![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhiy2feBFBlHDk8JCjFYC0Vgwp0aIn-eUTlv4SMlQZeRqcqhyM0qsAz50-HNxSdiaAfpkdYSvX2rtmZevErMpm9GFLZQAxlLeBNLgKvCNVsO9vZY1bubp24SzPRO93OnoOS41Isl24ZYvps/s1600/ff.jpg)
স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত সকল আন্দোলন সংগ্রামে জামায়াত ও আওয়ামী লীগের দাবী এক হয়েও জামায়াত দেশ বিরোধী। অথচ ষাট হতে সত্তরের দশকের প্রায় প্রতিটি আন্দোলনে জামায়াত আওয়ামী লীগের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছে। ১৯৭০ সালে নির্বাচনে অবিসম্বাদী জয়ের পর যখন পাকিস্থানী শাসক গোষ্ঠি যখন টালবাহানায় লিপ্ত ছিল, তখন বারংবার জামায়াতের পক্ষ থেকে বিজয়ী শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পনের জোর দাবী জানানো হয়েছে। কেননা সকলেই জানতেন এর অন্যথা হলে দেশ অবশ্যম্ভাবী বিভক্তির দিকে এগিয়ে যাবে, যা আওয়ামী লীগ নিজেও চাইত না।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে পুর্ব পাকিস্তানের ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে বিজয়ী দল আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে না দেয়ায় পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এমন এক অবস্থায় ১৯৭১ সালে ৭মার্চ রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ লক্ষ জনতার মাঝে শেখ মুজিব এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি ঘোষণা করেন-
'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।'
ওই ভাষণে শেখ মুজিব যে চারটি দাবী জানান সেগুলো হলো-
১.সামরিক আইন মার্শাল 'ল' তুলে নিতে হবে।
৩.সমস্ত সেনাবাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে।
৩. যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে।
৪.আর জন প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
কেউ কেউ দাবি করেন মার্চের ভাষণে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু কথা হল, তিনি যদি সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণাই দেবেন তাহলে পাকিস্তানী সরকারের উদ্দেশ্যে দাবী-দাওয়া পেশ করলেন কেন? এমনকি ভাষনের শেষে তিনি 'পাকিস্থান জিন্দাবাদ' বলে ভাষন সমাপ্ত করেন।এসব দাবী পর্যালোচনা করেই অনেকে বলে থাকেন যে, শেখ মুজিব ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। কারণ ১৩ মার্চের পর প্রেসিডেন্ট ইয়াহইয়ার সাথে ঢাকা বৈঠকে সমঝোতা যদি সফল হত, শেখ মুজিবুর রহমানই হতেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আদৌ কোন সম্ভাবনা ছিল না। শেখ মুজিব স্বাধীনতার চিন্তা করেননি, তা ২৪শে মার্চে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভায় প্রদত্ত বক্তব্য থেকে প্রমাণ মেলে। সেদিন তিনি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছিলেন,
"আমার ম্যান্ডেট স্বায়ত্ত্বশাসনের জন্য, স্বাধীনতার জন্য নয়।"
(সাংবাদিক আশরাফের প্রতি কৃতজ্ঞতা)
২৫ মার্চের আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টা ছিল দেশের অখন্ডতার পক্ষে। এ কারনে বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধামকি দিয়ে চেষ্টা করেছেন পাকিস্থানী ম্বেরাচার শাসকদের কাছ থেকে অধিকার টুকু আদায় করতে। এমনকি ২৫ মার্চ রাতেরও গ্রেফতারের আগ মুহূর্তে তিনি দেশকে বিভক্ত করার পক্ষে ছিলেন না।
''একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতারের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত স্বাধীনতার কোনো ঘোষণা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেননি। তাজউদ্দীন আহমদ ওই রাতেই স্বাধীনতার ঘোষণার ছোট্ট একটি খসড়া তৈরি করে টেপরেকর্ডারে ধারণ করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে পড়তে দেন। বঙ্গবন্ধু খসড়াটি পড়ে নিরুত্তর থাকেন এবং এড়িয়ে যান। তাজউদ্দীন আহমদ ঘোষণাটি দিতে অনুরোধ জানালে বঙ্গবন্ধু উত্তর দেন,
