রেখে চরম হীনমন্যতার পরিচয় দেয় আওয়ামী লীগ। তাছাড়া মঙ্গলযাত্রা দেখানো হলেও পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত হয়নি। এটাই কি ধর্মনিরপেক্ষতা!? ঢাকা মসজিদের শহর এটা বিশ্ববাসী জানলে কি ক্ষতি হতো?
* মতিয়া চৌধুরীর দাবি, আওয়ামী কর্মীরাই নাবী (স) এর প্রকৃত উম্মত।
*এছাড়া মার্চের দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াতের পরিবর্তে রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে শুরু করা হয়।
*ড. জাফর ইকবাল সরাসরি পর্দার বিরুদ্ধে কলাম লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, ....মেয়েদের ঘরের ভেতর আটকে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো। একান্তই যদি ঘরের ভেতর আটকে রাখা না যায় অন্তত বোরকার ভেতর আটকে রাখা যাক। তার মানে বোরকাকে তিনি নারীর জন্য জেলখানা বা বাঁধা হিসেবে বুঝাতে চেয়েছেন। প্রথম আলো- ০৪-১১-২০১১
*‘‘সংবিধান থেকে ধর্মের কালো ছায়াও একদিন মুছে ফেলবো' জাতীয় সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী
*‘আমি হিন্দুও নই, মুসলমানও নই' আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ (১৪ জুলাই ২০১১)
*'পবিত্র কুরআন-হাদিসের আলোকে খলিফাতুল মোসলেমীন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব' শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন খলিফাতুল মুসলিমিনদের একজন। মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বশূন্য অসহায় দরিদ্র মুসলমান তথা সারা বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বঙ্গবন্ধুর আপসহীন লড়াইয়ের কারণে বঙ্গবন্ধুই সারা বিশ্বের মুসলমানদের একমাত্র অভিভাবক ছিলেন। তারা বলেন, আমাদের ঈমানই হলো ধর্মনিরপেক্ষতা। যারা ধর্মনিরপেক্ষতারবিরোধিতা করেন তারা কুরআনকে অস্বীকার করেন। তারা বলেন, 'বাংলাদেশ-জিন্দাবাদ' কোনো ফজিলত নেই কিন্তু 'জয় বাংলা' শ্লোগানে বরকত ও ফজিলত আছে।(নভেম্বর ২৬, ২০০৯, নয়া দিগন্ত)
*প্রধানমন্ত্রীরউপদেষ্টা এইচটি ইমাম ২ এপ্রিল আওয়ামী ওলামা লীগ আয়োজিত এক সভায় বলেন, দেশে ইসলাম টিকিয়ে রেখেছে একমাত্র আওয়ামী লীগ। আর এ ইসলামের প্রবর্তক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আরো বলেন, জামায়াত নেতারা রোজা রাখে ঠিকই, কিন্তু ইফতার করে হুইস্কি দিয়ে। (৩ মার্চ ২০১০)
*''সেনাবাহিনী ফেরেশতা নয় যে তারা এলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সেনাবাহিনী কেন খোদ আল্লাহতায়ালা নেমে আসলেও কিছু করতে পারবে না।'' -সিইসি
*"আল্লাহ যদি লাখ লাখ কোটি কোটি বছর পর বিচার করতে পারেন তাহলে আমরা কেন ৪০ বছর পর বিচার করতে পারব না ?" আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম - ২০ মার্চ ২০১০
*আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, কৃষি মন্ত্রী, ও সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী মতিয়া চৌধুরী হালে নতুন উম্মতের সন্ধান দিয়েছেন। বিএনপি জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, তারা রাসূলে পাক (সা.)-এর ইসলামে বিশ্বাস করে না। বিএনপি হচ্ছে জিয়াউর রহমানের উম্মত, তাদের দোসর জামায়াত হচ্ছে নিজামীর উম্মত, আর আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি তারা মহানবীর (সা.) উম্মত (আমার দেশ, ২১ মার্চ, ২০১০)
