Saturday, 26 April 2014

‘মুজিব কাকু সরে গিয়েছিলেন অনেক দূরে’

তাজউদ্দীন আহমদ প্রসঙ্গে একটি কথা খুবই প্রচলিত। ১৯৭১ সালে মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক চলছে ঢাকায়। পাকিস্তান পিপলস পার্টি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় এসেছেন। আছেন ইন্টারকন্টিনেন্টালে কড়া মিলিটারি পাহারায়। কজন বাঙালি সাংবাদিক সাক্ষাতের অনুমতি পেয়েছে। আলাপকালে ভুট্টো এ সময় বলে বসলেন, আলোচনা বৈঠকে মুজিবকে আমি ভয় পাই না। ইমোশনাল এপ্রোচে মুজিবকে কাবু করা যায়, কিন্তু তার পেছনে ফাইল বগলে চুপচাপ যে নটোরিয়াস লোকটি বসে থাকে তাঁকে কাবু করা শক্ত। দিস তাজউদ্দীন, আই টেল ইউ, উইল বি ইউর মেইন প্রবলেম। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তাজউদ্দীন কন্যা শারমীন আহমদের ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে সদ্য প্রকাশিত ‘তাজউদ্দীন আহমদ, নেতা ও পিতা’ বইতে মুজিব-তাজউদ্দীন সম্পর্ক নিয়ে লিখেছেন, ষাটের দশকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্বর্ণালি লগ্নে মুজিব-তাজউদ্দীন এই নবীন জুটির আবির্ভাব বাংলাদেশের রাজনৈতিক মঞ্চে। তারা আওয়ামী লীগে প্রগতিশীল নতুন ধারার সূচনা করেন। তারা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো নিতেন একত্রে। বাস্তবায়ন করতেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। তাদের কাজ দেখে মনে হতো তারা এক অভিন্ন সত্তা। তাদের টিমওয়ার্কের সবল ভিত্তির ওপর ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন ও জনগণের আস্থা অর্জন সম্ভবপর হয়েছিল। তারা ছিলেন একে অন্যের পরিপূরক।

তারানকোর বৈঠক নিয়ে মুখ খুললেন ফখরুল

জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নেতাদের মধ্যে যে বৈঠক হয়েছিল তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, দলটি এখন সেই অবস্থানে নেই বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
গত বছরের ডিসেম্বর ঢাকা সফর করেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। রাজনৈতিক সমঝোতার উদ্দেশ্যে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
গুলশানে জাতিসংঘের একটি প্রকল্প কার্যালয়ে তারানকোর সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের যে দুই দফা বৈঠক হয়েছিল তাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবিহ উদ্দিন এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদের সদ্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও ড. গওহর রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

Friday, 25 April 2014

মুজিব কাকু বললেন ‘তাজউদ্দীন, আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হব’

নয় মাসের যুদ্ধ শেষে ১৯৭১-এর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখনও পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। মুক্ত হয়ে তিনি দেশে ফিরেন ১০ই জানুয়ারি। অবিসংবাদিত নেতার     
প্রত্যাবর্তনে বিমানবন্দরে লাখো মানুষের ঢল। রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) সংবর্ধনার আয়োজন। একটি খোলা ট্রাকে চড়ে বঙ্গবন্ধু চার নেতাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে নিয়ে রওনা হলেন জনসভাস্থলে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অংশে শারমিন আহমদ লিখেছেন, মুজিব কাকুর পাশেই আনন্দে উদ্বেলিত আব্বু দাঁড়িয়ে আছেন। হঠাৎ মুজিব কাকু আব্বুর কানের কাছে মুখ নামিয়ে বললেন, ‘তাজউদ্দীন, আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হব’। ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে সদ্য প্রকাশিত তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন আহমদের ‘তাজউদ্দীন আহমদ, নেতা ও পিতা’ বইতে পঞ্চম পর্বে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও সরকার গঠনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেন, মুজিব কাকুর উদাসীনতায় আব্বু (তাজউদ্দীন আহমদ) আহত হয়ে ছিলেন। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু কেন জানতে চাননি কারা ছিলেন স্বাধীনতার শত্রু আর কারা ছিলেন স্বাধীনতার মিত্র। গোলাম আযমসহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের পক্ষেও অবস্থান নিয়েছিলেন তাজউদ্দীন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন আহমদ বিস্তারিত বর্ণনায় আরও লিখেছেন, ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি জনগণ-মন-নন্দিত বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলেন। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষের ঢল চারদিকে। তাঁদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে একনজর দেখার জন্য তাঁরা ব্যাকুল। 