''এটা আমার বিরুদ্ধে একটি দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের জন্য বিচার করতে পারবে।''
ইপিআর সিগন্যালসের মাধ্যমে শেখ সাহেব স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠিয়েছিলেন সেটাও বোধহয় অবাস্তব কথা। চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরীর কাছে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠিয়েছিলেন বলে যে কথা বলা হয়, তাও সঠিক নয়। ভারত সরকার বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার সময় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও অন্য প্রধান নেতাদের জিজ্ঞাসা করেছে যে, স্বাধীনতার ঘোষণার ব্যাপারে শেখ মুজিবুর রহমান কাউকে কিছু বলে গেছেন কিনা। এর মধ্যে জহুর আহমদ চৌধুরীও ছিলেন। ভারত সরকারকে প্রত্যেকেই বলেছেন, কাউকেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণার কথা বলে যাননি। জহুর আহমদ চৌধুরী নিজে তাজউদ্দীনকে বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষণার ব্যাপারে তাকে কিছুই বলা হয়নি।'' (আমার দেশ এবং প্রিয় ডটকম http://priyo. com/forum/ 2010/mar/25/37599. html)
কিন্তু এত সবের পরেও আজ সত্য হচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষক, আওয়ামী লীগ স্বাধীসতার সোল এজেন্ট আর দীর্ঘ আন্দোলনে পাশে থেকেও জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী। ভাষা আন্দোলনের ইশতেহার পাঠকারী অধ্যাপক গোলাম আযম দেশদ্রোহী। ছবি নাকি ইতিহাসের কথা বলে। বহু বচর আহে ছাপা হওয়া একটি বইয়ের দুর্লভ কিছু ফটো পেয়ে গেলাম। রীতিমতো চমকে দেবার মতো। দেখা যাক ইতিহাস কি বলে।
১---পূর্ব পাকিস্থানের অধিকার আদায়ে দাবী দাওয়া তৈরীতে প্রায়শই একত্রিত হয়েছেন তৎকালীন জাতীয় নেতারা। এমনি একটি সভায় ডান থেকে অধ্যাপক গোলাম আযম, পীর মোহসেন উদ্দীন দুদু মিয়া (ইংরেজ বিরোধী বিপ্লবী হাজী শরীয়াতউল্লাহর ছেলে), মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ (আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা ও পরবর্তীতে অস্থায়ী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী)।
২----পূর্ব পাকিস্থানের অধিকার আদায়ে আয়োজিত সভা সমাবেশে উপস্থিত থেকেছেন অধ্যাপক গোলাম আযম। এমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাউন্ড টেবিল কনফারেন্সে বাম হতে ২য় অবস্থানে তাকে দেখা যাচ্ছে।
৩-----প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান (সর্ববামে) বিভিন্ন দাবী দাওয়ার প্রেক্ষিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের জাতীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মিলিত হন। ডান থেকে অধ্যাপক গোলাম আযম, পীর মোহসেন উদ্দীন দুদু মিয়া (ইংরেজ বিরোধী বিপ্লবী হাজী শরীয়াতউল্লাহর ছেলে), মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ (আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা ও পরবর্তীতে অস্থায়ী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী), মাওলানা মুফতি মাহমুদ, চৌধুরী মোঃ আলী (পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী)
৪---আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সকল দলকে নিয়ে সম্মিলিত আন্দোলনে তৎকালীন জামায়াতের আমীর অধাপক গোলাম আযমের ভূমিকাও ছিল অগ্রগণ্য। প্রায় প্রতিটি জোট বদ্ধ আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রগামী, আওয়ামী লীগ এটি ভালোভাবেই বুঝত। শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আন্তরিক পরিবেশে সভা করছেন অধ্যাপক গোলাম আযম (ডান থেকে ৩য়)