*সুযোগ করে দেয়ার জন্য ফতোয়া দরকার, যদিও ফতোয়ার ব্যপারে হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে তা সত্বেও বাংলাদেশ জাতীয় মুফতি ঐক্য পরিষদ (বামুপ) থেকে ফতোয়ায় বলা হয়েছে "বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিরোধিতা করা তথা আওয়ামী লীগের সমর্থন না করা কুফরি" অতএব, আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করলে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে, সে যত বড় আলেমই হোক না কেন। (নয়া দিগন্ত, নভেম্বর ৩১, ২০০৯)
*"শেখ হাসিনার নির্দেশ মানা আলীগ ও ছাত্রলীগের জন্য ইবাদত" বলেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম! (নয়াদিগন্ত,মে ৬, ২০১০)
*"বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক ওয়াক্ত নামাজ পড়েন না এবং এমন কোনো ইসলাম বিরোধী কাজ নেই যা তিনি করেন না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের নিয়ম-নীতি মেনে চলেন। যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন প্রতিদিন তিনি নামাজ আদায় ও কোরআন তেলোয়াত করেন।" আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ। ২৭ মে ২০১০- বিডিনিউজ
*আওয়ামীলিগের অতি আস্থাভাজন মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, 'পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলে ইসলামি দল নিষিদ্ধ হবে না। দুই-তিনটি জঙ্গি দল নিষিদ্ধ হবে। শেখ হাসিনা আমাকে তা স্পষ্ট করে বলেছেন। (নয়াদিগন্ত, ১ এপ্রিল, ২০১০)।
*‘বিসমিল্লাহ বললে কী হয়? প্রার্থনা দিয়ে কিছু হয় না। কেননা, ফিলিস্তিন মুক্ত করার জন্য মক্কায় যে প্রার্থনা করা হয় তা কবুল হলে এত দিনে ফিলিস্তিন মুক্ত হয়ে যেত।' ইউনিসেফের বিশ্ব শিশু পরিসি'তি রিপোর্ট প্রকাশনা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় পরিকল্পনাসচিব ভুঁইয়া শফিকুল ইসলাম ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২
* "সভা সমাবেশে বিসমিল্লাহ বলা ও কুরআন পড়ার দরকার নেই এসব করলে পবিত্রতা নষ্ট হয়"
*ঢাকা বিশ্ববিরমনার কালিমন্দির উদ্বোধনকালে আওয়ামী লীগ এমপি সুধাংশু শেখর হালদার বলেছিল, মাওলানা, মৌলভী ও মোল্লাদের কেটে তাদের রক্ত 'মা কালির ' পায়ের নিচে না দিলে মা কালি জাগবে না।
তারপর আরেক শয়তান ইফার ডিজি শামিম আফজাল ইমাম সম্মেলনে ব্যালেডান্স দেখানোর মত নিকৃস্ট কাজ করেন এই সরকারের আমলে ..কিন্তু নাস্তিক বান্ধব সরকার এই নিয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
উপরে মন্তব্যগুলো দেখলে বুঝবেন হাসিনা কিভাবে ধর্মবিদ্বেষী উন্মাদদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ..
এই দিকে নির্ভরযোগ্য কিছু সুত্রে জানা যায় , হেফাজত নেতাদের বিভিন্নভাবে সরকার হুমকি দিচ্ছে লংমার্চে যেন অংশগ্রহণ না করে ..তাদের ছেলেমেয়েদের অপহরণ করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে ..
আবার বিভিন্ন মিডিয়া দিয়ে আলেমদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে ..ফরিদ উদ্দিন মাসুদের মত লংমার্চে অংশগ্রহণকারী কিছু ওলেমাকে টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করছে সরকার ..কিন্তু আজ দেশ ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার্থে , ও ইসলামী ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করতে আলেম ওলামারা ঐক্যবদ্ব .তারা কেউই আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই হতে চান না , সবাই হামজা (রা ও আলীর উত্তরসুরী হতে চায় .