স্বাধীনতার ঘোষণায় স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানান মুজিব কাকু : তাজউদ্দিন কন্যা

‘তাজউদ্দীনকে হত্যার চেষ্টা করেছিল মুজিব বাহিনী’

২৭শে মার্চ সকালে কারফিউ তুলে নেয়া হয় দেড় ঘণ্টার জন্য। এই সময় আব্বু দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলেন যে, সাতমসজিদ রোড পার হয়ে রায়ের বাজারের পথ দিয়ে শহর ত্যাগ করবেন। লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, মাথায় সাদা টুপি পরিহিত ও হাতে লোকদেখানো বাজারের থলির আড়ালে কোমরে গোঁজা পিস্তল আড়াল করে আব্বু চললেন গ্রামের উদ্দেশ্যে।’ যুদ্ধাকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এভাবেই বেরিয়ে পড়েছিলেন রণাঙ্গনের উদ্দেশ্যে। সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থ ‘তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা’ গ্রন্থে তাজউদ্দীন আহমদের যুদ্ধযাত্রার এ বর্ণনা দিয়েছেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শারমিন আহমদ। ১৯৯০ সালে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেলোশিপ ও উইমেন্স স্টাডিজ স্কলারসহ উইমেন্স স্টাডিজে মাস্টার অব আর্টস ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। শারমিন আহমদ আরও লিখেছেন, যাওয়ার পথে পদ্মার তীরবর্তী গ্রাম আগারগাঁয়ে শুকুর মিয়া নামের আওয়ামী লীগের এক কর্মীর বাড়িতে তারা আশ্রয় নেন। এই বাড়ির সকলেই তাঁতের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সেখানে তারা শুনতে পান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা। ২৭শে মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত এই ঘোষণাটি আব্বুসহ সামরিক ও বেসামরিক সকল বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করে। পরদিন ভোরেই তাঁরা সেই স্থান ত্যাগ করেন। এরপর তাজউদ্দীন আহমদের ভারত যাত্রা, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বভার গ্রহণ, মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠার বিশদ বিবরণ লিখেছেন শারমিন আহমদ। 

তিস্তায় পানি চান না আ.লীগ নেতারা!

তিস্তায় পানি চান না আ.লীগ নেতারা!
তিস্তার পানি চাই না, পানি চুক্তির দরকার নাই- এমন দাবি তুলে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার পারুলিয়ার চরে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে তিস্তা পূর্ব তীর রক্ষা কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সারওয়ার হায়াত খান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, "এবার তিস্তার পানি না আসায় লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ২৬টি ইউনিয়নের ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টাসহ বিভিন্ন চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়া ৬০ হাজার পরিবার তাদের বসত বাড়ি ফিরে পেয়েছে। যে কারণে তিস্তার পানি না আসাটাই উত্তম।"

Thursday, 24 April 2014

সাঈদীকে কাতারে নিষিদ্ধ করণ বিষয়ে চ্যালেঞ্জ..২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ফানারে ২০০৩ সালে নিষিদ্ব হন কিভাবে ??

বাংলানিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম-এ সাঈদী সাহেবকে কাতারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে একটি অপপ্রচার মূলক রিপোর্ট করা হয়েছে। আর অনেক ব্লগার এই রিপোর্টটাকে কপি করে পোষ্ট করেছেন। আর অন্য কিছু অতি উৎসাহী ব্লগার সেই সব পোষ্টে বিরামহীন মন্তব্য করে অপপ্রচারকারীদেরকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। সাঈদীকে নিষিদ্ধ করণ বিষয়ে বিস্তারিত লিখবো সময় নিয়ে। আজ সাঈদী সাহেবের কাতার সফর সম্পর্কে মাত্র কয়েকটি চ্যালেঞ্জ।

 ১.) যে "ফানার" সাঈদী সাহেবকে নিয়ে ২০০৩ সালে এতো মাতামাতি করেছে, সেই ফানারের জন্ম ২০০৬ সালে। আমার জিজ্ঞাসা যে প্রতিষ্ঠানের জন্ম ২০০৬ সালে সেই প্রতিষ্ঠান ২০০৩ সালে কিভাবে তদন্ত করে। বিস্তারিত জানার জন্য ফানারের ওয়েব সাইট
 http://www.fanar.gov.qa/Index.aspx
... বা ফানারের ফেইস বুকে
https://www.facebook.com/FanarQatar/info দেখুন।

