Monday, 27 January 2014

বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীরা : মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিস্ময়কর নীরবতা : ‘বন্দুকযুদ্ধে’র গল্পে নিরাপত্তা বাহিনী ও গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে

আওয়ামী লীগবিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর বেপরোয়া হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছে। একতরফা নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার শপথ নেয়ার পর গত কয়েকদিনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে হত্যা মিশন আরো জোরদার হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের পর গত দু’দিনে বিএনপি-জামায়াতের অন্তত ৫ নেতা নিহত হয়েছেন।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের প্রায় প্রতিদিনই গ্রেফতারের পর বন্দুকযুদ্ধের গল্প বলে নির্বিচারে হত্যা করলেও দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিস্ময়কর নীরবতা পালন করছে। প্রতিদিন স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী এবং নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের হত্যা করা হলেও দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কর্তাব্যক্তিরা এ নিয়ে টুঁশব্দটিও করছেন না। 

Tuesday, 21 January 2014

পূজামণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুর: আ.লীগ নেতার ছেলে গ্রেফতার

পূজামণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুর: আ.লীগ নেতার ছেলে গ্রেফতার
শীর্ষ নিউজ ডটকম, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কালীপূজার আসরে মদ্যপ অবস্থায় নৃত্য করার ঘটনায় বাধা দেয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছেলেরা পূজামণ্ডপে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। এ সময় তারা পূজা কমিটির দুইজনকে পিটিয়ে আহত করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা রকমান মেম্বারের ছেলে আপেল মিয়া, শ্রমিক লীগের ৭নং ওয়ার্ডের নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবের ছেলে পনির মিয়া, আসকর আলী মৃধার ছেলে সেরাজউদ্দিন মৃধা ও আউয়াল ভুঁইয়ার ছেলে মোফাজ্জল ভুঁইয়া।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট মনিপাড়া কালী পূজামণ্ডপে। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

Saturday, 18 January 2014

সংখ্যালঘু সাবেক ইউপি নারী মেম্বার”কে গাছের সাথে বেঁধে আওয়ামীলীগের মধ্যযুগীয় নির্যাতন

nirjaton
শাহনেওয়াজ জিল্লু, কক্সবাজার: লামার ফাইতংয়ে ঘর পোড়ানোর ঘটনা তদন্তকালে সংখ্যালঘু ভানু প্রভা দে (৫০) নামের সাবেক এক নারী ইউপি মেম্বারকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে গুরুতর নির্যাতন চালিয়ে আহত করেছে সরকারদলীয় ক্যাডাররা। আহত ওই নারী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গতকাল ১৬জানুয়ারি বৃস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শামশুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ৩০৬ নং ফাইতং মৌজার আর হোল্ডিং নং ৬৯ ও ৬৫৪ এর ৪একর জমির মালিক স্থানীয় নয়াপাড়া এলাকার সাবেক ইউপি মেম্বার ভানু প্রভা দে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওইসব জমিতে গাছ রোপন করে ভোগ দখলে আছে। কিন্তু একই এলাকার কিছু ভূমিদস্যুর নজরে পড়ে এসব জমি।

Friday, 17 January 2014

ভোট না দেয়ায় হিন্দু ব্যবসায়ীর উপর যুবলীগ নেতার হামলা

নাটোরের সিংড়া পৌর এলাকার দশম সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতির নেতৃত্বে হিন্দু ব্যবসায়ীকে তার দোকানে এসে মারপিট করা হয়েছে। প্রহৃত ব্যবসায়ী পৌর এলাকার বালুয়া বাসুয়া রোড়ের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনের প্রতিভা লাইব্রেরীর মালিক শ্রী সতেন্দ্র নাথ (৩৫)। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, কারো কাছে বিচার চাইনি, শুধু ভগবানকে বলে রেখেছি। এর আগে আরেক হিন্দু ব্যবসায়ীর দোকান ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ বৃহস্পতিবার বাপ্পি নামে এক যুবলীগ কর্মীকে আটক করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নির্বাচনে সতেন্দ্র নাথ ও তার পরিবারের লোকজন ভোট দিতে যাননি। বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে ইটালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোতালেব সরদার তার কয়েকজন সহযোগীসহ দোকানে এসে শ্রী সতেন্দ্র নাথের কাছে ভোট দিতে না যাওয়ার কারন জানতে চেয়ে চলে যান। 