তবু ও সকল আলেম ওলামার প্রতি আহ্বান আপনারা হাসিনার অভিনীত কোনো অভিনয়ে বিভ্রান্ত হবেন না ..সবাই হাসিনার ইসলাম বিরোধী কার্যক্রমের ইতিহাস জেনেই সিদ্বান্ত নিবেন এবং বয়কট করবেন।
Tuesday, 2 April 2013
যদি খালেদা হাসিনা এসবিতে ব্লগিং করতো,তাহলে পরিস্থিতি কেমন হতো
ধরেন দেশে কোনো টিভি মিডিয়া নাই , আছে শুধু ব্লগ ....তাই খালেদা জিয়া আজকের সংবাদ সম্মেলন হিসাবে এসবি ব্লগকে বেছে নিলো ..... আর সংবাদ সম্মেলন হবে পোস্ট দিয়ে
তো খালেদা জিয়া ইলিয়াস আলীকে ফেরত দিতে সরকারকে শনিবার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে একটা পোস্ট দিলো ............
পোস্ট দেওয়ার পরই প্রথম কমেন্ট করলো হাসিনা ......
হাসিনা : আপনারাই তো ইলিয়াস আলীকে গুম করে নাটক করছেন ..... এখন হাসিনা রেটিং কি দিবে , তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলো.... ( মনে মনে বলতেছে মডুরা মাইনাস বাটন কেন যে বন্দ্ব করে দিলো , কারণ উনি একটার বদলে ১০ টা মাইনাস দিতে অভ্যস্ত )
কমেন্টের জবাবে খালেদা : হ্যা আমাদের আর খাইয়া কাম নাই , আপনারা সুরুঞ্জিতের ৭০ লাখ টাকা ঘুষের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই ইলিয়াস আলীকে গুম করেছেন ..... (রেটিং দিতে গিয়ে দেখে খালেদার এই অধিকার নাই , মনে মনে মাল্টি নিক নিয়ে আসার চিন্তা করলো )
এই কমেন্টের জবাবে হাসিনা : আসল কথা হলো আপনারা ইস্যু বানানোর জন্য ইলিয়াস আলীকে গুম করেছেন ...( মনে মনে হাসিনা আমরা যেই রকম শেরাটনের সামনে বাসে আগুন দিয়ে ১১ জন মেরেছিলাম )
খালেদা : আপনি তো প্রধানমন্ত্রী , তো আপনিই বের করুন কে গুম করেছে ......
হাসিনা : আমরা তো চেষ্টা করতেছি ( মনে মনে আমার বাপকে এই দেশের মানুষ মেরেছে , ইলিয়াসকে গুম তো করেছি আমরা , এখন খালেদা হরতাল দিয়ে দেশের বারোটা বাজাক )
খালেদা : আপনাদের কত ঘন্টা লাগবে , আর আপনাদেরিতো মানুষের জানমাল রক্ষা করার দ্বায়িত্ব
হাসিনা : ৪৮ ঘন্টা তো বলেছি , কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখবেন , ইলিয়াস গুম হয়েছে রাস্তা থেকে , আর কারো জন্য রাস্তা পাহারা দেওয়া আমাদের দ্বায়িত্ব না
এরই মধ্যে লীগ বিএনপির ব্লগারেরা খালেদা হাসিনাকে সাপোর্ট করে কমেন্ট করতেছে ..
এবার ইলিয়াস প্রসংগ বাদ দিয়ে পোস্ট অন্য দিকে ডাইভার্ট হচ্ছে
খালেদা : আসেন আমরা তত্ববধায়ক সরকারকে ফিরিয়ে নিয়ে আসি
হাসিনা : তত্বাবধায়ক সরকার আপনাকে কোলে তুলে ক্ষমতায় আনবে না
এরই মাঝে বিএনপির পাপিয়া ব্লগে লগিন করেই হাসিনার এই কমেন্ট দেখে সাথে সাথে রিপ্লাই
পাপিয়া : ৯৬ তে গোলাম আযমের কোলে বসে আর ২০০৮ এ মইন ফখরুদ্দিনএর কোলে বসেই তো আপনারাই ক্ষমতায় এসেছিলেন