 ২)  সাঈদী সাহেব ২০০২ সালের পর কখনও কাতার সফর করেননি। তাহলে যে ব্যক্তিটি ২০০২সালের পর কাতার যায়নি, সেই ব্যক্তিটি ২০০৩সালে কিভাবে কাতারে কোন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবে। সাঈদী সাহেব সম্পর্কে যারা অযথা অপপ্রচার করেন, তারা বিষয়গুলোর জবাব দেবেন আশা করি।

Monday, 7 April 2014

গনজাগরন মঞ্চের চাঁদাবাজির সংক্ষিপ্ত লিস্ট/ তালিকা

১. এস পি মাহবুব থেকে ৪ লক্ষ টাকা বাপ্পাদিত্য বসুর সামনে লেনদেন
২. কানাডা থেকে জিয়াউল হক প্রবাসীদের ফান্ড লেনদেন বাপ্পাদিত্য বসুর পরিচিত।
৩. ইনসেপ্টা ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে নাছিরউদ্দিন ইউসূফ বাচ্চুর কাছে জানিয়েছেন ফরিদুর রেজা সাগর।
৪. বসুন্ধুরা গ্রুপ ২০ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে ।
৫. রেনেটা ফার্মা (জামাতের) ৪ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে।
৬. ল্যাবএইড ডা আর্সালনের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে।
৭. ইস্পাহানি ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে।
৮. এফবিসিসিআই চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন হতে ৬০ লক্ষ টাকা।
৯. আবেদ খান ২.৫ লাখ টাকা ইমরান এইচ সরকারের হাতে প্রদান করেছে।
১০. হামীম গ্রুপ ২০ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে।
১১. যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে থেকে আগত ফান্ড।
১২. হনিফ পরিবহন ১০ লক্ষ টাকা ইমরান এইচ সরকারকে ক্যাশ চেক।
১৩. অটবি ১০ লক্ষ টাকা এবং ফেব্রুয়ারী ৮ তারিখ পর্যন্ত খাবার প্রদান করেছে।
১৪. ৪.৬ লক্ষ টাকা প্রথম আলোর মাধ্যমে।
১৫. ফরিদুর রেজা সাগর ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে সোমার মাধ্যমে ইমরানের কাছে ।
১৬. আওয়ামীলীগ নেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তোলা চাঁদা।
১৭. আওয়ামীলীগের অনেক এমপি-মন্ত্রী প্রচুর** টাকা দিয়েছে।

Sunday, 6 April 2014

কোটি টাকা ভাগাভাগির অভিযোগ

যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার রায়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা কোটি কোটি টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করা হয়েছে মঞ্চের নামে। শুধু তাই নয়, চাঁদাবাজির পর চাপে পড়ে কমপক্ষে ২০টি প্রতিষ্ঠানের টাকা ফেরতও দেয়া হয়েছে। মঞ্চের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও অস্বচ্ছতার প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনের এক পর্যায়ে নোট অব ডিসেন্ট দেয় ছাত্র ফেডারেশন। অভিযোগ রয়েছে মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন ইতিমধ্যে। নিজেও দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন। আর আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতরা তার কাছে হিসাব চাইছেন। শুধু ডা. ইমরান এইচ সরকারই নয় আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা জড়িত রয়েছেন চাঁদাবাজিতে। তারা এখন হিসাব দিচ্ছেন না। এর মধ্যে কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বও রয়েছেন। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর শুক্রবার পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলার পর বিষয়টি জোরালোভাবে সামনে এসেছে। গণজাগরণ মঞ্চ পর্দার অন্তরালে বিভিন্ন স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন থেকেও টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগ নেতারা।