৫---স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের এক পর্যায়ে সকল বিরোধী দলের সমন্বয়ে গঠিত হয় ডাক জোট। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে আওয়ামী লীগ এতে সবার উপরে ছড়ি ঘোরানোর সম্ভাবনা না থাকায় যোগ দেয়নি। পরে অন্যতম পুরোধা ছিলেন অধ্যাপক গোলাম আযম। সর্বদলীয় সভায় অন্যতম মধ্যমনি হিসাবে দেখা যাচ্ছে তাকে।
৬---জাতীয় নির্বাচনের দাবীতে সকল বিরোধী দল ছিল একাট্টা। প্রতিটি দলের দাবী ছিল এক এবং সম্মুখে থেকে জামায়াতে পক্ষে ভূমিকা রেখেছেন তৎকালীন আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম। সর্বদলীয় সভায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে।
৭-- দুর্লভ পেপার কাটিং। এর পরেও কি বলা হবে জামায়াত আগা গোড়া দেশদ্রোহীতায় লিপ্ত ছিল? ডান পাশের বিবৃতি প্রকাশ হয় দৈনিক আজাদের ১০ মার্চ ১৯৭১ সংখ্যায় ডাতে শেখ মুজিবকে ৭ মার্চের ভাষনের জন্য জামায়াত অভিনন্দন জানিয়েছিল এবং অবিলম্বে বিজয়ী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তাস্তরের জোর দাবী জানিয়েছিলেন তৎকালীন জামায়াত নেতারা। ডান পাশের বিবৃতিটি প্রকাশিত হয় ১৭ মার্চ ১৯৭১। দেশকে চুড়ান্ত বিভক্তি থেকে রক্ষার জন্য শেখ মুজির-ইয়াহইয়ার বৈঠকের সফলতা কামনা করে প্রেসিডেন্ট ইয়াহইয়াকে দ্রুত শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবী জানান অধ্যাপক গোলাম আযম। বোধগম্য করবার জন্য পুরাতন কাটিং এর ভেতরের কথাই এর সত্যতার জন্য যথেষ্ট।
৮---শেখ মুজিবর রহমানের সাথে জাতীয় নেতৃবৃন্দের অন্তরঙ্গ আলাপচারিতার এবটি বিশেষ মুহূর্তে অধ্যাপক গোলাম আযমকে দেখা যাচ্ছে। দেশের স্বাধীনতার আড়াগোড়া বিপক্ষে তথাকথিতঅবস্থানকারীর সাথে স্বাধীনতার স্থপতির আন্তরিকতার এ ছবিটি সত্য নাকি স্বাধীনতার পর হতে বাকী অপপ্রচার সত্য?
৯----প্রতিটি দাবী দাওয়ার সাথে জামায়াত আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় ভাবে একাত্মতা ঘোষনা করেছে। শুধু অধ্যাপক গোলাম আযম নয় বরং তৎকালীন জামায়াতের সর্বোচ্চ নেতা মাওলানা মওদূদীও ছিলেন স্বৈরাচার বিরোধী ন্যায় সঙ্গত অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোগী।
স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আগাগোড়া সব কিছুর সাক্ষী। বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পর হতে ১৫ আগস্ট মুত্যুর আগ পর্যন্ত অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোন কথা বলেননি। চ্যালেঞ্জ রইল যদি কেউ প্রমাণ দেখাতে পারেন, আমার এই মন্তব্য ডিলিট করে দেব।
পূর্ব পাকিস্থানের অধিকার আদায়ে দাবী দাওয়া তৈরীতে প্রায়শই একত্রিত হয়েছেন তৎকালীন জাতীয় নেতারা। এমনি একটি সভায় ডান থেকে অধ্যাপক গোলাম আযম, পীর মোহসেন উদ্দীন দুদু মিয়া (ইংরেজ বিরোধী বিপ্লবী হাজী শরীয়াতউল্লাহর ছেলে), মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ (আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা ও পরবর্তীতে অস্থায়ী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী)।
পূর্ব পাকিস্থানের অধিকার আদায়ে আয়োজিত সভা সমাবেশে উপস্থিত থেকেছেন অধ্যাপক গোলাম আযম। এমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাউন্ড টেবিল কনফারেন্সে বাম হতে ২য় অবস্থানে তাকে দেখা যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান (সর্ববামে) বিভিন্ন দাবী দাওয়ার প্রেক্ষিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের জাতীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মিলিত হন। ডান থেকে অধ্যাপক গোলাম আযম, পীর মোহসেন উদ্দীন দুদু মিয়া, মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ, মাওলানা মুফতি মাহমুদ, চৌধুরী মোঃ আলী (পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী)
আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সকল দলকে নিয়ে সম্মিলিত আন্দোলনে তৎকালীন জামায়াতের আমীর অধাপক গোলাম আযমের ভূমিকাও ছিল অগ্রগণ্য। প্রায় প্রতিটি জোট বদ্ধ আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রগামী, আওয়ামী লীগ এটি ভালোভাবেই বুঝত। শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আন্তরিক পরিবেশে সভা করছেন অধ্যাপক গোলাম আযম (ডান থেকে ২য়)
স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের এক পর্যায়ে সকল বিরোধী দলের সমন্বয়ে গঠিত হয় ডাক জোট। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে আওয়ামী লীগ এতে সবার উপরে ছড়ি ঘোরানোর সম্ভাবনা না থাকায় যোগ দেয়নি। পরে অন্যতম পুরোধা ছিলেন অধ্যাপক গোলাম আযম। সর্বদলীয় সভায় অন্যতম মধ্যমনি হিসাবে দেখা যাচ্ছে তাকে।
জাতীয় নির্বাচনের দাবীতে সকল বিরোধী দল ছিল একাট্টা। প্রতিটি দলের দাবী ছিল এক এবং সম্মুখে থেকে জামায়াতে পক্ষে ভূমিকা রেখেছেন তৎকালীন আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম। সর্বদলীয় সভায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে।
দুর্লভ পেপার কাটিং। এর পরেও কি বলা হবে জামায়াত আগা গোড়া দেশদ্রোহীতায় লিপ্ত ছিল? ডান পাশের বিবৃতি প্রকাশ হয় দৈনিক আজাদের ১০ মার্চ ১৯৭১ সংখ্যায় ডাতে শেখ মুজিবকে ৭ মার্চের ভাষনের জন্য জামায়াত অভিনন্দন জানিয়েছিল এবং অবিলম্বে বিজয়ী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তাস্তরের জোর দাবী জানিয়েছিলেন তৎকালীন জামায়াত নেতারা। ডান পাশের বিবৃতিটি প্রকাশিত হয় ১৭ মার্চ ১৯৭১। দেশকে চুড়ান্ত বিভক্তি থেকে রক্ষার জন্য শেখ মুজির-ইয়াহইয়ার বৈঠকের সফলতা কামনা করে প্রেসিডেন্ট ইয়াহইয়াকে দ্রুত শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবী জানান অধ্যাপক গোলাম আযম। বোধগম্য করবার জন্য পুরাতন কাটিং এর ভেতরের কথাই এর সত্যতার জন্য যথেষ্ট।
শেখ মুজিবর রহমানের সাথে জাতীয় নেতৃবৃন্দের অন্তরঙ্গ আলাপচারিতার এবটি বিশেষ মুহূর্তে অধ্যাপক গোলাম আযমকে দেখা যাচ্ছে। দেশের স্বাধীনতার আড়াগোড়া বিপক্ষে তথাকথিতঅবস্থানকারীর সাথে স্বাধীনতার স্থপতির আন্তরিকতার এ ছবিটি সত্য নাকি স্বাধীনতার পর হতে বাকী অপপ্রচার সত্য?
প্রতিটি দাবী দাওয়ার সাথে জামায়াত আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় ভাবে একাত্মতা ঘোষনা করেছে। শুধু অধ্যাপক গোলাম আযম নয় বরং তৎকালীন জামায়াতের সর্বোচ্চ নেতা মাওলানা মওদূদীও ছিলেন স্বৈরাচার বিরোধী ন্যায় সঙ্গত অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোগী।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjC-PQAlL_J2w0awKjuirXYWvoMtFjSgqTE-9YCWqL8WdeaII73jHl6scWVkUyANlduwmhPviRWD0FE6cBhey2mDWvaqOKF0cyNzBD4f0Ruv6_1ah9UZ7ozdNCQ0vIdTz3pKHWwKW0N_C5-/s1600/uu.jpg)
পূর্ব পাকিস্থানের অধিকার আদায়ে দাবী দাওয়া তৈরীতে প্রায়শই একত্রিত হয়েছেন তৎকালীন জাতীয় নেতারা। এমনি একটি সভায় ডান থেকে অধ্যাপক গোলাম আযম, পীর মোহসেন উদ্দীন দুদু মিয়া (ইংরেজ বিরোধী বিপ্লবী হাজী শরীয়াতউল্লাহর ছেলে), মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ (আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা ও পরবর্তীতে অস্থায়ী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী)।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhhYhsjl4r27AXPMu8Qw8oYElOY5rI0YI4cjOINJIYUGIx8cTZzUa5B_GP10odwl87KaapVIdY32-qa5uOukhpy6hUDfoE_n6-CTkEhAsRGObbbNCNFhAaGnHD6ZR4yKnTVdpgQA1T4-rnF/s1600/bbb.jpg)
পূর্ব পাকিস্থানের অধিকার আদায়ে আয়োজিত সভা সমাবেশে উপস্থিত থেকেছেন অধ্যাপক গোলাম আযম। এমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাউন্ড টেবিল কনফারেন্সে বাম হতে ২য় অবস্থানে তাকে দেখা যাচ্ছে।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiRBO5Vl6xj2H_ZHIjiZnHtBWezOBpNKKsfoMUJ1-bn66-C_HL7doXtxTh81hqzOpLvDb2JhAyrY3UH08loUqZs7noFENEv50lgsaaoAuYAJG6aXjJ2TLbFbrjgvhcQXsvn4pJtv90dP1NQ/s1600/cc.jpg)