হাসিনা : পাপিয়ার কমেন্ট দেখে , মডুরা এই কমেন্ট ক্যামনে রাখে এখনো পর্যন্ত, এই কমেন্ট না মুছলে ইলিয়াসের মত ব্লগ কিন্তু গুম কইরা দিমু .. ( মনে মনে হাসিনা ,পাপিয়া কিন্তু মিথ্যা বলে নাই ,আমিই তো কৈছিলাম তত্বাবধায়ক সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল )
হটাত সংসদের স্পিকারের মত মডুরা পাপিয়াকে নোটিশ পাঠালো , নীতিমালা লঙ্গনের কারণে আপনার মন্তব্যটি মুছে ফেলা হলো , এবং আপনাকে সতর্ক করা হলো
( পাপিয়া রাগে দুক্ষে মডুদের মেইল করলো , আর বেশী দিন কিন্তু বাকি নাই , দেড় বছর পর কিন্তু সুদে আসলে ফেরত নিমু , এখনো সময় আছে ভালো হইয়া যায় )
এবার হাসিনা পাপিয়ার ওই কমেন্টের রাগ ঝাড়লো জিয়া পরিবারের উপর ,রাগে দুক্ষে একটা কমেন্ট করলো : খালেদার জন্ম শিলাগুরিতে , আর জিয়া ঘটনা চক্রে মুক্তিযোদ্বা
খালেদা : আপ্নে এতগুলো ডিগ্রী কিনে ও কিভাবে কথা বলতে হয় তা শিখেন নাই
এই কমেন্ট দেখে হাসিনা লীগ মার্কা ব্লগারদের লগি বৈঠা নিয়ে ব্লগে আসতে বললো , তাই দেখে খালেদা বিএনপির কর্মীদের কাস্তে আর জামায়াত কর্মীদের পাল্লার ডান্ডা আর ৪ কেজি ওজনের বাটখারা নিয়ে আসতে বললো .......
ব্লগে তুমুল উত্তেজনা , যেই কোনো সময় কিছু একটা ঘটে যেতে পারে মডুরা আপ্রাণ চেষ্টা করতেছে পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য ........হটাত ব্লগের সার্ভার ডাউন হয়ে গেলে , সবাই শান্ত হয়ে গেল ( ইশ ব্লগের সার্ভারের মত এই ২ টা বেটি যদি ডাউন হয়ে যেত )........আবার সার্ভার ঠিক হলে কি হয় আল্লাহই জানে
( এইটা একটা কাল্পনিক সংলাপ , বাস্তবের সাথে মিলে গেলে চেয়ারম্যান দায়ী না )
আর ব্লগ ঠিক থাকলে হাসিনা খালেদা কি কি কমেন্ট করতো , আপনারা ও সেটি যোগ করতে পারেন
তো খালেদা জিয়া ইলিয়াস আলীকে ফেরত দিতে সরকারকে শনিবার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে একটা পোস্ট দিলো ............
পোস্ট দেওয়ার পরই প্রথম কমেন্ট করলো হাসিনা ......
হাসিনা : আপনারাই তো ইলিয়াস আলীকে গুম করে নাটক করছেন ..... এখন হাসিনা রেটিং কি দিবে , তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলো.... ( মনে মনে বলতেছে মডুরা মাইনাস বাটন কেন যে বন্দ্ব করে দিলো , কারণ উনি একটার বদলে ১০ টা মাইনাস দিতে অভ্যস্ত )
কমেন্টের জবাবে খালেদা : হ্যা আমাদের আর খাইয়া কাম নাই , আপনারা সুরুঞ্জিতের ৭০ লাখ টাকা ঘুষের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই ইলিয়াস আলীকে গুম করেছেন ..... (রেটিং দিতে গিয়ে দেখে খালেদার এই অধিকার নাই , মনে মনে মাল্টি নিক নিয়ে আসার চিন্তা করলো )
এই কমেন্টের জবাবে হাসিনা : আসল কথা হলো আপনারা ইস্যু বানানোর জন্য ইলিয়াস আলীকে গুম করেছেন ...( মনে মনে হাসিনা আমরা যেই রকম শেরাটনের সামনে বাসে আগুন দিয়ে ১১ জন মেরেছিলাম )
খালেদা : আপনি তো প্রধানমন্ত্রী , তো আপনিই বের করুন কে গুম করেছে ......