Sunday, 30 March 2014

মিল-অমিলঃ তারেক-জয়- শামস মোহাম্মদ

বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম সম্প্র্রতি জাতির সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের সূত্রপাত করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান এবং পরমাণু বিজ্ঞানী ডঃ ওয়াজেদ মিয়া ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে রাজনীতি থেকে একসাথে মাইনাস করার চক্রান্ত চলছে। আর এ বিতর্ক ডালপালা বিস্তার করেছে দেশ হতে দেশান্তরে। সম্প্রতি মার্কিন মুল্লুকে এসে সরকারের আরেক প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার ঘোষণা করেছেন, ‌‌'বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র চাঁদের মত পবিত্র’। আজকের নিবন্ধ এ আলোচনার মধ্যে রাখার চেষ্টা করব।
চাঁদ পবিত্র কি না তা কোনো ধর্মগ্রন্থে পাওয়া না গেলেও কবি-সাহিত্যিকরা চাঁদেও কলঙ্ক আবিস্কার করেছেন। তাই বলে কি চাঁদ সুন্দর নয়? হ্যাঁ, সুন্দর বটে- পুর্নিমায় আলো ছড়ায়। তবে তা কেবলই পক্ষকালের জন্য, কৃষ্ণপক্ষে এসে গভীর অন্ধকারে ঢেকে দেয় সারা পৃথিবীকে। তাছাড়া চাঁদের নিজস্ব কোনো আলো নেই, সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়। আমরা অবশ্য পুর্নিমার চাঁদ চাই- আলোকিত মানুষ চাই।

Friday, 28 March 2014

জিয়াউর রহমান : স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান


বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের ৩৮ বছর পার হয়েছে। এ সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন যেমন কম নয়, তেমনি নানান বিষয়ে জাতিসত্তার মধ্যে বিভক্তি জাতিকে পেছনের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও স্বাধীনতার ঘোষনা। এটি ঐতিহাসিকদের বিষয় হলেও বর্তমানে তা দাড়িয়েছে আদালতের কাঠগড়ায়। বর্তমান রাজনীতির অপসংস্কৃতির বদৌলতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জীবনপণ সংগ্রামের স্বীকৃতি আজ আদালতের মাধ্যমে অর্জন করতে হচ্ছে। একটা জাতির জন্যে এর চেয়ে আর দুর্ভাগ্যের বিষয় আর কি হতে পারে। আজকের প্রতিপাদ্য বিষয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে বাংলাদেশের সরকার ও দেশ পরিচালনার অবস্থা।

১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ পাকিস্তানের শাসন থেকে ছিন্ন করে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসাবে ঘোষনা করে দেশ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। স্বাধীনতা ঘোষণা করার ২২ দিন পরে ১৭ই এপ্রিল বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চল কুষ্টিয়ার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের আম্রকুঞ্জে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহন করে। ইতোপূর্বে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের মধ্যে যারা আগরতলায় হাজির ছিলেন তারা ১৩ই এপ্রিল সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। দেশী বিদেশী সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি ও ১০ সহস্রাধিক জনতার উপস্থিতিতে ১৭এপ্রিল শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রেসিডেন্ট, তাঁর অবর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সঙ্গত কারনেই প্রশ্ন উঠে, তাহলে কি স্বাধীনতার প্রারম্ভে অস্থায়ী সরকার গঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ২২ দিন বাংলাদেশ এবং তাঁর মুক্তিযুদ্ধ নেতৃত্বশূন্য ছিল? এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রেকর্ড পত্রে কি পাওয়া যায় সেটাই আজকের আলোচনা।

Thursday, 20 March 2014

বিএনপি জামায়াত হেফাজত দমনেই বেশি পদক



ঢাকা: সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখা পুলিশ কর্মকর্তারাই এবার পদক তালিকায় শীর্ষে। বিএনপি তথা ১৮ দলীয় জোটের আন্দোলন দমন, জাময়াত-শিবিরের নাশকতা প্রতিরোধ, হেফজতকর্মীদের ঢাকা থেকে বিতারিতসহ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরকারবিরোধীদের সফলতার সঙ্গে প্রতিরোধের কারণেই তাদের পদক দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১৬ পুলিশ সহস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) সাহসীকতা; র‌্যাব, পুলিশের শীর্ষ ২০ কর্মকর্তাকে বিপিএম সেবা পদক দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) সাহসীকতা দেয়া হয়েছে ২৯ পুলিশ-র‌্যাব সদস্যকে। যাদের অধিকাংশই মাঠ পর্যায়ের।

এছাড়া রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) সেবা দেয়া হয়েছে ৪০ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের। যার মধ্যে রয়েছে বহুল  আলোচিত লালবাগ বিভাগ পুলিশের উপ-কমিশনার হারুন আর রশিদ ও তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