ঘটনাস্থল কোটচাঁদপুর..আ. লীগ সভাপতি পেটালেন সংখ্যালঘু প্রধান শিক্ষককে

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিফুন নেছা মিকি। সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগের বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর কাছ থেকে নেওয়া টাকায় নিজে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হতে না পেরে ক্ষমতাসীন দলের ওই নেতা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৮-৯ মাস আগে ওই বিদ্যালয়ে একজন সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাছ থেকে অনুদান হিসেবে দুই লাখ টাকা নেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের তৎকালীন সভাপতি ও কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিফুন নেছা মিকি ওই টাকা নিজের পক্ষ থেকে অনুদান হিসেবে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন তহবিলে জমা দেন। পরে তিনি ওই টাকার বিনিময়ে নিজেকে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেন। কিন্তু বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সচিব ও প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস এতে অপারগতা জানান এবং আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে একটি অডিট টিম সেখানে যায়। অডিট চলাকালে গত বুধবার শরিফুন নেছা মিকি তাঁর দলবল নিয়ে স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের ওপর চড়াও হন। এ সময় মিকির উপস্থিতিতে তাঁর লোকজন প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

হিন্দুতে ড. চ্যাটার্জির নিবন্ধ...আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরাও হিন্দুর সম্পদ ও বাস্তুভিটা গ্রাস করে

ভারতীয় প্রভাবশালী দৈনিক হিন্দুতে গতকাল প্রকাশিত এক নিবন্ধে হিন্দুদের ওপর জুলুম চালানোর বিষয়ে ক্ষসতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি ও জামায়াতের মনোভাব ও কৌশল মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনার পাশাপাশি এটাও স্পষ্ট করা হয়েছে যে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরাও হিন্দুদের সম্পদ গ্রাস করেছে। আবার যুদ্ধাপরাধের বিচারেও তারা গড়িমসি করেছিল। শাহবাগের তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের পরেই কেবল তারা গুরুত্বের সঙ্গে এই বিচারে মনোযোগী হয়েছে।  
ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগ শাসনামলে দলটির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিয়মিতভাবে হিন্দুদের সম্পদ ও বাস্তুভিটা নিয়মিতভাবে কেড়ে নিয়ে থাকেন। তবে সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগতভাবে আক্রমণ চালানো দলটির নীতি নয়। তবে একই কথা তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও জামায়াতের ক্ষেত্রে খাটে না। তারা নিয়মিতভাবে হিন্দুদের জান ও মাল উভয়ের প্রতি হুমকি হয়ে থাকে। তাই হিন্দুরা কেন গভীর সমুদ্রে প্রেত দেখতে পায় সেটা অনুভব করা কষ্টসাধ্য নয়।’  

Wednesday, 15 January 2014

দ্য ইয়েলো আইজ অব আওয়ামী লীগ। মনজুরুল ইসলাম

সোভিয়েত শাসনামলে মস্কো-ওয়াশিংটনের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ যখন ভরা কাইমেক্সে, তখন খুব আলোচিত একটা বই ছিল দ্য রেড আইজ অব কেজিবি। মস্কো শহরের সবচেয়ে আতঙ্কের স্থাপনা ধূসর ভবনের অভ্যন্তরে কী ঘটত এসব নিয়ে রচিত ওই বইয়ে স্পর্শকাতর এমন কিছু তথ্য ফাঁস করে দেয়া হয়, যা ক্রেমলিনের কাছে রীতিমতো ছিল বিব্রতকর। সেই বইয়ের লেখক বেঁচে থাকলে আজকের বাংলাদেশে মতাসীন দলের কাণ্ডকীর্তি দেখে নিশ্চয়ই লিখতেন আরেকটি বইÑ দ্য ইয়েলো আইজ অব আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগের হলুদ চোখ। বাংলায় একটা জনপ্রিয় প্রবাদ আছেÑ চোখে সর্ষে ফুল দেখা। আজ যারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রমতায় আসীন এবং যারা মতাকে চিরস্থায়ী করতে ক্রমাগত ছলচাতুরী করে যাচ্ছেন, তাদের মনে নিঃসন্দেহে একের পর এক ধাক্কা লেগেই চলেছে। ভারতের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির বিরাট বিজয়ে একটা বিষয় এখন পরিষ্কারÑ আসন্ন লোকসভার নির্বাচনেও তারা জিতবে এবং দিল্লির মসনদ থেকে দুর্নীতিবাজ কংগ্রেসকে হটাবে।

