প্রতি ড্রামে বৈদ্যুতিক তার থাকার কথা এক হাজার ৭০০ মিটার। কর্মকর্তারা যে ক’টি ড্রাম খুলে পরিমাপ করেছেন সেগুলোর প্রত্যেকটিতে পেয়েছেন মাত্র ৪০০ মিটার। অর্থাৎ প্রতি ড্রামে এক হাজর ৩০০ মিটার তার কম পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় একটির পর একটি ড্রাম যতই মাপছিলেন ততই গলা শুকিয়ে যাচ্ছিল ইন্সপেকশন টিমের সদস্যদের। এত বড় দুর্নীতি দেখে তারাই হতভম্ব হয়ে যান। তারা একপর্যায়ে ড্রাম খোলা বা মাপা বন্ধ করে দিয়ে বাকিগুলো নেড়েচেড়ে ওজন অনুমান করার চেষ্টা করেছেন। এতে ড্রামের গঠন ও ওজন আন্দাজ করে তাদের আশঙ্কা সব ড্রাম খোলা হলে হয়তো কোনো কোনোটিতে আরো কম এমনকি খালিও পাওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগে নজিরবিহীন এই ঘটনায় আঁতকে ওঠেন সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক দলের সদস্যরা। এ ঘটনায় প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকতে পারে, এ আশঙ্কায় পরিদর্শক দলের সদস্যরা ভয়ে তদন্তকাজ অসমাপ্ত রেখেই ঢাকায় ফিরে যান।
গত ১০ আগস্ট বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) টঙ্গীর কেন্দ্রীয় ভাণ্ডারে ঘটেছে ভয়াবহ এ জালিয়াতির ঘটনা। ভাণ্ডারে গত জুন মাসে ১১০ ট্রাকে তিন হাজার ৬৩০ ড্রাম বৈদ্যুতিক অ্যালুমিনিয়াম তার সরবরাহ করে সরকারি দলের একজন প্রভাবশালী সংসদ সদস্যের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। পরিদর্শক দলের তদন্তে পুকুর চুরি ধরা পড়ায় তারা বর্তমানে চাপের মধ্যে রয়েছেন ও একই সাথে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে জোর চেষ্টা চলছে বলেও জানা গেছে।