Tuesday, 4 March 2014

বর্তমান সময়ে জামায়াত শিবির যা করতে পারে - ১ম পর্ব- সমাজসেবা ও তৃণমূলে পৌঁছার কৌশল



যদি কোনো গাছের মূল ঠিক থাকে তাহলে সেই গাছটির উপর যত ঝড় বৃষ্টি আসুক না কেন, তা উপড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে ..ঠিক একইভাবে যদি আমরা কোনো সংগঠন, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দলের কথা চিন্তা করি,তাদের ক্ষেত্রে ও একই কথা প্রযোজ্য। জামায়াত শিবিরের বিরুদ্বে একটি অভিযোগ,স্বাধীন বাংলাদেশে প্রায় ৪৩ বছর কাজ করে ও তারা সংগঠনকে তৃনমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেনি..কেন করতে পারেনি সেটি নিয়ে আমি কোনো বিতর্কে যাবো না..তবে কিভাবে যেতে পারে সেটি নিয়েই এই লেখা।আর এই লেখাটি শুধু জামায়াত না , যে কেউ ১০ বছর অনুসরণ করলেই অনেক দূর আগাতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। আর এই সংগঠনটি জামায়াতের নামে হবে না,হবে নতুন নামে।

জামায়াত দাওয়া সংগঠন হিসেবে রেখে, এক ঝাক তরুণ মেধাবী নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন এই রাজনৈতিক সংগঠনটিকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিবে। কল্পনা করুন শিবির শিবিরই থাকলো। জামায়াত নতুন নামে একটি রাজনৈতিক শাখা খুললো , নাম দিলো ৯০ ডিগ্রী এঙ্গেলে ঘুরে "বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি"

শিবিরকে IHS এর সন্ত্রাসী লিস্টে যোগ করতে সাহায্য করেন ভারতীয় অনুরাগ গুপ্ত

>


গতকালকে যখন IHS এর গত ১৩ তারিখের প্রেস রিলিজে (যদি ও আমাদের মিডিয়া গতকাল খবর দিয়েছে) শিবিরকে ৩ নাম্বার সন্ত্রাসী লিস্ট দেখি তখনি সন্দেহ হয়েছিলো , নিশ্চয় কোনো চক্রান্ত কাজ করছে এইখানে। শিবিরকে আলকায়েদার আগে স্থান দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য যাওয়ারি কার্ড না খেলতে পেরে শিবির কার্ড খেলতে চেয়েছে। যাই হোক কালকে IHS এর ওয়েবসাইটে গিয়ে খুজি কে আছে এই সাইটের পিছনে ? দেখতে দেখতে পেয়ে গেলাম এক দাদাবাবুর নাম। যিনি কোম্পানির একজিকিউটিভ ডিরেক্টর। 

সূত্র : http://www.ihs.com/about/executives.aspx

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের আমদানিকারক ও প্রতিষ্ঠাতা আওয়ামীলীগ



@ ১৯৯৭ সালের ৩০ জানুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা মুন্সি আনিসুল ইসলামের বড়ভাই মুফতি হান্নানকে গোপালগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরীর ৭ নম্বর প্লটে চার হাজার ৫০০ বর্গফুট জমি বরাদ্দ দেয় আ'লীগ সরকার যেখানে বোমা তৈরির কারখানা গড়ে ওঠে। (১) 

@১৯৯৮ সালের ২৩ জানুয়ারী ওসামা বিন লাদেনের জিহাদের ডাকে সাড়া দেয় বাংলাদেশের ফজলুর রহমান, এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে হুজি বাংলাদেশ গঠিত হয়। 

প্রজন্ম তুমি ভুল মানুষকে ফাঁসি দিয়েছ এবং একজন কানাডিয়ান মোজাম্মেলের মিথ্যাচার





প্রজন্ম গত বছরের ৫ ই ফেব্রুয়ারী কাদের মোল্লার ফাসির জন্য আন্দোলন শুরু করেছিলো। আপাদত দৃষ্টিতে তোমরা তোমাদের দাবি পূরণ করতে পেরেছ। কিন্তু প্রজন্ম তুমি কি কখনই চিন্তা করেছ , কাদের মোল্লা আর কসাই কাদের একই ব্যক্তি না ও হতে পারে। তুমি যা দেখনি আর যা শুনেছ তা মিথ্যা ও হতে পারে , তা কি কখনো ভেবেছ ? 