Tuesday, 14 January 2014

রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১৩ শ’;.. প্রতিদিন গড়ে খুন হয়েছে ১২ জন..মহাজোট সরকারের ৫ বছরে ২২ হাজার মানুষ খুন

মহাজোট সরকারের পাঁচ বছরে সারা দেশে ২২ হাজার মানুষ খুন হয়েছেন। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ১২ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে সরকারের শেষ বছর ২০১৩ সালে খুনের ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। এ বছর খুন হন চার হাজার ৪২৮ জন। গত বছর এবং চলতি বছরের শুরুতে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। গত ২৫ নভেম্বর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে প্রায় ১৫০। এত খুনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন সংশ্লিষ্টরা।

Sunday, 12 January 2014

পটুয়াখালীতে হিন্দু ব্যবসায়ীদের আ’লীগ নেতার মারধর ও দোকান ভাঙচুর...হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক; কয়েক স্থানে মন্দিরে অগ্নিসংযোগ

তিন দিন ধরে এক দিকে পটুয়াখালী শহরসহ জেলার সর্বত্র সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অব্যাহত অন্য দিকে শহরতলী লাউকাঠি বাজারে তিনজন হিন্দু ব্যবসায়ীকে মারধর ও দোকানপাটে হামলা ভাঙচুর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির নেতৃত্বে একদল ক্যাডার। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ। গত শনিবার রাতের এ ঘটনার পর স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মসজিদে আযান-নামাজ হয়না : চলছে গ্রেফতার বাণিজ্য

13 Jan, 2014
গত ২৯ দিনেও নীলফামারীর ঐতিহ্যবাহী রামগঞ্জ বাজার এবং টুপামারী ও লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নে স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসেনি। এখনও কয়েকটি মসজিদে আযান দেয়া ও নামাজ আদায় হচ্ছে না। বাকী মসজিদগুলোতে আযান দেয়া ও নামাজ আদায় হলেও মুসল্ল¬ীর সংখ্যা হচ্ছে ৪ থেকে ৫ জন। এলাকাবাসী জানান, পুলিশি গ্রেফতার আতঙ্কে মানুষ ঘর-বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশের দায়েরকৃত মামলা থেকে রেহাই পেতে ও গ্রেফতার না হওয়া নিয়ে চলছে বাণিজ্য।

Friday, 10 January 2014

বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার নসিহত : ফরহাদ মজহার

বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার নসিহত নতুন কিছু নয়। হামেশাই আওয়ামী লীগ এই পরামর্শ দিয়ে আসছে। সম্প্রতি শেখ হাসিনা তথাকথিত নির্বাচনের পর সংবাদ সম্মেলনে পুরনো কথা আবার বলেছেন। বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের রাজনীতির এটাই সবচেয়ে মোক্ষম অস্ত্র। বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী সমর্থক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাদীদের এটাই প্রধান রাজনৈতিক প্রপাগা-া। অস্বীকার করার জো নাই যে, আওয়ামী লীগ এক্ষেত্রে বিএনপিকে সাময়িক কাবু করতে পেরেছে।

সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে সাক্ষাতকারে খালেদা জিয়া জানিয়েছেন, জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করার সময় আসেনি, এ মুহূর্তে তিনি পারছেন না, সময় হলেই তিনি জামায়াতের সঙ্গ ছাড়বেন। এটাও বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোট ‘স্থায়ী’ কোনো জোট নয়।