হাসিনা : আমরা তো চেষ্টা করতেছি ( মনে মনে আমার বাপকে এই দেশের মানুষ মেরেছে , ইলিয়াসকে গুম তো করেছি আমরা , এখন খালেদা হরতাল দিয়ে দেশের বারোটা বাজাক )
খালেদা : আপনাদের কত ঘন্টা লাগবে , আর আপনাদেরিতো মানুষের জানমাল রক্ষা করার দ্বায়িত্ব
হাসিনা : ৪৮ ঘন্টা তো বলেছি , কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখবেন , ইলিয়াস গুম হয়েছে রাস্তা থেকে , আর কারো জন্য রাস্তা পাহারা দেওয়া আমাদের দ্বায়িত্ব না
এরই মধ্যে লীগ বিএনপির ব্লগারেরা খালেদা হাসিনাকে সাপোর্ট করে কমেন্ট করতেছে ..
এবার ইলিয়াস প্রসংগ বাদ দিয়ে পোস্ট অন্য দিকে ডাইভার্ট হচ্ছে
খালেদা : আসেন আমরা তত্ববধায়ক সরকারকে ফিরিয়ে নিয়ে আসি
হাসিনা : তত্বাবধায়ক সরকার আপনাকে কোলে তুলে ক্ষমতায় আনবে না
এরই মাঝে বিএনপির পাপিয়া ব্লগে লগিন করেই হাসিনার এই কমেন্ট দেখে সাথে সাথে রিপ্লাই
পাপিয়া : ৯৬ তে গোলাম আযমের কোলে বসে আর ২০০৮ এ মইন ফখরুদ্দিনএর কোলে বসেই তো আপনারাই ক্ষমতায় এসেছিলেন
হাসিনা : পাপিয়ার কমেন্ট দেখে , মডুরা এই কমেন্ট ক্যামনে রাখে এখনো পর্যন্ত, এই কমেন্ট না মুছলে ইলিয়াসের মত ব্লগ কিন্তু গুম কইরা দিমু .. ( মনে মনে হাসিনা ,পাপিয়া কিন্তু মিথ্যা বলে নাই ,আমিই তো কৈছিলাম তত্বাবধায়ক সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল )
হটাত সংসদের স্পিকারের মত মডুরা পাপিয়াকে নোটিশ পাঠালো , নীতিমালা লঙ্গনের কারণে আপনার মন্তব্যটি মুছে ফেলা হলো , এবং আপনাকে সতর্ক করা হলো
( পাপিয়া রাগে দুক্ষে মডুদের মেইল করলো , আর বেশী দিন কিন্তু বাকি নাই , দেড় বছর পর কিন্তু সুদে আসলে ফেরত নিমু , এখনো সময় আছে ভালো হইয়া যায় )
এবার হাসিনা পাপিয়ার ওই কমেন্টের রাগ ঝাড়লো জিয়া পরিবারের উপর ,রাগে দুক্ষে একটা কমেন্ট করলো : খালেদার জন্ম শিলাগুরিতে , আর জিয়া ঘটনা চক্রে মুক্তিযোদ্বা
খালেদা : আপ্নে এতগুলো ডিগ্রী কিনে ও কিভাবে কথা বলতে হয় তা শিখেন নাই
এই কমেন্ট দেখে হাসিনা লীগ মার্কা ব্লগারদের লগি বৈঠা নিয়ে ব্লগে আসতে বললো , তাই দেখে খালেদা বিএনপির কর্মীদের কাস্তে আর জামায়াত কর্মীদের পাল্লার ডান্ডা আর ৪ কেজি ওজনের বাটখারা নিয়ে আসতে বললো .......
ব্লগে তুমুল উত্তেজনা , যেই কোনো সময় কিছু একটা ঘটে যেতে পারে মডুরা আপ্রাণ চেষ্টা করতেছে পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য ........হটাত ব্লগের সার্ভার ডাউন হয়ে গেলে , সবাই শান্ত হয়ে গেল ( ইশ ব্লগের সার্ভারের মত এই ২ টা বেটি যদি ডাউন হয়ে যেত )........আবার সার্ভার ঠিক হলে কি হয় আল্লাহই জানে
( এইটা একটা কাল্পনিক সংলাপ , বাস্তবের সাথে মিলে গেলে চেয়ারম্যান দায়ী না )
আর ব্লগ ঠিক থাকলে হাসিনা খালেদা কি কি কমেন্ট করতো , আপনারা ও সেটি যোগ করতে পারেন
Subscribe to:
Posts (Atom)