তুমি কি কখনো ভেবেছ কসাই কাদের কিভাবে স্বাধীনতার পরে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ? তোমার কি চিন্তা জাগ্রত হয়নি যে একজন কসাইয়ের নাম স্বাধীনতার পর রাজাকারদের তালিকায় কেন তার নাম নেই? 

সাতক্ষীরা অপারেশনে ভারতীয় বাহিনীঃ আগেই বলেছিল ভারতের দ্যা হিন্দ।এবং আরো কিছু প্রমান



বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্ভভৌমত্ব দেশ। ৩০ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে অর্জিত হয় এই দেশের স্বাধীনতা। কিন্তু যারা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্বের স্বপক্ষের একমাত্র শক্তি বলে ,সেই রকম একটি সরকারের কাছে দেশের সার্ভভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে বলে প্রশ্ন উঠেছে সর্বমহলে। এই হুমকির একমাত্র কারণ বাংলাদেশে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ। এই ধরনের একটি ফ্যাক্সবার্তা প্রকাশ হলো গতকাল। যা নিয়ে তোলপাড় চলছে সারাদেশে। 

চলমান রাজনৈতিক সংকটে ভারতীয় বাহিনীর সাহায্য চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে পাঠানো এই বার্তায় দেখা যায়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৩৩তম কোরের ১৭তম, ২০তম ও ২৭তম মাউন্টেন ডিভিশান, এবং বিএসএফ।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রকৃত চিত্র এবং মিডিয়ার ব্লেইম গেমের অপরাজনীতি





১০ম জাতীয় নির্বাচনের পর আবারো সংখ্যালঘুদের উপর বিশেষ করে হিন্দুদের উপর বিভিন্ন জায়গায় হামলা হচ্ছে। যেখানে প্রশাসন থেকে ও এই সব হামলা বন্ধের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো কয়েক জায়গায় রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামীলীগের লোকজন সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে তুলকালাম সৃষ্টি করে। বলেছিলো সংখ্যালঘুরা সরকারী দলের সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। 

কিন্তু বর্তমানে এই আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেই বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন । আসল সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে, রাজনৈতিক সুবিধার্থে উল্টো ক্ষমতার বাহিরে থাকা জামায়াত শিবির ও বিএনপির কর্মীদের দোষারোপ করে যাচ্ছে। আর তার সাথে ইন্ধন যোগাচ্ছে কিছু মিডিয়া। মিডিয়ার এই অন্ধ রিপোর্টগুলোর কারণেই সন্ত্রাসীরা আরো বেশি করে হামলা করছে হিন্দুদের উপরে। কারণ তারা জানে তারা যতই হামলা করুক না কেন মিডিয়ায় প্রকৃত খবর আসবে না , উল্টো জামায়াত শিবিরকে দোষারোপ করা হচ্ছে। অথচ একজন স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে মিডিয়াতে আমরা প্রকৃত দৃশ্য দেখতে চাই , এবং সন্ত্রাসীরা যেই দলেরই হোক না কেন প্রশাসনের সুষ্ঠ তদন্তের মাঝে আমরা প্রকৃত দোষীদের কঠিন শাস্তি চাই। 

ছাত্রলীগ কর্মীকে ‘সাজা দেওয়ায়’ হাকিম বদলি

04 Mar, 2014
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় জাল ভোট দেওয়ার সময় আটক ছাত্রলীগের এক কর্মীকে সাজা দেওয়ার পর চাঁদপুরের নির্বাহী হাকিম তুষার আহমেদকে তাত্ক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে চাঁদপুর থেকে কুমিল্লায় বদলি করা হয়। কাল বুধবার তাঁকে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

বিশ্বের তৃতীয় বিপজ্জনক রাষ্ট্র ভারত

আফগানিস্তান বা সিরিয়ায় বোমা হামলায় আপনার মৃত্যুর আশঙ্কা যতোটা বেশি, ভারতে সে আশঙ্কাটা আরো অনেক বেশি। নতুন এক পরিসংখ্যানে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের তৃতীয় বিপজ্জনক রাষ্ট্র ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রাষ্ট্রের তালিকায় ইরাক ও পাকিস্তানের পরই রয়েছে ভারতের নাম। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া’র।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান ও সিরিয়া পর্যন্ত সে তালিকায় ভারতের পেছনে অবস্থান করছে। অভ্যন্তরীণ নানা সহিংসতা সত্ত্বেও তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পেছনে। এ তালিকায় পাকিস্তান ও ইরাকের সঙ্গে ভারত বিশ্বের মোট প্রায় ৭৫ শতাংশ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার জন্য চিহ্নিত হয়েছে।