অন্যদিকে, গত সোমবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথার উত্তরে বলেছিলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) হুকুম করতে পারেন না। তিনিও জামায়াতের সঙ্গে ছিলেন। আমরা তার (শেখ হাসিনা) নির্দেশনা অনুযায়ী পার্টি চালাব না। আমরা একটি স্বাধীন পার্টি। সুতরাং আমরা আমাদের পার্টি নিজেদের পন্থাতেই চালাব।’

আওয়ামীলীগ কতৃক সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের চিত্রের কিছু খবরের লিঙ্ক

1) http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1646/activist/35647

2) http://progressbangladesh.com/party-whip-abdul-wahab-awami-league-made-threats-to-attacked-hindu-community-before-the-election/

3) http://www.khichuri.org/bangladeshs-self-styled-secularists-are-no-protectors-of-minorities/

4) http://my.telegraph.co.uk/nivritchari/nivritchari/31/minorities-are-no-longer-safer-under-awami-leagues-rule/

5) http://skmahdi.wordpress.com/2013/06/10/minority-repression-in-bangladesh-savior-becomes-the-sinner/

6) http://archive.thedailystar.net/beta2/news/some-attackers-seen-with-tuku/

7) http://progressbangladesh.com/awami-league-members-attack-buddhist-family-home-over-land-case/

8) http://archive.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=252738

9) http://talukdershaheb.blogspot.co.uk/2013/03/indian-daily-suspects-al-hand-in-temple.html

10) http://www.amadershomoy2.com/content/2013/03/17/middle0847.htm

11) http://www.jamaat-e-islami.org/en/details.php?artid=MjMxMw%3D%3D

12) http://talukdershaheb.blogspot.co.uk/2013/03/shibir-guards-temples.html

13) http://talukdershaheb.tumblr.com/post/66777045242/debunking-the-daily-star-yellow-journalism-awami

আওয়ামীলীগের সংখ্যালঘু নির্যাতন ও নাশকতার স্ক্রীন শট / পেপার কার্টিং


Tuesday, 7 January 2014

নির্বাচনোত্তর আওয়ামী সহিংসতার শিকার আ.লীগ : মোরেলগঞ্জে মাদরাসা অধ্যক্ষের রগকর্তন, কালীগঞ্জে ১০ কর্মীর বাড়িঘর ভাংচুর লুট মাগুরায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ, পলাশে কৃষি কর্মকর্তাকে পিটুনি


আওয়ামী লীগের বহিষ্কুত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক মাদরাসা অধ্যক্ষের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে ছাত্রলীগ লীগ সন্ত্রাসীরা। বাধা দিতে গেলে কুপিয়ে জখম করা হয় ৩ মাহিলাকেও। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নৌকায় ভোট দেয়ায় ১০ আওয়ামী লীগ কর্মীর বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট করেছে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকেরা।
মাগুরায় বিতর্কিত নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. সিরাজুল আকবরের
সমর্থক ও পরাজিত যুবলীগ নেতা কুতুব উল্লাহ কুটির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় ১৩ জন। জাল ভোট দিতে না দেয়ায় নরসিংদীর পলাশে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে তার কার্যালয়ে ঢুকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে একই দলের সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয় ৮ নেতাকর্মী। এছাড়া সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় পিটিয়ে আহত করা হয়েছে দুই বিএনপি নেতাকে।
মাগুরায় জয়ী আ.লীগ ও পরাজিত যুবলীগ নেতার সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ
মাগুরা প্রতিনিধি জানান, নির্বাচনী উত্তর সহিংসতায় মাগুরার রবিশাট এবং কুকনা গ্রামে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৩ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৮ জনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Overview of the Political situation in Bangladesh, allegations of political violence, and minority persecution: Some case studies