প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান (সর্ববামে) বিভিন্ন দাবী দাওয়ার প্রেক্ষিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের জাতীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মিলিত হন। ডান থেকে অধ্যাপক গোলাম আযম, পীর মোহসেন উদ্দীন দুদু মিয়া, মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ, মাওলানা মুফতি মাহমুদ, চৌধুরী মোঃ আলী (পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী)
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEil680VJQbPuDi9MGcSvrvy4GiWSNeRc1kpCZ4sueZ8VRVjxfhSj-VVbqsLRZez3QD5kt2yoFnChOc2nNeMAsf35VcX3DSPwCkz7PB1ocQ56gHZBoVwMcONVY-v7COHxUKjhbcQwe5lGEiR/s1600/dd.jpg)
আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সকল দলকে নিয়ে সম্মিলিত আন্দোলনে তৎকালীন জামায়াতের আমীর অধাপক গোলাম আযমের ভূমিকাও ছিল অগ্রগণ্য। প্রায় প্রতিটি জোট বদ্ধ আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রগামী, আওয়ামী লীগ এটি ভালোভাবেই বুঝত। শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আন্তরিক পরিবেশে সভা করছেন অধ্যাপক গোলাম আযম (ডান থেকে ২য়)
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg39sWQJ5PB1ERYhUxKTIeBJmu1NuRW6CCrrCvSVGhFMdrhdSbCZhkTVEX5EAGL0esm2Nq7t5KpP-jTw2XaaqttgkO-dMOBvU17xm4jB8PufAjpor_pqjD55iElhUo8Dy662CX4AQU60o4K/s1600/eee.jpg)
স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের এক পর্যায়ে সকল বিরোধী দলের সমন্বয়ে গঠিত হয় ডাক জোট। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে আওয়ামী লীগ এতে সবার উপরে ছড়ি ঘোরানোর সম্ভাবনা না থাকায় যোগ দেয়নি। পরে অন্যতম পুরোধা ছিলেন অধ্যাপক গোলাম আযম। সর্বদলীয় সভায় অন্যতম মধ্যমনি হিসাবে দেখা যাচ্ছে তাকে।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEisssafPEnZl_0gjqGorKKq-54ma0271xFpMPzkODqOOhqSijnsA9QXUZ38MfiMNd7UtTBnopqT3puJwitQs6Je-kiu99XtU3Lohpbyo3mhkX_f9GtLhg8YPo-3rwUTbe5Fh5Nz_awS4oSx/s640/fff.jpg)
প্রতিটি দাবী দাওয়ার সাথে জামায়াত আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় ভাবে একাত্মতা ঘোষনা করেছে। শুধু অধ্যাপক গোলাম আযম নয় বরং তৎকালীন জামায়াতের সর্বোচ্চ নেতা মাওলানা মওদূদীও ছিলেন স্বৈরাচার বিরোধী ন্যায় সঙ্গত অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোগী।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgRlFGxk0SzD2N9Ryj-qNttF-hwrkrKvpalIFI1Tok7xNxxxXCs5OIrS6sfxKY8l8zV_eAAUvXLIt384oNUqeKMGsHwGIouSURdaXaOQDrG0_DNCDM7gpXaVikcg1l2jLkD_u8H4_q1ijYM/s1600/gg.jpg)
দুর্লভ পেপার কাটিং। এর পরেও কি বলা হবে জামায়াত আগা গোড়া দেশদ্রোহীতায় লিপ্ত ছিল? ডান পাশের বিবৃতি প্রকাশ হয় দৈনিক আজাদের ১০ মার্চ ১৯৭১ সংখ্যায় ডাতে শেখ মুজিবকে ৭ মার্চের ভাষনের জন্য জামায়াত অভিনন্দন জানিয়েছিল এবং অবিলম্বে বিজয়ী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তাস্তরের জোর দাবী জানিয়েছিলেন তৎকালীন জামায়াত নেতারা। ডান পাশের বিবৃতিটি প্রকাশিত হয় ১৭ মার্চ ১৯৭১ .. দেশকে চুড়ান্ত বিভক্তি থেকে রক্ষার জন্য শেখ মুজির-ইয়াহইয়ার বৈঠকের সফলতা কামনা করে প্রেসিডেন্ট ইয়াহইয়াকে দ্রুত শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবী জানান অধ্যাপক গোলাম আযম। বোধগম্য করবার জন্য পুরাতন কাটিং এর ভেতরের কথাই এর সত্যতার জন্য যথেষ্ট।
No comments:
Post a Comment