নীলফামারীতে এমপি নূরের গাড়িবহরে হামলা : মামলার নিখোঁজ আসামি রাবি শিবির নেতা মহিদুল ইসলামের লাশ মিলেছে বগুড়ায়

বগুড়ায় অজ্ঞাত লাশ হিসেবে দাফনের এক মাস তিনদিন পর নীলফামারী সদর থানায় পাঠানো লাশের ছবি দেখে নিখোঁজ শিবির নেতা মহিদুলের লাশ শনাক্ত করেছে পরিবারের সদস্যরা। গত ১লা ফেব্রুয়ারি বগুড়া আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা হিসেবে মহিদুলের লাশ দাফন করেছিল। নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের সুখধন গ্রামের কস্ফারি আনোয়ার হোসেন ছেলে মহিদুল। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্য ছিল। ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর জেলা সদরের রামগঞ্জ বাজারে এমপি আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা ও আওয়ামী লীগের চারজন নেতাকর্মী হত্যার মামলার নয় নম্বর আসামি ছিলেন মহিদুল। মহিদুল ইসলামের খালা মমেনা বেগম, মামী রাশেদা খানম, বড় বোন আম্বিয়া ও আফরোজা বেগম জানান, ওই ঘটনার পর থেকে মহিদুল ও তার বন্ধু আতিক টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার দেবীডুবা গ্রামে সাথিয়া স্কুলের নিকটবর্তী আতিকের আত্মীয় বাবুল খানের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল। 

ঝালকাঠির রাজাপুরে হিন্দু বাড়িতে হামলা মূর্তি ভাংচুর আহত ৫ যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার দুই

ঝালকাঠির রাজাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক হিন্দুবাড়িতে হামলা ভাংচুর-লুটপাট ও গোয়াল ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতির নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় গ্রামের বিশ্বাসবাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নারী-শিশুসহ ৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ হিন্দু পরিবারের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শুক্তাগড় ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি সিদ্দিক মিয়া ও তার ভাগ্নে বরিশালের দক্ষিণ আলেকান্দার লাভলু খানের ছেলে লিমন হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। আহতরা হলো- সাগর বিশ্বাস, তার মা মঞ্জু রানি, সুবাস চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, নয়নের শিশু মেয়ে সুপ্রিয়া ও উত্তম বিশ্বাস। আহতদের মধ্যে মঞ্জু রানি ও সাগর রাজাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন।

India among most dangerous places in the world

India among most dangerous places in the world
Latest data from National Bomb Data Centre (NBDC) show that India suffered 212 bomb blasts in 2013 - more than double of what Afghanistan (with 108 blasts) suffered. 
NEW DELHI: You are more likely to die in abomb blast in India than in Afghanistan. Strange as it may sound, government data show that India is among the most dangerous places in the world as far as bomb blasts per year are concerned - next only to Iraq and Pakistan, with even war-torn Afghanistan and Syria doing better.

Latest data from National Bomb Data Centre (NBDC) show that India suffered 212 bomb blasts in 2013 — more than double of what Afghanistan (with 108 blasts) suffered. Facing internal strife, Bangladesh with 75 blasts and Syria with 36 blasts have done better.

While the number of blasts in India decreased from 241 in 2012 to 212 in 2013, casualties went up with 130 deaths and 466 injuries last year as compared to 113 deaths and 419 injuries in 2012.

Analyzing the frequency of IED blasts in the country over the past decade, the document says between 2004 and 2013 "there have been an average of 298 blasts and 1,337 casualties in India". This is again higher than Afghanistan which in the past five years witnessed a maximum of 209 such attacks in 2010, according to the data.