Overview of the Political situation in Bangladesh, allegations of political violence, and minority persecution: Some case studies
The current crisis was triggered by mass protests of hundreds of thousands of ordinary people along with the political opposition against what many believe to be a politically motivated International Crimes Tribunal (ICT). As observed by Steven Kay, an expert on international criminal law, the Bangladesh government has “withdrawn all the constitutional rights to a fair and impartial trial that an ordinary Bangladeshi citizen would have so it is a very unfair war crimes tribunal”.[1] Numerous international legal experts and observers have observed that the Bangladeshi government’s refusal to allow a fair trial sheds doubt on the validity of the allegations and verdicts of the ICT, and strengthens the view that the ICT prosecution do not have a case that would stand up in an impartial court of law.
Allmost 200 people have been killed and many thousands severely injured in the past few weeks but the true extent is thought to be much more. Human Rights Watch, whilst criticising the response from the main opposition, has observed that “most deaths appear to have been caused by the security forces using live ammunition.”[2] Video footage shows police firing live and rubber bullets directly into crowds of protestors and shooting handcuffed youth at point blank range intending to kill or maim.[3]

সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রকৃত চিত্র এবং মিডিয়ার ব্লেইম গেইম :-s



১০ম জাতীয় নির্বাচনের পর আবারো সংখ্যালঘুদের উপর বিশেষ করে হিন্দুদের উপর বিভিন্ন জায়গায় হামলা হচ্ছে। যেখানে প্রশাসন থেকে ও এই সব হামলা বন্ধের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো কয়েক জায়গায় রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামীলীগের লোকজন সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে তুলকালাম সৃষ্টি করে। বলেছিলো সংখ্যালঘুরা সরকারী দলের সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। 

Monday, 6 January 2014

লাঙ্গলে জাল ভোট, আ.লীগ নেত্রীর ৫ বছরের সাজা

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে লাঙ্গল প্রতীকে জাল ভোট দেওয়ায় আওয়ামী লীগের নেত্রী উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলি আজাদসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। জেলা যুগ্ম জজ মো. কামাল হোসেন শিকদার এ সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন, তিন নারী সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কোহিনুর বেগম, জোবেদা বেগম ও নাছিমা বেগম।
নির্বাচন-সংক্রান্ত বিশেষ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসেন শিকদার গতকাল রোববার জেলা সার্কিট হাউসে শিউলি আজাদ ও আশরাফ উদ্দিনকে পাঁচ বছর করে এবং তিন নারী সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে তিন বছর করে সাজা দেন।

Sunday, 5 January 2014

জাল ভোট, কলঙ্কিত নির্বাচন

প্রথমে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তারপর খালেদা জিয়া। এবার শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার তৃতীয়বারের মতো একতরফা নির্বাচন দেখল বাংলাদেশ।
সব একতরফা নির্বাচনের যা চরিত্র, গতকালের নির্বাচনটিও তার ব্যতিক্রম ছিল না। একতরফা নির্বাচনের কলঙ্কিত সব অনুষঙ্গই ছিল গতকালের ভোটে। ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। ফাঁকা কেন্দ্রে জাল ভোট দিয়েছেন সরকারি দলের কর্মীরা। ছিল কেন্দ্র দখল করে সিল মারার মতো গর্হিত ঘটনা। 
নির্বাচন প্রতিরোধকারী বিএনপি-জামায়াতের দিক থেকে ছিল সহিংসতা, কেন্দ্র পোড়ানো, কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপার ও বাক্স ছিনতাই, ভাঙচুর, নির্বাচনী কর্মকর্তা হত্যা, মারধর এবং পুলিশের ওপর হামলার মতো ঘটনা। গতকালই সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ১৯ জন। ভোটের দিনে এটাই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা।
এই একতরফা নির্বাচনেও হেরে গেছেন সরকারি দলের পরিচিত-প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা। এর মধ্যে আছে সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ আর সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। 

