
মোট ২৪৩ পৃষ্ঠার রায়ের মধ্যে ৭৫ পৃষ্ঠা সংক্ষিপ্ত আকারে পড়ে শোনানো হচ্ছে। তিন ভাগের এই রায়ের প্রথম ভাগ পড়ে শোনাচ্ছেন প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
রায় পড়ার আগে প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির রায় সম্পর্কে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যে ৫ ধরনের অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, প্রসিকিউশন তাতে তার প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ততার প্রমাণ করতে পারেনি।
রায়কে একটি ব্যতিক্রম রায় উল্লেখ করে ফজলে কবির বলেন, কিন্তু এটি একটি ব্যতিক্রম রায়। মূলত ’৭১ প্রকাশিত পত্রপত্রিকার ডকুমেন্টের ভিত্তিতে তার বিচার করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যক্ষভাবে গোলাম আযম কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলি’ হিসেবে তিনি ওই সময়ে সারা দেশে তার দলের নেতাকর্মীদের অপকর্মের দায় এড়াতে পারেন না। কারণ এসব অপকর্মের জন্য তিনি তাদের নিষেধ বা শাস্তি দেননি।
রায় পড়ার সময় ট্রাইব্যুনালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল হক মামা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এমকে রহমানসহ প্রসিকিউশন টিমের সদস্যরা উপস্থিত আছেন।
হরতাল থাকায় ট্রাইব্যুনালে গোলাম আযমের পক্ষে কোনো জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসেননি। তবে বেশ কয়েকজন কনিষ্ঠ আইনজীবী উপস্থিত আছেন।
No comments:
Post a Comment