Sunday, 2 March 2014

কবিতা লেখার নিয়ম কানুন

কবিতার উৎকৃষ্টতার জন্যে ছন্দ একমাত্র উপজিব্য না হলেও এটি যে প্রধানতম একটি দিক তা অস্বীকার করার উপায় নেই। শিল্প সাহিত্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম, কবিতা, সৃষ্টির আদিযুগ থেকেই তাল লয় সুর ইত্যাদির সংমিশ্রণে ভাষার মালা হয়ে মানুষের মনে দোলা দিয়ে আসছে। অক্ষর ও শব্দের নানামুখি চালে এই মালা তৈরীর প্রক্রিয়া বা নিয়মই আদতে ছন্দ।
কালের বিবর্তনে, অতিক্রান্ত সময়ের সদ্ধিক্ষণে উৎকৃষ্ট কবিতা নির্মাণের জন্য বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে প্রায় সব ভাষার বিশিষ্ট কবিরা তৈরি করেছেন সুনির্দিষ্ট ও সুবিন্যস্ত নিয়ম। বাংলা কবিতাকেও অন্যান্য ভাষায় রচিত কবিতার মতো বাঁধা হয়েছে ছন্দের শৃঙ্খলে। আর এক পর্যায়ে ভেঙেও দেয়া হয়েছে সেই শৃঙ্খল, কিন্তু ভাঙার সেই প্রক্রিয়াও তৈরী করেছে নতুন ধ্বনি মাধুর্য।
ইট তৈরির কথা দিয়েই শুরু করা যাক। প্রথমেই প্রয়োজন উৎকৃষ্ট মাটির। মাটিকে আবর্জনা মুক্ত করে স্বচ্ছ পানি মিশিয়ে হাত দিয়ে বা মেশিনের সাহায্যে বারবার নেড়ে চেড়ে নরম করার প্রয়োজন পড়ে। তারপর এই মাটিকে ফর্মার মধ্যে ফেলা হয়। ফর্মায় মাটি ঠিক মতো পুরতে পারলেই মাটি আর মাটি থাকে না, ইটে পরিণত হয়। এখানেই শেষ নয়, এই নরম ইটকে শক্ত করার জন্য উচ্চ তাপে দগ্ধ করা হয়। লক্ষণীয় যে, নরম মাটিকে হাত দিয়ে পিটিয়ে বা মেশিনে নেড়ে চেড়েই ইটের রূপ দেয়া যায় না। দরকার একটি ফর্মা যা কিনা মাটিকে সুন্দর একটি ইটের আকার দিতে পারে।
কবিতার প্রসঙ্গেও একই রকম ভাবে বলা যায়, প্রথমেই প্রয়োজন সুন্দর একটা বিষয়। যদিও যে কোনো বিষয়েই উৎকৃষ্ট কবিতা তৈরীর প্রমাণ যথেষ্ট রয়েছে, তথাপি কবিতা লেখার শুরুর দিকে বা তরুণ কবিদের ক্ষেত্রে বিষয়ের গুরুত্ব অবহেলা করা যায় না। বিষয় স্পষ্ট হলে, তাকে ভাষায় রূপ দেয়ার জন্য দরকার শব্দ। বিষয় ও শব্দের একত্র মেলবন্ধনে গঠিত হয় কবিতার ভাব, যা ইট তৈরির পূর্বের ক্ষেত্রটি প্রস্তুত করে। এখন প্রয়োজন ফর্মার। কবিতার ক্ষেত্রে এই ফর্মাই হলো ছন্দ। বিষয় এবং শব্দকে যদি নির্দিষ্ট ছন্দের মধ্যে গ্রন্থিত করা যায় তবে অন্তত দগ্ধ করার আগে কাঁচা ইটের মতো মোটামুটি একটা কবিতা দাঁড়িয়ে যায়। তারপর একে পরিপক্ক করার জন্য প্রয়োজন হয় উপমা, অনুপ্রাস, চিত্রকল্প ইত্যাদির। তাই, প্রথমে অন্তত সাধারণ ভাবে একটা কবিতা দাঁড় করার জন্য ছন্দের প্রয়োজনীয় দিকের প্রতি দৃষ্টি দেয়া যাক।
ছন্দের ভেতরে প্রবেশের আগে জানা দরকার শব্দের শরীর। আবার শব্দের শরীর সম্পর্কে জানতে হলে সর্বাগ্রে জানা দরকার স্বর বা ধ্বনি। স্বর জানার পর শব্দের শরীর অনেকাংশে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
বাংলা স্বর বা ধ্বনিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
১. বদ্ধস্বর
২. মুক্তস্বর
বদ্ধস্বর:
যে সব ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভ মুখের প্রবহমান বাতাসকে আটকে দেয় তাদের বদ্ধস্বর বলা হয়। যেমন : কর, ধর, হায়, পাক, আঁক, ঝাঁক, থাক, দিন, বীন, হই, ইত্যাদি।