ভোটার-খরা কাটালেন ছাত্রলীগ কর্মীরা

সারা দিনই ভোটারের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। সকাল থেকে বেলা একটা পর্যন্ত কেন্দ্রের ব্যালট বাক্সে জমা পড়ে মাত্র ১৬৯টি ভোট। তবে শেষ বিকেলে ভোটারের খরা কেটে যায়। শত শত জাল ভোট দিয়ে সেটি পুষিয়ে দেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এটি পুরান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজে ৫৫ নম্বর ভোটকেন্দ্রের চিত্র। ঢাকা-৬ আসনের এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা এক হাজার ৫৪৬। বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষে দেখা গেল, কেন্দ্রটিতে ৬৯৭ ভোট পড়েছে। দুপুরে ১১ শতাংশ ভোট পড়লেও শেষ বিকেলে তা ৪৫ শতাংশে পৌঁছায়।
একই ঘটনা ঘটেছে কবি নজরুলের বিপরীত পাশের ঢাকা গভর্মেন্ট মুসলিম হাইস্কুলের দুই কেন্দ্রে। এখানকার ৬৫ নম্বর কেন্দ্রে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ২৭০টি ভোট পড়ে। তবে শেষ বিকেলে তা ৪১৯-এ পৌঁছায়। এর আগে দুইটার দিকে এই স্কুলেরই ৬৪ নম্বর কেন্দ্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ব্যালট ছিনতাই করেন। 
আর এর নেতৃত্ব দেন জগন্নাথ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু সাঈদ ও বর্তমান সভাপতি শরীফুল ইসলাম। সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সামনেই ছাত্রলীগের কর্মীরা ব্যালটের পেছনে স্বাক্ষর করে অন্তত আড়াই শতাধিকের মতো জাল ভোট দেন। এ ঘটনার সময় আশপাশে পুলিশ কর্মকর্তারা থাকলেও দেখে না দেখার ভান করেন।

মতিয়া-টুকুর ভোট ডাকাতি?


টুকুর ভোট ছিনতাই বাহিনীর সিল মারা ৪৭৪টি ব্যালট পেপারের একটি।ছবি : কালের কণ্ঠ - 

পাবনা-১ আসনের (সাঁথিয়া-বেড়া) অধিকাংশ কেন্দ্র সকাল থেকেই ছিল নৌকা প্রতীকের ‘ভোট ছিনতাই বাহিনীর’ দখলে। চারটি কেন্দ্রে তারা প্রকাশ্যে একের পর এক ব্যালট পেপারে সিল দিয়ে বাক্স ভর্তি করেছে। ভোট ছিনতাইয়ের এ কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে তারা লাঞ্ছিত করে। আসনটিতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াই করেন। তাঁর বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল আনুমানিক ২০ শতাংশ।
অভিযোগ উঠেছে, টুকুর এপিএস দোলনের নেতৃত্বে শতাধিক বহিরাগত শনিবার রাতে মিল্ক ভিটার রেস্ট হাউসে অবস্থান করে সকালে গিয়ে জাল ভোটে বাক্স ভর্তি করে। অধ্যাপক আবু সাইয়িদ অভিযোগ করেন, টুকুর সন্ত্রাসী বাহিনী ৫২টি কেন্দ্রে ভোট কারচুপি এবং ১৮টি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করে। তিনি ১৮টি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করতে লিখিত আবেদনও জানিয়েছেন। তবে শামসুল হক টুকু নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে দাবি করে বলেন, তাঁর কোনো সন্ত্রাসী বাহিনী নেই।

অনেক আসনে পরাজিত প্রার্থীকে জিতিয়ে দিয়েছে প্রশাসন!

ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি আসনে প্রকৃত ভোটের ফলাফলে পরাজিত হওয়া প্রার্থীদের প্রশাসনের সহযোগিতায় জিতিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ভোটার ও গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন সূত্রের দাবি, এসব আসনে প্রশাসন ফল পাল্টে দিয়েছে। এনিয়ে গতকাল দিনভর বিভিন্ন মহলে মুখরোচক আলোচনা ছিল।

সূত্রমতে, ঢাকা-৪, ঢাকা-৬, লালমনিরহাট-২, লালমনিরহাট-৩, ঢাকা-১৭, বগুড়ার ১টি আসন, খুলনার দুটি আসন এবং কুষ্টিয়ার ১টিসহ অনেকগুলো আসনে ফল পাল্টে ফেলা হয়েছে। এসব আসনে যাদের জয়ের বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত ছিল তাদেরকে প্রশাসনিক নানা ম্যাকানিজমে হারিয়ে দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের জিতিয়ে দিতে এসব আসনে 'পরাজিত' প্রার্থীদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোথাও কোথাও কেন্দ্র দখলে নিয়ে প্রশাসনের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেয়া হয়। আবার কোথাও কোথাও ভোটের শেষে ফলাফল পাল্টে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ ওঠে।

