
কানাডা সরকার আবার দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য ‘Federal Skilled Worker (FSW)’ প্রোগ্রামের অধীনে আবেদন গ্রহণ শুরু করছে।
মে মাসের ১ তারিখ থেকে এ আবেদন গ্রহণ শুরু হবে।
কানাডায় ইমিগ্রেশনের জন্য আগ্রহী অনেক পেশাজীবী অনেক দিন ধরে গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। এই প্রোগ্রামের অধীনে কানাডা সরকার ২৫ হাজার আবেদন গ্রহণ করবে।
মে মাসের ১ তারিখ থেকে এ আবেদন গ্রহণ শুরু হবে।
কানাডায় ইমিগ্রেশনের জন্য আগ্রহী অনেক পেশাজীবী অনেক দিন ধরে গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। এই প্রোগ্রামের অধীনে কানাডা সরকার ২৫ হাজার আবেদন গ্রহণ করবে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংস হামলার মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতা অনিবর্তনীয় হয়ে ওঠে। রাত বারোটার পরে ঢাকায় যখন চলছিল স্বেচ্ছা-আত্মসমর্পন পর্ব, ঠিক প্রায় একই সময়ে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে গর্জে ওঠে- “উই রিভোল্ট!” স্বাধীন বাংলাদেশ জড়িয়ে পড়ে জন্মযুদ্ধে, যার ডাক আসে কালুরঘাট বেতার থেকে। মেজর জিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে মরনপণ লড়াইয়ে সামিল হয় বাঙ্গালি সেনা, পুলিশ, রাইফেলসের ১১ হাজার যোদ্ধা।
আম্মা আমাকে সঙ্গে নিয়ে একদিন সন্ধ্যারাতে মুজিব কাকুর বাসায় গেলেন। মুজিব কাকি ঘরের সামনের বারান্দায় বসে পান খেতে খেতে গল্প করছেন। আমি মুজিব কাকুর ঘরের সামনে দিয়ে হেঁটে যেতেই ভেতর থেকে মুজিব কাকু আমাকে ডাকলেন, ‘এই রিপি নাকি? ভেতরে আয়।’ঘরের খোলা দরজা দিয়ে দেখা যায় মুজিব কাকু বালিশে মাথা রেখে বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। তাঁর মাথার কাছে চেয়ারে শেখ ফজলুল হক মনি বসা। তিনি মুখ নিচু করে নিম্নস্বরে মুজিব কাকুকে কিছু বলছিলেন। মুজিব কাকুর ডাকে আমি ঘরে ঢুকতেই শেখ মনি মুখ তুলে আমার দিকে তাকালেন। তাঁর দৃষ্টি শীতল ও সতর্ক। মুজিব কাকু তাঁর স্বভাবজাত উষ্ণতা ভরা কণ্ঠে আমাদের কুশল জিজ্ঞেস করলেন। এরপর দরাজ গলায় বললেন, ‘শোন, আমি তোকে লেখাপড়া করতে রাশিয়ায় পাঠাবো।’ আমার সঙ্গে মুজিব কাকুর সেই শেষ কথা। মনে পড়ে ১৯৬৮ সালে মুজিব কাকু ও আব্বু যখন জেলে, তখন এই বাড়িতেই অনাড়ম্বর পরিবেশে অল্প কিছু আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে মুজিব কাকুর জ্যেষ্ঠ কন্যা হাসিনা আপার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে বিজ্ঞানী এমএ ওয়াজেদ মিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আম্মার সঙ্গে সেই অনুষ্ঠানে আমি যোগ দিয়েছিলাম।