অস্বাভাবিকভাবে পাল্টে যাচ্ছে ভোটের ফলাফল


নাসির আহমাদ রাসেল/ওয়াছিউর রহমান খসরু : ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি না থাকলেও ঘোষণার সময় অস্বাভাবিকভাবে পাল্টে যাচ্ছে ভোটের ফলাফল। রোববারের নিয়ম রক্ষার ওই নির্বাচনে ১৪৭টি আসনের ১৮ হাজার ২০৪টি কেন্দ্রের মধ্যে একেবারেই  ভোটারশূন্য ছিল বহুসংখ্যক  কেন্দ্র।

সরকার বিরোধী জোটের প্রতিরোধের মুখে স্থগিত হয়ে যায় প্রায় পাঁচ শতাধিক কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। এমনকি রোববার রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুও ভোটার উপস্থিতি কম থাকার কথা স্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, ‘৭০ এর নির্বাচনসহ অতীতের সব নির্বাচনের চেয়ে আনুপাতিক হারে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল; এটি স্বীকার করছি।’এছাড়া বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ  শেষে নির্বাচনে ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি করেছে।

বিজয়ীদের নাম দুইদিন আগে ইসিতে পাঠান এইচটি ইমাম!

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট নেয়ার দুইদিন আগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা পাঠিয়েছে সরকার! ওই তালিকায় উল্লেখ আছে, কোন প্রার্থী পাশ করবেন, আর কে পাশ করবেন না। তালিকা অনুযায়ী আজ রোববার সন্ধ্যার পর থেকে নির্বাচনে কোন আসনে কে বিজয়ী হয়েছেন, এ তথ্য প্রচার করছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে অংশ নেয়া বারোটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোন দলের কোন প্রার্থীকে কোন আসনে ‘বিজয়ী’ ঘোষণা করতে হবে, এর উল্লেখ আছে আওয়ামী লীগের ওই তালিকায়!

ঢাকা ৬ আসনের কবি নজরুল কেন্দ্রে জাল ভোটের উত্সব (ভিডিও )



কবি নজরুল কেন্দ্রে, যেখানে সকাল থেকে কোন ভোটারই ছিল না সেখানে পড়তে থাকে দেদারসে জাল ভোট। ধরা পড়ে একুশের ক্যামেরায়। প্রিসাইডিং অফিসার জাল ভোটারকে উঁচু গলায় বলছিলো- "কোন সমস্যা নাই।" 
আর একদম হাতেনাতে ধরা পড়ে ইসলামিয়া মাহমুদিয়া কড়াইল মাদ্রাসা কেন্দ্রের জাল ভোটাররা। ক্যামেরার সামনে দেখা যায় তিন-চারজন মিলে জাল ভোট দিচ্ছে আর দিচ্ছে।
বি.দ্র.- নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে ইলিয়াস হোসেন নামে এই রিপোর্টারকে রাত দশটার দিকে ডিজিএফআই ডেকে পাঠিয়েছে।

শেখ হাসিনার আসনে ১টায় ৩% আর ৪টায় ৭০% ভোট কাস্টিং

কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকলেও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুরের তিনটি আসনে মাত্র ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসনে (পীরগঞ্জ) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) আওয়ামী লীগের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভোট কেন্দ্র দখল করে নিজেরাই সিল মারে। ফলে বেলা ১টার ৩ শতাংশ ভোট কাস্টিং বিকেল ৪টায় হয়ে যায় ৭০ ভাগের ওপরে।
সরেজমিনে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কোনো কেন্দ্রেই ভোটার ছিল না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বসে বসে অলস সময় কাটিয়েছেন।

পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘বেলা ১টার পরে সমস্ত কেন্দ্র দললে নেয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা। বেলা আড়াইটার মধ্যেই ইউএনও নির্দেশ দেয় ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেখানে গিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোড় করে সই নিয়েছে। নতুন করে ব্যালটে সিল দিয়েছে। কথা না শুনলে চাকুরি যাওয়ার হুমকি দিয়েছে।’